বাসুদেব ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি গঠন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 27 February 2023, 1614 Views,

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের কমিটি ঘোষণা এতে বাসুদেব ইউনিয়ন শাখার ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির গঠন ও অনুমোদন দেওয়া হয়। এর আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিএনপি’র সদর উপজেলা শাখা কমিটির আহবায়ক মোঃ জহিরুল ইসলাম চৌধুরী লিটন ও সদস্য সচিব মোঃ আলমগীর হোসেনের দলীয় তিনটি প্যাডে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটি অনুমোদনে স্বাক্ষর দেওয়া হয়।

banner

বাসুদেব ইউনিয়ন কমিটিতে কাজী আবুল খায়েরকে সভাপতি, মোঃ মুহিত উল্লাহ মোল্লা মানিক কে সিনিয়র সহ-সভাপতি, মোঃ জয়নাল আবেদিন ভূঁইয়াকে সাধারণ সম্পাদক, মোঃ মুহিউদ্দিন ভূঁইয়া মুক্তাকে সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, মোঃ সুমন ভূঁইয়াকে সাংগঠনিক সম্পাদক (১) ও মোঃ কামাল খাঁনকে সাংগঠনিক সম্পাদক (২) মনোনীত করা হয়।

আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা শাখার সদস্য সচিব মোঃ আলমগীর হোসেন। তিনি আশা করেন সামনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি এই বাসুদেব ইউনিয়ন কমিটি কেন্দ্র এবং জেলা সদর কমিটির সাথে সমন্বয় রেখে বিএনপি’র সকল কর্মসূচিকে বেগবান করে তুলবেন।

বাসুদেব ইউনিয়ন বিএনপিকে একটি যোগ্য নেতৃত্ব এবং শক্তিশালী গ্রহণযোগ্য কমিটি উপহার দেওয়ায় নতুন কমিটির নেতৃবৃন্দ ইঞ্জিনিয়ার খালেদ মাহবুব শ্যামল, আহবায়ক মোঃ জহিরুল ইসলাম চৌধুরী লিটন ভাই ও সদস্য সচিব মোঃ আলমগীর হোসেন কে ধন্যবাদ জানান।

Leave a Reply

গাজীপুরে মামা হত্যার আসামি ভাগিনা গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : গাজীপুরে আনিসুর রহমান হত্যার মামলার আসামি ভাগিনা Read more

সদর মডেল থানায় যোগদান করেই কঠোর…

সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য : আজহারুল ইসলাম সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

চলারপথে রিপোর্ট : ফ্ল্যাট বাসা থেকে শরীর মীর (৪০) নামের Read more

নাসিরনগরে বাবাকে হত্যার ঘটনায় ছেলে আটক

চলারপথে রিপোর্ট : নাসিরনগরে আলম মিয়া (৬০) নামের এক ব্যবসায়ী Read more

আখাউড়ায় খেলাফত মজলিসের প্রার্থীর মতবিনিময়

মোঃ ইসমাইল: ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের খেলাফত মজলিস মনোনীত প্রার্থী Read more

৫০ কেজি গাঁজাসহ একজন গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : ৫০ কেজি গাঁজা ও ১টি সিএনজি উদ্ধারসহ Read more

কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপদসীমায়, জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের…

অনলাইন ডেস্ক : বর্ষার শেষপ্রহরে নেমে আসা অবিরাম বৃষ্টি ও Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার নতুন ওসি আজহারুল…

চলারপথে রিপোর্ট : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে Read more

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে…

অনলাইন ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ঐতিহাসিক Read more

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : কুমিল্লার দাউদকান্দি বারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) Read more

মেক্সিকোতে যাত্রীবাহী বাসে ট্রেনের ধাক্কায় ১০জন…

অনলাইন ডেস্ক : মেক্সিকোর আটলাকোমুলকো শহরে একটি পণ্যবাহী ট্রেন ও Read more

কানাডায় বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

মুমিনুল হক : কানাডার টরেন্টোতে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। Read more

চাঙ্গা হয়ে উঠেছে আবাসন ব্যবসা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 25 July 2023, 1195 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ক্রমেই চাঙ্গা হয়ে উঠেছে আবাসন ব্যবসা। অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা বৃদ্ধি ও পরিবারের নিরাপত্তার কথা ভেবে মানুষ এখন ফ্ল্যাটমুখী। গত ৫ বছরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে আবাসন ব্যবসা।

banner

তবে রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে রড, সিমেন্টসহ নির্মাণ সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে ফ্ল্যাটের দাম। প্রতিবছর ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে বিক্রি হচ্ছে কমপক্ষে তিনশত ফ্ল্যাট। যার বাজার মূল্য প্রায় একশত পঁচিশ কোটি টাকা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত কয়েক বছরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে জায়গার দাম বেড়েছে কয়েক গুন। নিম্ন আয়ের লোকেরা তাদের চাহিদামতো শহরে জায়গা কিনে বাড়ি করতে পারছেন না, তাই তারা ফ্ল্যাটের দিকেই ঝুঁকছেন। আবার অনেক প্রবাসীরাও তাদের সন্তানের লেখাপড়ার সুবিধার্থে শহরে ফ্ল্যাট কিনছেন।

এছাড়াও জায়গা কিনে বাড়ি নির্মান করা বিরাট ঝামেলার কাজ ও বাড়ি নির্মানে পৌরসভার অনুমোদন পাওয়া আগের চেয়ে কঠিন হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানুষ এখন ফ্ল্যাটমুখী হচ্ছেন।

খোঁজ নিয়ে ও সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রায় ১০ বছর আগেই আবাসন ব্যবসা শুরু হয়। তবে মানুষ বর্তমানে ফ্ল্যাটমুখী হওয়ায় গত ৫ বছর ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আবাসন ব্যবসা চাঙ্গা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ফ্ল্যাটের মালিক বলেন, শহরে জায়গার দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ার কারণে জায়গা কিনে বাড়ি করতে পারবোনা বুঝে ফ্ল্যাট কিনেছি। তাছাড়া ফ্ল্যাটে রয়েছে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা।

কয়েক ফ্ল্যাট মালিক বলেন, বর্তমানে শহরে বাড়ি নির্মাণের জন্য জায়গা-জমি কেনা, নির্মাণ সামগ্রী রাখার জায়গার অভাব এবং ভবন নির্মাণে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে অনুমোদন নেওয়াসহ নানা জটিলতার কারনে আমরা ফ্ল্যাট কিনেছি।

আবার অনেক বাড়ির মালিক নিজেরা একটু আরাম-আয়েশে ও বিলাসী জীবনযাপনের জন্য তাদের বাড়ি আবাসন ব্যবসায়ীদেরকে (ডেভলাপার) দিয়ে দিচ্ছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এলাকা ও জায়গার অবস্থান ভেদে আবাসন ব্যবসায়ীদের (ডেভলাপারদের) ৬০ ভাগ, জায়গার মালিকের ৪০ ভাগ, ডেভলাপারদের ৫৫ ভাগ, জায়গার মালিকের ৪৫ ভাগ, ডেভলাপারদের ৫০ ভাগ, জায়গার মালিকের ৫০ ভাগ হারে জায়গার মালিকরা তাদের জায়গা আবাসন ব্যবসায়ীদেরকে দিয়ে দিচ্ছেন।

আবাসন ব্যবসায়ীরা ওই জায়গা নিয়ে দুই ইউনিট, তিন ইউনিট ও চার ইউনিটের ৬তলা, ৮তলা, ১০তলা, ১২তলা ভবন নির্মান করছেন। তবে গত কয়েক বছর ধরে পৌরসভা থেকে ৬ তলার উঁচু ভবনের অনুমোদন দেওয়া হচ্ছেনা।

জেলা শহরের মৌলভীপাড়া, হালদারপাড়া, বাগানবাড়ি, পাইকপাড়া, কাজীপাড়া, কাউতলী ও মুন্সেফপাড়া এলাকায় ফ্ল্যাটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।বর্তমানে এলাকা ও জায়গার অবস্থান ভেদে ফ্ল্যাটের প্রতি স্কয়ার ফুটের মূল্য ৪ হাজার থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকা। যা আগে ছিল ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত।

শহরের হালদারপাড়ার বাসিন্দা বকুল মিয়া বলেন, শহরে জায়গার দাম খুবই বেশী। তাই তিনি সাড়ে চার হাজার টাকা স্কয়ারফুট দামে ১হাজার ২শত স্কয়ারফুটের একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন। দুই ইউনিটের ৮তলা বিশিষ্ট ভবনটিতে লিফট, জেনারেটর, পানিসহ সকল সুবিধা রয়েছে। তবে গ্যাস নেই। তিনি সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করেন।

শহরের পাইকপাড়া এলাকার বাসিন্দা মোঃ আল-আমিন বলেন, শহরে জায়গার দাম বেশী। তিনি পরিবার পরিজন নিয়ে শহরে ভাড়া বাসায় থাকতেন। শহরে জায়গা কিনে তার পক্ষে বাড়ি করা সম্ভব নয় বিধায় তিনি গ্রামে কিছু জায়গা-জমি বিক্রি করে ৩৫ লাখ টাকা দিয়ে একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন। তিনি জানান, তার বাসায়ও গ্যাস নেই। তিনিও সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারি স্কুলের একজন শিক্ষক জানান, তিনি আশুগঞ্জের একটি সরকারি স্কুলে চাকুরি করেন। ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার কথা চিন্তা করে গত ১০/১২ বছর ধরে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে ভাড়া বাসায় থাকতেন। তিনি ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে শহরের মুন্সেফপাড়ায় ১হাজার ২শত স্কয়ারফুটের একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন।

সেলিম মিয়া নামে একজন প্রবাসী জানান, তার বাড়ি নবীনগর উপজেলায়। ছেলেমেয়েদর লেখাপড়ার কথা চিন্তা করে তিনি শহরের বাগানবাড়ি এলাকায় সাড়ে চার হাজার টাকা স্কয়ারফুট দামে ১০৫০ স্কয়ারফুটের একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন।

শহরের কাজীপাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ আলমগীর জানান, শহরের প্রতিটি মহল্লাতেই এখন চড়া দামে জায়গা বিক্রি হচ্ছে। ফলে জায়গা কিনে বাড়ি নির্মাণ করা মধ্যবিত্তদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই মানুষ এখন ফ্ল্যাটের দিকে ঝুঁকছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কলেজ শিক্ষক জানান, শহরে জায়গার দাম বেড়ে যাওয়ায় তারা তিন বন্ধু মিলে বছর পাচেক আগে হালদারপাড়া এলাকায় এক বাড়ির মালিকের কাছ থেকে অর্ধেক অর্ধেক হারে ৪ শতক জায়গা নিয়ে তাতে দুই ইউনিটের ৬তলা ভবন নির্মান করেছেন। তারা তিন বন্ধু পেয়েছেন ৬টি ফ্ল্যাট ও মালিক পেয়েছেন ৬টি ফ্ল্যাট। এতে তারা লাভবান হয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শহরে কমপক্ষে ১৫ থেকে প্রতিষ্ঠান আবাসন ব্যবসার সাথে জড়িত। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ঠিকাদারও আছেন। আবার ৭/৮জন যুবক মিলেও আবাসন ব্যবসা করছেন। এলাকা ভেদে ও জায়গার অবস্থান বুঝে জায়গার মালিকদের সাথে চুক্তি করেন আবাসন ব্যবসায়ীরা। আবাসন ব্যবসায়ীদের (ডেভলাপারদের) ৬০ ভাগ, জায়গার মালিকের ৪০ ভাগ, ডেভলাপারদের ৫৫ ভাগ, জায়গার মালিকের ৪৫ ভাগ, ডেভলাপারদের ৫০ ভাগ, জায়গার মালিকের ৫০ ভাগ হারে জায়গার মালিকরা তাদের জায়গা আবাসন ব্যবসায়ীদেরকে দিয়ে দিচ্ছেন। ভবন নির্মানের সকল খরচ বহন করেন আবাসান ব্যবসায়ীরা। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে আবাসন রেডি হওয়া পর্যন্ত জায়গার মালিক অন্য যে বাসায় ভাড়া থাকেন সেই ভাড়াও পরিশোধ করেন আবাসন ব্যবসায়ীরা।

কয়েকজন আবাসন ব্যবসায়ী জানান, ভবন নির্মাণের জন্য পৌরসভা থেকে নকশা অনুমোদন নিতে হয়। যে স্থানে ভবন নির্মাণ করা হবে- তার পাশে ১৪ থেকে ১৬ ফুট পর্যন্ত রাস্তা থাকলেই ছয়তলা বিশিষ্ট ভবনের অনুমোদন দেয়া হয়। তারা জানান, পৌর শহরের অধিকাংশ এলাকাতেই এই আকারের রাস্তা নেই। এজন্য ভবন নির্মাণ সংক্রান্ত বিদ্যমান বিধি শিথিল করার দাবি জানান তারা।

আবাসন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রফিক কনস্ট্রাকশনের মালিক রফিকুল ইসলাম বলেন, “ মানুষ বাড়ি নির্মাণের ঝামেলা এড়াতে ফ্ল্যাটের দিকে ঝুঁকছেন। সবাই চান ঝামেলামুক্ত আবাসন। আমরা মানুষকে সকল সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত ফ্ল্যাট দিচ্ছি। এছাড়া মধ্যবিত্তরা কিস্তির মাধ্যমেও ফ্ল্যাট কিনতে পারছেন।

আবাসন ব্যবসায়ী মোঃ কাদেরউজ্জামান বলেন, “ রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের কারনে রড, সিমেন্টসহ নির্র্মান সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন ফ্ল্যাট তৈরিতে খরচ পড়ছে বেশি। প্রতি স্কয়ারফুটে এখন খরচ পড়ছে আড়াই হাজার টাকার মতো। তাছাড়া ছয়তলার বেশি উচ্চতার ভবনের অনুমোদন দিচ্ছেনা পৌরসভা। এসব কারণে ফ্ল্যাটের দাম কিছুটা বেশি’।

আবাসন ব্যবসায়ী এম.কে. বিল্ডার্সের মালিক কামরুল ইসলাম বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে বছরে আড়াইশ থেকে তিনশ ফ্ল্যাট বিক্রি হচ্ছে। প্রতিনিয়ত বাড়ছে এই চাহিদা। কিন্তু জায়গা স্বল্পতা এবং ছয়তলার বেশি উচ্চতার ভবন তৈরির অনুমোদন না থাকায় আমরা ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী ফ্ল্যাট দিতে পারছি না। তিনি বলেন, শহরের অধিকাংশ এলাকায় ১৬ ফুটের রাস্তা নেই।

তিনি বলেন, ভবন নির্মাণের জন্য বিদ্যমান বিধি যদি কিছুটা শিথিল করে ছয়তলার অধিক উচ্চতার ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়, তাহলে ফ্ল্যাট বিক্রি বর্তমানের চেয়ে দ্বিগুণ হবে। পাশাপাশি ক্রেতারা তুলনামূলক কম দামে ফ্ল্যাট কিনতে পারবেন।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির বলেন, সর্বনিম্ন ১৪ ফুটের রাস্তা থাকলেই ছয়তলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণ করা যাবে। তবে এটি পৌরসভার কোনো বিধি নয়। সরকার থেকেই এটি নির্ধানর করা হয়েছে। মূলত মানুষের হাঁটাচলা এবং যানবাহন যেন স্বাভাবিকভাবে চলতে পারে- সেজন্যই এই বিধান করা হয়েছে। এক্ষেত্রে পৌরসভার কিছু করার নেই।

প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা ও শিক্ষকদের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করছেন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 19 February 2023, 1618 Views,

অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষককে বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মোকতাদির চৌধুরী এম.পি

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর উপজেলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতি ও বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক সমাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার যৌথ উদ্যোগে সদর উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫০জন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষককে বিদায় সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।

banner

আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকাল ১০টায় স্থানীয় সুর সম্রার্ট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনে অনুষ্ঠিত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

সদর উপজেলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ দেওয়ান হাফিজের সভাপতিত্বে ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনির হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অথিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ খোরশেদ আলম ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার উম্মে সালমা।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা দেলোয়ার, বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক সমাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি মোঃ শাহাদৎ হুসেন, শিক্ষক নেতা মুশফিক জাহাঙ্গীর, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নূর তাহসিনা পলি, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দিন সরকার প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষা ও শিক্ষকদের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করছেন। এক সময় শিক্ষকরা অনেক দুরাবস্থায় ছিলেন।

বর্তমান সরকারের আমলে সেই অবস্থা আর নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার উন্নয়নে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সরকারিকরন, নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, পুরাতন ভবন সংস্কার ও শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধিসহ শিক্ষকদের অনেক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করেছেন।

তিনি বলেন, শিক্ষকরা হলেন মানুষ গড়ার কারিগর। মানুষের জন্য অনেক কঠিন কাজ হলো আরেকজনকে প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা। কিন্তু শিক্ষকরা সেই কঠিন কাজটিই করছেন।

তিনি বলেন, বিদায়ী শিক্ষকরা সারাটি জীবন আমাদের সন্তানদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কাজ করেছেন। আমি তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।

পরে তিনি বিদায়ী ১৮জন প্রধান শিক্ষক ও ৩২ জন সহকারি শিক্ষকের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 11 September 2025, 44 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ফ্ল্যাট বাসা থেকে শরীর মীর (৪০) নামের এক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ ১১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বিয়াল্লিশ্বর গ্রামের একটি ফ্ল্যাট বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

banner

নিহত শরীর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের বিয়াল্লিশ্বর মীরবাড়ির মৃত আব্দুল কাইয়ুম মীরের ছেলে৷ তিনি স্থানীয়ভাবে একজন পরিচিত ব্যবসায়ী এবং কান্দিপাড়ার সিরাজিয়া ট্রেইলার্সের মালিক ছিলেন।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দুই দিন আগে রাতে তিনি নিজ ভাড়া বাসায় প্রবেশ করার পর আর বাইরে বের হননি। এদিকে তার স্ত্রী সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য শহরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি থাকায় ফ্ল্যাটে তিনি একাই ছিলেন।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে ওই ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকে। পাশের ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা বিষয়টি বুঝতে পেরে বাড়ির মালিককে অবগত করেন। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে তারা দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে মরদেহ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন, তিনি হৃদরোগ বা অন্য কোনো শারীরিক জটিলতায় মারা যেতে পারেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম জানান, আমরা ফ্ল্যাট থেকে একজনের লাশ উদ্ধার করেছি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চোর চক্রের ১০ সদস্যকে গ্রেফতার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 28 December 2023, 898 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে চোর চক্রের ১০ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ ২৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

banner

গ্রেফতাররা হলেন বরিশালের মুলাদী উপজেলার আলীমাবাদের শওকত খানের ছেলে আরাফাত খান (১৯) ও মো. রাব্বি খান (২৩), পটুয়াখালীর মৃত শামসু মোল্লার ছেলে সাগর (২৮), ভোলার চরফ্যাশনের শামসুদ্দিনের ছেলে মো. কাশেম (১৯), কুমিল্লার চান্দিনার মৃত সফর মল্লিকের ছেলে মো. গোলাম হোসেন (৪৯), হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জের মোহাম্মদ হেলালের ছেলে সাইদুল (২৭), ঝালকাঠির নলছিটির মৃত আবুল মিয়ার ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম (২৬), বরিশালের গৌরনদীর ইসমাঈল শরীফের ছেলে মো. হাসান (২৫), নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের সিরাজের ছেলে মিরাজ (৩০) ও ময়মনসিংহের মৃত নূর হোসেনের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৫৪)।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের বিভিন্ন স্থানে বাসাবাড়িতে তালা ভেঙে ও গ্রিল কেটে চুরি ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনার জেরে দুই চোরকে হাতেনাতে আটক করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এ চোর চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে রাজধানীর তাঁতি বাজার থেকে চুরি প্রায় সাড়ে ৩ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়।

তিনি জানান, তারা শুধু ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নয়, ঢাকায় সংগঠিত হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে চুরি করে। যে এলাকায় চুরি করে, সেখানে আবাসিক হোটেলে গিয়ে থাকেন। তারপর দিনে হোটেল থেকে বের হয় ঘোরাফেরা করে ফ্ল্যাট এবং বাসা রেকি করে। কোনো বাসা তালাবদ্ধ দেখলে তার বাইরে কয়েকজন সদস্য পাহারা দেয়। বাকির বাসার তালা বা গ্রিল ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে চুরি করে। তাদের বিরুদ্ধে মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান, নেত্রকোনা জেলার সদর, যশোর জেলার কোতোয়ালি, জামালপুর জেলার সদর, কিশোরগঞ্জ জেলার কোতোয়ালি, ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালি, নারায়নগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একাধিক চুরির মামলা রয়েছে।

প্রতিবন্ধীর ছুরিকাঘাতে পুলিশের এসআই আহত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 15 January 2023, 2045 Views,

স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়-৯৯৯ এর ফোন পেয়ে এক দম্পত্তিকে আগুন থেকে উদ্ধার করতে গিয়ে এক মানসিক প্রতিবন্ধীর ছুরিকাঘাতে মোঃ আতিকুল্লাহ (৪৫) নামে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শক (এসআই) গুরুতর আহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশ ওই প্রতিবন্ধীকে আটক করে।

আজ ১৫ জানুয়ারি রবিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সদর উজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বেহাইর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত আতিকুল্লাহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক হিসেবে কর্মরত। হামলাকারী প্রতিবন্ধীর নাম সাইদুল ইসলাম (৩১)। তিনি নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বিহাইর গ্রামের বজলু মিয়ার ছেলে।

banner

স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রবিবার বিকেলে মানসিক প্রতিবন্ধী সাইদুল ইসলাম তার বাবা-মাকে বন্দি করে ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। স্থানীয়দের মধ্যে একজন ৯৯৯ এ ফোন করে এক প্রতিবন্ধী নিজের বাবা-মাকে ঘরে বন্দি করে আগুন লাগিয়ে দিয়েছেন জানিয়ে সাহায্য চান। ফোন পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রনে এনে প্রতিবন্ধী সাইদুল ইসলামের বাবা বজলু মিয়া ও মা আনোয়ারা বেগমকে উদ্ধার করেন।

এক পর্যায়ে পুলিশ সাইদুলকে আটক করার চেষ্টা করলে সাইদুল তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে এসআই আতিকুল্লাহকে পেট ও বুকের ডান পাশে এবং ডান হাতের কনুয়ে আঘাত করেন। এতে আতিকুল্লাহ গুরুতর আহন হন। পরে অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা সাইদুলকে আটক করে ও আহত আতিকুল্লাহকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে যান।

খবর পেয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশন) জয়নাল আবেদীন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোজাম্মেল হোসেন হাসপাতালে ছুটে আসেন। আহত পুলিশের এস.আই আতিকুল্লাহকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন ব্যাগ রক্ত দেয়া হয়।

এ ব্যাপারে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা রানা নুরুস শামস বলেন, আহত আতিকুল্লাহকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। ব্যান্ডেজ দিয়ে তার রক্ত বন্ধ করা হয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার নেওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, আহত পুলিশ সদস্য আতিকুল্লাহকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় নেওয়ার চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, ওই মানসিক প্রতিবন্ধী, তার বাবা ও মা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা আবদুস সামাদ বলেন, আগুন লেগেছে সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছি। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি, ঘরের ভেতরে আগুন। ওই প্রতিবন্ধী যুবক ঘরের ভেতরের ও বাহিরের কলাপসিবল ফটকে তালা দিয়ে হাতে ছুরি বসা রয়েছে। কেউ এগিয়ে গেলেই ওই যুবক আঘাত করার চেষ্টা করে। প্রথমে আমাদের সাথে যাওয়া দুই পুলিশ সদস্য তাকে আটকের চেষ্টা করে। সে সময় ওই প্রতিবন্ধী যুবক এক পুলিশ সদস্যকে ছুরিকাঘাত করে। অন্য পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রতিবন্ধী যুবককে আটক করলে আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি।