চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিভিন্ন স্থান থেকে নিষিদ্ধ সিএনজি, অটোরিক্সা, থ্রি-হুইলার ও অযান্ত্রিক যানবাহনের বিরুদ্ধে খাটিহাতা হাইওয়ে থানা পুলিশ নিয়মিত অভিযান চালায়।
আজ ৪ ডিসেম্বর বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়া, বিশ্বরোড, বাড়িউড়া এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এই অভিযান পরিচালনা করেন খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. মারগুব তৌহিদ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন এসআই মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, এসআই আছিফউজ্জামান, সার্জেন্ট মো. বায়েজিদ মাহমুদ সাগরসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা।
পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে মহাসড়কে উঠা বেশ কয়েকটি থ্রি হুইলার আটক করা হয়। এছাড়াও বিশ্বরোড মোড়ে বিভিন্ন পরিবহনের কাউন্টার লোকজনকে ডেকে মহাসড়কের উপর গাড়ি যেন এলোমেলো করে যানজট সৃষ্টি না করে সতর্ক করেছে ওসি।
হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে মহাসড়কে চলাচলরত সিএনজি-২০টি, ইজিবাইক-৩৫টি, বিভাটেক-১৪টি, ট্রাক্টর-১৩ টি সহ নিষিদ্ধ ঘোষিত ৮২টি যানবাহনের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন প্রদান পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
সরাইল খাটিহাতা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. মারগুব তৌহিদ বলেন, রাস্তায় যে সকল বৈধ যানবাহন আছে এবং যাত্রীরা যাতে নির্বিঘ্নে চলাফেরা করতে পারে সেই লক্ষ্যে অবৈধ যানবাহন রাস্তা থেকে অপসারণ করার জন্য অভিযান পরিচালনা করছি। তারই অংশ হিসেবে আজকে আমরা বেশ কয়েকটি থ্রি হুইলার ও অবৈধ যানবাহন আটক করেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মঈন উদ্দিন মঈন এম.পি বলেন, জনগণের কামলা দেওয়ার প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে জনগণ আমাকে ৫ বছরের জন্য কামলা হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি যদি ভাল কাজ করি তবে পরবর্তীতে আমার প্রমোশন হবে। আর আমি যদি কাম না করে কামচোরা হয় তবে পরবর্তীতে আমাকে জনগণ সরিয়ে দিবে। আমি শতভাগ কাজ করব ইনশাল্লাহ।
১৫ জানুয়ারি সোমবার বিকালে সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি মঈন উদ্দিন মঈন সরাইল উপজেলায় ল’ ইন অর্ডারে যারা আছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি আম জনতার এমপি। দল মত নির্বিশেষে সকলে আমার এলাকায় রাতে বাড়িতে শান্তিতে ঘুমাবে। সরাইল-আশুগঞ্জ আমার এলাকায় কাউকে হয়রানি করা যাবে না। যদি কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে সেটা ভিন্ন কথা।
তিনি উপস্থিত কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, আপনারা আপনাদের মতো কাজ করে যাবেন। আপনাদের কাজে আমি ইন্টারফেয়ার করব না। তবে, আমার এলাকায় কারও খবরদারি চলবে না। যারা ইলেক্টেড তাদের মর্যাদা অক্ষুন্ন রেখে আপনারা কাজ করবেন। কারও সাথে আমার সম্পর্কের অবনতি হউক এটা আমি চাই না। অনৈতিকভাবে আপনাদের উপর কেউ প্রভাব বিস্তার করলে কিংবা আপনাদের কাজে বাধাঁ দিলে, আমি এটা টলারেন্স করব না।
এলাকার রাস্তা-ঘাটের উন্নয়নে কাবিখাসহ সরকারি স্তূপ বরাদ্দের ব্যাপারে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, এখানে কোনো ঘুষ লেনদেন চলবে না। আমি শিক্ষকের সন্তান। আমার দাদাও ছিলেন একজন শিক্ষক। কোনো হারামের টাকা যেন আমার এখানে না যায়। আর কোনো কন্টাক্তারের ফাইল নিয়ে আমার এখানে আসা আমি লাইক করব না। ফাইনাল ম্যাসেজ হিসেবে সকলের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আই ওয়ান্ট হান্ড্রেট পারসেন্ট ওয়ার্ক। ওয়ার্ক টুগেদার টু সি সরাইল আশুগঞ্জ মডেল অব বাংলাদেশ।’
সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মেজবা উল আলম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত মতবিনিময় সভায় সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রফিক উদ্দিন ঠাকুর, সরাইল উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) নাছরিন সুলতানা, সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম, সরাইল উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া বেগম, ভাইস চেয়ারম্যান মো: আবু হানিফ মিয়া, সরাইল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মো: ইসমত আলী ও আওয়ামী লীগ নেতা মো: মাহফুজ আলীসহ সরাইল উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা- কর্মচারীবৃন্দ, জনপ্রতিনিধিবৃন্দসহ অন্যান্য স্তরের বিশেষ ব্যক্তিবর্গ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলা প্রেসক্লাবে গতকাল সোমবার দুপুরে নাতনী জামাই এডঃ রাখেশ চন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন দিদি শ্বাশুরীর রাসমনি ভৌমিক ও রসরাজ সরকার । দিদি শ্বাশুড়ি রাসমনি ভৌমিক সরাইল উপজেলার শাহজাদাপুর বড়বাড়ির মৃত পান্ডব ভৌমিকের স্ত্রী। রসরাজ সরকার হলেন রাসমনি ভৌমিকের বড় মেয়ের জামাই।
সংবাদ সম্মেলনে সরাইল উপজেলার শাহজাদাপুর বড়বাড়ির মৃত পান্ডব ভৌমিকের স্ত্রী রাসমনি ভৌমিকের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে বাড়িছাড়া করার অভিযোগ উত্থাপন করেন তারা।সংবাদ সম্মেলনে দিদি শ্বাশুরীর রাসমনি ভৌমিক দাবি করেন, তার স্বামীকে পৈত্রিক জমি জমা দুই পরিবারের মধ্যে সম বন্টন করে মারা গেছেন।
দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে হরলালের কন্যা মুকুল রানী সরকারকে স্বামী এডঃ রাখেশ চন্দ্র সরকার আমার সমস্ত সম্পত্তি জবর দখল করে আমাকে ও আমার পরিবারের সকলকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। সংবাদ সম্মেলনে রাসমনি ভৌমিক আরো বলেন, আমাকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। এখন আমি আমার মেয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি।
সংবাদ সম্মেলনে রসরাজ সরকার জানান, এ সম্পত্তি আমার শ্বাশুরী তার পাপ্যমালিকানা সম্পত্তি পাওয়ার অব এটর্নির মাধ্যমে এফিডেভিট করিয়া আমাকে মালিকানা প্রদান করেছেন। আমার শ্বাশুড়ীর উপর জুলুম অত্যাচার চালাইতে থাকে।
এমনকি জজকোর্টে আমাকে সে নিজে মারধর করেছে। রাখেশ চন্দ্র সরকার নাসিরনগর উপজেলার কয়েরপুর গ্রামের মৃত অমৃত লাল সরকারের ছেলে এবং তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবি সমিতির সদস্য। রাসমনি ভৌমিক ও মেয়ের জামাই রসরাজ সরকরের নামে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে বাড়িছাড়া করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সম্পত্তি লোভে নাতনী জামাই অ্যাডঃ রাখেশ চন্দ্র সরকারের অত্যাচার ও মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে রাসমনি ভৌমিক ও রসরাজ অত্যাচার- নির্যাতন থেকে বাঁচার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে সরাইল উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে রসরাজ সরকার লেখিত বক্তব্য পাঠ করেন। বক্তব্য রাখেন, রাসমনি ভৌমিক ও আষিশ সরকার প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলায় গলায় ফাঁস দিয়ে সজীব মিয়া (২৯) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করা অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় সরাইল উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম কুট্টাপাড়া গ্রামের তার নিজ বাড়ির ঘরের তীরের সাথে দড়ি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।মৃত সজীব উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম কুট্টাপাড়া গ্রামের প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা মনির মিয়ার ছেলে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যায় তার নিজ ঘরের দরজা ভিতর দিক থেকে বন্ধ থাকায় পরিবারের লোকজন দরজা ভেঙ্গে সজীবকে ঝুলন্ত অবস্থান দেখতে পান।
সজীব দীর্ঘদিন ধরে মানসিক রোগে আক্রান্ত ছিলেন বলে পারিবারিক ভাবে জানা যায়। পরে পুলিশকে সংবাদ দিলে ঘটনাস্থল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সজীব গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। কারো কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে মোটর সাইকেলের ফুয়েল ট্যাংকের ভেতর থেকে ৩ কেজি গাঁজা জব্দ করেছে পুলিশ। গাঁজা বহনকারী মো. আলীকে (৩৬) আটক করে তার মোটরসাইকেলও জব্দ করা হয়েছে।
আজ ৪ মে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপজেলার কুট্টাপাড়া এলাকার ব্র্যাক অফিসের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক আলী জেলার বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের মৃত নুরু মিয়ার ছেলে।
সরাইল খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, ওই মহাসড়ক দিয়ে আলী তার মোটরসাইকেলের ফুয়েল ট্যাংকের ভেতরে করে গাঁজা বহন করছিলেন। গতিরোধ করে তাকে আটক করা হয়। পরে ফুয়েল ট্যাংকের ভেতর থেকে পলিথিনে মোড়ানো তিন কেজি গাঁজা জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় তার নামে সরাইল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ওমরা হজ্ব করার ইচ্ছে পূরন হলোনা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার নিজাম উদ্দিন সরকারের। গত সোমবার বিকেলে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার ভৈরব রেলওয়ে জংশনের আউটার পয়েন্টে মর্মান্তিক এক ট্রেন দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি। নিজাম উদ্দিন সরকার (৬৫) সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের বরইচারা গ্রামে। ট্রেন দুর্ঘটনার সময় নিজাম উদ্দিন সরকারের সাথে তার পুত্রবধূ ফাতেমা বেগম (২৩) নাতনি তানহা বেগম (৪) এবং ১০ মাস বয়সী নাতি মুয়াস উদ্দিন ছিলো। তারা তিনজন সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যান।
গতকাল মঙ্গলবার বাদ জোহর বরইছাড়া ঈদগাহ মাঠে নিজাম উদ্দিন সরকারের নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।
গ্রামবাসী ও স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ওমরা হজ্ব করার ইচ্ছে পোষন করেছিলেন নিজাম উদ্দিন সরকার। ওমরার কাগজপত্র জমা দেয়া ও পুত্রবধূ ফাতেমাকে চিকিৎসা করানোর জন্য সোমবার সকাল ৯ টায় ঢাকার উদ্দেশে বাড়ি থেকে রওনা দেন তিনি।
ভৈরব রেলওয়ে জংশন স্টেশন থেকে বেলা ১১টার সময় কালনী ট্রেনে করে তার ঢাকায় যাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু স্টেশনে যেতে দেরি হওয়ায় ট্রেনটি মিস করেন তিনি। পরে দুপুর তিনটার সময় পুত্রবধূ ফাতেমা ও দুই নাতি-নাতনিকে নিয়ে ভৈরব রেলওয়ে জংশন স্টেশন থেকে তিনি এগারো সিন্ধুর ট্রেনে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। স্টেশন থেকে ট্রেনটি ছাড়ার ৫ মিনিটের মধ্যেই তিনি ট্রেন দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মারা যান।
এদিকে রাতে বাবার মৃত্যুর খবর শুনে সৌদি আরব থেকে মঙ্গলবার সকালে বাড়ি এসে পৌছান বড় ছেলে কাঞ্চন সরকার। নিজাম উদ্দিন সরকারের ছোট ছেলে আনিস সরকার সাংবাদিকদের জানান, তার বাবা ওমরা হজ্ব করার নিয়ত করেছিলেন। ওমরা করার জন্য কাগজপত্র জমা দেয়ার জন্য তিনি সোমবার সকাল ৯ টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে রওয়ানা দেন। সন্ধ্যায় শুনে ট্রেন দুর্ঘটনায় বাবা মারা গেছেন। তিনি বলেন, বাবার আর ওমরা করা হলো না। মহান আল্লাহতায়ালা যেন বাবার ওমরা কবুল করেন।
উল্লেখ্য, সোমবার বিকেলে ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৫জন নিহত ও শতাধিক মানুষ আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।