চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইলিয়াস হোসেন মাতব্বর বলেছেন, গত ১৭ বছর স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা বিভিন্ন অন্যায়ের মাধ্যমে দেশের রাজনীতিকে কলুষিত করেছে। গুম, খুনের মাধ্যমে ভীতি কায়েম করেছিল। কিন্তু বাংলাদেশ ছাত্র সমাজকে পিছপা করতে পারেনি। এই ছাত্র সমাজ তাদের রক্তের বিনিময়ে শেখ হাসিনাকে গদি ছাড়তে বাধ্য করেছে।
২২ ডিসেম্বর রবিবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গনে বাংলাদেশ জাতীয় ছাত্র সমাজ জেলা শাখা আয়োজিত ছাত্র সমাগমে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইলিয়াস হোসেন বলেন, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার পর রাজনৈতিক সংকটকালে বিএনপির সৃষ্টি হয়। যা বর্তমানে বৃহৎ দল। তবে ২০২৪ সালের আগস্টে ছাত্র সমাজের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার পর দেশের সবচেয়ে বৃহৎ দল হবে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি। সেদিকে লক্ষ্য রেখে দলীয় নেতাকর্মীদের কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, বিগত ১৭ বছর প্রতিবেশী দেশ ভারত নানানভাবে দেশকে শোষণ করেছে। এখন তারা চট্টগ্রামকে তাদের অংশের সাথে যুক্ত করতে চায়। তাদের উদ্দেশে বলব, ভারতীয় সেনাবাহিনীকে প্রতিহত করতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জনগণই যথেষ্ট। সবশেষে বিজেপির এই নেতা বলেন, তরুণ প্রজন্ম যেহেতু বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির নেতৃত্বের হাল ধরেছে, আগামীতে (বিজেপি) সংসদ দখল করবে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জাতীয় ছাত্র সমাজের কেন্দ্রীয় সদস্য শাহরিয়ার হোসাইন আরিফ ও জেলা জাতীয় ছাত্র সমাজের জেলা শাখার প্রধান সংগঠক মেহেদী মোহাম্মদ নিশাদের পরিচালনায় প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ছাত্র সমাজ কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় যুব সংহতি কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হারুন অর রশিদ, বাংলাদেশ জাতীয় ছাত্র সমাজ কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আলম বাঁধন ও আবিদ চৌধুরী। ছাত্র সমাগম উপলক্ষে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে জাতীয় ছাত্র সমাজের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদান্যতায় ও নির্দেশনায় ডিজিটাল বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছে। সেই ডিজিটাল বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রাপ্তি হচ্ছে ভূমি ব্যবস্থাপনায় ডিজিটালাইজেশন। দীর্ঘ প্রক্রিয়া ও সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে আলোচনা করে ল্যান্ড রেকর্ডকে ধীরে ধীরে ডিজিটালাইজেশনের একটি পর্যায়ে নিয়ে আসা হয়েছে।
আজ ৮ জুন শনিবার নগরীর এম.এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম হলে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় ও জেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত সপ্তাহব্যাপী ভূমিসেবা সপ্তাহ-২০২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ভূমি ব্যবস্থাপনা সহজীকরণের জন্য সরকার একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ নিয়েছে। যাদের ভূমি আছে বা ভূমি ক্রয়-বিক্রয় করলে ভূমির নিবন্ধনের পাশাপাশি বিদ্যমান দখলে কে আছে, ভূমি কর কে দেবে এসব বিষয়গুলো সহজ করার জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ের নিয়ম-নীতি অনুযায়ী যে উদ্যোগ সে উদ্যোগগুলো অনুসরণপূর্বক জেলা প্রশাসন সে দায়িত্বটুকু পালন করে। ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনার কারণে আমরা এখন ভূমি অফিসে না গিয়ে ঘরে বসেই মোবাইলের মাধ্যমে অনলাইনে খাজনা প্রদান, ই-নামজারীর আবেদন ও ভূমির অবস্থানসহ ভূমি সংক্রান্তে সকল ধরণের সেবা গ্রহণ করছি।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার রাজীব হোসেনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম, সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি সঞ্জয় সরকার, জেলা পুলিশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আহমেদ, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল হক চৌধুরী সৈয়দ ও জেলা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সরোয়ার কামাল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন চান্দগাঁও সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইউসুফ হাসান।
ডেস্ক রিপোর্ট :
২৫ ডিসেম্বর থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার জেলায় জেলায় পৌঁছাবে । এখন ব্যালট পেপার মুদ্রণের কাজ চলছে।
আজ ১৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ এ কথা জানান।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ইসি ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ব্যালট পেপার মুদ্রণের কাজ শেষ হবে। এর আগেই ২৫ ডিসেম্বর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় জেলায় জেলায় পৌঁছানো শুরু হবে পেপার।
১৮ তারিখ প্রতীক বরাদ্দ শেষ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ৩০০ আসনে প্রার্থীদের তালিকা পেয়ে গেছি, সে অনুযায়ী ব্যালট পেপার প্রিন্টিংয়ের কাজ চলমান। বিজি প্রেসের তিনটি প্রেসে ব্যালট পেপার প্রিন্ট হচ্ছে। যে সব নির্বাচনী আসনে প্রার্থিতা নিয়ে মামলা রয়েছে, ওই সব আসনে পরে ছাপানোর কাজ শুরু হবে।
৪০টির বেশি আসনে মামলা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা ব্যালট মুদ্রণ ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে চাই। যে সব নির্বাচনী এলাকায় কোনো মামলা নেই, সেখানের পেপার আগে মুদ্রণ হবে। যে সব নির্বাচনী এলাকায় মামলা রয়ে গেছে, হাইকোর্টের আদেশে প্রার্থিতা ফিরে পেতে পারে, কারও প্রার্থিতা চলে যেতে পারে, সেসব এলাকায় আগে মুদ্রণ করলে পুনরায় মুদ্রণ করতে হবে। আগেরগুলো বাতিল হয়ে যাবে, এক্ষেত্রে যেসব আসনে প্রার্থিতা নিয়ে মামলা রয়েছে সেসব আসনে মুদ্রণ পরে হবে।
ব্যালট পেপার মুদ্রণে সুনির্দিষ্ট বাজেট নেই জানিয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, বিজি প্রেসের চাহিদার ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে তাদের ৩৩ কোটি টাকা দিয়েছি। যে ভোটার আছে, তত সংখ্যক ব্যালট ছাপানো হবে। ২৫ তারিখের পর জেলা পর্যায়ে ব্যালট পেপার পাঠানো শুরু হবে। যেগুলো শেষ হবে সেগুলো আগে চলে আসবে। ব্যালট পেপার রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে চলে যাবে। তারপর রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে সংরক্ষিত হবে। কেননা ভোটের দিন জেলা থেকে উপজেলায় এগুলো পাঠানো সম্ভব হবে না। ভোটের দিনের জন্য মালামাল ও ব্যালট বাছাই করতে হয়। সেগুলো আগেই করতে হবে।
ব্যালট ও নির্বাচনী সামগ্রীর নিরাপত্তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ব্যালট পেপার নিরাপত্তা কীভাবে দেবে সেটা নিরাপত্তা বাহিনী ঠিক করবে। নিরাপত্তার মাধ্যমে ব্যালট পেপার রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে যাবে। ইসি তো কোনো স্পেসিফিক বাহিনীকে বলে দেবে না, যে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য। নিরাপত্তা বাহিনী নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। সব নিরাপত্তা সামগ্রী পেয়ে গেছি। স্ট্যাম্পটা নির্বাচনী এলাকায় পৌঁছায়নি। অন্যান্য সামগ্রী আগেই পৌঁছে গেছে। ২-৩ দিনের মধ্যে স্ট্যাম্প পৌঁছে যাবে।
স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়-৯৯৯ এর ফোন পেয়ে এক দম্পত্তিকে আগুন থেকে উদ্ধার করতে গিয়ে এক মানসিক প্রতিবন্ধীর ছুরিকাঘাতে মোঃ আতিকুল্লাহ (৪৫) নামে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শক (এসআই) গুরুতর আহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশ ওই প্রতিবন্ধীকে আটক করে।
আজ ১৫ জানুয়ারি রবিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সদর উজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বেহাইর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত আতিকুল্লাহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক হিসেবে কর্মরত। হামলাকারী প্রতিবন্ধীর নাম সাইদুল ইসলাম (৩১)। তিনি নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বিহাইর গ্রামের বজলু মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রবিবার বিকেলে মানসিক প্রতিবন্ধী সাইদুল ইসলাম তার বাবা-মাকে বন্দি করে ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। স্থানীয়দের মধ্যে একজন ৯৯৯ এ ফোন করে এক প্রতিবন্ধী নিজের বাবা-মাকে ঘরে বন্দি করে আগুন লাগিয়ে দিয়েছেন জানিয়ে সাহায্য চান। ফোন পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রনে এনে প্রতিবন্ধী সাইদুল ইসলামের বাবা বজলু মিয়া ও মা আনোয়ারা বেগমকে উদ্ধার করেন।
এক পর্যায়ে পুলিশ সাইদুলকে আটক করার চেষ্টা করলে সাইদুল তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে এসআই আতিকুল্লাহকে পেট ও বুকের ডান পাশে এবং ডান হাতের কনুয়ে আঘাত করেন। এতে আতিকুল্লাহ গুরুতর আহন হন। পরে অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা সাইদুলকে আটক করে ও আহত আতিকুল্লাহকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে যান।
খবর পেয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশন) জয়নাল আবেদীন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোজাম্মেল হোসেন হাসপাতালে ছুটে আসেন। আহত পুলিশের এস.আই আতিকুল্লাহকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন ব্যাগ রক্ত দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা রানা নুরুস শামস বলেন, আহত আতিকুল্লাহকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। ব্যান্ডেজ দিয়ে তার রক্ত বন্ধ করা হয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার নেওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, আহত পুলিশ সদস্য আতিকুল্লাহকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় নেওয়ার চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, ওই মানসিক প্রতিবন্ধী, তার বাবা ও মা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা আবদুস সামাদ বলেন, আগুন লেগেছে সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছি। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি, ঘরের ভেতরে আগুন। ওই প্রতিবন্ধী যুবক ঘরের ভেতরের ও বাহিরের কলাপসিবল ফটকে তালা দিয়ে হাতে ছুরি বসা রয়েছে। কেউ এগিয়ে গেলেই ওই যুবক আঘাত করার চেষ্টা করে। প্রথমে আমাদের সাথে যাওয়া দুই পুলিশ সদস্য তাকে আটকের চেষ্টা করে। সে সময় ওই প্রতিবন্ধী যুবক এক পুলিশ সদস্যকে ছুরিকাঘাত করে। অন্য পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রতিবন্ধী যুবককে আটক করলে আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
সমাজ সেবায় সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক ‘‘মাদার অব হিউম্যানিটি’’ পরিবর্তিত নাম ‘‘জাতীয় মানব কল্যাণ পদক-২০২০’’ গ্রহণ করছেন, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার। গতকাল গণভবনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁকে এই স্বর্ণ পদক পরিয়েদেন এবং রেপ্লিকা ও সম্মাননা সনদ হস্তান্তর করেন। এসময় জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জনাব র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারে নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, সে কারণে বিশ্বদরবারে ‘‘মাদার অফ হিউম্যানিটি’’ বা ‘‘মানবতার মা’’ হিসাবে খ্যাতি লাভ করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ২০১৯ সালে গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ‘‘মাদার অব হিউম্যানিটি সমাজকল্যাণ পদক নীতিমালা-২০১৮’’ কার্যকর করে।
সমাজসেবায় সর্বোচ্চ অবদানের জন্য আল-মামুন সরকার ২০২০ সালে প্রথমবারের মত এই পদকের জন্য জাতীয় ভাবে মনোনিত হন। পরবর্তীতে নামকরণ জটিলতায় ২০২২ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রী পরিষদ সভায় নামকরণ পরিবর্তন করে, ‘‘জাতীয় মানবকল্যাণ পদক’’ নির্ধারণ করা হয়। এই সম্মাননায় পঁচিশগ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, একটি রেপ্লিকা ও সম্মাননা পত্র এবং নগদ দুই লক্ষ টাকার চেক অন্তর্ভূক্ত।
চলারপথে রিপোর্ট :
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে চার পুলিশসহ ৩৫ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের শতাধিক দোকান-পাট, বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
৩০ আগস্ট বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পৌর শহরের নিউটাউন ও আমলাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, ভৈরব থানা পুলিশ উপ-পরিদর্শক নাজমুল হোসেন, মাহবুব মিয়া, আ. রহমান ও রফিক মিয়া।
এ ঘটনায় উভয় পক্ষের আহতদের মধ্যে শাহদাত হোসেন, মিলন মিয়া, আশিক মিয়া, দিলদার, নিপা বেগম, শুকমান মিয়া, সামী মিয়া, সাজ্জাদ হোসেন, বাদশা মিয়া, রবিন মিয়াকে ভৈরবের বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিক ও ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত শাওন মিয়া ও বিল্লাল মিয়ার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৩০ আগস্ট বুধবার বিকাল ৫টায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে শহরের নিউটাউন এলাকার সামী, সাজ্জাদ, শাওন, রবিন, বিজয় ও আমলাপাড়া এলাকার শাহাদাত, সঞ্জু, মোস্তাকসহ কয়েকজন যুবকের বাকবিতণ্ডের মাধ্যমে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
এ ঘটনার পর সন্ধ্যায় দফায় দফায় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে রাত দশটায় উভয় পক্ষ লাঠি-সোটা, দা-বল্লমসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
এ সময় নারী পুরুষসহ উভয় পক্ষের ৩০ জন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় চার পুলিশ সদস্য আহত হয়।
স্থানীয়রা আরও জানান, কিছু মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীদের ইন্দনে এঘটনা ঘটেছে। গত ২৭ আগস্ট মাদক নিয়ে আমলা পাড়া এলাকায় ভাঙচুর হয়েছে। সেই ঘটনার রেশ ধরে আবারো সংঘর্ষটি ঘটেছে।
এ বিষয়ে নিউটাউন এলাকার মহরম আলী জানান, আমলা পাড়ার দুই টিম আনিশা একাদশ ও আমলাপাড়া একাদশের ফুটবল খেলা ছিল। খেলার মাঠে অফ সাইডকে কেন্দ্র করে রেফারিকে নিউটাউন এলাকার কয়েকজন যুবক মারধর করে। দুই টিমের খেলোয়াড়রা প্রতিবাদ করলে উভয় পক্ষের লোকজনের মাঝে মারামারি হয়। পরে স্থানীয় কাউন্সিলরসহ নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে বিষয়টি মীমাংসা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। পরে আবার রাত দশটায় উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম শিমুল বলেন, ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। এ ঘটনায় প্রায় শতাধিক বাড়িঘর ও দোকান-পাট ভাঙচুর করা হয়েছে। আমি চাই দোষীদের খুঁজে বের করে সাজা দেয়া হোক। আমি পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে অসহায় দোকানি শফিকুল ইসলাম, চা দোকানি পাখি বেগম, দোকানি হৃদয়, বাচ্চু মিয়াসহ স্থানীয়রা জানান, মাঠে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে। তারা কেন আমাদের দোকানপাট বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে। আমরা গরীব মানুষ। দিনে আনি দিনে খাই। এখন আমাদের কি হবে। ভৈরব থানার ওসি মোহাম্মদ মাকছুদুল আলম বলেন, ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছে। শহরের নিউটাউন এলাকা ও আমলাপাড়া এলাকার যুবকরা দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এ ঘটনায় চারজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।