চলারপথে রিপোর্ট :
বিশেষ প্রতিনিধি ॥ নাসিরনগর উপজেলা সদরে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ফিল্ড অফিসার হিসেবে চাকরি করেন। জেলা শহরের মধ্যপাড়ায় বসবাস করেন পরিবার নিয়ে। গত ৫ বছর ধরে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে নিজের মোটর সাইকেল দিয়ে কর্মস্থলে আসা-যাওয়া করেন। কিন্তু এখনো নিজের ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে পারেননি তিনি। গত তিন বছর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) অফিসে কাগজপত্রসহ ফি জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু অফিস থেকে নানা জটিলতা দেখিয়ে তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে মোটর সাইকেল নিয়ে চলার পথে অসংখ্যবার জরিমানা দিতে হয়েছে তাকে।
সরেজমিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিআরটিএ অফিসে গিয়ে শরিফ উদ্দিনের মতো আরো বেশ কয়েকজনকে নানা সমস্যা নিয়ে আশপাশে পায়চারি করতে দেখা যায়। কথা হয় তৌফিক আহমেদ নামের এক ভুক্তভোগীর।
তিনি বলেন, আমি একটি বেসরকারি সংস্থায় (আশা) লোন অফিসার হিসেবে নবীনগর উপজেলায় কর্মরত। ২০২০ সালে মোটর সাইকেলের ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করি। সব প্রক্রিয়া শেষ করার পর ভাইভাতে আমার কাছে জানতে চাওয়া হয়, আমি কার লোক বা কারও মাধ্যমে লাইসেন্স করতে এসেছি কি না? আমি না সূচক উত্তর দেওয়ায় আমাকে বের করে দেওয়া হয়। পরে সরকারি লাইসেন্স ফি আড়াই হাজার টাকার স্থলে বিআরটিএ’র স্টাফ আবু বক্করের সঙ্গে নয় হাজার টাকায় চুক্তি করি। তারপরও গত তিন বছর ধরে ঘুরতে হচ্ছে। আজ আমাকে আবার নতুন করে আবেদন করতে বলা হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সার্কেল অফিস দালালদের জন্য উন্মুক্ত। এখানে চিহ্নিত কয়েকজন দালালের আধিপত্য রয়েছে। এর মধ্যে আজাদ, শাহ আলম, মোস্তাকিম, আবুল, মেড্ডার খোকন, শরীফ, কসবার শাহ আলম, সামীর ও আহসানের নাম উল্লেখযোগ্য। তারা অফিসের ফটকের সামনেই বেঞ্চ পেতে বসে থাকেন। অফিসের মূল স্টাফদের সঙ্গে তাদের সখ্যতা রয়েছে। সরকারি বিভিন্ন কর্মসূচিতেও কর্মকর্তাদের সঙ্গে তারা উপস্থিত থাকেন। এছাড়া মফিজ ও আবু বক্কর নামে দুজন নিজেদের স্টাফ পরিচয় দিয়ে কাজ করেন। অথচ তাদের কোনো নিয়োগপত্র নেই। তারা দালালদের সহায়কের ভূমিকায় কাজ করেন।
কাছে আবু বক্কর নিজেকে এই অফিসের সিল মেকানিক হিসেবে দাবি করেন। এছাড়া কোনো দালালের সঙ্গেও তার কোনো সম্পর্ক নেই বলেও জানান।
জানা যায়, নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করার পর প্রাথমিক অবস্থায় লার্নার লাইসেন্স প্রদান করা হয়। পরে ধাপে ধাপে প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা, ভাইভা ও ফিঙ্গার প্রিন্ট নেওয়া হয়। কিন্তু দালাল ছাড়া এই প্রক্রিয়া করা প্রায় অসম্ভব। পদে পদে বিভিন্ন অজুহাতে অফিস থেকে লাইসেন্স আবেদনকারীকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। পরে বাধ্য হয়ে দালালের দারস্থ হতে হয় আবেদনকারীদের। তারা লাইসেন্সপ্রতি ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা নিয়ে থাকেন। এর মধ্যে ডোপ টেস্ট থেকে শুরু করে ভাইভা, ফিঙ্গার প্রিন্ট সবকিছু দালালরাই ম্যানেজ করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিআরটিএ’র তথ্য অনুযায়ী, জেলায় ১৫ হাজার থেকে ১৮ হাজার সিএনজিচালিত অটোরিক্সা চলাচল করছে। এর মধ্যে মাত্র পাঁচ হাজার ২৫০টি সিএনজিচালিত অটোরিক্সার লাইসেন্স আছে।
বিজয়নগর উপজেলার কালাছড়া গ্রামের সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চালক রোমান মিয়া অভিযোগ করে বলেন, ২০১৮ সালে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে এক দালালকে ১২ হাজার টাকা দেন। কয়েক দিন ঘোরানোর পর তাকে আর পাওয়া যায়নি। পরে কসবার কামালপুরের দালাল শাহ আলমের সঙ্গে ১৮ হাজার টাকায় চুক্তি করি। এরপরও প্রায় তিন বছর কেটে গেল। লাইসেন্স পাওয়া হলো না।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিআরটিএ অফিসের সহকারী পরিচালক আশরাফ উদ্দিন সিদ্দিক বলেন, আমি এই কার্যালয়ে সম্প্রতি যোগ দিয়েছি। অভিযোগের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হবে। প্রয়োজনে দালালদের ধরে পুলিশে সোপর্দ করা হবে।
নিজেকে সিল মেকানিক হিসেবে দাবি করা আবু বক্করের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার তো সরকারি কোনো নিয়োগ নেই। দীর্ঘদিন ধরে তিনি এভাবে এখানে কাজ করছেন বলে জানতে পেরেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মদিন উপলক্ষে তাঁর সুস্থতা, দীর্ঘায়ু ও দ্রুত রোগমুক্তি কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১৫ আগস্ট শুক্রবার সকালে স্থানীয় সরকারি ডিগ্রি কলেজ গেইট সংলগ্ন চেয়ারম্যান মার্কেট চত্বরে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি কে এম খালেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম এ হান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আজিজুর রহমান চৌধুরী।
সাবেক ছাত্রদল নেতা আবুল হাসান চৌধুরীর সঞ্চালনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে উপজেলা বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ আব্বাস মিয়া, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক দুলাল মেম্বার, বিএনপি নেতা আজদু মেম্বার, ফারুক আহমেদ, নাসিরনগর সদর ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি সৈয়দ মোঃ আবু সারোয়ার, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ওবায়দুল হক, কুন্ডা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ জিল্লুর রহমান, জেলা নবীন দলের সাধারন সম্পাদক শাহজাহান চকদার, উপজেলা নবীন দলের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আমসু মিয়া, উপজেলা ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মাহমুদ উল্লাহ আশরাফী, উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুসলিম উদ্দিন চৌধুরী সোহাগ, সাবেক সদস্য সচিব আশিকুর রহমান চৌধুরী পনি, যুগ্ম আহবায়ক শরিফুল ইসলাম ভুইয়া,কলেজ ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক ইয়াসিন মাহমুদ, সদস্য সচিব খাইরুল বাশার রনিসহ উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক সুস্থতা, দীর্ঘ জীবন, দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং জনগণের কল্যাণ কামনায় এক দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দল নাসিরনগর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মাহমুদ উল্লাহ আশরাফী।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে দুর্নীতি দমন কমিশনের আয়োজনে ও উপজেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে এবং মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের সহযোগিতায় উপজেলা পর্যায়ে দুর্নীতি বিরোধী রচনা ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা এবং পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২২ মে বুধবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে ‘রুখবো দুর্নীতি গড়বো দেশ, হবে সোনার বাংলাদেশ”এই শ্লেøাগানে এবং অভাব নয়, সীমাহীন লোভই দুর্নীতির কারণ বিষয়ে বির্তক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। বির্তক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি প্রধান শিক্ষক মোঃ আবদুর রহিম।
উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন ভূইয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সোহাগ রানা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম ভূইয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মোহাম্মদ আরজু, নাসিরনগর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) জামিল ফোরকান, নাসিরনগর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ আবদুল হক।
অনুষ্ঠানে দুর্নীতি বিরোধী রচনা প্রতিযোগিতায় দুই গ্রুপে ৬ জন বিজয়ী ও বির্তক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্সআপ বিজয়ী দলের মাঝে পুরস্কার প্রদান করা হয়। এসময় বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮২ জন শিক্ষার্থী রচনা প্রতিযোগিতায় ও চারটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দুর্নীতি বিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করে। বির্তক প্রতিযোগিতার চুড়ান্ত পর্বে নাসিরনগর আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও গোকর্ণ সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ স্কুল এন্ড কলেজ দল অংশগ্রহন করে। চুড়ান্ত পর্বে বির্তকের বিষয় ছিল অভাব নয় সীমাহীন লোভই দুর্নীতির প্রধান কারণ।
এতে নাসিরনগর আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় বিপক্ষে অংশগ্রহন করে প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত হন নাসিরনগর আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইফফাত জাহান ফারিয়া।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে পূর্ব শত্রুতার জেরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আক্কেল আলী (৫৫) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছেন। আজ ৯ মে শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার গোয়ালনগর ইউনিয়নের সোনাতোলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত আক্কেল আলী সোনাতলা গ্রামের পূর্বপাড়ার মৃত লাল মিয়ার ছেলে। নিহত হওয়ার খরবে আতঙ্ক বিরাজ করায় আহতের নাম সংগ্রহ করা যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোয়ালনগর ইউনিয়নের সোনাতোলা গ্রামের সালাম মেম্বারের পক্ষ এবং আলী আজগরের পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েক মাস যাবত ঝগড়া-বিবাদ ও সংঘর্ষ চলে আসছিল। গত ৬ নভেম্বর আজগর আলীর গোষ্ঠীর সিদ্দিক মোল্লা নামে একজন নিহত হয়। এরকিছু দিন পর গত ২১ এপ্রিল সালাম মেম্বারের গোষ্ঠীর জোহরালী মিয়া নামে একজনের গলাকাটা লাশ পাওয়া যায়। সেই ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে হত্যা ও লুটপাট মামলা আদালতে চলমান রয়েছে। সর্বশেষ শুক্রবার দুপুরে পূর্বের ঘটনার জের ধরে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই আজগর আলীর গোষ্ঠীর আক্কেল আলী মারা যান। আরো জানা যায়, দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বে সোনাতলা গ্রামে গত ছয় মাসে গোষ্ঠীগত সংঘর্ষে আক্কেল আলীসহ উভয় পক্ষের মোট তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। মূলত গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বে জিততেই একের পর এক প্রাণ যাচ্ছে। গোয়ালনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজহারুল হক জানান, পূর্বের ঘটনার জের ধরেই আজকের উভয় পক্ষের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
নাসিরনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জামিল খান হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে বলেন, দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের ঘটনায় আক্কেল আলী নামে একজন নিহত হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়েছে। এখনও লিখিত অভিযোগ পাইনি, পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে লায়নস ক্লাব অব ঢাকা নর্দানের উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার গোর্কণ গ্রামে চার শতাধিক অসহায় ও দরিদ্র মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও দরিদ্র ১৫ জনের মাঝে সোলার বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ৩ আগস্ট শনিবার সকালে গোর্কণ সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহ স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গণে প্রধান অতিথি হিসেবে গেট এরিয়া লিডার পিডিজি কাজী সাইফুল ইসলাম এসব খাদ্য সামগ্রী ও সোলার লাইট বিতরণ করেন। খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ছিলো চাল, ডাল, পেঁয়াজ, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন সামগ্রী।
লায়নস ক্লাব অব ঢাকা নর্দানের প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মোহাম্মদ শরীফের সভাপতিত্বে ও সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা সৈয়দ সালাউদ্দিন মুকুলের সঞ্চালনায় খাদ্য সামগ্রী ও সোলার লাইট বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, মাল্টিপোল জেলা-৩১৫ এ-৩ এর বাংলাদেশের কাউন্সিল চেয়ারপার্সন লায়ন ফারহানা বক্স, জেলা গর্ভনর লায়ন সামসুল ইসলাম, লায়ন এস.কে বামরুল, লায়ন মোঃ জাকির হোসেন, লায়ন রিয়াজ বশির, আহমেদ কাজল, গোকর্ণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ শাহিন, গোকর্ণ সৈয়দ ওয়াল্লী উল্লাহ স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) সনজিৎ কুমার দেব, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রফিজ মিয়া, প্রাছাসের সভাপতি অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন চৌধুরী শরীফ, বিশিষ্ট সমাজসেবক হুমায়ুন রেজা চৌধুরী। এসময় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
লায়নস ক্লাব অব ঢাকা নর্দানের প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মোঃ শরীফ জানান,লায়নস ক্লাব অব ঢাকা নর্দান জনসেবামূলক কাজ করে থাকে। অসহায় ও গরীব মানষের বিনামূল্যে চোখের চিকিৎসা, শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সহযোগিতা ছাড়াও ত্রাণ বিতরণসহ জনসেবামূলক কাজ করছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে পুলিশের ভুয়া পরিচয়ধারী দুই ব্যক্তিসহ আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের জয়দরকান্দি গ্রাম থেকে পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে। এ সময় পুলিশ পরিচয়ধারী ব্যক্তিদের ব্যবহৃত নিবন্ধনবিহীন তিনটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
পুলিশ পরিচয়ধারী দুই ব্যক্তি হলেন নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের বড়নগর গ্রামের রাসেল মিয়া (২৪) ও সরাইল উপজেলা পাকশিমুল ইউনিয়নের তেলিকান্দি গ্রামের মো. রাসেল (২২)।
গ্রেফতার অপর ছয়জন হলেন নাসিরনগর উপজেলার জয়দরকান্দি গ্রামের দুলাল মিয়া (৪৫), তাঁর বড় ভাই মানজু মিয়া (৪৮), ইছা মিয়া (৪৮), তাঁর ছেলে ইমরান মিয়া (২৩) এবং ইছা মিয়ার ছোট ভাই নান্নু মিয়া (৪৫) এবং সোহেল মিয়া (২৭)।
পুলিশ ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, জায়গাজমি নিয়ে কয়েক মাস ধরে জয়দরকান্দি গ্রামের দুলাল মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের আবদুর রহমানের বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে গত ৬ জানুয়ারি দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। উভয় পক্ষ থেকে একাধিক মামলাও হয়েছে। রাত আটটার দিকে মো. রাসেল মিয়ার নেতৃত্বে নিবন্ধনবিহীন তিনটি মোটরসাইকেলে করে ছয়জন জয়দরকান্দি গ্রামে যান। তাঁরা নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে আবদুর রহমানের লোকজনের বসতবাড়িতে ত্রাস সৃষ্টি করেন। একপর্যায়ে পুলিশ পরিচয় দেওয়া লোকজনের কথা ও আচরণ দেখে গ্রামবাসীর সন্দেহ হয়। পরে খবর পেয়ে সরাইল থানার পুলিশ সদস্যরা জয়দরকান্দি গ্রামে গিয়ে ওই আটজনকে গ্রেফতার করেন।
এ সময় পুলিশের ভুয়া পরিচয়ধারী আরো চারজন পালিয়ে যান। পুলিশ তাঁদের ব্যবহৃত তিনটি মোটরসাইকেল জব্দ করে। থানাহাজতে আটক পুলিশের ভুয়া পরিচয়ধারী দুই ব্যক্তি আজ ৯ ফেব্রুয়ারি রোববার দুপুরে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে নিজেদের দায় স্বীকার করেন। তাঁরা দুলালের প্ররোচনায় গ্রামে গিয়ে এমনটি করেছেন বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল হাসান বলেন, ভুয়া দুই পুলিশের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া অপর ছয়জনকে আবদুর রহমানের করা মামলার আসামি হিসেবে আদালতে সোপর্দ করা হচ্ছে।