চলারপথে রিপোর্ট :
সংবর্ধিত হলেন হাজী মো. জসিম উদ্দিন জমসেদ। পিস ফল অল এর সভাপতি হাজী মো. জসিম উদ্দিন জমসেদ পুনরায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় তাঁকে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
আজ ৭ ডিসেম্বর শনিবার ডেইলি পেনব্রিজ কার্যালয়ে এ উপলক্ষ্যে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন পিস ফল অল এর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এমদাদুল হক।
এসময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক এম এ হানিফ, অধ্যাপক সাইফুর রহমান মামুন, অধ্যাপক আব্দুল গণি, মো. হেলাল উদ্দিন, মাহমুদুর রহমান মোল্লা, আল আমিন শান্ত, তানিসা ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথি হাজী মো. জসিম উদ্দিন জমসেদকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
বক্তারা বলেন, হাজী মো. জসিম উদ্দিন জমসেদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার পরিবহন সেক্টরের একজন কিংবদন্তী। তিনি তাঁর পুরো জীবন পরিবহন সেক্টরের জন্য ব্যয় করেছেন। তারা বলেন, আমরা আশা করি তাঁর নেতৃত্বে জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতি আরও গতিশীল হবে। জেলার পরিবহন সেক্টরের সকল সমস্যার সমাধান হবে। ব্যবসার উন্নয়নের সাথে যাত্রীসেবার মান বাড়াতেও তারা সচেষ্ট হবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৌর শহরের খৈয়াসার এলাকায় অবস্থিত ৭তলা বিশিষ্ট সালমা-সাঈদ তাহফিজুল কোরআন মাদ্রাসা ভবন থেকে পালাতে গিয়ে ছয়তলার পাইপে আটকে থাকা মোঃ জহিরুল ইসলাম (১০) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রকে উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের লোকেরা।
স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে আজ ৬ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টায় ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার আলমগীর হোসাইন জহিরুলকে উদ্ধার করেন।
উদ্ধারকৃত জহিরুল ইসলাম সরাইল উপজেলার আবদুল করিমের ছেলে। শিশু জহিরুল ইসলাম সালমা-সাঈদ তাহফিজুল কোরআন মাদ্রাসার নাজেরা শাখার ছাত্র।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের ফায়ার ফাইটার আলমগীর হোসাইন জানান, মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমরা ওই বহুতল বিশিষ্ট মাদ্রাসা ভবনে গিয়ে ছয়তলার পাইপে আটকে থাকে জহিরুল ইসলামকে উদ্ধার করি। দীর্ঘ ১ ঘন্টা উদ্ধার অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সালমা-সাঈদ তাহফিজুল কোরআন মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ বায়েজিদ আহমেদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, গত ১ জানুয়ারি এই মাদ্রাসা থেকে পালাতে গিয়ে সবুজ নামে নাজেরা শাখার এক ছাত্র ছয়তলার পাইপে আটকে গিয়েছিলো। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকেরা সবুজকে উদ্ধার করে তার মায়ের কাছে হস্তান্তর করেছিলো।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিভাটেক (ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা) চালক মোঃ শাহপরান (১৮) কে নেশাজাতীয় পানি খাইয়ে তাকে অজ্ঞান করে তার বিভাটেকটি নিয়ে যাওয়ার সময় অজ্ঞানপার্টির ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল শনিবার বিকেলে জনগণের সহযোগীতায় সদর উপজেলার সুহিলপুর বাজার এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার ও চুরি করে নেয়া বিভাটেকটি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন সরাইল উপজেলার কালীকচ্ছ গ্রামের কাশেম মিয়ার ছেলে ইমন মিয়া (১৭), একই এলাকার আবদুল হালিমের ছেলে জাকির খান (১৫) ও একই এলাকার চাঁন বাদশার ছেলে মোঃ হোসেন।
অসুস্থ্য শাহপরানকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গতকাল শনিবার দুপুরে জেলার বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের দত্তখোলা গ্রামের আলী আজমের ছেলে বিভাটেক চালক শাহপরান তার বিভাটেক নিয়ে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের সুহিলপুর কবরস্থানের সামনে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করার সময় উল্লেখিত তিন আসামী যাত্রীবেশে সুহিলপুর বাজারে যাওয়ার জন্য তার বিভাটেকে উঠে।
এক পর্যায়ে আসামীরা সুহিলপুর বাজারের কাছে এসে তাদের কাছে থাকা নেশাজাতীয় পানির বোতল শাহপরানকে খাওয়ার কথা বললে শাহপরান এই পানি খেয়ে কিছুক্ষনের মধ্যে অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে তারা শাহপরানকে রাস্তার পাশে ফেলে বিভাটেকটি নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অন্য বিভাটেক চালকরা তা দেখে আশপাশের লোকজনের সহায়তায় তিনজনকে আটক করে পুলিশকে খবর দিয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে তাদেরকে গ্রেফতার ও বিভাটেকটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এ ঘটনায় শাহপরানের পিতা আলী আজম সদর মডেল থানায় তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ এমরানুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতারকৃতদেরকে আজ রবিবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অসুস্থ্য শাহপরানকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ তাঁর সহধর্মিনী জুবাইদা রহমানকে সাজা দেয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
আজ ৪ আগস্ট শুক্রবার বিকেল পৌনে ছয়টার দিকে পৌর শহরের পাওয়ার হাউজ রোড এলাকায় এই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে শহরের পাওয়ার হাউজ রোড থেকে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। বিক্ষোভ মিছিলটি পাওয়ার হাউজ রোডের সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের সামনে পৌছলে সেখানে মিছিলটিকে আটকে দেয় পুলিশ। পরে সেখানেই সমাবেশ সভা করে তারা।
জেলা বিএনপির সদস্য মোঃ সিরাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য জহিরুল হক খোকন, অ্যাডভোকেট গোলাম সারওয়ার খোকন ও শফিকুল ইসলাম।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, আদালতকে নিয়ন্ত্রণ করে ফরমায়েশী রায়ের মাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহধর্মিনী জোবাইদা রহমানকে সাজা দিয়েছে। এই রায় আমরা মানি না। সরকারকে এই অন্যায় সাজা প্রত্যাহার করতে হবে।
প্রতিবাদ সভায় জেলা বিএনপির সদস্য জহিরুল হক খোকন বলেন, প্রশাসন দিয়ে গুম করে বিএনপিকে শেষ করতে পারবে না, দূর্বল করতে পারবে না। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে তারা বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে কাউকে ভোট না দিতে দিয়ে সরকার গঠন করেছে। এখন আবার মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশী রায় দিয়ে বিএনপিকে ধ্বংস করতে চাচ্ছে। কিন্তু বিএনপিকে এভাবে নির্মুল করা যাবে না।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেছেন, দেশে সার্বজনীন ও গণমুখী শিক্ষা বিস্তারে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন সহ শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ভাতা বরাদ্দে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার অনূন্য ভূমিকা ও অবদান আজ বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত।
পয়াগ-নরসিংসার আব্দুল বারী উচ্চ বিদ্যালয় ও নূরুন্নাহার কলেজের উন্নয়নে স্থানীয় সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকাতাদির চৌধুরীর ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি কলেজের এমপিও ভূক্তির বিষয়ে প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে মর্মে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। তিনি আজ ২৮ ফেব্রুয়ারি পয়াগ-নরসিংসার আবদুল বারী উচ্চ বিদ্যালয় ও নুরুন্নাহার কলেজের উদ্যোগে তাঁকে প্রদত্ত্ব সংবর্ধনা সভায় তিনি একথা বলেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্কুল ও কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক মন্ত্রী আলহাজ্ব এডভোকেট হারুন আল রশিদ এলাকার সুযোগ্য সন্তান হিসাবে আল-মামুন সরকারের ভূয়শী প্রশংসা করে তাঁকে দল ও মতের ঊর্ধ্বে উঠে এলাকার উন্নয়নে কাজ করার আহবান জানান। বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আমির হোসনের সভাপতিত্বে সভায় সাবেক চেয়ারম্যান নাজমুল হোসেন, কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ এবং বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক আনন্দ ও উৎসাহ প্রকাশ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
পুকুর থেকে রাসেল (৪৩) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ ২৯ মার্চ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শহরের কাজিপাড়া দরগাহ মহল্লার একটি পুকুর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
রাসেল একই পাড়ার মৌলভীহাটির হাবিবুর রহমানের ছেলে। পেশায় তিনি কসাই ছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, রাসেল শখের বশে মাঝে মাঝে মাছ ধরতেন। মঙ্গলবার রাতে মাছ ধরার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। এরপর আর তার সঙ্গে পরিবারের যোগাযোগ হয়নি। সকালে দরগাহ মহল্লার একটি পুকুরে তার মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে তদন্তের জন্যে পাঠায়।
তিনি আরো জানান, সে কিভাবে মারা গেছে তা এখন বলা সম্ভব নয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও তদন্ত শেষে মৃত্যুর রহস্য উদঘাটিত হবে বলে প্রত্যাশা করছি।