চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম শিউলী আজাদের জায়গায় থাকা ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অনুমতি না নিয়েই ভাটার কার্যক্রম পরিচালনা করার অভিযোগে আজ ৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ভাটাটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। একই সাথে ভাটায় থাকা মাটিসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রির আদেশ দেওয়া হয়।
জানা যায়, ওই ভাটার কোনো ধরনের অনুমতি ছিল না।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসাইন গণমাধ্যমকে জানান, ‘মেসার্স জিসান ব্রিকস্’ নামক ইটভাটাটি অবৈধভাবে ইট প্রস্তুত করে আসছিলো। এ জন্য গত ২৬ নভেম্বর ইটভাটাতে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে ইট প্রস্তুতের দায়ে ইট ভাটার চিমনি ভেঙে দেয়া হয় ও দুই ব্যক্তিকে ১০ দিন করে কারাদন্ড প্রদান করা হয়। কিন্তু তারা সরকারি নির্দেশ না মেনে রাতের আধাঁরে লুকিয়ে ইট ভাটার আগুন সচল রাখার চেষ্টা করছিলো। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ইটভাটাতে অভিযান চালিয়ে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় আগুন নিভিয়ে দেয়া হয় ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ব্লুয়ার মেশিন (হাওয়া মেশিন) নিষ্ক্রিয় করে দেয়া হয়। যাতে করে ইট ভাটাতে আর আগুন জ্বালাতে না পারে। তিনি আরো জানান, ইট ভাটার সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া পূর্বের রায়ের নির্দেশনা অনুযায়ী বাজেয়াপ্ত এই ইটভাটার পরবর্তী কার্যক্রম সম্পন্ন করে, দ্রুত ভাটার নিলাম কার্যক্রম করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা প্রদানের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা তাগিদ দেওয়া হয়।
ইউএনও মোশারফ হোসাইন জানান, অনুমতিহীন ওই ভাটায় রাতের আঁধারে ইট প্রস্তুত করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। ভাটার সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া আগের একটি রায়ের নির্দেশনা অনুযায়ী বাজেয়াপ্ত ওই ইটভাটার নিলাম কার্যক্রম করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের তাগিদ দেওয়া হয়।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল হাসান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মোঃ রাকিবুল হাসান ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সরাইল উপজেলায় একটি অটোরিকশার গ্যারেজে ব্যাটারিতে চার্জ দেওয়ার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম (২৫) নামে এক অটোরিকশা চালকের মৃত্যু হয়েছে।
আজ ২ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের গলানিয়া গ্রামের (মধ্যপাড়া) এলাকায় আটোরিকশার গ্যারেজে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের গলানিয়া গ্রামের (পশ্চিমপাড়া) এলাকার মৃত আমির খানের ছেলে। সে পেশায় ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা চালক ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কালিকচ্ছ ইউনিয়নের গলানিয়া গ্রামের (মধ্যপাড়া) সুমন মিয়ার রিকশার গ্যারেজে তার রিকশার ব্যাটারিতে চার্জ দিতে যায়। এ সময় গ্যারেজে পরে থাকা বিদ্যুতের তার অসাবধানতাবশত জহিরুল ইসলামের বাম পায়ে লেগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অচেতন হয়ে পড়েন। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী জীবন মিয়াসহ কয়েকজন লোক মিলে তাকে উদ্ধার করে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ সোহাগ রানা।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে পানিতে ডুবে তায়িফ-(০৫) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। মৃত তায়িফ কালিকচ্ছ গ্রামের মোঃ ছাদেক মিয়ার ছেলে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে কালিকচ্ছ গ্রামে তায়িফ ও তার ছোট ভাই বাড়ির পাশে ফুটবল খেলছিলো। খেলার এক পর্যায়ে বাড়ির পাশের পুকুরে বলটি পড়ে যায়। পরে তায়িফ বলটি আনতে পুকুরে নামলে পানিতে তলিয়ে যায়। পরে তারিফের ছোট ভাই বাড়িতে এসে সবাইকে জানালে পরিবারের লোকজন পুকুর থেকে তাকে তুলে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিসৎক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে বিষয়টি অবহিত হয়েছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই তিতাস নদীতে ড্রেজারে কাটছে মাটি। সেই মাটি যাচ্ছে এক কিলোমিটার দূরে এশিয়া নামক ইটভাটায়। ভাটায় ব্যবহারের পরও ওই মাটি চড়া দামে অন্যত্র বিক্রি করছে একটি সিন্ডিকেট। ওদিকে স্বল্প প্রস্থের নদীর গভীরতা বাড়তে থাকায় দু’পাড়ের শতশত একর ফসলি জমি এখন হুমকির মুখে পড়েছে।
সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের চানপুর এলাকার নদী সংলগ্ন ফসলি মাঠে এমন হরিলুট করছে মাটি খেকোঁ চক্র। নদী ও মাটি খেকোঁ প্রভাশালী সিন্ডিকেটের কাছে অসহায় সেখানকার কৃষকরা। ভয়ে মুখ খোলার সাহসও করছেন না তারা।
সরজমিন অনুসন্ধান ও ভুক্তভোগী কৃষকরা জানায়, ধর্মতীর্থ এলাকার কৃষকরা বারবার নদী, ফসলি জমি ও মাটি খেঁকো একটি চক্রের শিকার হচ্ছেন। ওই চক্রটির কাজ হচ্ছে ইটভাটায় মাটি বিক্রির বাণিজ্য করা। এই লক্ষে তারা ধর্মতীর্থ চানপুর সহ অত্র এলাকার হাওরের ফসলি জমির মালিকদের টার্গেট করে। সহজ সরল কৃষকদের ফুসলিয়ে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ফসলি জমি ও গোচারণ ভূমির মাটি ক্রয় করে আসছে।
একটি জমি ক্রয় করে আশপাশের জমির মালিকদের বেকায়দায় ফেলে মাটি বিক্রি করতে বাধ্য করে ওই চক্রটি। হাওরের শতশত একর ফসলি জমি এখন চাষাবাদের অযোগ্য হয়ে পড়ে আছে। ফসলি জমির পর এখন তারা নদীর দিকে নজর দিয়েছেন। চানপুর মৌজায় তিতাস নদীতে গত ১৫ দিন ধরে ড্রেজার দিয়ে মাটি কেটে এক কিলোমিটার দূরে সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক সড়কের পাশে এশিয়া নামক ইটভাটায় নিচ্ছেন। সেখান থেকে ট্রাকে করে বিভিন্ন ইটভাটায় মাটি বিক্রি করছেন। ওদিকে ড্রেজারে লাগাতার মাটি উত্তোলন করায় নদীর গভীরতা অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এতে করে নদীর দু’পাড়ে শতশত একর ফসলি জমি এখন ভেঙ্গে নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার পথে। কৃষকদের আর্তনাদ ও প্রতিবাদ কোন আমলে নিচ্ছেন না প্রভাবশালী মাটি খেঁকোরা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে দেখা যায় নদীর মাঝখানে বিকট শব্দে চলছে ড্রেজার। প্রায় ৮-১২ ইঞ্চি প্রস্থের পাইপ দিয়ে এক কিলোমিটার দূরে মাটি যাচ্ছে। ড্রেজারের পরিদর্শক নুর নবী দাঁড়িয়ে আছেন। গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়েই ড্রেজারের কাছ থেকে দ্রুত সটকে পড়ার চেষ্টা করেন নুরনবী।
ড্রেজার চালক লাখাই থানার মো. ইসমাঈল মিয়া (৪০) নদীর মাটি ইটভাটায় যাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ঠিকাদার মফিজ মিয়া, হযরত আলী ও সাইজ উদ্দিন। আমরা শ্রমিক। ৪ জনের মধ্যে আমিসহ দু’জনের মাসিক বেতন ৪০ হাজার টাকা। অপর দু’জনের মাসিক বেতন ৩০ হাজার টাকা। অনুমতি বা বৈধ কাগজপত্র আছে কিনা আমরা জানি না।
ড্রেজার চালিয়ে নদীতে মাটি কাটাই আমাদের কাজ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সেখানকার একাধিক কৃষক সামনে পেছনে তাকিয়ে বলেন, তারা হাওরের ফসলি জমি খাইছে। এখন মাটি কেটে যেভাবে গভীর করছে নদীর পাড়ের ফসলি জমি গুলো ভেঙ্গে নদীতে পড়ে যাবে। আমরা শেষ। স্যার পারলে জমি গুলো রক্ষা করে আমাদের বাঁচান। আমাদের নাম লিখলে তারা মেরে ফেলবে। ঠিকাদার মফিজ মিয়া নদীর মাটি ইটভাটায় বিক্রির কথা স্বীকার করে বলেন, এশিয়া ইটভাটায় মাটি বিক্রি করছি। অনুমতির কথা দূর্গাচরণ দাদা বলতে পারবে। তিনিই কাজটি করছেন। আমরা শুধু দেখা শুনা করি।
দূর্গাচরণ দাস ও মাটি বিক্রির কথা স্বীকার করে বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে নদী খননের অনুমতি এনেছি। সেখানে মাটি কাটার কথা বলা আছে। তবে ইটভাটায় বিক্রির কথা বলা নেই। এটি উন্নয়ন প্রকল্প। মাটি বিক্রি না করলে রাখব কোথায়? ফসলি জমির ক্ষতির জন্য আমি দায়বদ্ধ।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়া বলেন, দূর্গাচরণ দাস অনুমতির কোন কাগজ আমাকে দেখাতে পারেননি। অনুমতি ছাড়া উনি যা করছেন, তা করতে পারেন না। আমি উনাকে ড্রেজারে নদীতে মাটি কাটা বন্ধ রাখতে বলেছি। কথা না শুনলে আইনগত ব্যবস্থা নিব।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলায় ছিনতাইকারী চক্রের হামলায় আহত অটোরিক্সশা চালক আব্বাস আলী (৫২) মারা গেছে। ঘটনার দুইদিন পর গত সোমবার দিবাগত গভীররাতে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন।
আব্বাস আলী সরাইল সদর ইউনিয়নের সৈয়দটুলা দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দা।
ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ, হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্র জানা যায়, অটোরিক্সা চালিয়েই জীবিকা নির্বাহ করতো আব্বাস আলী। গত শনিবার রাতে সরাইল থেকে যাত্রী নিয়ে কালিকচ্ছ ইউনিয়নের ধর্মতীর্থ এলাকায়। সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক সড়কের ওই নির্জন স্থানে যাওয়ার পর যাত্রীবেশের একদল ছিনতাইকারী আব্বাস আলীর উপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে আব্বাস আলীকে কৌশলে অজ্ঞান করে সড়কের পাশে ফেলে দেয়। আর তার অটোরিক্সাটি নিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। সড়কে যাতায়তকারী কালিকচ্ছ এলাকার কয়েকজন লোক আব্বাস আলীকে উদ্ধার করে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। অবস্থার অবনতি দেখে চিকিৎসকরা তাকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেফার করেন। সেখানে দুইদিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করে অবশেষে গত সোমবার গভীর রাতে মৃত্যুবরণ করেন আব্বাস আলী। ছিনতাই হওয়া রিকশা উদ্ধার হয়নি। গ্রেফতার হয়নি কোন ছিনতাকারীও।
সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় অটোরিক্সা চালক আব্বাস আলী মারা গেছেন। ময়না তদন্তের পক্রিয়া চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে ১০ কেজি গাঁজাসহ মোঃ কামরুল ইসলাম (৪৬) নামে এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে সরাইল থানার পুলিশ।
আজ ১১ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের বছিউড়া গ্রামের ঈদগাহ ময়দানের পূর্ব পাশে পাকা রাস্তার উপরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সরাইল থানার এসআই (নিরস্ত্র) মোঃ ফারুক হোসেন ও এএসআই (নিরস্ত্র) রুবেল আখন এবং সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে একজন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এসময় তাঁর হেফাজতে রাখা ১০ কেজি গাঁজা উপস্থিত সাক্ষীগণের সামনে জব্দ করেন। গ্রেফতারকৃত কামরুল ইসলাম (মনিরুল) ঝিনাইদহ জেলার কালি চরণপুর উপজেলার বয়ড়া তলা এলাকার মোঃ শফিকুল ইসলামের ছেলে।
সরাইল থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. রফিকুল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গ্রেফতারকৃত বিরুদ্ধে সরাইল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।