চলারপথে রিপোর্ট :
৬ ডিসেম্বর কলাপাড়া মুক্ত দিবস। ১৭৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর দখলদার পাক হানাদার বাহিনীকে হটিয়ে সাগরপারের কলাপাড়াকে শত্রুমুক্ত করেন মুক্তিযোদ্ধারা। আকাশে ওড়ানো হয় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা।
জানা গেছে , ১৯৭১ সালের ৪ ডিসেম্বর বিকালে মুক্তিযোদ্ধারা পার্শ্ববর্তী উপজেলা গলাচিপা থেকে ‘ভাট্রি’ নামের একটি জাহাজে কলাপাড়ায় আসেন।পরদিন রাত আটটার দিকে পাক-বাহিনী ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ শুরু করেন। এ সময় পাকবাহিনীর সদস্যরা পিছু হঠতে বাধ্য হয়। রাত তিনটায় মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুল্লাহ রানার নেতৃত্বে ও মরহুম নাজমুল সালেকের ফলশ্রুতিতে ৫৩ জন মুক্তিযোদ্ধা কলাপাড়া থানা ভবন আক্রমণ করে। যুদ্ধে সাবেক নির্বাচন কমিশনার এ কে এম নাজমুল হুদা অংশগ্রহণ করেন।
প্রায় ৭ ঘণ্টা ত্রিমুখী আক্রমণের ফলে হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করে। এতে দুই রাজাকার এবং আরিফুর রহমান মুকুল নামের এক মুক্তিযোদ্ধা আহত হয়। পরে ৬ ডিসেম্বর সকালে মুক্তিযোদ্ধারা থানা ভবন দখল করে উড়িয়ে দেয় স্বাধীন পতাকা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রাক্তন পুলিশ সুপার, চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান আজ ১০ ফেব্রুয়ারি সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন বিটিজেএর সাংবাদিকদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন।
স্থানীয় ইন্ডাষ্ট্রিয়েল স্কুল মাঠে এসোসিয়েশনের নির্মাণাধীন কার্যালয় পরিদর্শন করেন তিনি। এ সময় মোহাম্মদ জাবেদুর রহমানকে স্বাগত জানান এসোসিয়েশনের সভাপতি আল আমীন শাহীন সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান লিমন সহ বিটিজেএর অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংবাদিকরা পেশাগত দায়িত্ব পালনে নির্ভিক এবং বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ঐতিহ্য রক্ষা করা আসছে। সাংবাদিকদের সাথে আমার হৃদ বন্ধন নিবিঢ় এবং তা থাকবে, তিনি সকলকে শুভেচ্ছা জানান এবং উত্তরোত্তর সুখ সমৃদ্ধি কামনা করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফফর হোসেন, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মীর আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
আজমিরীগঞ্জে নদীর তীরে পরিত্যক্ত অবস্থায় কুড়িয়ে পাওয়া নবজাতক কন্যা শিশুর পরিচয় গত পাঁচ দিনেও না পাওয়ায় সিলেটের ছোট মনি নিবাসে প্রেরন করেছে উপজেলা শিশু কল্যান বোর্ড হয়েছে।
শিশুটির ভবিষ্যৎ সুরক্ষা বিবেচনা করে ভরনপোষণের দায়িত্ব নিতে ইচ্ছুক এমন দম্পতির নিকট হবিগঞ্জের পারিবারিক আদালতের মাধ্যমে আইনি পক্রিয়ার নতুন অভিবাবকের নিকট হস্তান্তর করা হবে বলে জানান উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা।
আজ ৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকালে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের একজন, আইশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও হাসপালের নার্সের মাধ্যমে এম্বুলেন্সের মাধ্যমে সিলেটের বাগবাড়ি ছোট মনি নিবাসে প্রেরন করা হয়।
এদিখে ভরনপোষণের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য দুইজন নারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও শিশু কল্যাণ বোর্ডের সভাপতি জুয়েল ভৌমিকের নিকট লিখিত আবেদন করেছেন।
পরিত্যক্ত অবস্থায় নবজাতক কন্যা শিশুটিকে কুড়িয়ে পাওয়া নারী সুরুজ আলীর স্ত্রী আলফিনা বেগম বলেন, গত ১০ বছর ধরে তিনি নিঃসন্তান সোমবার বছিরা নদীর তীরে নবজাতক শিশুটিকে পরিত্যক্ত অবস্থায় কুড়িয়ে পেয়েছিলাম। উপজেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ওই নবজাতককে আমার জিম্মায় দিয়েছিল মনে করেছিলাম আমার সন্তানের আকাঙ্খা শেষ হলো। ওইদিনই থেকে আজ পর্যন্ত শিশুটিকে পরিচর্যা করেছি। এমনি তার ভাসুরের স্ত্রী নবজাতক শিশুটিকে বুকের দুধ পানও করান। কিন্তু ওই শিশুটিকে সিলেটে নিয়ে যাচ্ছে বলেই তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। কান্না জড়িত কন্ঠে তিনি শিশুটির ভরণপোষণের দায়িত্ব দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও শিশু কল্যান বোর্ডের সভাপতি জুয়েল ভৌমিক বলেন, পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া নবজাতকটি সিলেটের সোনামনি নিবাসে প্রেরন করা হয়েছে। আইনি পদক্ষেপের মাধ্যমে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উল্লেখ্য, গত রবিবার রাত সারে ৯ টায় সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার আব্দুল আওয়াল মিয়ার স্ত্রী তমা (১০) আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইওসি ভবনে প্রসব ব্যাথা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। রাত সাড়ে ১১টায় তিনি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় কন্যা সন্তানের জন্ম দেন এবং নরমাল ডেলিভারীর ঘন্টাখানেক পর হাসপাতাল থেকে চলে যান।
পরদিন সোমবার ভোর সকালে উপজেলা কাকাইলছেও ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের দক্ষিণ দিখে বছিরা নদীর তীরে শিশুটির কান্না শোনে স্থানীয় নারী-পুরুষ সেখানে গিয়ে একটি নবজাতককে পরিত্যক্ত অবস্থায় দেখতে পান। সেখান থেকে উদ্ধার করে স্থানিয় দয়াল মিয়ার কন্যা আলফিনা বেগমের জিম্মায় দেয়া হয়।
ডেলিভারিতে থাকা এক নার্স জানান, শিশুটি জন্মের পর তাঁর স্বজনরা একবারের জন্যও কোলে নেননি। তিনি ঘন্টাখানেক কুলে নিয়ে সেবা যত্ন করেছেন। তাঁর সাথে সেলফিও তুলেছেন। তিনি আরও জানান, ওই প্রসূতির সাথে তার শাশুড়ি এবং ভাসুর পরিচয় দিয়ে একজন পুরুষ এসেছিল।
প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, রাতে ওই প্রসূতিকে প্রসব ব্যাথা অবস্থায় মোটরসাইকেলে করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। প্রয়োজনী কিছু ওষুধপত্র হাসপাতালের সামনে তারেক ফার্মেসী থেকে ক্রয় করেন উপজেলার কাকাইলছেও ইউনিয়নের ঘরদাই গ্রামের ওমর আলী নামে এক ব্যাক্তি।
ওইদিন সন্ধ্যায় আজমিরীগঞ্জ উপজেলা সমবায় অধিদপ্তরের ইউনিয়ন সমাজকর্মী শেখ মাসুদুর রহমান নবজাতকটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাতীয় নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি কুকি-চিনের সদস্যদের হায়ার করে দেশের স্থিতিশীলতাকে নস্যাৎ করার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
আজ ৬ এপ্রিল শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ঈদ সামগ্রী বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, দেশে দ্রব্যমূল্যসহ সবদিক দিয়ে স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। এটাকে নস্যাৎ করে দেওয়ার জন্য সন্ত্রাসী সংগঠন কুকি-চিন সদস্যদের হায়ার করে এ ধরনের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে বিএনপি।
বিএনপির ভারত বিরোধিতা প্রসঙ্গে মন্ত্রী আরো বলেন, এটা হচ্ছে তাদের পেরোনো রাজনীতি। কারণ, ভারত হচ্ছে মুক্তিসংগ্রামে আওয়ামী লীগের পরম বন্ধু। ভারতের সহযোগিতায় মহান মুক্তিযুদ্ধে আমরা পাকিস্তানকে পরাজিত করেছি। তাদের প্রশিক্ষিত ৯৪ হাজার সেনা সদস্য মুক্তিবাহিনী ও মিত্র বাহিনীর কাছে অস্ত্র সমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছে। সুতরাং ভারত বিরোধিতা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের একটি অংশ। তিনি বলেন, বিএনপি ভারত বিরোধিতা ধোঁকাবাজি ছাড়া আর কিছুই নয়। এই ঈদেও তারা ভারতীয় পণ্য ব্যবহার করবে। তারা ঈদে যে সমস্ত মসলা ব্যবহার করবে এর শতকরা ৯০ ভাগ মসলা ভারত থেকে আসবে। ভারতীয় মসলা ছাড়া তাদের চলবে না। নিজ এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রসঙ্গ টেনে মোকতাদির চৌধুরী বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অধিকাংশ বিএনপি নেতা-কর্মীর ভারতের আগরতলার সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য আছে। সুতরাং এটা তাদের ধোঁকাবাজি ছাড়া আর কিছুই নয়। এই ইস্যুতে দেশের জনগণ তাদের সঙ্গে নেই। ভারত বিরোধিতায় নেই। ভারত ভারতের মতো করে আছে। আমরা আমাদের মতো করে আছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ মো. মাহবুবুল হকের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি হেলাল উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর মৃধা, ওসি আসাদুল ইসলামসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এর আগে মন্ত্রী বিজয়নগর উপজেলার দশটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে তিনি এলাকার সার্বিক খোঁজখবর নেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার জন্য স্থানীয় প্রশাসন জনপ্রতিনিধিসহ সবার প্রতি আহ্বান জানান।
অনলাইন ডেস্ক :
সাংবাদিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
আজ ২০ এপ্রিল শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ, আর সঞ্চালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে প্রতিষ্ঠিত গণমাধ্যমের ২১৩টি অনলাইন আছে আর অনিবন্ধিত অনলাইন আছে ২১৩টি।
অর্থাৎ মোট ৪২৬ অনলাইন আছে। বেশ কিছু নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে। এর বাইরে মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সবগুলো নিউজ পোর্টালের তালিকা করা হয়েছে। নিবন্ধন ও আবেদনের বাইরে থাকা পোর্টালগুলো বন্ধ করে দেওয়ার জন্য তালিকা বিটিআরসিতে পাঠানো হচ্ছে।
এর বাইরে যতগুলো অনলাইন নিউজ পোর্টাল আছে, যেগুলো অনিবন্ধিত, সেগুলো বন্ধ করে দেওয়ার দাবি ছিল সাংবাদিকদের। অনলাইন গণমাধ্যমের কমিটি, প্রেস ক্লাবসহ অন্যান্য সাংবাদিক সংগঠনও একই দাবি করেছে। সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, তারপর নতুন করে যারা আবেদন করবে, তখন তা চালু হবে।
আবেদন না করলে চালু হবে না। আবেদন করলে নিবন্ধন পাওয়ার আগ পর্যন্ত চালু থাকবে। কারণ তাকে চলতে হবে, দেখতে হবে যে কেমন হচ্ছে। তারপর যদি ছাড়পত্র না হয়, তখন আবার বন্ধ। কিন্তু আবেদন করল না, কোনো প্রক্রিয়ায় যায়নি, সেগুলো যদি চলে, সেখানে যদি অসত্য ও অপতথ্যের মাধ্যমের চকটদার খবর দেওয়া হয়, তাহলে সেই ধরনের সাংবাদিকতা পেশাদারির সঙ্গে যাঁরা সাংবাদিকতা করছেন, তাঁদের ক্ষতিগ্রস্ত করে।
তাই সাংবাদিকদের সুরক্ষার স্বার্থে, সাংবাদিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের মতামত নিয়ে প্রস্তাবিত গণমাধ্যমকর্মী আইন দ্রুত সময়ের মধ্যে পাস করা হবে। সাংবাদিকতার জন্য চমৎকার পরিবেশ তৈরি করতে চাই। তথ্যপ্রবাহকে অবারিত করতে চাই। মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার হিসেবে মুক্ত গণমাধ্যমের পরিবেশ তৈরি করতে চাই।
তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে দেশে কিছুটা অনীহা রয়েছে বলে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তথ্য চাওয়া হলে তথ্য দিতে হবে। সেটাই করার জন্য আমরা মন্ত্রীসহ প্রশাসনের সবাইকে নিয়ে কাজ করছি। কারণ তথ্য না থাকলে অপ্রচারের সুযোগ তৈরি হয়। অসত্য তথ্য দিয়ে যারা সরকারের সমালোচনা ও অপ্রচার করে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য আহ্বান জানান মন্ত্রী।’
এ সময় সাংবাদিকদের কল্যাণ ফান্ডে ৬০ কোটি টাকা রয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
অনলাইন ডেস্ক :
বন্দর নগরী চট্টগ্রামে শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা করেছে আওয়ামী লীগ। আজ ১৮ জুলাই মঙ্গলবার নগরীর পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে প্রথমে জমায়েত ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এর পর সেখান থেকে শোভাযাত্রা বের করা হয়। এতে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন। শোভাযাত্রাটি নিউমার্কেট মোড় ও লালদীঘির পাড় হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ইদানীং কিছুদিন পর পর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর চট্টগ্রামে আসছেন। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ শক্তিশালী সংগঠন। যদি বাড়াবাড়ি করেন, তাহলে আপনাদের আন্দোলন বঙ্গোপসারে ফেলে দেওয়া হবে। কেউ রক্ষচক্ষু দেখালে আওয়ামী লীগও বসে থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করবে। নির্বাচন কমিশনই নির্বাচন পরিচালনা করবে। দেশে সংবিধান মেনে নির্বাচন হবে। আমাদের দেশ চলবে আমাদের আইনে। কারও প্রেসক্রিপশনে নয়। বিএনপির অনেক আশাই ছিল– যুক্তরাষ্ট্র-ইইউ নির্বাচন নিয়ে কিছু বলবে। কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে তারা কিছু বলেনি। এ জন্য তারা (বিএনপি) হতাশ।
হাছান মাহমুদ বলেন, পৃথিবীর অনেক মানুষকে দিয়ে তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোন করিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী তাদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন।
তিনি বলেন, মাঝে মধ্যে তাদের (বিএনপি) হাঁটা কর্মসূচি, দৌড় কর্মসূচি থাকে। তবে রাতে বিভিন্ন দূতাবাসে ধরনা দেয়। সঙ্গে থাকে তাদের নারীনেত্রী রুমিন ফারহানা। তবে এখন তারা বুঝতে পেরেছে, এভাবে ধরনা দিয়ে আর লাভ নেই। তাই মির্জা ফখরুল কথা ঘুরিয়ে দিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী সভাপতিত্ব এবং প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক সঞ্চালনা করেন।