অনলাইন ডেস্ক :
টানা দুই ম্যাচ হারের পর টানা দুটি জিতে ফাইনালের টিকিট কেটেছিল রংপুর রাইডার্স। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের জন্য সৌম্য-রিশাদদের জাতীয় দলে ডাক পড়ায় বিপাকে পড়েছিল রংপুর। ফাইনালে অংশগ্রহণ করা নিয়েই অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। সেই অনিশ্চয়তা কাটিয়ে উঠে ফাইনালেও বাজিমাত করেছে বিপিএলের এই ফ্রাঞ্চাইজি। আজ ৭ ডিসেম্বর শনিবার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার দল ভিক্টোরিয়াকে ৫৬ রানে হারিয়ে গ্লোবাল সুপার লিগের প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন হল রংপুর রাইডার্স।
রংপুরের জয়ের নায়ক সৌম্য সরকার। তার বিধ্বংসী এক ইনিংসে ভর করেই ৩ উইকেটে ১৭৮ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ দাঁড় করায় রংপুর। ওই রান তাড়া করতে নেমে ১২২ রানে অলআউট হয় ভিক্টোরিয়া। ২০১৭ সালে বিপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর আবার শিরোপার স্বাদ পেল বাংলাদেশের সবচেয়ে ধারাবাহিক এই ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। ম্যাচসেরার পাশাপাশি মোট ১৮৮ রান করে টুর্নামেন্টসেরাও হয়েছেন সৌম্য।
প্রথম গ্লোবাল সুপার লিগের প্রথম শিরোপা জয়ের গৌরবের পাশাপাশি রংপুরের অর্থযোগও কম নয়। চ্যাম্পিয়ন হয়ে ৫ লাখ ডলার প্রাইজমানি পেয়েছে তারা। প্রাথমিক পর্বের দুটি জয়ের জন্য আরও ৫০ হাজার ডলার তো আছেই।
গায়ানা ক্রিকেট কর্তৃপক্ষের আয়োজনে প্রথমবারের মতো আয়োজিত গ্লোবাল সুপার লিগে অংশই নেয়ার কথা ছিল না রংপুরের। বিপিএলের চ্যাম্পিয়ন দল হিসেবে ফরচুন বরিশালকে টুর্নামেন্টের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিল গায়ানা। তবে বরিশাল সদিচ্ছা না দেখানোয় রংপুর রাইডার্স সুযোগ পায় টুর্নামেন্টটিতে। আর সেই সুযোগটা ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছে রংপুর। বিশ্বের পাঁচটি ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের পাঁচ দলকে নিয়ে আয়োজিত টুর্নামেন্টের প্রথম শিরোপা জিতে নিয়েছে দলটি।
শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রংপুরের অধিনায়ক সোহান। সৌম্য ৫৪ বলে ৭ চার আর ৫ ছক্কায় খেলেন হার না মানা ৮৬ রানের ইনিংস। আরেক ওপেনার স্টিভেন টেইলর ৪৯ বলে ৪টি করে চার-ছক্কায় করেন ৬৮ রান। সাইফ হাসান আউট হন ৪ বলে ৬ করে, ২ রানে অপরাজিত থাকেন নুরুল হাসান সোহান। ভিক্টোরিরার তিন বোলার নেন একটি করে উইকেট।
জবাবে শেখ মেহেদি-রিশাদ হোসেনদের তোপে দাঁড়াতেই পারেনি ভিক্টোরিয়া। ওপেনার জো ক্লার্কের ২২ বলে ৪০ ছাড়া বলার মতো স্কোর করতে পারেননি আর কেউ। বাকি ব্যাটাররা কেউ বিশের ঘরও ছুঁতে পারেননি। রংপুর রাইডার্সের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন হারমীত সিং। শেখ মেহেদী এবং সাইফ হাসান শিকার করেন দুটি করে উইকেট। এ ছাড়াও কামরুল হাসান এবং রিশাদ হোসেন নেন এক উইকেট।
দিন শেষে হেসেছেন সৌম্যই। তাঁর ইনিংসই গড়ে দিয়েছে রংপুরের জয়ের ভিত্তি। যে জয় রংপুরকে এনে দিয়েছে গ্লোবাল সুপার লিগের প্রথম আসরের ট্রফি আর রংপুরের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ট্রফি। এর আগে ২০১৭ সালে বিপিএল (বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ) চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল রংপুর।
৫ দলের গ্লোবাল সুপার লিগে লিগ পর্বে চার ম্যাচের প্রথম দুটিতেই হেরেছিল রংপুর রাইডার্স। নুরুল হাসানের নেতৃত্বাধীন দলটিকে ভিক্টোরিয়াও হারিয়ে দিয়েছিল ১০ রানে। তবে শেষ দুই ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্স ও পাকিস্তানের লাহোর কালান্দার্সকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে শেষ পর্যন্ত ট্রফিতেই হাত রেখেছে রংপুর। ম্যাচসেরার পাশাপাশি মোট ১৮৮ রান করে সৌম্য হয়েছেন টুর্ণামেন্টসেরাও।
অনলাইন ডেস্ক :
সাফ উইমেন’স অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে শেষ মুহূর্তের গোলে নেপালকে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। দুই লাল কার্ড, গোল-বন্যা এবং নাটকীয় শেষ মুহূর্ত সব মিলিয়ে কিংস অ্যারেনায় রোমাঞ্চ ছড়ায় পুরো ৯০ মিনিট। শিখা জাহান ও সাগরিকার গোলে প্রথমার্ধেই ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয়ার্ধে সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন সাগরিকা। সংখ্যাগত ঘাটতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে সমতায় ফেরে নেপাল। কিন্তু অতিরিক্ত সময়ে তৃষ্ণা রানীর গোলে জয় ছিনিয়ে নেয় পিটার জেমস বাটলারের শিষ্যরা।
প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক খেলা উপহার দেয় বাংলাদেশ। ১৪তম মিনিটে সাগরিকার পাস থেকে মুনকি আক্তারের শট প্রতিহত হলে ফিরতি বলে জাল খুঁজে নেন শিখা জাহান। এরপর ৩৬তম মিনিটে গোলরক্ষকের ভুলে পাওয়া বল টোকা দিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সাগরিকা।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে নেপালের ফরোয়ার্ড মিনার শট কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান গোলরক্ষক স্বর্ণা রানী মন্ডল। ফলে ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে একাধিক সুযোগ হাতছাড়া করে বাংলাদেশ। ৫৫তম মিনিটে সাগরিকা ও নেপালের সিমরান ফাউলের জেরে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। উত্তেজিত পরিস্থিতি সামাল দিতে দুজনকেই লাল কার্ড দেখান রেফারি।
একজন কম নিয়ে খেলতে থাকা বাংলাদেশ একটু পরেই গোল হজম করে। জয়নবের ফাউলে পাওয়া পেনাল্টি থেকে গোল করেন নেপালের আনিশা রায়। ৮৬তম মিনিটে মিনা দেউবার গোলে সমতায় ফেরে তারা।
যোগ করা সময়েও একাধিকবার হুমকিতে পড়ে বাংলাদেশের ডিফেন্স। তবে অতিরিক্ত সময়ের একদম শেষ মুহূর্তে উমহেলা মারমার পাস থেকে দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে জয়সূচক গোল করেন তৃষ্ণা রানী। ওই গোলেই বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ জয় নিশ্চিত হয়।
এ জয়ে টানা দুই ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। এর আগে সাগরিকার হ্যাটট্রিকে শ্রীলঙ্কাকে ৯-১ গোলে হারিয়ে আসর শুরু করেছিল তারা।
আগামী মঙ্গলবার নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে ভুটানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। নেপালের বিপক্ষে লাল কার্ড পাওয়া সাগরিকা অবশ্য ওই ম্যাচে খেলতে পারবেন না।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে ফ্রিজ-টিভি কাপ ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল গতকাল শুক্রবার বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার গোকর্ণ ফুটবল একাডেমি’র আয়োজনে গোকর্ণ সৈয়দ ওয়াল্লী উল্লাহ স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ফাইনাল খেলায় গোকর্ণ কিংসকে ২-১ গোলে পরাজিত করে গোকর্ণ মটর সমিতি চ্যাম্পিয়ন হয়।
খেলা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন গোকর্ণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ শাহিন।
গোকর্ণ সৈয়দ ওয়াল্লী উল্লাহ স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক সভাপতি বসির উদ্দিন বাচ্চুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ শরীফ আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত পুরষ্কার বিতরনী সভায় জনতা ব্যাংকের সাবেক ডিজিএম মোঃ কামরুজ্জামান খান, নিয়াজ মুহাম্মদ খান হাই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক সৈয়দ মোহাম্মদ তফছির, গোকর্ণ সৈয়দ ওয়াল্লী উল্লাহ স্কুল এন্ড কলেজের প্রাক্তন ছাত্র সংসদের সভাপতি অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন চৌধুরী শরীফ, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোহাম্মদ নোমান, গোকর্ণ ফুটবল একাডেমির সভাপতি সাকিন চৌধুরী, আওয়ামীলীগ নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ ও ফুটবলপ্রেমি সংখ্যক দর্শক উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
নারী জাতীয় দলের পর এবার ইতিহাস গড়েছে ছোটরাও। প্রথমবারের মতো অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল বাংলাদেশের মেয়েরা। আজ ১০ আগস্ট রবিবার দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ৬-১ গোলের বড় ব্যবধানে হারের পরও থেমে যায়নি বাংলাদেশের মেয়েদের স্বপ্ন। ভরসা ছিলো শুধু সমীকরণে। সেরা তিন রানার্স আপের একটি হতে হলে তাকিয়ে থাকতে হতো অন্য গ্রুপের ম্যাচগুলোর দিকে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল ‘ই’ গ্রুপের চীন ও লেবাননের ম্যাচ। সেই ম্যাচে চীনের জয়ের প্রার্থনা করছিলেন বাংলাদেশের মেয়েরা। শেষ পর্যন্ত সেই প্রার্থনা সফল হয়েছে। চীন ৮-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে লেবাননকে হারিয়েছে।
ফলে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছে লেবানন এবং বাংলাদেশের মেয়েরা জায়গা করে নিয়েছে সেরা তিন রানার্স আপের তালিকায়। এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২০ নারী দল নিশ্চিত করেছে ২০২৫ এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা।
এর আগে, নারী জাতীয় দল মিয়ানমারকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপ নিশ্চিত করেছিল। এবার অনূর্ধ্ব-২০ দলও সেই কৃতিত্ব দেখাল। নারী ফুটবলে দুই মাসের মধ্যে দুটি বড় অর্জন; জাতীয় দল খেলবে মার্চে অস্ট্রেলিয়ায়। অনূর্ধ্ব-২০ দল খেলবে এপ্রিলের শুরুতে থাইল্যান্ডে।
২০২৫ এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপ হবে আগামী ১ থেকে ১৮ এপ্রিল, থাইল্যান্ডে। ১২ দলের এই প্রতিযোগিতা থেকেই চারটি দল পাবে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে পোল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য অনূর্ধ্ব-২০ নারী বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ। সেমিফাইনালে উঠতে পারলেই নিশ্চিত হবে বিশ্বকাপের টিকিট।
‘এইচ’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ৩-১ গোলে হারায় স্বাগতিক লাওসকে। দ্বিতীয় ম্যাচে ৮-০ গোলে উড়িয়ে দেয় পূর্ব তিমুরকে। আর শেষ ম্যাচে হেরে যায় দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ৬-১ ব্যবধানে। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয় দক্ষিণ কোরিয়া, আর রানার্স আপ হয়ে এবং সেরা তিন রানার্স আপের একটি হিসেবে উঠে যায় বাংলাদেশ।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রথম ইনিংসে ১৯১ রানের ইনিংসের জন্য ম্যাচসেরা হয়েছেন মুশফিকুর রহিম। এটা তাঁর সবচেয়ে সুন্দর ইনিংসগুলোর একটি, বলেছেন মুশফিক। এ জয়ের জন্য সব খেলোয়াড়কেই কৃতিত্ব দিয়েছেন তিনি, বিশেষ করে এ সিরিজের জন্য তাঁরা যেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছেন সেজন্য। ম্যাচসেরার প্রাইজমানি বন্যার্তদের সহায়তায় দান করে দেবেন বলেও জানিয়েছেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।
২০০৩ সাল। মুলতানে পরাক্রমশালী পাকিস্তানকে হারানোর সুযোগ এসেছিল। টেস্টে তখন বাংলাদেশ ‘হাঁটি হাঁটি পা পা’। মোহাম্মদ রফিক ‘অনৈতিক’ ভেবে মানকাডিং না করায় সেবার ১ উইকেটে হেরেছিলেন হাবিবুল বাশার-খালেদ মাহমুদরা। ২১ বছর পর এবার ক্রিকেটে প্রথমবার পাকিস্তান জয় করলেন মুশফিকুর রহিম-সাকিব আল হাসান-মেহেদী মিরাজরা। আজ ২৫ আগস্ট রোববার রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১০ উইকেটের ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে টাইগাররা।
টেস্টে বাংলাদেশ ঐতিহাসিক এই জয় পেয়েছে অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমের দুর্দান্ত ব্যাটিং, সাদমান ইসলামের সেঞ্চুরি ছোঁয়া ইনিংস ও মুমিনুল-লিটনের পর মিরাজের ফিফটিতে। সঙ্গে দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানের ব্যাটিং ধসিয়ে দিতে মিরাজ ও সাকিব অসাধারণ বোলিং করেছেন। তাদের তোপে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৬ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। জয়ের জন্য ৩০ রানের লক্ষ্য পায় সফরকারীরা। যে রান তুলতে পেতে হয়নি বেগ।
সিরিজের প্রথম এই টেস্টের টস পক্ষে আসে বাংলাদেশের। ম্যাচ শুরুর আগের রাতে ভারী বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ে টস হয়নি। প্রায় দুই সেশন ভেসে যাওয়ার পর হওয়া টসে জিতে বোলিং নেন অধিনায়ক নাজমুল শান্ত। উইকেটের সুবিধা নিয়ে মাত্র ১৬ রানে স্বাগতিক পাকিস্তানের ৩ উইকেট তুলে নেন শরিফুল ইসলাম-হাসান মাহমুদরা। কিন্তু সূদ শাকিলের ১৪১ ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ১৭১ রানের সঙ্গে সাইম আইয়ূবের ৫৬ রানের ইনিংসে ৬ উইকেট হারিয়ে ৪৪৮ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের অধিনায়ক শান মাসুদ হয়তো ভেবেছিলেন বাংলাদেশ রানের চাপায় পিষ্ট হবে। কিন্তু চোখে চোখে রেখে শুধু জবাব দেননি মুশফিক-সাদমানরা। বরং তুলে নেন ১১৭ রানের লিড। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ৫৬৫ রান তোলে। মুশফিকুর ১৯১ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন। সাদমান সেঞ্চুরি মিস করলেও ৯৩ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন। এছাড়া মুমিনুল ৫০, লিটন ৫৬ ও মেহেদী মিরাজ ৭৭ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেন।
দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে বাংলাদেশের বোলিং তোপে পাকিস্তান সুবিধা করতে পারেনি। তাদের দেড়শ’ রানের আগে ধসিয়ে দিতে বড় ভূমিকা রাখেন স্পিনার সাকিব ও মিরাজ। টেস্টে বাঁ-হাতি বোলার হিসেবে সর্বোচ্চ ৭০৬ উইকেট তুলে নেওয়ার পথে সাকিব দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেট তুলে নেন। মিরাজ নেন ৪ উইকেট। এছাড়া শরিফুল, হাসান মাহমুদ একটি করে উইকেট নেন। ওই ইনিংসে পাকিস্তানের রিজওয়ান ৫১ রান করেন। আব্দুল্লাহ শফিক ৩৭ রান যোগ করেন। জবাবে জাকির ১৫ ও সাদমান ৯ রান করে জয় তুলে নেন।
পাকিস্তানের বিপক্ষে পাকিস্তানের মাটিতে এটি বাংলাদেশের প্রথম জয়। এছাড়া টেস্টে প্রথমবার পাকিস্তানকে হারানোর কীর্তি গড়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ব্যাটে-বলে শুধু নয় ফিল্ডিংয়েও কর্তৃত্ব করে খেলেছে। লিটন উইকেটের পেছনে বাবর আজমের ক্যাচ ফেললেও সফরকারীরা এই ম্যাচে দুর্দান্ত কিছু ক্যাচ নিয়েছে। ক্রিকেট বোর্ড থেকে নাজমুল হাসান পাপনের বিদায়, বাংলাদেশ ক্রিকেটে সংস্কার কাজের শুরুতে পাওয়া জয়ের মাহাত্ম্য তাই একটু বেশিই।
দুলাল মিয়া:
অষ্টগ্রাম ক্রীড়া সংঘের উদ্যাগে ৬ জুলাই রবিবার বিকাল ৪টায় ফুটবল টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন। উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত মোঃ ইসতিয়াক ভূঁইয়া।
অষ্টগ্রাম ক্রীড়া সংঘের সভাপতি হাজী মোঃ আবদুস সালাম সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফায়েজুর রহমান (ফয়েজ) এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিতব্য ফুটবল টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মোজাফ্ফর হোসেন, অষ্টগ্রাম হাই স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি এডভোকেট আমিনুল হক, আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ রাশেদ কবির আখন্দ, অষ্টগ্রাম হাই স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ শিক্ষক সত্যেন্দ্র চন্দ্র চৌধুরী, অষ্টগ্রাম হাই স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ মিজানুর রহমান, অষ্টগ্রাম ক্রীড়া সংঘের উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম, অষ্টগ্রাম ক্রীড়া সংঘের উপদেষ্টা হাদিম মিয়া, অষ্টগ্রাম ক্রীড়া সংঘের সিনিয়র সহ-সভাপতি বশির আহমেদ, অষ্টগ্রাম ক্রীড়া সংঘের সহ-সভাপতি হারুন অর রশিদ, অষ্টগ্রাম ক্রীড়া সংঘের সহ-সভাপতি তাজুল ইসলাম।