চলারপথে রিপোর্ট :
কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল বলেছেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি আধুনিক চক্ষু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হবে।
হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠা করতে আমার ব্যত্তিগত পক্ষ থেকে যা যা উদ্যোগ গ্রহণ ও সহযোগিতা দরকার তার সবটুকুই আমি করবো ইনশাল্লাহ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফাইভ স্টার ক্লাব ও অন্ধ কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে আজ ৬ ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে চক্ষু চিকিৎসা শিবিরের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন।
জেলা শহরের সাবেরা সোবহান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এই চক্ষু শিবির অনুষ্ঠিত হয়। ফাইভ স্টার ক্লাবের সদ্য বিদায়ী সভাপতি, বর্তমানে প্রধান উপদেষ্টা ও প্রধান পৃষ্ঠপোষক বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মিন্টু ভৌমিকের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বদিউজ্জামান ভূইয়া, বিএনপি নেতা আলী আজম, জসিম উদ্দিন রিপন, মনির হোসেন, মিজানুর রহমান, মাইনুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাহার চৌধুরী, আজিজুল ইসলাম, আতিকুল হক জালাল, রেদওয়ানুল হক, কামাল উদ্দিন, ওমর ফারুক, নূরে আলম, জাকারিয়া বাবু, মো. আব্দুল্লাহ প্রমুখ।
সংগঠনের ক্রীড়া সম্পাদক খালেদ হাসান আজাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফাইভ স্টার ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি ওমর ফারুক।
অনুষ্ঠান শেষে ফাইভ স্টার ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কাজী কামাল উদ্দিন জানান, ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত ফাইভ স্টার ক্লাবের পক্ষ থেকে প্রতি মাসের প্রথম শুক্রবার নিয়মিতভাবে এই চক্ষু শিবিরের আয়োজন করা হয়। আজকের আয়োজনটি ছিলো ৪২১তম চক্ষু চিকিৎসা শিবির।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ময়লা-আবর্জনাসহ দখলে ভরাট হয়ে যাওয়া মেড্ডা শ্মশান ঘাট খাল পুনরুদ্ধার কাজ শুরু করেছে পৌরসভা।
আজ ১৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত শহরের মেড্ডা শ্মশান ঘাট থেকে কবরস্থান পর্যন্ত খাল পুনরুদ্ধার করেছে পৌরসভা। এসময় খাল পাড়ে থাকা ২৩টি দোকান উচ্ছেদসহ ভরাট হয়ে যাওয়া জায়গা থেকে মাটি অপসারণ করে খালের ৪০০ ফুট জায়গা পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, ময়লা-আবর্জনা ও দখলের কবলে পড়ে শহরের মেড্ডা শ্মশানঘাট ভরাট হয়ে গেছে। খালের দৈর্ঘ্য ৬০০ মিটার। মেড্ডা এলাকার বাসিন্দারা খালটি উদ্ধারের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার কাছে আবেদন করেন।
আবেদনের প্রেক্ষিতে শুক্রবার সকাল আটটার দিকে পৌর সভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোঃ আবদুল কুদদূস মেড্ডা শ্মশান ঘাট খাল পুনরুদ্ধারের কাজ শুরু করেন। এসময় তাঁর সাথে পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী কাউসার আহমেদ, নগর পরিকল্পনাবিদ জান্নাতুল ফেরদৌস, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা গোলাম কাওসার, উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) সুমন দত্ত ও সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা মুখলেছুর রহমানসহ পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
মেড্ডা এলাকার বাসিন্দা শরাফত হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে খালটি দখল ও ভরাটের কব্জায় ছিল। একটি প্রভাবশালী মহল খালের পাড়ে মাটি ফেলে ভরাট করে দোকান নির্মাণ করে দখল করে রেখেছিল। তাছাড়া ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারনে খালটি ভরাট হয়ে গেছে। খালটি উদ্ধার করা খুব দরকার। পৌরসভা দীর্ঘদিন পরে হলেও একটি কাজের কাজ করেছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) সুমন দত্ত বলেন, মেড্ডা শ্মশান ঘাট খালটি ভরাটসহ দখল হয়ে গিয়েছিল। খালের মেড্ডা শ্মশান ঘাট থেকে কবরস্থান পর্যন্ত পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। সকাল আটটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত উদ্ধারকাজ চলেছে। খালটি পুনরুদ্ধারের সময় খালের পাড় ভরাট করে নির্মাণ করা ২৩টি দোকান উচ্ছেদ করে সেখান থেকে মাটি অপসারণ করা হয়েছে। খালের প্রায় ৪০০ ফুট বা ১৫০ মিটার পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সর্বজনীন পেনশন স্কীম সংক্রান্ত অবহিতকরন সভা আজ ২০ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে অনুষ্ঠিত অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখের সভাপতিত্বে অবহিতকরণ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসাইন, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ.এইচ মাহবুব আলম ও ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আলামিনুল হক পাভেল।
অবহিতকরণ সভায় ¯স্লাইড (তথ্য চিত্র) প্রদর্শন করেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ।
অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেন, বর্তমান সরকার গত ১৫ বছরে দেশে অনেক উত্তম কর্মকান্ড করেছেন। পেনশন স্কীম চালু বর্তমান সরকারের একটি সর্বোত্তম কর্মকান্ড। সর্বজনীন পেনশন স্কীমে মানুষের সুরক্ষার বিষয়টি রয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম আরো বলেন, সঞ্চয় মানুষের শেষ জীবনের জন্য খুবই জরুরী। এই পেনশনের ফলে শেষ বয়সে কাউকে বৃদ্ধাশ্রমে যেতে হবে না, এটা তাদের শেষ অবলম্বন। এটা সরকারের একটা যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
তিনি বলেন, সর্বজনীন পেনশন নিয়ে একটা মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে। এটা একটা গুজব। সরকার কখনো কারো টাকা মারে না। তিনি সবাইকে সর্বজনীন পেনশন স্কীমে অর্ন্তভুক্ত হওয়ার আহবান জানান। অনুষ্ঠানে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগন, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কোটা সংস্কার ও মেধাবীদের কর্মসংস্থানের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ-মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১১ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকেলে “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের” ব্যানারে এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
পরে এক বিক্ষোভ মিছিল কুমারশীল মোড় প্রদক্ষিণ করে পুনরায় প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।
মানববন্ধনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী শাহ আলম পালোয়ান বলেন, বৈষম্যমূলক কোটার মাধ্যমে আমাদের হেনস্তা করা হচ্ছে। আমরা কোটা বা সরকারের বিরুদ্ধে নই। আমরা চাই কোটা সংস্কার করে পাঁচ ভাগে নামিয়ে আনা হোক।
ফাহিম মুনতাসির বলেন, আমরা হাইকোর্টের রায়কে সবসময় সম্মান জানাই। আমরা কোটা বাতিল চাই না, কোটার যৌক্তিক সংস্কার চাই। আমাদের আন্দোলন সরকারের বিরুদ্ধে না, আমাদের অবস্থান কোটা সংস্কারে পক্ষে। আমরা চাই কোটাকে সংস্কার করে মেধাবীদের কর্মসংস্থান করা হোক।
চলারপথে রিপোর্ট :
দেশের চলমান পরিস্থিতিতে জেলার শান্তি-শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য জেলাবাসীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
আজ ৬ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে পৃথক সময়ে দুর্বৃত্তদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রেসক্লাব পরিদর্শনে এসে জেলা বিএনপির দুইপক্ষের নেতারা এ আহবান জানান।
দুপুর ১টার দিকে প্রেসক্লাব পরিদর্শনে আসেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান কচি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক জহিরের নেতৃত্বে জেলা বিএনপির একটি অংশ।
এসময় তারা সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে বলেন, সাংবাদিকরা জাতির বিবেক। তারা পেশাদারিত্বের সাথে সাংবাদিকতা করেন।
এ সময় তারা বলেন, প্রেসক্লাব সকলের। প্রেসক্লাবে হামলা কারো কাম্য নয়। নেতৃবৃন্দ প্রেসক্লাবে হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, আমরা মঙ্গলবারের জেলা বিএনপির বিজয় মিছিল বাতিল করেছি। এ সময় নেতৃবৃন্দ বলেন, আজকে ছাত্র সমাজ জাতিকে স্বৈরাচারের হাত থেকে মুক্ত করেছে। সাংবাদিকদের স্বধীনভাবে তাদের কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে। বক্তারা সরকারি স্থাপনা, প্রতিপক্ষের নেতা-কর্মীদের বাড়ি এবং সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালিয়ে কেউ যাতে অরাজকতা সৃষ্টি করতে না পারে সে জন্য জেলা বিএনপির সকল নেতা-কর্মীকে সজাগ থাকার আহবান জানান।
দুপুর দেড়টার দিকে প্রেসক্লাবে আসেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ সিরাজুল ইসলাম সিরাজের নেতৃত্বে বিএনপির অপর অংশ।
এ সময় তিনি বলেন, জনগণের কাঙ্ক্ষিত বিজয় যাতে কেউ নস্যাৎ করতে না পারে সেজন্য জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীদেরকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কেউ যাতে সরকারি স্থাপনা ও আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের বাড়ি-ঘরে হামলা করতে না পারে সেজন্য শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে দলের সকল নেতাকর্মী সজাগ থাকার আহবান জানান। জনসচেতনা বৃদ্ধির জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে শহরে মাইকিং করা হচ্ছে। তিনি বিশেষ করে কেউ যাতে সংখ্যালঘুদের বাড়ি-ঘর, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা করতে না পারে সেজন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের খেয়াল রাখার আহবান জানান। নেতৃবৃন্দ পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে জেলায় কর্মরত বিভিন্ন সাংবাদিকের উপর হামলা ও প্রেসক্লাবে হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ ধর্মীয় সম্প্রীতির স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
তিনি আজ ১৩ ফেব্রুয়ারিসোমবার ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের উদ্যোগে জেলা প্রশাসন ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহায়তায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা মূলক আন্তঃধর্মীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, প্রকল্প পরিচালক আবদুল্লা-আল শাহীন।
সংলাপে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, আওয়ামীলীগ ও বিভিন্ন ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।