চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ৬ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নবীনগর উপজেলায় কৃষকদলের উদ্যোগে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নবীনগর উপজেলার নাটঘর ইউনিয়নের কুড়িঘর বাজারে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নবীনগর উপজেলার নাটঘর ইউনিয়ন কৃষকদলের সভাপতি মোঃ আবুল কালামে’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক ও কুমিল্লা বিভাগীয় কৃষকদলের উপকমিটির যুগ্ম আহবায়ক কে.এম.মামুনুর অর রশিদ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সদস্য মোঃ সাইফুল হক, জেলা কৃষকদলের আহবায়ক আবু শামিম মোঃ আরিফ (ভিপি), সদস্য সচিব জিল্লুর রহমান, যুগ্ম আহবায়ক এইচ. এম. বাশার, যুগ্ম আহবায়ক ইবনুল হাসান সবুজ, যুগ্ম আহবায়ক নাসির সুলতানা আঁখি, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ হোসেন রাজু, উপজেলা বিএনপি নেতা মহি উদ্দিন।
নবীনগর উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন বাবুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক জহিরুল হক জুরু, যুগ্ম আহবায়ক আব্দুর রহিম, পৌর কৃষক দলের আহবায়ক আনোয়ার হোসেন, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ মফিজ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আবু হানিফ, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক জহির চিশতীসহ বিএনপির অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা নাটঘর ইউনিয়ন। ইউনিয়ন ভূমি অফিস সংলগ্ন বিশাল জায়গাজুড়ে স্থাপন করা হয়েছে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র। অধিকাংশ সময় বন্ধ থাকে এই স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র। নিজের খেয়াল খুশি মতো আসেন এই কেন্দ্রের একমাত্র স্টাফ ফার্মাসিস্ট শাহ আলম। সরকারি এই স্থাপনার চাবি এলাকাবাসীর কাছেই দিয়ে রেখেছেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নাটঘর ইউনিয়নে জনসংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার। এই ৩০ হাজার মানুষকে সেবা দিতে ইউনিয়নে রয়েছে একটি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র। এর ভেতরে রয়েছে ৬টি কক্ষ। প্রতিদিন এই সেবা কেন্দ্র সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকার সরকারি নিয়ম থাকলেও সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত মাত্র ৩ ঘণ্টা খোলা থাকে।
এই কেন্দ্রে কোনো চিকিৎসক নেই। ফার্মাসিস্ট পদে থাকা শাহ আলম নামে একজন দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি এলাকাবাসীর কাছে শাহ আলম ডাক্তার নামে পরিচিত। প্রতি কর্মদিবসে শাহ আলম সকাল সাড়ে ৯টার পর এসে দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ১টার ভেতর চলে যান। এরপর তালাবদ্ধই থাকে এই ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র৷ সরকারি এই স্থাপনার চাবিও তিনি দিয়ে রাখেন এলাকার বাসিন্দাদের কাছে।
সরেজমিনে দুপুর ১টায় নাটঘর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় গেট তালাবদ্ধ। স্থানীয়দের জিজ্ঞেস করলে জানান, ডাক্তার শাহ আলম কিছুক্ষণ আগে চলে গেছেন। এর চাবি রয়েছে পাশের বাড়ির রিনা বেগম নামে এক নারীর কাছে।
রিনা বেগমের বাড়িতে গেলে তিনি জানান, আজ আমার কাছে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চাবি নেই। চাবি আছে এলাকার আব্দুল হান্নানের কাছে৷
আব্দুল হান্নানকে খবর দিলে তিনি রিনা বেগমকে সঙ্গে নিয়ে প্রধান গেইটের তালা খোলেন। এরপর ভবনের গেটের তালা খুলে পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করেন।
জানতে চাইলে আব্দুল হান্নান বলেন, চাবি আমার কাছেও থাকে। ডাক্তাররা টিকা দিতে বা ডেলিভারির রোগীরা এলে আমাকে খবর দেওয়া হয়। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৯টার ভেতরে খোলা হয়, আর দুপুরে চলে যান ডাক্তার শাহ আলম।
রিনা বেগম বলেন, আমি এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র ধোয়ামোছার কাজ করি। পাশাপাশি ডেলিভারির কাজ করি। প্রতিদিন জোহরের আযান দিলে শাহ আলম ডাক্তার চলে যান।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে নাটঘর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত ফার্মাসিস্ট শাহ আলম বলেন, এই কেন্দ্রে আমি ছাড়া কেউ সরকারি নিয়োগপ্রাপ্ত নেই। রিনা বেগম স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করেন। এই অফিসের চাবি রিনা বেগমের কাছেও আছে। আমাদের অফিস টাইম সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা। আমি নিয়মিত অফিস করি।
নবীনগর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ বলেন, আমাদের জনবল সংকট রয়েছে। নাটঘরে শুধুমাত্র একজন ফার্মাসিস্টের মাধ্যমে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। আমি চেষ্টা করছি স্টাফ বাড়াতে। কিন্তু ব্যর্থ হচ্ছি। নাটঘর কেন্দ্রে নিয়মিত অফিস না করা এবং সরকারি সম্পদের চাবি অন্যের কাছে দিয়ে রাখার বিষয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমাদের আপনারা (সাংবাদিক) তথ্য দিলে ব্যবস্থা নিতে সুবিধা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের গোল্ডকাপ ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৪ মার্চ শনিবার মিরপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ১২ ওভারের ম্যাচে বাঘাউরা ক্রিকেট একাদশ মিরপুর উওর পাড়া আশিক শান্ত ক্রিকেট একাদশকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
ফাইনাল ম্যাচে মিরপুর উত্তরপাড়া ক্রিকেট একাদশের করা ১৫২ রানের জবাবে তিন উইকেট হারিয়ে দুই বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাঘাউড়া ক্রিকেট একাদশ।
জয়ের অনুভূতি ব্যক্ত করেন বাঘাউড়া ক্রিকেট একাদশের পরিচালক ও যুবনেতা সুমন সরকার। তিনি বলেন, পুরো টুর্নামেন্টে আমাদের দল নিজেদের সেরা দিয়ে খেলে বিজয় ছিনিয়ে এনেছে। খেলোয়াড়, দর্শক ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের ধন্যবাদ জানাই আমাদেরকে অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ যোগানোর জন্য।
ফাইনাল ম্যাচে খাইরুল এনামের সঞ্চালনায় ও অধ্যক্ষ আল-আমিন সরকারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রালয়ের উপসচিব আশরাফুল আফসার। আরো ছিলেন আনোয়ার হোসেন, আমেরিকা প্রবাসী জয়দিল হোসেন, আব্দুল আলিম, হোসাইন আহাম্মেদ খোকন, মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের কুমিল্লা অঞ্চলের ব্যুরো প্রধান সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল, মোশারফ হোসেন, হারুন সরকার, দেলোয়ার হোসেন, ইমরুল হাসান শিবলী, রুমন মাস্টার।
খেলার স্পন্সর করেছে ওয়েলকাম ইলেকট্রনিকস, ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং মিরপুর পুরাতন বাজার, নুরনগর আইডিয়াল গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মিরপুর শিশু কিশোর মডেল একাডেমি।
খেলা শেষে অতিথিরা চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলকে গোল্ডকাপ ও চেক তুলে দেন। ধারাভাষ্যকার হিসেবে পুরো ফাইনাল ম্যাচটিকে দশর্কদের সার্বক্ষণিক বিনোদন দিয়েছেন সাংবাদিক জুয়েল রানা, রাশেদ আলম রাসেল, মোহাম্মদ নুরনবী।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর পূর্বাঞ্চলে নবীনগর টু রাধিকা সড়ক ও বিটঘর টু রসুলপুর মহেশ রোডে সিএনজি ভাড়া অতিরিক্ত গুনতে হচ্ছে বলে যাত্রীদের অভিযোগ।
জানা যায়, মহেশ রোড ও রাধিকা সড়ক পূর্বে বেহাল দশা ছিল, তাই নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতো যাত্রীদের কাছ থেকে। বর্তমানে রাধিকা সড়ক ও মহেশ রোড এর রাস্তার কাজ হয়েছে, যার ফলে অল্প সময়ে জেলা সদরে ও নবীনগর সদরে যাতায়েত করা যায়।বর্তমানে এই নতুন সড়কে অতিরিক্ত ভাড়া দিতে অনিচ্ছুক যাত্রীরা। ভাড়া নিয়ে ড্রাইভার আর যাত্রীদের মধ্যে তর্কবিতর্ক যেন নিত্যদিনের সঙ্গী। ড্রাইভার আর যাত্রীদের মধ্যে তর্ক বিতর্কই থেমে যায় না, হাতাহাতি— মারামারির ঘটনাও অনেক সময় হয়ে থাকে এই অতিরিক্ত ভাড়া কে কেন্দ্র করে। তাই অতিবিলম্ব এই রাধিকা সড়কে ও মহেশ রোডের যাতায়াতের জন্য বিটঘর, শিবপুর, ব্রাহ্মণহাতা, কুড়িঘর স্টেশনের নতুন ভাড়া নির্ধারণ করিয়া দিতে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করিতে কর্তৃপক্ষের নিকট জোরালো দাবি জানাচ্ছেন এলাকাবাসী।
বিটঘর ইউনিয়নের গুড়িগ্রামের মোশারফ হোসেন বলেন, আমি বিটঘর পুকুরপাড় সিএনজি স্টেশন থেকে ৪৫ বা ৫০ মিনিটে নতুন রাধিকা সড়কে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যায় কিন্তু ভাড়া দিতে হয়েছে সেই চারগাছ—তিললাখপীর সড়ক হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই ঘন্টা সময় লাগার ১৩০ টাকা ভাড়া। ৪৫/৫০ মিনিটে আসা ভাড়া কিভাবে ১৩০ টাকা নিল, তা আমার বোধগম্য নয়। আমি মেনে নিতে পারছি না, তবুও ১৩০ টাকা ভাড়া দিলাম।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহিলা যাত্রী বলেন, আগে বিটঘর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যেতাম,তখন রাস্তা খারাপ হওয়ায় ভাড়া নিয়েছে ১৩০ টাকা। এখন মহেশ রোড ও রাধিকা রোড এর রাস্তার কাজ হয়েছে। এখন বিটঘর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যেতে সময় লাগে ৪৫ থেকে ৫০ মিনিট কিন্তু ভাড়া কমানো হয়নি পূর্বের যে বাড়া নির্ধারন ছিল, সেই ভাড়া নিচ্ছে তারা। কখনো কখনো অতিরিক্ত টাকাও দিতে হচ্ছে তাদের। এই লাগামহীন ভাড়া আদায়ের, যেন দেখার কেউ নাই। এই রোডে সঠিক তদারকির অভাব বলে দাবি করছি আমরা। তাই এই রোডের সিএনজি ভাড়ার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
বিটঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী জাফর দস্তগীর এবিষয়ে বলেন, এই অতিরিক্ত ভাড়া কিছুতেই গ্রহনযোগ্য নয়, এখানের মত এত বেশি ভাড়া বাংলাদেশে কোথাও নাই আমার জানা মতে। এই রোড পরিচালনায় দায়িত্বরত সকলকে নিয়ে ও শিবপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ কামাল হোসেন ভাইকে সাথে নিয়ে বসব, সকলের পরামর্শক্রমে অচিরেই নতুন করে ভাড়া নির্ধারণের ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
চলারপথে রিপোর্ট :
শিক্ষার্থীদের মাঝে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে আজ ৪ জুন মঙ্গলবার সকালে জেলার নবীনগর উপজেলার ব্রাহ্মণহাত পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘এসো মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনি’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযুদ্ধা আবদুল আজিজ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা তথ্য অফিসার মো: ফখরুল ইসলাম।
আমন্ত্রিত বক্তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ব্যতিত সোনার বাংলা গড়া সম্ভব নয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে দেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন তা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মধ্যে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। তারা আরো বলেন, একমাত্র তরুণ প্রজন্মই পারে দেশকে স্মার্ট আধুনিক সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে। বিদ্যালয়ের তিন শতাধিক শিক্ষার্থী ‘এসো মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনি’ অনুষ্ঠানে যোগদান করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ধারণ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নিজেদের গড়ে তুলবে বলে শপথ গ্রহণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কারা নির্যাতিত সাবেক ছাত্রনেতা এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সদস্য বীর আবু আব্বাস ভূঁইয়া তার নিজ নির্বাচনী এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে দ্বিতীয় দফা গণসংযোগ করেছেন।
আজ ৭ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে নবীনগর উপজেলার উত্তরাঞ্চলের তিনটি ইউনিয়নের একাধিক স্থানে নেতাকর্মী ও অনুসারীদের সঙ্গে নিয়ে গণসংযোগ করেন তিনি।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজ এলাকা থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী এই নেতা বেলা ১১টার দিকে বড়াইল ইউনিয়নের বড়াইল বাজারে লিফলেট বিতরণের মধ্য দিয়ে গণসংযোগ শুরু করেন। এরপর দুপুরে তিনি গোসাইপুর বাজার পরিচালনা কমিটির কার্যালয়ে সংক্ষিপ্ত সভা করেন। সভা শেষ করে তিনি পার্শ্ববর্তী কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর বাজারে গণসংযোগ করেন এবং কৃষ্ণনগর আব্দুল জব্বার স্কুল অ্যান্ড কলেজ ছুটি ঘোষণার পরপর ওই প্রতিষ্ঠান চত্বরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী গ্রন্থ নিয়ে আলোচনা করেন।
এ সময় তিনি ১৯৪৯ সালে এই বিদ্যালয় উদ্বোধনকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদচারণার কথা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরেন। এরপর তিনি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত স্থানটিতে নির্মিত স্মৃতিফলক ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে তিনি ওই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন।
মতবিনিময় শেষে তিনি বীরগাঁও ইউনিয়নের বাইশমৌজা বাজারে গণসংযোগ করেন। সরকারের উন্নয়ন বার্তা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে তিনি গ্রামের সাধারণ মানুষদের হাতে হাতে লিফলেট বিতরণ করেন। এ সময় তার অনুসারী নেতাকর্মীরা মিছিল ও স্লোগানসহ গণসংযোগে অংশ নেন।
স্থানীয় বড়াইল ইউনিয়ন শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক মোল্লা, কৃষ্ণনগর আব্দুল জব্বার স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফেরদাউসুর রহমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের দপ্তর সম্পাদক জহির রায়হান, স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ফখরুল আলম টনিক, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ফাহিম হিরণ, নবীনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি এম নাঈমুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।