অনলাইন ডেস্ক :
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ নিয়ে নির্বাচন কমিশন সংস্কার থেকে কোন রকম বাধা দেয়া হচ্ছে না কিংবা কোন রকম বাধার সৃষ্টি করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার।
আজ ১৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার বিষয়ে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
বদিউল আলম মজুমদার আরও বলেন, সব দলের অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে একটি অংশগ্রহণমূলক, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হউক, সেই সুপারিশ করবে নির্বাচন সংস্কার কমিশন।
তিনি বলেন, নির্বাচনে অযোগ্য না হলে সবার অংশগ্রহণের সুযোগ থাকা উচিত। সংস্কার কমিশন চায় সব দলের অংশগ্রহণে অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন হউক, এমন প্রত্যাশাই করেন তারা।
এসময় জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ জেলা-মহানগর সুজনের সভাপতি, বিভাগীয় সমন্বয়কসহ সুজনের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র ঈদুল আযহার ছুটি শেষে আখাউড়ায় ট্রেন যাত্রীদের সেবা প্রদান করেছে স্কাউট ও রোভাররা। আজ ৫ জুলাই বুধবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত আখাউড়া রেলওয়ে ষ্টেশন থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে ভ্রমনকারী যাত্রীদেরকে ট্রেনে আরোহন, মালামাল উঠানো-নামানোসহ বিভিন্ন সেবা প্রদান করেছে স্কাউট সদস্যরা।
আখাউড়া রেলওয়ে জেলা স্কাউট দুই দিনব্যাপী ঈদ যাত্রী সেবা কার্যক্রম শুরু করেছে। ট্রেনে উঠা-নামায় সহযোগিতা, যাত্রীদের সুপেয় পানি পানের ব্যবস্থা এবং ষ্টেশন চত্বরে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে স্কাউটস সদস্যরা। সেবামূলক এ কাজে ৬টি স্কাউট গ্রুপের ৩০/৩৫ জন সদস্য অংশ নিচ্ছে।
জেলা স্কাউট সূত্রে জানা যায়, ঈদুল আযহার ছুটি শেষে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন ষ্টেশন হয়ে হাজার হাজার ট্রেন যাত্রী বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াত করে।
এসময় ষ্টেশনে প্রচুর ভীড় হয়ে থাকে। তাই নির্দিষ্ট ট্রেন এবং ট্রেনের বগি খোঁজে পাওয়া এবং নারী-শিশুদের নিয়ে ট্রেনে উঠতে যাত্রীদের কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।
এ অবস্থায় যাত্রীদের সুবিধার্থে আখাউড়া রেলওয়ে জেলা স্কাউট ২ দিন ঈদ যাত্রী সেবা কার্যক্রম শুরু করেছে। এ কার্যক্রমে অগ্নিবীণা, গোধুলী, সূর্য সৈনিক, হলি চাইল্ড, দিগন্ত এবং প্রত্যাশী রেলওয়ে মুক্ত স্কাউট গ্রুপের স্কাউট ও রোভার এবং কর্মকর্তারা অংশ নিচ্ছে। এসময় যাত্রী সেবার পাশাপাশি অনলাইন টিকেটের রেজিষ্ট্রেশন করে দেওয়া হয়।
সেবা কার্যক্রমে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ে জেলা স্কাউট সম্পাদক এস.কে. খাদেম সেলিম, সাবেক সম্পাদক আহসান কবির লিটন, সহকারী কমিশনার কাজী হান্নান খাদেম, সহকারী কমিশনার তোফাজ্জল আলী উজ্জল, হলি চাইল্ড সম্পাদক আকতারুজ্জামান রান, জেলা রোভার প্রতিনিধি মোঃ সাকিবুল হাসান, সূর্য সৈনিক যুগ্ম সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ, রোভার রাব্বি চৌধুরী, গার্ল ইন রোভার সাদিয়া সুলতানা, স্কাউট নাসিবা হক, লামিয়া ইসলাম, পল্লী চিকিৎসক বিনা আক্তার।
চলারপথে ডেস্ক :
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন জানিয়েছেন, দেশে বিদ্যমান ইটভাটার ৬০ শতাংশই অবৈধ। এসব ইটভাটা পরিবেশগত ছাড়পত্রবিহীন অবৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছে।
আজ ৩১ জানুয়ারি মঙ্গলবার সংসদের বৈঠকে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগ দলীয় সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হলে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
একই প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ মন্ত্রী জানান, সারাদেশে (জুন ২০২২ পর্যন্ত) মোট ইটভাটার সংখ্যা সাত হাজার ৮৮১টি। এর মধ্যে তিন হাজার ২৪৮টি বৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছে। বাকি চার হাজার ৬৩৩টি ইটভাটা পরিবেশগত ছাড়পত্রবিহীন অবৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছে।
মন্ত্রী জানান, ২০১৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত এক হাজার ৭৭২টি অভিযান পরিচালনা করে তিন হাজার ৩৭টি ইটভাটার থেকে ৭৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ৯০৭টি ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ৮০ জন ব্যক্তিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সরকারদলীর এমপি এম আব্দুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশেরর শহরগুলোতে দৈনিক প্রায় ৩০ হাজার কঠিন বর্জ্য উৎপন্ন হয়। আগামী ২০২৫ সালে দৈনিক বর্জ্য ৪৭ হাজারে উন্নীত হবে।
তিনি আরো জানান, কঠিন বর্জ্যের প্রায় ১০ শতাংশ (বর্তমানে তিন হাজার টন) প্লাস্টিকজাত।
সরকারি দলের আরেক এমপি শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক জানান, কৃষি নমুনা শুমারি (শস্য) ২০২০ অনুসারে, বর্তমানে দেশে মোট কৃষি জমির পরিমাণ ২ কোটি ১৭ লাখ ৫৬ হাজার ৫৮৭ হেক্টর। এর মধ্যে চাষযোগ্য এক কোটি ৯৪ লাখ ৭৬ হাজার ৪২ একর। দিন দিন কৃষি জমির পরিমাণ শূণ্য দশমিক শূণ্য দুই শতাংশ হারে কমছে বলে মন্ত্রী জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাদারীপুরে তোরণ নির্মাণের বাঁশ পড়ে শাহাবুদ্দিন বেপারি (৭৫) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আজ ২৮ জুলাই শুক্রবার দুপুরে পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কুমারটেক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শাহাবুদ্দিন বেপারি সদর উপজেলার দুধখালী ইউনিয়নের বোয়ালিয়া এলাকার আহমেদ বেপারি ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, জেলা যুবলীগের সহ-সম্পাদক সুমন তালুকদার কুমারটেক এলাকায় ৪ জন শ্রমিক নিয়ে একটি তোরণ নির্মাণ করছিলেন। তোরণটির উচ্চতা কম হওয়ার ওই সড়ক দিয়ে একটি কাভার্ডভ্যান যাওয়ার সময় এতে ধাক্কা লাগে। এ সময় তোরণের একটি বাঁশ খুলে গিয়ে নিচে থাকা শ্রমিক শাহাবুদ্দিন বেপারির মাথায় পড়ে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে মাদারীপুর জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, তোরণের সাথে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কা লাগলে বাঁশ খুলে নিচে থাকা শ্রমিক শাহাবুদ্দিনের মাথায় পড়লে তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় কাভার্ড ভ্যানের চালককে আটক করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একে এম নাজমুল হাসান বলেন, মাদক চোরাচালান সহ সীমান্ত হত্যা কমিয়ে নিয়ে আসার জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মাদক ও চোরাচালানের বিরুদ্ধে আমাদের জিরু টলারেন্স।
তিনি আরো বলেন, আমাদের পক্ষে থেকে চেষ্টা করছি মাদক যেন সীমান্ত দিয়ে কোনভাবে আমাদের দেশে প্রবেশ করতে না পারে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহন করেছে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যেন মাদকের মাধ্যমে ধ্বংস না হয়ে যায় সেইটি আমাদের মূল লক্ষ্য থাকবে। সীমন্ত দিয়ে মাছের বিনিময়ে মাদক আসে এই বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। আমরা চাই কোন অবস্থাতে যেন কোন মাদক না আসে।
আজ ০১ মার্চ বুধবার দুপুরে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় সীমান্ত হত্যা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, সীমান্ত হত্যা কারোর ই কম্য না, কখন কোন পরিস্থিতি কোন ঘটনা ঘটছে, কারোর কাঙ্খিত না একটা জীবন মেরে ফেলুক, তারাও চাই না আমরাও চাই না। তারাও চাই আমরাও চাই সীমান্ত হত্যা যতটুকু নিচে নামিয়ে আনা যায়।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনি (বিএসএফ) এর বাধার মুখে কসবা রেলস্টেশন ও সালদা নদীর ব্রিজের কাজ বন্ধ থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে বিজিবি মহাপরিচালক আরো বলেন, ২০১৬ সালে কাজটি শুরু হেেয় ২০২০ সালে কাজটা বন্ধ হয়ে পরেছিল। এখন আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত যেন সমাধান হয়ে যায়। আমাদের সর্বোচ্চ পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে আমার পক্ষে থেকে বিএসএফ সহ সংশ্লিষ্ট সবার সাথে অফিসিয়ালি যোগাযোগ হয়েছে। আমরা আশা করছি খুব দ্রুত একটি পজিটিভ ফলাফল আসবে এবং কসবা ও সালদা নদীর রেলওয়ে যে প্রজেক্ট আছে সেগুলোতে খুব দ্রুত এর কর্যক্রম শুরু হবে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কে এম আজাদ ব্যুরো চিফ বিএসবি, লেফটেন্যান্ট কর্ণেল, মোহম্মদ আমির মজিদ পরিচালক বিএসবি, লেফটেন্যান্ট কর্ণেল তসলিম এহসান, লেফটেন্যান্ট কর্ণেল, মহিউদ্দিন পিএস টু ডিজি, মেজর, ফা – মিম আদনান এডিসি, সুলতানপুর ৬০ বিজিবি ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মোহাম্মদ আশিক হাসান উল্লাহ, ২৫ বিজিবি সরাইলের রিজিওন কমান্টার ব্রিঃ জেঃ শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।