চলারপথে রিপোর্ট :
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে চাল সংগ্রহে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে ২২ লাখ টন খাদ্য মজুদ আছে, সেটিকে ৩০ লাখ টন করার জন্য কাজ করছে সরকার। আজ ৮ ডিসেম্বর রোববার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে মেঘনার তীরে নির্মাণাধীন স্টিল সাইলোর নির্মাণকাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার এ কথা জানান।
খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে চাল সংগ্রহে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে ২২ লাখ টন খাদ্য মজুত রয়েছে। সেটিকে ৩০ লাখ করার জন্য কাজ করছে সরকার।’
যখন দেশে চালের ভালো উৎপাদন হয়, তখন আমদানির পরিমাণ কম হয় জানিয়ে আলী ইমাম বলেন, ‘তবে ঘাটতি পূরণের জন্য মাঝেমধ্যে আমদানি করতে হয়। এবার বন্যায় পূর্বাঞ্চলে কৃষি জমির ক্ষতি হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, খাদ্য ঘাটতি হতে পারে। এ জন্য আমরা আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার আরো বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে খাদ্যশস্য কেনার পরিকল্পনা নিয়েছি। এরমধ্যে মূলত ভারত থেকে। দ্বিতীয়ত সরকার টু সরকার সরাসরি যোগাযোগের মধ্যমে। এরমধ্যে মিয়ানমার থেকে এক লাখ টন চাল আমদানি করা হবে। ভিয়েতনাম থেকেও চাল আনবো। এছাড়া থাইল্যান্ড, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশ থেকে সরকার সরাসরি ওই দেশের সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে চাল আমদানি করবে।’
ভারত থেকে চাল আমদানি খরচ তুলনামূলক কম হয়, অন্যদেশ থেকে চাল আমদানির ক্ষেত্রে ব্যয় বাড়বে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা বাণিজ্যকে রাজনীতির সঙ্গে মিলিয়ে না ফেলি। ভারত থেকে চাল কিনলে তুলনামূলক খরচ কম পড়বে। এজন্য দেড় লাখ টন চাল আমদানির অনুমোদন দেয়া আছে। আমরা আশা করি, সে চাল দ্রুত আসবে।’
‘পাশাপাশি আমরা একক কোনো একটা দেশের ওপর নির্ভর করবো না। যেহেতু আমাদের খাদ্য ঘাটতি রয়েছে। আমরা অন্য দেশ থেকে আমদানি করে সে ঘাটতি পূরণ করব। সে চেষ্টাই করছি,’ যোগ করেন আলী ইমাম।
গম উৎপাদন সম্পর্কে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের দেশে ৭০ লাখ টন গমের চাহিদা রয়েছে। আমরা উৎপাদন করতে পারি মাত্র ১০ লাখ টন। এর বেশি উৎপাদন আমাদের পক্ষে কঠিন। গম চাষের জমিগুলোতে এখন ভুট্টা চাষ হচ্ছে। অধিকাংশ গম বাইরে থেকে আমদানি করতে হচ্ছে। বেসরকারি খাত আমদানি কার্যক্রম পরিচালনা করছে।’
অনলাইন ডেস্ক :
কক্সবাজারে বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ ২৪ ফেব্রুয়ারি সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিমান বাহিনী ঘাঁটি কক্সবাজার সংলগ্ন সমিতি পাড়ায় উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় প্রশাসন ও বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করছেন বলে জানা যায়।
জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেছেন, দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির উদ্দ্যেশে জাতীয় সংসদ থেকে বিএনপি দলীয় সদস্যদের পদত্যাগ এবং উপ-নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা বিএনপি রাজনীতির দেউলিয়াত্তের প্রমাণ বহন করে। কোন দেশপ্রেমিক নাগরিক বিএনপি’র এই অপরাজনীতিকে সমর্থন করতে পারেনা।
তিনি গতকাল তালশহর হাই স্কুল মাঠে স্বতন্ত্র প্রার্থী উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার কলার ছড়ি প্রতীকের সমর্থনে এক বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এই কথা বলেন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সুলেমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতা হাজী মোঃ ছফিউল্লাহ, আবু নাছের আহমেদ, মঈন উদ্দিন মঈন, অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু, এড. কামরুজ্জামান আনসারী প্রমুখ নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
অনলাইন ডেস্ক :
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, আগে আন্দোলন ছিল ডাল-ভাতের জন্য, এখন দাবি মাছ-মাংসের দাম কমানোর।
আজ ৩১ মার্চ শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার শিলক এম শাহ আলম চৌধুরী ডিগ্রি কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত চার ইউনিয়নের তৃণমূল প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘দেশ এখন বদলে গেছে, মানুষের ভাগ্যও পরিবর্তন হয়েছে। গ্রাম এখন শহরে পরিণত হয়েছে। আগে মানুষ আন্দোলন করতো ডাল-ভাতের জন্য। আর এখন মানুষের জীবন মানের উন্নয়ন হওয়ায় মাছ-মাংসের দাম কমানোর জন্য দাবি তোলে।’ খবর বাসসের
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দেশের প্রতিটি গ্রাম-মহল্লায় পর্যন্ত যে উন্নয়ন হয়েছে তা সবার কাছে বলতে হবে। যারা শুধু ভোট আসলে লাফালাফি করে, লুকিয়ে লুকিয়ে শহরে গিয়ে খালেদা জিয়ার নামে স্লোগান দেয়, তারা যে সড়ক কিংবা ব্রিজের ওপর দিয়ে যায় সেটিও আওয়ামী লীগের করা। করোনাসহ কোনো দুর্যোগ-দুর্বিপাকে তাদের পাওয়া যায়নি, তাদের বয়কট করে আগামীতেও সাংগঠনিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে হবে।’
দলের সাংগঠনিক বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তৃণমূলের নেতারাই আওয়ামী লীগের প্রাণ। গ্রামে-গঞ্জে-মহল্লায় আমাদের দলকে এই নেতারাই ধরে রেখেছেন। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। গ্রামে-গঞ্জে, হাটে-ঘাটে মাঠে সাধারণ মানুষের কাছে সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাঙ্গুনিয়াসহ সারাদেশে সরকারের অভূতপূর্ব উন্নয়নের দাবিদার তৃণমূলের নেতারাও। দলের সুনাম বজায় রাখতে আমাদের দলের নাম বিক্রি করে কেউ যদি অপকর্ম করে তাদের ছাড় দেয়া হবে না, প্রকাশ্যে শায়েস্তা করতে হবে।’
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবু জাফরের সভাপতিত্বে এবং এমরুল করিম রাশেদ ও মাহমুদুল হাসান বাদশার যৌথ সঞ্চালনায় আওয়ামী লীগ নেতা স্বজন কুমার তালুকদার, আবুল কাশেম চিশতি প্রমুখ সভায় বক্তব্য দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যান অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবক। পুলিশ মরদেহ উদ্ধারের পর জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠায়। পরিচয় শনাক্ত না হওয়ায় মরদেহ দাফনের জন্য বেওয়ারিশ হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘরের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
প্রস্তুতি চলছিল সকালে বেওয়ারিশ হিসেবে মরদেহ দাফনের। পরানো হয় দাফনের জন্যে কাফনের কাপড়ও। কিন্তু রাতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ফিঙ্গার প্রিন্টে শনাক্ত হয় পরিচয়।
মারা যাওয়া যুবকের নাম আনোয়ার হোসেন (৩৫)। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার আড়াইসিধা ইউনিয়নের খতিব বাড়ি এলাকার মো. শাহ আলমের ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আমিনুল ইসলাম বলেন, রোববার সকালে চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতি ট্রেনে আশুগঞ্জ রেলওয়ে এলাকায় এক যুবক কাটা পড়ে। পরিচয় শনাক্ত না হওয়ায় বেওয়ারিশ হিসেবে মরদেহটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘরের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পাশাপাশি পিবিআইয়ের মাধ্যমে মরদেহের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছিল। রাতে ওই যুবকের ফিঙ্গার প্রিন্ট নির্বাচন কমিশনে থাকা সার্ভারের ফিঙ্গার প্রিন্টের সঙ্গে মিলে যায়। পরে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘরের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আজহার উদ্দিন বলেন, রেলে কাটা পড়ে নিহত এক যুবকের মরদেহের পরিচয় শনাক্ত হচ্ছিল না। মরদেহটি বেওয়ারিশ হিসেবে দাফনের জন্য আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আমরা মরদেহটিকে কাফনের কাপড় পরিয়ে সকালে কবর দিতে প্রস্তুত রেখেছিলাম। রাতে খবর পেলাম পরিচয় মিলেছে। তার পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবেলায় ফেনী জেলায় ৪৩ আশ্রয়কেন্দ্র ও১৪ টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে।আজ ১১ মে বৃহস্পতিবার বিকেলে ফেনী জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরী সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভায় ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবেলায় বিদ্যুৎ বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস, স্বেচ্ছাসেবী সিপিপি, স্বাস্থ্য বিভাগ, বন বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনসহ সকল বিভাগকে স্ব-স্ব অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন ফেনী জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ উল-হাসান জানান, ঘূর্ণিঝড়ে উপকূলীয় মানুষের আশ্রয়ের জন্য ইতোমধ্যে ৪৩ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ১৪টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে সিপিপি ও রেডক্রিসেন্টসহ বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবক দল। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে লোকালয় থেকে মানুষজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা হবে।জেলা প্রশাসক বলেন, ইতোমধ্যে দুর্যোগে সম্ভাব্য ক্ষতি মোকাবেলায় চাল, নগদ টাকা, শুকনো খাবার বরাদ্দ দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর।