চলারপথে রিপোর্ট :
গণঅধিকার পরিষদ ও ছাত্র অধিকার পরিষদের আয়োজনে কসবা উপজেলার গুপিনাথপুর বাজারে ভারতের আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশ উপ-হাই কমিশনে উগ্রহিন্দুবাদীদের হামলার প্রতিবাদে আজ ৪ ডিসেম্বর বুধবার বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গুপিনাথপুর আলহাজ্ব শাহ আলম কলেজ গেট থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে গুপিনাথপুর বাজারের সমাবেশে মিলিত হয়। মিছিলজুড়ে সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এবং প্রতিবাদী স্লোগান পরিবেশকে আরো উজ্জীবিত করে তোলে। বিক্ষোভ শেষে বড় বটতলায় এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কসবা উপজেলা ছাত্রদল যুগ্ম আহবায়ক মোঃ রিপন পাঠান, বিনাউটি ইউনিয়ন ইসলামি ছাত্র শিবির এর সেক্রেটারি মোহাম্মদ সবুজ খান, গোপীনাথপুর ইউনিয়ন যুব দল এর সদস্য সচিব মোঃ মাঈনুল ইসলাম মিনাল, মোঃ মাকিন চৌধুরী প্রমুখ।
প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দ উগ্রহিন্দুবাদীদের হামলার নিন্দা জানিয়ে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।
গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হিযবুল্লাহ আল হেলালী বলেন, ‘এই হামলা কোনোভাবেই সহ্য করা যায় না। এটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার একটি কূটকৌশল এবং এর উপযুক্ত জবাব দিতে হবে।’
গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব দেলোয়ার সরকার বলেন, ‘এ ধরনের হামলা আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক শিষ্টাচারের পরিপন্থী। বাংলাদেশ সরকারের উচিত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এর তীব্র প্রতিবাদ জানানো।’
ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মোঃ বিল্লাল সরকার বলেন, ‘তরুণ সমাজই পারে এ ধরনের অপকর্মের বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করতে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমেই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জবাব দিতে হবে।’
যুগ্ম আহ্বায়ক নিজাম চৌধুরী বলেন, ‘জনগণের অধিকার রক্ষা করতে এবং এই ধরনের বৈষম্যমূলক কার্যক্রম রুখতে আমাদের আরও বৃহত্তর গণআন্দোলনের আয়োজন করতে হবে।’
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক মোঃ হৃদয় ইসলাম বলেন, ‘এই হামলা সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যেই ঘটানো হয়েছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং সকলের একতাবদ্ধ অবস্থানের আহ্বান জানাই।’
ছাত্রনেতা তাইন মাহমুদ বলেন, ‘এই প্রতিবাদ কেবল একটি হামলার বিরুদ্ধে নয়; এটি সামগ্রিকভাবে ন্যায্য অধিকার ও ন্যায়বিচারের দাবিতে। তরুণদের নেতৃত্বে সমাজের প্রতিটি স্তরে এই বার্তা পৌঁছে দিতে হবে।’
বক্তারা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে আরো কঠোর কর্মসূচি নেয়া হবে আয়োজকরা জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় তামান্না আক্তার (২৬) নামে এক গৃহবধূর লাশ তার শ্বশুর বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। পারিবারিক কলহের জের ধরে তিনি আত্মহত্যা করেন বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে। তবে পরিবারের লোকজন বলছে তাকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশারাবাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
তামান্না আক্তার কসবা উপজেলার বাদৈর ইউনিয়নের মান্দারপুর গ্রামের ফজর পাড়ার মৃত নান্নু মিয়ার মেয়ে। ১৪ বছর আগে তামান্না আক্তারকে কসবার বিশারাবাড়ি মৃত রঙ্গু মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেনের কাছে পারিবারিকভাবে বিয়ে দেওয়া হয়। তাদের সংসারে আনিকা (১২) ও সিয়াম (২) নামে দুটি সন্তান আছে।
তামান্নার চাচা ওমর ফারুক অভিযোগ, যৌতুকের জন্য স্বামী আনোয়ার ও শ্বশুরবাড়ির অন্যান্য লোকজন তামান্নাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
তাকে হত্যার পর মুখে বিষ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত সহযোগিতা দাবি করেন ওমর ফারুক।
কসবা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মহিউদ্দিন জানান, পারিবারিক কলহের জেরে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের দেলি পাত্তাইসার বাজারে সরকারি কৃষি বীজ সংরক্ষণাগারে ভাঙচুর চালিয়ে দখল করে দোকান নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে শামসুল আলম নামে এক আওয়ামী লীগ সমর্থিত ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শামসুল আলম কৃষি বীজ সংরক্ষণাগারের সরকারি ভবনের একটি অংশ ভেঙে সেখানে দোকান স্থাপন করতে উদ্যোগ নেন। এতে এলাকাবাসীসহ খাড়েরা ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দ বাধা প্রদান করেন। শামসুল আলম এ সময় দাবি করেন, তিনি সরকারি অনুমতি নিয়েই এ কাজ করছেন।
ঘটনার খবর পেয়ে কসবা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজেরা বেগম, কসবা উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে শামসুল আলম ও তার অনুসারীরা স্থান ত্যাগ করেন।
স্থানীয়রা জানান, বীজ সংরক্ষণাগারের ওই জমি ও স্থাপনা কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এবং বাজারের পশ্চিম-দক্ষিণ কোণে অবস্থিত। শামসুল আলম সেই সরকারি সম্পত্তিতে ব্যক্তিগত দোকান নির্মাণ করতে গেলে পুরো স্থাপনা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজেরা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, সরকারি জমি ও স্থাপনায় ব্যক্তিগতভাবে স্থাপনা নির্মাণ সম্পূর্ণ অবৈধ। এ ধরনের দখল বা ভাঙচুর মেনে নেওয়া হবে না। আমরা নির্দেশ দিয়েছি, অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করতে হবে। ভবিষ্যতে কেউ পুনরায় সরকারি স্থাপনায় হস্তক্ষেপ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, সরকারি সম্পত্তির ১ ইঞ্চিও অবৈধভাবে দখলের সুযোগ নেই।
এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী দ্রুত প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী অ্যাড: আনিসুল হক বলেছেন, তারা হত্যা করলে কোনো বিচার হবে না- দেশে এমন একটি সংস্কৃতির জন্ম দিয়েছিল বিএনপি-জামায়াত। ওই সময় তারা হত্যা করলেও কোনো বিচার হতো না।
আজ ২০ ডিসেম্বর বুধবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে নির্বাচনী এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (আখাউড়া-কসবা) আসনের কসবার বাদৈর ঈদগাহ মাঠে এক সভায় মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এসময় আইনমন্ত্রী অ্যাড: আনিসুল হক বলেন, আমরা ভয় পেতাম, আমি-আপনি হত্যার শিকার হলে আমাদের ছেলে মেয়েরা বিচার পাবে না। আমাদের পিতাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। তার বিচার আমরা পাইনি।
এ সময় কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কাউসার ভূঁইয়া ও পৌর মেয়র গোলাম হাক্কানিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা পৌরসভার হোল্ডিং ট্যাক্স অনলাইনে আদায় কার্যক্রম শুভ উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার।
আজ ২৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় কসবা পৌরসভার হিসাব রক্ষক মোঃ বশির আহমেদের পরিচালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমগীর মিয়া, পৌরসভার হোল্ডিং ট্যাক্স ইন্সপেক্টর মোঃ মাহবুবুর রহমান, স্থানীয় ব্যাংক এশিয়ার ম্যানেজার মোঃ আবু ছালেহ ভূঁইয়া সহ সাংবাদিকগণ বক্তব্য রাখেন।
জানা যায়, কসবা পৌর এলাকার ১০ হাজার ২১৭ জন হোল্ডিং ট্যাক্স প্রদানের আওতায় রয়েছেন। অবশিষ্ট থাকলে তাদেরকেও হোল্ডিং ট্যাক্স এর আওতায় আনা হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রশাসক মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার কসবা পৌরসভার সার্বিক উন্নয়নে পৌরবাসী সহ সকল মহলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন। অনুষ্ঠানে পৌর প্রশাসকের কর্মসম্পাদন সহায়তা কমিটির সদস্য থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার প্রতিনিধি এস আই মোঃ মজিবুর রহমান, উপজেলা প্রকৌশলী কাজী মাহমুদুল্লাহ, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমগীর মিয়া, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ খোরশেদ আলম ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার প্রতিনিধি তুহিন কান্তি দাস উপস্থিত ছিলেন।