চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় নাগরিক কমিটির তিন নেতাকে মারধরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বাবুলসহ দুইজনকে আসামি করা হয়েছে।
আজ ১৮ ডিসেম্বর বুধবার বিকেলে জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মো. আতাউল্লাহ বাদী হয়ে সদর থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ৫-৬জনকে আসামি করা হয়েছে। মফিজুর রহমান বাবুল জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক। মামলায় তার পিয়ন সাদ্দাম হোসেনকে (৩৭) আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাদী আতাউল্লাহ বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গার বিল গ্রামের বাসিন্দা। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, সাংগঠনিক কাজে গত রোববার নাসিরনগর উপজেলায় যান আতাউল্লাহ। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন নাসিরনগর উপজেলা সংগঠক আসাদুজ্জামান খোকনকে একটি মামলায় গ্রেফতার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে পাঠায় পুলিশ। জাতীয় নাগরিক কমিটির জেলার সংগঠক মামলার এক নম্বর সাক্ষী জিহান মাহমুদ ও ২ নম্বর সাক্ষী সদর উপজেলার সংগঠক হাসান নাসিমুল আদালতের কাজ শেষ করেন। আতাউল্লাহর পূর্ব পরিচিত ফয়েজ মিয়া পরিচয় করে দিবে বলে তাদেরকে আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের কক্ষে নিয়ে যান। নাগরিক কমিটির নেতা পরিচয় দেয়ার সাথে সাথে মফিজুর রহমানের প্ররোচনায় ও হুকুমে বাতি ও দরজা বন্ধ তাদেরকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমন করা হয়। অজ্ঞাতনামা আসামিরা মারধর করে তাদের টাকা-পয়সা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ সুপার, সেনাবাহিনী এবং তাদের কিছু সহযোদ্ধা তাদের উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়ে চিকিৎসা দেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মোজাফফর হোসেন বলেন, নাগরিক কমিটির নেতা বাদী হয়ে আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদকসহ দুইজনের নামসহ অজ্ঞাতনামা ৫-৬ জনকে আসামি করে মামলা দিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাদকের টাকার জন্য স্ত্রী তানিয়া বেগম (৩৬)কে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ফারুক (৩৪) এর বিরুদ্ধে। আজ ২৬ জুলাই শুক্রবার সকাল ১০টায় পৌর এলাকার পুনিয়াউট (হাসিনাবাগ) এলাকার ভাড়া বাসার বাথরুম থেকে তানিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পরপরই স্বামী ফারুক পালিয়ে যায়। নিহত তানিয়া বেগম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের কাঠালকান্দি গ্রামের রফিকুল ইসলাম ছোটন মিয়ার মেয়ে ও ফারুক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার খাড়েরা গ্রামের শাহআলম মিয়ার ছেলে।
গত ২০২৩ সালের ১০ জানুয়ারি ফারুকের সাথে তানিয়ার বিয়ে হয়। এটা তানিয়া ও ফারুকের দ্বিতীয় বিয়ে। তানিয়ার আগের সংসারে ২ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে।পুলিশ জানায়, বিয়ের পর থেকে ফারুক ও তানিয়া পৌর এলাকার পুনিয়াউট (হাসিনাবাগ) এলাকার একটি বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস শুরু করে। ফারুক মাদকসেবি।
তানিয়া বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করতো। মাদকের টাকার জন্য ফারুক প্রায়ই স্ত্রীকে মারধোরসহ ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর করত।বৃহস্পতিবার রাতে মাদকের টাকার জন্য ফারুক তানিয়াকে মারধোর করে। পরে ভোরে তানিয়ার গলায় গামছা পেঁচিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ ঘরের বাথরুমে ফেলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় ফারুক। খবর পেয়ে শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে পুলিশ তানিয়ার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, আমরা ফারুককে গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা করছি। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। তানিয়ার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মুক্তিযুদ্ধের যুদ্ধস্থল, গণহত্যা, বধ্যভূমি, শহীদ সমাধি এবং মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি ফলক নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ।
এরই অংশ হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের যুদ্ধস্থল, শহীদ সমাধি, গণকবর ও বধ্যভ‚মি সংরক্ষণসহ মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের নামে স্মৃতিস্তম্ভ এবং বিভিন্ন সড়ক দ্বীপে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচত্বর স্থাপন করা হবে। তিনবছর মেয়াদি এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে পাঁচ কোটি টাকা।
আজ ১ অক্টোবর রবিবার দুপুরে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে জেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক যুদ্ধাহত বীরমুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার এসব প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন ও প্রকল্প বাস্তবায়নে সাংবাদিক সমাজের পরামর্শ সহযোগীতা কামনা করেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব ও দেন।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল-মামুন সরকার বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের তীর্থভূমি হিসেবে খ্যাত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরসহ বিজয়নগর, আখাউড়া ও কসবা। এসব এলাকায় পাকিস্তানী বাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের দীর্ঘ ৯ মাস অনেক গুলো ঐতিহাসিকযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছে।
প্রজন্ম প্রজন্মান্তরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে এসব স্থানে স্মৃতি সৌধ নির্মাণ করা হবে। তিন বছর মেয়াদী এসব পরিকল্পনায় ব্যয় হবে ৫ কোটি টাকা।
তিনি বলেন, এ জন্য প্রকল্পের একটি তালিকা করা হয়েছে। জেলা পরিষদের তৈরী করা এসব প্রকল্পের তালিকার বাইরে যদি আরো কোন প্রকল্প বাদ পড়ে থাকে তিনি ওইসব প্রকল্পের জন্য তথ্য দিয়ে সহযোগীতা করার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহবান জানান। মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ, জেলা জাসদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আখতার হোসেন সাঈদ, কসবা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রুহুল আমীন ভূইয়া বকুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াছেল সিদ্দিকী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোরায়রাহসহ বীর মুক্তিযোদ্ধাগন, জেলা পরিষদের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সব আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছে নিয়েছেন জাকের পার্টির প্রার্থীরা। আজ ১৭ ডিসেম্বর রবিবার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন।
জেলার ছয় আসনের মধ্যে পাঁচ প্রার্থী উপস্থিত থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। একজন দেশের বাইরে থাকায় অনলাইনের মাধ্যমে চিঠি পাঠিয়ে প্রত্যাহার করেন।
প্রত্যাহার করা প্রার্থীরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসন থেকে জাকির হোসেন চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন জহিরুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসন থেকে সেলিম কবির, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসন থেকে জাহাঙ্গীর আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসন থেকে জামসেদ মিয়া ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে আব্দুল আজির।
জেলা জাকের পার্টির সহ-সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাহার করা প্রার্থী জাকির হোসেন চৌধুরী বলেন, আমরা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের সব আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আমরা পাঁচজন প্রার্থী উপস্থিত হয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনের প্রার্থী দেশের বাইরে থাকায় অনলাইনে আবেদন করে প্রত্যাহার করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছি। নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থা আছে কিনা তা বুঝতেই পারছেন। আমরা কোনো সমঝোতার নির্বাচনে অংশ নিবো না।
বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পক্ষ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডাক্তার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেনকে ফুলের শুভেচ্ছা প্রদান করা হয়।
আজ ৩০ সেপ্টেম্বর সোমবার অনুষ্ঠিত এই ফুলের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠোনে উপস্থিত ছিলেন সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি আশরাফ স্বাস্থ্য, সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান সমাজসেবা, সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের উপদেষ্টা মনিরুল ইসলাম, সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের উপদেষ্ঠা সালাউদ্দিন আহমেদ, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত উপসহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাবেক সাধারণ সম্পাদক পল্লব কুমার চক্রবর্তী, শিক্ষা বিভাগের মনির হোসেন, নজরুল ইসলাম সড়ক জনপথ, আবু নাছের যুব উন্নয়ন, শামীম মাদকদ্রব্য নি: অধিদপ্তর লোমান শিক্ষা, দিদার হেলথ, শেখ মনির সমাজসেবা অধিদপ্তর, আসিফা সমাজসেবা অধিদপ্তর, মনির হোসেন স্বাস্থ্য, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত অফিস সহকারী ও সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক মো: রুবেল মিয়া, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত অফিস সহকারী আব্দুল মতিন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত অফিস সহকারী শফিকুল ইসলাম, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত অফিস সহকারী হিরন খান, আবু নাসের নাসু আব্দুল্লা জনস্বাস্থ্য, ইয়াসির আরাফাত বরকত জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, জাকির হোসেন চৌধুরি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, মো: ইসমাইল মিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড, উত্তম কুমার দাস সমাজসেবা অধিদপ্তর প্রমুখ।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পেশাদার তিনজন অটোরিকসা ছিনতাইকারী ও একজন গাড়ি চোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ৭ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাতে সদর উপজেলার রামরাইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ঢাকা জেলার আশুলিয়া উপজেলার কুরগাও গ্রামের মৃত গোলাম মাহমুদের ছেলে মেহেদী শেখ হীরা-(৩২)। সে একজন আন্তঃজেলা গাড়ি চোর।
অটোরিকসা ছিনতাইকারীরা হলেন, আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর ইউনিয়নের তালশহর গ্রামের কালু মিয়ার ছেলে শান্ত প্রকাশ বাপ্পি-(২৪), একই এলাকার বাজাইন্না বাড়ির মান্নান প্রকাশ মন্নর মিয়ার ছেলে মেহেদুল-(২২), একই এলাকার মৃত মাহবুব মিয়ার ছেলে মিঠন প্রকাশ লিটন। এ ঘটনায় সদর মডেল থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক বলেন, গ্রেফতারকৃতরা পেশাদার ছিনতাইকারীও চোর। বুধবার দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।