ওজন কমানোর ৫টি উপায়

লাইফস্টাইল, 21 December 2024, 917 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
ডায়েট ও জিম আরই ওজন কমানোর একমাত্র রাস্তা নয়। শরীরচর্চা এবং নিয়ম মেনে খাবার খেলেও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। প্রতিদিন নিয়ম করে হাঁটাচলা করলেও ওজন কমানো সম্ভব। প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস গরম পানি খালি পেটে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। গরম পানি শরীরের যাবতীয় দূষিত পদার্থ বের করে দিতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে এবং হজম শক্তিতেও দারুণ সাহায্য করে।

banner

অস্ট্রেলিয়ার পুষ্টিবিদ রাইজ উইথ টিগান জানান জিমে না গিয়ে কোনও কড়া ডায়েট না করেই ১৯ কেজি ওজন কমিয়েছেন। কীভাবে এই অসাধ্য সাধন করলেন? নিজের ইনস্টাগ্রামে তিনি সেই সিক্রেট ভাগ করে নিয়েছেন পুষ্টিবিদ।

ওজন কমানোর ৫ টিপস জেনে রাখুন
ক্যালোরি কমানো: নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টিগান জানিয়েছেন, তিনি দিনে ৫০০ কম ক্যালোরি গ্রহণ করেন। যা তার নিজের শরীরের দৈনন্দিন চাহিদার থেকেও কম। সেই জন্যও ডায়েটেও বদল এনেছেন তিনি।

বাড়িতেই শরীরচর্চা: মেদ ঝরাতে একটু ওয়ার্ক আউট করতেই হবে। তবে তার জন্য অন্য কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন নেই। এমনকি শরীর না দিলে প্রতিদিন করতে হবে না। টিগান জানিয়েছেন তিনি সপ্তাহে ৩ থেকে ৫ বার ৩০ মিনিটের জন্য কঠিন শরীর চর্চা করেন।

নিজের যত্ন নিন: রোগা হবেন নিজের শরীর, মন সম্পর্কে সচেতন হবেন না, যত্নশীল হবেন না তা কখনও হয় নাকি। টিগান জানান, মানসিক চাপ কমাতে, প্রতিদিন যোগা, শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যয়াম করা এবং ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা প্রতিদিন ঘুমোনো নিশ্চিত করতেই হবে।

হাঁটা বাড়ান: মেদ ঝরাতে হাঁটার কোনও বিকল্প নেই। তবে একদিনে অনেকটা হাঁটা যায় না। তাই ধীরে ধীরে সেই পরিমাণটা বাড়ান। প্রথমে ৫০০০ পা তারপর ১০,০০০ পা এইভাবে নিয়মিত একটু করে নিজের ক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করুন।

নিজের দিকে মনোনিবেশ করুন: টিগান জানিয়েছেন, তিনি ওজন কমানোর প্রতিজ্ঞা করার পরে আর অন্যরা কী করছেন সেই দিকে নজর দেননি। এমনকি বাকিরা শুকিয়ে যাচ্ছে তিনি হচ্ছেন না সেই ভাবনাও ভাবেননি। কেবল নিজের জীবন, নিয়মের দিকেই মন দিয়েছিলেন। তার পরামর্শ নিজেরাও বাকিরাও তাই করুন, নিজের ওপর ভরসা রাখুন, আর নিয়ম মেনে চলুন, সাফল্য আসবে।

Leave a Reply

ইটালি প্রবাসী দিদারের মা আনোয়ারা বেগমের…

শফিকুল ইসলাম বাদল : ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের বিরামপুর Read more

কসবায় মায়ের অভিযোগে ছেলের কারাদণ্ড

চলারপথে রিপোর্ট : মাদকাসক্ত ছেলের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে Read more
ফাইল ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

চলারপথে রিপোর্ট : পুকুরের পানিতে ডুবে ইসরাত জাহান নোভা (৯) Read more

ইরান কখনও আপোস করবে না: আয়াতুল্লাহ…

অনলাইন ডেস্ক : জায়নবাদীদের সাথে ইরান কখনও আপোস করবে না Read more
ফাইল ছবি

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক পাঁচ দিনের…

অনলাইন ডেস্ক : রাজধানীর শাহবাগ ও পল্টন মডেল থানার পৃথক Read more
ফাইল ছবি

প্রতারণা করে জুলাই অভ্যুত্থানের সুবিধা নিলে…

অনলাইন ডেস্ক : জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদের পরিবার এবং আহতদের কল্যাণ Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৮ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় নাগরিক…

দুলাল মিয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর Read more

কারাগারে হাজতির মৃত্যু

দুলাল মিয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে জুনায়েদ মিয়া (৩২) নামে Read more

আখাউড়ায় কৃষকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা

চলারপথে রিপোর্ট : কৃষকদের সেচ দক্ষতা বাড়াতে পানি ব্যবহারকারী গ্রুপের Read more

ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের ১১তম ব্যাচের ওরিয়েন্টেশন

সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য: রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের Read more

স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবিতে সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে…

অনলাইন ডেস্ক : স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবিতে সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে অনশন Read more

ইরানে ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানালো ২১…

অনলাইন ডেস্ক : ইরানে ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানিয়েছে মিশরসহ ২১টি Read more

আজ ‘বিশ্ব গোলাপ’ দিবস

লাইফস্টাইল, 7 February 2025, 435 Views,

হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
মানুষের মনকে জয় করার শুভেচ্ছা বার্তা মানেই ফুল। হোক প্রেমিক-প্রেমিকা বা প্রিয়জন। আর সেই ফুলের নামই হচ্ছে গোলাপ। আজ ৭ ফেব্রুয়ারি সেই ফুলের ‌‘বিশ্ব গোলাপ’ দিবস। এই ফুলের রয়েছে কয়েকটি রং। তবে সম্পর্কের ভেদেই দিতে হবে এই ফুল। তাই জেনে নেয়া যাক কোন গোলাপ কাকে দিবেন।

banner

১. সাদা গোলাপ– ক্ষমা চাওয়ার প্রতীক।
২. কমলা গোলাপ– পছন্দ জানানোর প্রতীক।
৩. হলুদ গোলাপ– বন্ধুত্বের প্রতীক।
৪. গোলাপি গোলাপ– সেরা বন্ধুত্বের প্রতীক।
৫. লাল গোলাপ– ভালোবাসার প্রতীক।

উল্লেখ্য, ৭ ফেব্রুয়ারি ছাড়াও প্রতিবছর ২২ সেপ্টেম্বর বিশ্ব গোলাপ দিবস পালন করা হয়। সারা বিশ্ব জুড়ে ক্যানসার রোগীদের জন্য উৎসর্গ করা হয় দিনটি। এর সূত্রপাত ১৯৯৪ সালে কানাডায়।

সারাদিন ফুরফুরে থাকতে যে ৫টি কাজ করুন

লাইফস্টাইল, 5 January 2025, 805 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
আমরা প্রতিনিয়ত ছুটে চলেছি। কিন্তু কিছু বিষয় মেনে চলতে পারলে সেই সোনার হরিণ সফলতা চলে আসবে খুব সহজে।
এজন্য প্রথমে আমাদের সকালের সময়ের সাথে বন্ধুত্ব তৈরি করতে হবে। বলুনতো কত দিন ভোরে ঘুম থেকে ওঠা হয় না?

banner

সারারাত জেগে কাজ করা আর দুপুর পর্যন্ত ঘুমানো আজকাল আমাদের ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এটা কোনো সুস্থ লাইফস্টাইল নয়, সফল এবং সুস্থ জীবনধারা চাবিকাঠি হতে পারে সকালের সময়টার সঠিক ব্যবহার।

আমরা কি জানি বিশ্বের নাম করা এমন অনেক ব্যক্তি আছেন যারা প্রতিদিনের কাজ শুরু করেছেন, সেই ভোরে। এদের মধ্যে মার্গারেট থ্যাচার সকাল ৫টায় উঠে যেতেন বিছানা থেকে।

সকালে আমাদের কর্মক্ষতা এবং উৎপাদনশীলতা অন্য সময়ের তুলনায় অনেক বেশি থাকে। আর রাতে ভালো ঘুমের পর আমরা শারীরিক ও মানসিকভাবেও বেশ ফুরফুরে মেজাজে থাকি। তাই এই সময়ে যেকোনো জরুরি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিলে তা সঠিকভাবে নেওয়া সম্ভব। সফল হতে ও সারাদিন ফুরফুরে মেজারে থাকতে সকাল ৮টার আগে যে পাঁচটি কাজ করতে হবে:

* কাজের তালিকা
অনেক সময় খুব জরুরি করণে কাউকে ফোন করতে হবে, কিন্তু নির্দিষ্ট দিনে ‍আর হয়তো মনেই থাকে না। তাই সারা দিনের জন্য কাজের পরিকল্পনা করে নিন। একটি ডায়েরিতে জরুরি তালিকা করে রাখলে কাজ করা সহজ হবে। আর কাজের চাপে কোনো কিছু ভুলে গেলেও লেখা থাকলে কাজ মিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। ও আরেকটি বিষয়, আমরা শুধু কাজের তালিকার কথা বলি। কিন্তু কাজের ফাঁকে যে বিশ্রাম নিতে হবে তাও লিখে রাখুন। আমরা যখন কাজের মধ্যে ডুবে থাকি তখন অনেক সময় খাওয়ার কথাও ভুলে যাই, ছোট ছোট সব বিষয়গুলো উল্লেখ করেই তালিকা তৈরি করুন। যেমন প্রতিটি জরুরি মিটিংয়ের পর ১০ মিনিট রেস্ট। সময় মতো খাবার খাওয়া, একটানা ডেস্কে বসে না থেকে ফোনে কথা বলার সময় একটু হাঁটা। হলকা কিছু হাত ও ঘাড়ের ব্যায়ামের জন্যও দিনের তালিকায় কিছু সময় বরাদ্দ করুন।

* স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট
কোনো সন্দেহ নেই সকালের নাস্তা দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার। কিন্তু দেরি করে ঘুম থেকে ওঠায় আমাদের অনেকেরই সকালে নাস্তা না করে কাজে দৌঁড়াতে হয়। আর কাজের ঝামেলায় অনক দিনই নাস্তা করার সময় হয় না। রাতের পর দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকায় আমাদের শরীরে বিরূপ প্রভাব পড়ে। এজন্যই নিয়মিত সকালে ওঠার অভ্যেস করতে হবে এবং সকাল আটটার মধ্যে স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে কাজের উদ্দেশে বেরোতে হবে। রুটি, সবজি, ডিম, যেকোনো একটি ফল আর চা হতে পারে স্বাস্থ্যকর নাস্তা। তবে ভিন্নতা আনতে মাঝে মাঝে দুধ দিয়ে কর্নফ্রেক্স বা সবজি খিচুড়িও খাওয়া যায়।

* সময় নিয়ে তৈরি হন
তাড়াহুড়ো করে অফিস বা ক্লাস ধরতে হলে অনেক সময় যেনতেন মতো দৌড়ে বেরিয়ে ‍যাই। কিন্তু সকালে একটু আগে উঠতে পারলে প্রয়োজন মতো তৈরি হওয়ার সময় পাওয়া যায়। যেমন অফিসে জরুরি মিটিংয়ে বাইরের কোনো অফিসের কর্মকর্তা আসবেন। আপনি যেখানে আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করছেন সেখানে সাজ পোশাকটা তো তেমনই হওয়া চাই। তাই তৈরি হওয়ার জন্য নিয়মিত হাতে অন্তত কিছুটা সময় রেখে বিছানা ছাড়ুন।

* ব্যায়াম
প্রতিদিন সাধারণত আমরা যে সময়ে ঘুম থেকে উঠে কাজ শুরু করি ব্যায়াম করার জন্য একটি ঘণ্টা তো দূরের কথা ২০ মিনিটের সময় বের করাও কঠিন। কিন্তু আমরা যদি সকাল ৬টা থেকে দিন শুরু করি তাহলে দেখুন কত সময়। চাইলে ব্যায়াম করতে পারেন। হাঁটা বা ফ্রিহ্যান্ড এক্সারসাইজ আর ইয়োগা যে কোনোটি করতে পারেন। আবার ঘরের টুকিটাকি কাজ করলেও কিন্তু আমাদের ওয়ার্ক আউটটা হয়ে যায়। যেমন বিছানা গোছানো, ফার্নিচার মোছা, মেঝে পরিষ্কার, করতে পারেন যে কোনোটি।

* আধা লিটার পানি
এটা আবার এমন কি জরুরি কাজ, তাই ভাবছেন? কিন্তু প্রতিদিন সকালে বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে নিয়ম করে অন্তত আধা লিটার পানি পান করুন। কারণ আমাদের ত্বক এবং শরীর সব কিছুর সুস্থতার জন্যই পানি অপরিহার্য।

কিডনিতে পাথর হলে যেসব খাবার এড়িয়ে চলতে হবে

লাইফস্টাইল, 18 February 2025, 284 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
বিশ্বব্যাপী মানুষের কিডনিতে পাথর হওয়ার ঘটনা বেড়ে চলায় বিশ্বের নেতৃস্থানীয় স্বাস্থ্য সংস্থাগুলো এখন বেশ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। কিডনি মানবদেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর একটি। যা একটি ফিল্টারের মতো কাজ করে। এর কাজ হলো দেহ থেকে টক্সিন বা খাদ্য বিষ এবং অতিরিক্ত পানি প্রস্রাব আকারে বের করে দেওয়া। কিন্তু এখন প্রচুর মানুষই কিডনিতে পাথর হওয়ার অভিযোগ করেন। প্রস্রাবে থাকা ক্রিস্টাল বা স্ফটিক থেকে কিডনিতে পাথর হয়। এই পাথর প্রস্রাবের নালিতে ব্যথা এবং প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। কিডনির পাথরসমুহকে ক্যালসিয়াম ফসফেট, সিস্টিন, ক্যালসিয়াম অক্সালেট এবং ইউরিক এসিড হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এসবের মধ্যে ক্যালসিয়াম অক্সালেটই মানুষেদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। কিডনিতে পাথর হওয়ার জন্য প্রধানত খাদ্যাভ্যাস দায়ী। সুতরাং কিডনিতে পাথর হওয়া থেকে বাঁচতে চাইলে কিছু খাবার বেশি বেশি খেতে হবে আবার কিছু খাবার পুরোপুরি এড়িয়ে চলতে হবে। সবজি, ফল, পূর্ণ শস্য, নিম্ন-চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত পণ্য, পোল্ট্রি, শীম, মাছ, বাদাম এবং বীজ জাতীয় খাবার খেতে হবে বেশি বেশি। সোডিয়াম এবং সুগার কম আছে এমন খাবার খেতে হবে। তাহলে আসুন এবার জেনে নেওয়া যাক কোন খাবারগুলো খাওয়া যাবেন না বা বাদ দিতে হবে।

banner

১. ক্যাফেইন এবং সোডা এড়িয়ে চলুন: আপনি যদি কিডনিতে পাথর রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে প্রচুর পরিমাণে তরল খেতে হবে। কিন্তু তাই বলে কফি খাবেন না। দিনে দুই কাপের (২৫০-৫০০) বেশি কফি, চা এবং কোল্ড ড্রিঙ্কস খাবেন না। অতিরিক্ত কফি পানে কিডনির অবস্থা আরো খারাপ হবে।

২. সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার: সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে। প্রক্রিয়াজাত এবং ক্যানজাত খাবার খাওয়াও বাদ দিতে হবে। কারণ এসব খাবারে প্রচুর লবণ দেওয়া হয় সংরক্ষণের জন্য। তারচেয়ে বরং কম লবণযুক্ত খাবার খান।

৩. বেশি প্রোটিনযুক্ত খাবার: মাংস, মাছ এর মতো উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়ার পরিমাণও কমিয়ে দিতে হবে। তার চেয়ে বরং চর্বিহীন মাংস সামান্য পরিমাণে তেলে রান্না করে বা সেদ্ধ করে খান। আর বেশি মশলাযুক্ত খাবারও এড়িয়ে চলুন।

৪. উচ্চহারে চর্বিযুক্ত খাবার: পনিরের মতো উচ্চহারে চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়াও বাদ দিতে হবে। তারচেয়ে বরং নিম্নহারে চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার খান। নাস্তার জন্যও আপনার পাস্তুরিত দুধ খাওয়াই উচিত। উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।

৫. ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি খাদ্য: আপনার যদি কিডনিতে পাথর হয়ে থাকে তাহলে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি আছে উচ্চমাত্রায় এমন খাবার এড়িয়ে চলতে হবে আপনাকে। এন্টাসিড ওষুধও এড়িয়ে চলুন কেননা তাতে উচ্চ মাত্রায় ক্যালসিয়াম থাকে। তবে খুবই স্বল্প পরিমাণে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন। এছাড়া মাছের তেল বা ভিটামিন ডি খেতেও সাবধান। কেননা কিডনিতে পাথর থাকলে পরিস্থিতি খারাপ করে তুলতে পারে এসব খাবার।

৬. অক্সালেট সমৃদ্ধ খাবার: আপনার কিডনিতে হওয়া পাথরগুলো যদি হয় ক্যালসিয়াম অক্সালেট তাহলে আপনাকে অবশ্যই অক্সালেট সমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। এমন খাবারগুলো হলো, চা, কফি, বিট, লাউজাতীয় তরকারি, মিষ্টি আলু, স্পিনাক, টমেটো স্যুপ, ক্যানজাত ফলের সালাদ, রুবার্ব বা রেউচিনি, স্ট্রবেরি ইত্যাদি। এছাড়া চকোলেট, টোফু, বাদাম এবং মোটাভাবে চূর্ণিত শস্য বাদ দিতে হবে। আপনার যদি ইউরিক এসিড পাথর হয়ে থাক তাহলে আপনাকে এই খাবারগুলো খাওয়া বাদ দিতে হবেৃ৭. অ্যালকোহল: কিডনিতে পাথর হওয়ার সঙ্গে সরাসরি জড়িতে না হলেও অ্যালকোহল কিডনিদে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। এতে আছে পিউরিন উপাদান যা ইউরিক এসিড পাথর তৈরি করতে পারে। এছাড়া অ্যালকোহল কিডনির কর্মক্ষমতা নষ্ট করে। ৮. হেরিং জাতীয় ছোট মাছ
এই চর্বিবহুল মাছটি বেশ সুস্বাদু। কিন্তু কিডনিতে পাথর সৃষ্টি করতে পারে এই মাছ। সুতরাং এই মাছ না খাওয়াই নিরাপদ। ৯. অ্যাসপ্যারাগাস: অনেক মূত্রবর্ধক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু কিডনিতে পাথর হলে এটি না খাওয়াই ভালো। ১০. সেঁকা বা গেঁজানো খামির: আপনার কিডনিতে যদি ইউরিক এসিড স্টোন হয়ে থাকে তাহলে সেঁকা বা পোড়ানো অথবা গেঁজানো খামির এড়িয়ে চলাই জরুরি। কেননা এতে উচ্চহারে পিউরিন থাকে। এ ছাড়া শীম ও শুটিজাতীয় খাদ্য, ফুলকপি, কিডনি ও লিভারের মাংস, মাশরুম, অলিভ অয়েল এবং সার্ডিন মাছ খাওয়াও এড়িয়ে চলতে হবে।

যে ৪ জিনিস ঘুমানোর সময় দূরে রাখবেন

লাইফস্টাইল, 23 January 2025, 441 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
কিছু জিনিস আছে, যেগুলো রাতে ঘুমানোর সময় আশপাশে বা বালিশের কাছে রাখলে অনেক ক্ষতি করতে পারে। এগুলো শুধু ঘুমের ওপরই নয়, আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

banner

সারা দিনের ক্লান্তির পর যে জিনিসটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, তা হলো প্রশান্ত ও গভীর ঘুম। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা প্রায়শই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো ঘুম পাওয়ার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।

এটি লক্ষণীয় যে এতে শুধু ঘুমের ঘণ্টাই গুরুত্বপূর্ণ নয়, ঘুমানোর উপায়টিও সমান গুরুত্বপূর্ণ।

আপনার কাছে একটু অবাক লাগতে পারে যে বিছানায় ঘুমাচ্ছেন, কিন্তু তার চারপাশের জিনিসগুলো আপনার ঘুম ও স্বাস্থ্যকে কীভাবে প্রভাবিত করে। কিন্তু, হ্যাঁ। আপনি প্রতিদিন ঘুমানোর সময় এমন কিছু জিনিস আপনার আশেপাশে রাখেন, যেগুলো আপনার ক্ষতি করতে পারে।

কী সেই জিনিস, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
ইলেকট্রনিক ডিভাইস না রাখা
আজকাল স্মার্টফোন, ল্যাপটপ ও ট্যাবলেটের মতো ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলো আমাদের জীবনের এমন গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে যে অনেকেই এগুলো থেকে কয়েক মিনিটের দূরত্বও সহ্য করতে পারেন না। এ ক্ষেত্রে ঘুমানোর সময় এই ডিভাইসগুলো আপনার বিছানা থেকে দূরে রাখুন। এই ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলো নীল আলো ও ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ নির্গত করে, যা শুধু আপনার ঘুমকে প্রভাবিত করে না, সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর।
কাজের জিনিস না রাখা

সারাদিন কাজ করার পর ক্লান্ত বোধ করে যখন বিছানায় আসেন, তখন সাধারণত কাজ ভুলে যেতে চান এবং একটি ভালো ঘুম পেতে চান। এমন অবস্থায় ঘুমানোর আগে নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনার বিছানার আশেপাশে অফিস বা অন্য কোনো কাজ সংক্রান্ত কোনো জিনিসপত্র রাখা নেই।

আসলে এর পিছনে একটি বিশুদ্ধ মনস্তাত্ত্বিক কারণ রয়েছে। যখন কাজের সঙ্গে সম্পর্কিত জিনিসগুলো আপনার চারপাশে উপস্থিত থাকে, তখন মনোযোগ কাজের দিকে চলে যায়। এটি মানসিক চাপ ও খারাপ ঘুমের কারণও হয়।
অকেজো জিনিস না রাখা
ভালো ও গভীর ঘুমের জন্য আশপাশের পরিবেশও একই রকম হওয়া উচিত। এমন পরিস্থিতিতে ঘুমানোর আগে ঠিকমতো বিছানা প্রস্তুত করতে মাত্র পাঁচ মিনিট ব্যয় করুন। এ জন্য বিছানায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জিনিসগুলো ঠিক করুন। বিছানা থেকে অপ্রয়োজনীয় জিনিস সরিয়ে ফেলুন এবং দূরে রাখুন। আশেপাশে নোংরা বাসন, ময়লা কাপড়, ওষুধ, কাগজপত্র বা খাবারের জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলে সেগুলো ভালোভাবে ঘুচিয়ে তবেই ঘুমাতে যান। এতে ঘুমের সময় ভালো লাগবে এবং ঘুমও ভালো হবে।

নরম খেলনা নিয়ে ঘুমাবেন না
শুধু শিশুরা নয়, বর্তমানে প্রাপ্তবয়স্করাও কখনো কখনো ঘুমানোর সময় তাদের সঙ্গে একটি বড় টেডি বিয়ার বা কিছু নরম খেলনা রাখেন। এই অভ্যাস স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, নরম খেলনাগুলোতে প্রচুর ধুলাবালি ও আর্দ্রতার কারণে, ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণু জমে থাকে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। তবে প্রিয় সফট টয় ছাড়া ঘুমাতে না পারলে নিয়মিত পরিষ্কার করুন। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

ডালিম খেলে কী কী উপকার হয়?

লাইফস্টাইল, 9 January 2025, 714 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
ডালিম উপকারী ফল হিসেবে সকলেই এটা কম বেশি সবাই জানেন। কিন্তু অনেকেই জানেন না ডালিম খেলে কী কী উপকার হয়? সংক্রমণ প্রতিরোধ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার মতো উপকারিতা আছে ডালিমে। এমনকি হার্ট-অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে এ ফল।

banner

ডালিমের পুষ্টিগুণ
১৪৪ গ্রাম ডালিমে ৯৩ ক্যালরি, ২ দশমিক ৩০ গ্রাম প্রোটিন, ২০ দশমিক ৮৮ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট ও ০ দশমিক ১৪ গ্রাম ফ্যাট থাকে। ডালিমে কমলা, আপেল ও আমের চেয়ে চারগুণ, আতা ও আঙ্গুরের চেয়ে দ্বিগুণ, বরই ও আনারসের চেয়ে প্রায় সাতগুণ বেশি ফসফরাস রয়েছে।

আরও পড়ুন
ওজন কমানোর ৫টি উপায়

ডালিমের উপকারিতা
হার্ট-অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়
যারা নিয়মিত ডালিম খান, তাদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটাই কমে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কেননা ডালিমে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিইনফ্লেমেন্টরি যৌগ থাকে; যা হার্টের জন্য যেমন ভালো, তেমনি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
প্রতিদিন ডালিম খেলে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাকে বাড়বে। হাত পায়ের ব্যথা কমাতেও ডালিম কার্যকরী। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন এ থাকে।

রক্তশূন্যতা দূর
যাদের শরীরে রক্তের পরিমাণ কম, যারা রক্তশূন্যতার সমস্যায় অনেক দিন ধরে ভুগছেন, তারা প্রতিদিন ডালিম খান। এতে শরীরের লোহিত রক্তকণিকা বাড়বে।

আরও পড়ুন
দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত থাকার উপায়

ক্যানসারের ঝুঁকি কমবে
প্রতিদিন ডালিমের রস বা ডালিমের দানা চিবিয়ে খেলে ক্যানসারের ঝুঁকি কমে। এমনটাই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। শরীরের যেকোনো অংশের টিউমারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে এ ফল।

আরও পড়ুন
অ্যাভাসকুলার নেক্রোসিস বা হাড় নষ্ট হয়ে যাওয়া রোগ

জয়েন্টের ব্যথা ও ফোলাভাব কমাতে
ডালিমে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিইনফ্লেমেন্টরি বৈশিষ্ট্য আছে। জয়েন্টের ফোলা ভাব, হাত পায়ের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে এ ফল। এমনকি বাতের সমস্যা থেকেও মুক্তি দিতে পারে ডালিম।