অনলাইন ডেস্ক :
৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক ও এক্স অ্যাকাউন্টে এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেছেন তথ্য উপদেষ্টা।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে ভারতের শাসক গোষ্ঠী ‘সংখ্যালঘুর বিষয়টিকে’ সামনে এনে বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণা শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
বিবৃতিতে নাহিদ ইসলাম বলেন, ভারতের ক্ষমতাসীন অভিজাতরা বিভেদ সৃষ্টিকারী রাজনীতি ও বাংলাদেশ বিরোধী ভাষণে লিপ্ত হচ্ছে। বাংলাদেশের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা এবং আসামের সাথে ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রয়েছে; তারা আমাদের স্টেকহোল্ডার। বাংলাদেশে চলমান আন্দোলনকালে কলকাতা ও দিল্লি থেকে ছাত্রছাত্রীরা আমাদের সাথে সংহতি প্রকাশ করে শেখ হাসিনার নৃশংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে। ভারতের এই গণতন্ত্র প্রেমী মানুষ গুলো আমাদের বন্ধু।
ভারতের শাসক অভিজাত ও হিন্দুত্ববাদী শক্তি এই ধরনের গণতান্ত্রিক সম্পর্ক ও সম্প্রীতি চায় না। তারা বাংলাদেশের উত্থান ও শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক জাগরণকে হুমকি মনে করে। ফলে তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ঘৃণা বৃদ্ধি করছে। ‘সংখ্যালঘু নিপীড়ন’ বর্ণ ব্যবহার করে, দিল্লি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন এবং বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ও জাতি-পুনর্নির্মাণ প্রক্রিয়া ব্যাহত করার চেষ্টা করছে।
আমরা শুরু থেকেই জোর দিয়ে আসছি যে ভারত সরকারকে অবশ্যই আওয়ামী লীগের লেন্স দিয়ে বাংলাদেশকে দেখা বন্ধ করে দিতে হবে এবং সমতা, ন্যায্যতা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের উপর ভিত্তি করে একটি নতুন সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে।
হিন্দুসহ সকল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পূর্ণ নাগরিকত্ব অধিকার, মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ বদ্ধপরিকর। আওয়ামী লীগের আমলে সংখ্যালঘুরা চরম নিপীড়নের শিকার অথচ দিল্লি নিঃশর্তভাবে আওয়ামী লীগকে সমর্থন করেছে। ভারত যখন তাদের নিজেদের সংখ্যালঘুদের অধিকার নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়, তখন তারা আওয়ামী লীগকে আশ্রয় ও সহায়তা দিয়েছে, একটি দল যারা সংখ্যালঘুদের নির্যাতন করেছিল এবং বাংলাদেশে গণহত্যা করেছিল।
গণহত্যা ও শিশু হত্যার জন্য দায়ী একজন পলাতক শেখ হাসিনাকে আশ্রয় ও সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখে ভারত সরকার যৌথ গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ক্ষুণ্ণ করার ঝুঁকি নিচ্ছে। ভারত ভুলে গেলে চলবে না যে তার স্থায?িত্ব ও অখণ্ডতা বাংলাদেশের স্থায?িত্ব ও অখণ্ডতার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত।
বাংলাদেশকে ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত করার চেষ্টা করছে বিজেপি। এটা হলে ভারতের দেশীয় রাজনীতির জন্য ক্ষতিকর হবে। বাংলাদেশ বিরোধী ও মুসলিম বিরোধী রাজনীতি ভারতের জাতীয় স্বার্থ সাধন করবে না বা তার ঐক্যতে অবদান রাখবে না। সুতরাং, আমরা ভারতকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার বন্ধ করে গণতন্ত্রের প্রতি সম্প্রীতি ও সম্মান বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।’
অনলাইন ডেস্ক :
‘জুতার তলা ক্ষয় হইয়া গেছে হাঁটতে হাঁটতে। সময় পাইলেই পুলামাইয়ার লাইগা ছুইটা আসি বাড়িত। গোসল করাই, খাওয়াই, তারপর ঘুম পাড়াইয়া আবার ছুটি গার্মেন্টে। হেগো বাপ ফালাইয়া চইলা গেছে, আমিতো মা, আমি তো যাইতাম পারতাম না।’ কথাগুলো বলছিলেন ত্রিশ বছর বয়সী গার্মেন্টকর্মী আয়েশা।
আয়েশার গ্রামের বাড়ি লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায়। কম বয়সে বিয়ে হয় তাঁর। স্বামী ঢাকায় দক্ষিণখানে গার্মেন্টে চাকরি করতেন। পরে এক সহকর্মীকেও বিয়ে করেন তাঁর স্বামী। এক পর্যায়ে আয়েশা ও দুই সন্তানের খোঁজখবর নেওয়া বন্ধ করে দেন। সন্তানদের নিয়ে আয়েশা বিপাকে পড়েন। ঢাকায় ছুটে আসেন স্বামীকে খুঁজতে। তাতে ব্যর্থ হন। দক্ষিণখানে এক আত্মীয়ের বাড়িতে ওঠেন। ওই আত্মীয়ের সহযোগিতায় এক গার্মেন্টে যোগ দেন। আয়েশা জানান, প্রতিদিন কাকডাকা ভোরে কাজ শুরু করেন। দুই সন্তানের জন্য খাবার তৈরি করেন। সাড়ে ৭টার মধ্যেই কর্মস্থলে যেতে হয়। দুপুরে এক ঘণ্টার বিরতিতে হেঁটে আবার বাড়িতে যান। সন্তানদের খাইয়ে, ঘুম পাড়িয়ে আবারও ছোটেন কর্মস্থলে। বিকেলে গার্মেন্ট ছুটি হলে বাড়ি ফেরেন। সন্তানদের যত্ন নেন, লেখাপড়া করান। সব কাজ শেষে বিছানায় যান রাত ১১টায়। জীবনের টানে এভাবেই ঘোরে তাঁর ভাগ্যের চাকা।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান এশিয়ান সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্টের (এসিডি) এক প্রতিবেদন অনুযায়ী পোশাক খাতে ২০২০ সালে নারী ও পুরুষ কর্মীর হার দাঁড়ায় যথাক্রমে ৬০ ও ৪০ শতাংশ। নিম্ন আয়ের নারীশ্রমিকের অধিকাংশই পারিবারিকভাবে সুখী হন না। স্ত্রী-সন্তান ছেড়ে চলে যান অনেক পুরুষ। সন্তানকে নানি-খালার কাছে রেখে কাজ চালিয়ে যান নারী। কেউ কেউ সন্তানদেরও শ্রমে যুক্ত করেন। শুধু পোশাকশিল্পেই নয়, উপকূলীয় অঞ্চলেও পুরুষদের বহুবিবাহের ঘটনা বেশি ঘটে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে স্বামী মারা গেলেও সংসারের হাল ধরেন নারী।
কক্সবাজার সৈকতে ঝিনুকের মালা বিক্রি করে আবদুল মোতালেব (১০)। সংসারের কাজকর্ম শেষে মোতালেবের মা মালা গাঁথেন। সেই মালা সৈকতে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করে মোতালেব। সে জানায়, দিনে দুই-তিনটি বিক্রি হয়। একেকটায় লাভ হয় প্রায় ৫০ টাকা। সৈকত থেকে দূরে দরিয়ানগর গ্রামে তার বাড়ি। তার বাবা পরিবার ছেড়ে চলে গেছেন। দিনে যা আয় হয়, তা দিয়ে চাল-আলু কিনে বাড়ি যায় সে।
রাজধানীর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন লাবণ্য। একমাত্র সন্তান শঙ্খনীলকে নিয়েই তাঁর সংসার। এক সন্ধ্যায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে লাবণ্যর স্বামী মৃত্যুবরণ করেন। নীলের বয়স তখন বছর গড়ায়নি। সেই থেকে শুরু একাকী সংগ্রাম। চাকরির পাশাপাশি একজন আদর্শ মা হিসেবে সন্তানকে দেখভাল করছেন।
জেন্ডার বিশেষজ্ঞ মনজুন নাহার বলেন, ‘গর্ভে সন্তান ধারণ করলেই যে একজন মা হন, তা নয়। তাঁকে মানসিকভাবেও মা হয়ে উঠতে হয়। শত বাধা-বিপত্তিতেও মানসিকভাবে শক্ত বলেই একজন প্রকৃত অর্থে মা।’
শাশ্বত রূপের মায়েদের সম্মান জানাতেই আজ পালিত হবে ‘বিশ্ব মা দিবস’। প্রতিবছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার বাংলাদেশে মা দিবস পালিত হয়। দিবসটি পালনে বিভিন্ন সংগঠন প্রস্তুতি নিয়েছে। বিভিন্ন দেশে নানা আয়োজনে মা দিবস উদযাপন করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
পাঁচ মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। এর মধ্যে দুইটা মামলা জন্মদিন পালন ও মুক্তিযোদ্ধাদের কটুক্তি করার অভিযোগে করা। বাকি তিনটি মানহানির অভিযোগে করা।
আজ ৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকালে সিএমএম আদালতের বিচারক মাহবুব আলম ও তোফাজ্জল হোসেন এই রায় ঘোষণা করেন।
ভুয়া জন্মদিন পালনসহ মানহানির ৫ মামলায় খালেদা জিয়ার খালাস চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার। খালাসের রায় ঘোষণার পর মাসুদ আহমেদ তালুকদার নিজেই গণমাধ্যমকে রায়ের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী বলেন, চার বছর আগে মামলার বাদী মৃত্যুবরণ করায় খালাস পেয়েছেন বেগম জিয়া।
এছাড়া সাক্ষী উপস্থিত না হওয়ায় নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানি ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পিছিয়েছেন আদালত।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে। ওই বছরের অক্টোবরে হাইকোর্টে আপিল শুনানি শেষে সাজা বেড়ে হয় ১০ বছর।
এর পর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও আরো সাত বছরের সাজা হয় বিএনপি নেত্রীর। তিনি তখনও পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন সড়কের কারাগারে ছিলেন। এছাড়া বিএনপি প্রধানের বিরুদ্ধে মানহানিসহ আরো অনেক মামলা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) এস কে সাকিল আহমেদকে (৩১) গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ঘাটুরা এলাকার ভাড়া বাসা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে সেনাবাহিনীর একটি দল।
গ্রেফতার এস কে সাকিল আহমেদ (৩১) খুলনা সদর উপজেলার আরাজী ভবানীপুরের পাইকগাছা গ্রামের শায়েক তফিল উদ্দিনের ছেলে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুতের এজিএম (আইটি) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৭ বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোজাফফর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগে রাজধানীর খিলক্ষেত থানার এক মামলায় ওই কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছেন সেনাসদস্যরা। তাঁরা বিষয়টি খিলক্ষেত থানা-পুলিশকে জানিয়েছেন। তাঁকে ওই থানায় হস্তান্তর করা হবে।
পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর আরইবিতে যোগদান করেন সাকিল আহমেদ। ২০২১ সালের ৭ নভেম্বর তাঁকে ভোলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যালয়ে পদায়ন করা হয়। চলতি বছরের গত ১৫ জুলাই বদলি হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কার্যালয়ে আসেন তিনি।
সাকিলের স্ত্রী মেহজাবিন রহমান বলেন, চলমান দাবি আদায়ের জন্য ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি থেকে চেয়ারম্যানের কাছে ই-মেইলে একটি স্মারকলিপি পাঠানোর কারণে তাঁর স্বামীকে গত ২৯ এপ্রিল সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। ১৪ জুলাই সেই আদেশ বাতিল করা হয়। এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর স্বামীকে চাকরিচ্যুত করা হয়। আজ শুক্রবার সকালে সেনাসদস্যরা এসে তাঁকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যান। এটা কী ন্যায়বিচার হলো, প্রশ্ন তোলেন তিনি।
আরইবির আইন শাখার পরিচালক (প্রশাসন) মো. আরশাদ হোসেন বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে বৃহস্পতিবার রাতে খিলক্ষেত থানায় একটি মামলায় করেন। মামলায় সাকিলসহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চার কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়। অন্য আসামিরা হলেন লক্ষ্মীপুরের ভবানীগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক আলী হাসান মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম (8৮), নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর এজিএম প্রকৌশলী মো. জাফর সাদিক খান (৩২) ও নরসিংদীর বেলাব উপ-আঞ্চলিক কার্যালয়ের লাইন টেকনিশিয়ান মো. মইনুল হাসান (৪৪)।
মামলার সংক্ষিপ্ত এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আরইবির অধীন ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সারা দেশের গ্রামাঞ্চলে ১৪ কোটি মানুষকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। গত ২৮ জানুয়ারি বিভিন্ন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী কেন্দ্রীয় কমিটি পরিচয়ে পরস্পর যোগসাজশে জরুরি সেবা বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করার জন্য দেশি ও আন্তর্জাতিক চক্রের সঙ্গে জড়িত হয়ে এবং বিগত সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও প্রভাবশালীদের মদদে অযৌক্তিক দাবিদাওয়ার যড়যন্ত্র করে বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করছে। সমিতির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে জোর করে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। গত ৮ আগস্ট বেলা ১১টায় মামলার চার আসামির নেতৃত্বে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্ররোচনায় সমিতির প্রায় চার হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী আরইবি সদর দপ্তর ঘেরাও করেন। তাঁরা আগের জারি করা বদলি আদেশ স্থগিতসহ নানা দাবিতে হুমকি, আন্দোলন ও প্রাণনাশের ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। গত ২১ সেপ্টেম্বর আবার ঘেরাও কর্মসূচির হুমকির দেওয়া হয়। ১ অক্টোবর আরইবি ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা করেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার তাঁরা নতুন করে আন্দোলন শুরু করেন এবং বেলা ১১টার দিকে তাঁদের কর্মস্থলগুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ শাটডাউন করে গ্রাহকদের হয়রানি করেন। এতে জনমনে ক্ষোভ ও অস্বস্তি দেখা দেয়। এর মাধ্যমে তাঁরা বিদ্যুৎ খাতে অচল অবস্থা তৈরি করে জনমনে ঘৃণা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করেছেন। তাঁরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে চরমভাবে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার চেষ্টা চলাচ্ছেন, যা রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল।
চলারপথে রিপোর্ট :
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজীপুরে ডাকাতির ঘটনায় বিদেশী আগ্নোয়াস্ত্রসহ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় নগদ টাকা, ১টি বিদেশী পিস্তল, ২০ রাউন্ডগুলি, ১টি কেসি গেইট কাটার যন্ত্রসহ মালামাল উদ্ধার করা হয়।
আজ ২০ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার এসপি মো.শহীদুল ইসলাম তার নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে, সুধারাম থানা ও বেগমগঞ্জ থানাসহ পুলিশের বিভিন্ন সদস্যরা বেগমগঞ্জ, লক্ষীপুর, রামগঞ্জ ও চাটখিল থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা হলেন আরিফ হোসন (২৮), মো. জুয়েল (২৩), ইমরান হোসেন সুজন (৩০), মো. মাসুদ আলম (৪০) ও ফজর আলী ওরপে কেসি জাহাঙ্গীর (৪৫)।
জানা যায়, গত ৯ জুলাই বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার হাজীপুর গ্রামের প্রবাসী বাহার মিয়ার বাড়িতে এ সংঘবদ্ধ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মালামাল লুট করা হয়।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর জাহেদুল হক রনি জানান, চৌমুহনীর হাজীপুর গ্রামের ডাকাত ইমরান হোসেন সুজন ওরপে খালাশি সুজনের সাথে ডাকাত জাহাঙ্গীরের জেল খানায় পরিচয় হয়। জেল থেকে বেরিয়ে পরিকল্পনা করে প্রবাসী বাহার মিয়ার বাড়িতে অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে ডাকাতি করে নগদ টাকা সহ প্রায় ১২ লক্ষ টাকার বেশি মালামাল লুটপাট করে তারা। গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের বিরুদ্ধে ডাকাতি, মাদক ও চাঁদাবাজি সহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
বিশিষ্ট পরমাণুবিজ্ঞানী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ বৃহস্পতিবার। তিনি ২০০৯ সালের ৯ মে ইন্তেকাল করেন। নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ওয়াজেদ মিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী পালন করবে।
আজ ৯ মে বৃহস্পতিবার সকালে রংপুরের পীরগঞ্জে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করবে বিভিন্ন সংগঠন।
পীরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন, ড. ওয়াজেদ মিয়ার পরিবার, উপজেলা আওয়ামী লীগ, ড. ওয়াজেদ স্মৃতি সংসদ ও ড. ওয়াজেদ ফাউন্ডেশন ফাতিহা পাঠ, কবর জিয়ারত, মিলাদ মাহফিল ও গরিবদের মাঝে খাবার বিতরণসহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
বিকেল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হলে ‘বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া স্মৃতি পাঠাগার’-এর পক্ষ থেকে আলোচনা ও স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে। সভায় প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।
ওয়াজেদ মিয়ার জন্ম ১৯৪২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রংপুরের লালদীঘির ফতেহপুর গ্রামে।
তিনি বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৬১ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক (সম্মান) এবং ১৯৬২ সালে স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণি পেয়ে উত্তীর্ণ হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তিনি ফজলুল হক হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন এবং ছাত্রলীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ১৯৬১-৬২ শিক্ষাবছরের জন্য হল ছাত্রসংসদের সহ-সভাপতি (ভিপি) নির্বাচিত হন।
তিনি ১৯৬৩ সালের ১ এপ্রিল তৎকালীন পাকিস্তান আণবিক শক্তি কমিশনের চাকরিতে যোগ দেন।
১৯৬৭ সালের ১৭ নভেম্বর বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
ওয়াজেদ মিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরের পদার্থবিজ্ঞান, ফলিত পদার্থবিজ্ঞান ও প্রকৌশলের ছাত্রদের জন্য দুটি গ্রন্থ রচনা করেন। তিনি ১৯৯৩ সালে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে ঘিরে কিছু ঘটনা ও বাংলাদেশ’ এবং ১৯৯৫ সালে ‘বাংলাদেশের রাজনীতি ও সরকারের চালচিত্র’ নামে দুটি বই লিখেছেন।