অনলাইন ডেস্ক :
ধুলাবালি, মরা চামড়া ইত্যাদি নানান কারণে নাকের দুই পাশ, থুতনি ও গালে ব্ল্যাকহেডস হয়। মূলত তৈলাক্ত ত্বকে এগুলো বেশি হয়ে থাকে। ব্ল্যাকহেডস চেহারার সৌন্দর্য নষ্ট করে। পারলারে গিয়ে মুখের যত্ন নিলে আবারও কিছুদিন পর এগুলো মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। এজন্য নিয়মিত ঘরেই যত্ন নেয়া দরকার।
ব্ল্যাকহেডস দূর করার ঘরোয়া উপায়
চিনির স্ক্রাব
ফাংশনাল প্ল্যান্ট সায়েন্স অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিজ্ঞান পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, চিনির স্ক্রাব খুব ভালভাবে ত্বক এক্সফোলিয়েট করতে পারে। অর্থাৎ ত্বকের ভেতর থেকে মৃত কোষ টেনে বের করতে পারে। বাজারের যেকোনো স্ক্রাবারের চেয়ে কয়েকগুণে ভালো কাজ করে চিনির স্ক্রাব।
আধা চা চামচ চিনির সাথে এক চামচ নারকেল তেল অথবা আমন্ড অয়েল বা জোজোবা অয়েল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ ত্বকে মালিশ করুন ৫ মিনিট। ১৫ মিনিট রেখে পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। গালে অনেক বেশি ব্ল্যাকহেডস থাকলে সপ্তাহে ২-৩ দিন স্ক্রাব করতে পারেন।
টি ট্রি তেল
টি ট্রি তেলে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে। এই তেলের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণও আছে। ত্বকের যে কোনো সংক্রমণ, দাগছোপ, ব্রণ-ফুস্কুড়ির সমস্যা দূর করতে পারে টি ট্রি অয়েল। তবে ব্যবহারবিধি জানতে হবে।
প্রথমে উষ্ণ পানিতে ভালো করে মুখ ধুয়ে নিন। শুকনো করে মুছে তুলোয় টি ট্রি অয়েল নিয়ে গাল ও নাকের যেখানে ব্ল্যাকহেডস হয়েছে সেখানে লাগিয়ে রাখতে হবে। তবে এসেনশিয়াল অয়েল সরাসরি ত্বকে লাগালে যদি কোনও সমস্যা হয়, তাহলে নারকেল তেল বা আমন্ড অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন। মিনিট ১৫ রেখে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।
মধুর স্ক্রাব
ত্বকের জন্য মধু খুবই উপকারী। এক চা চামচ মধুর সাথে এক চামচ চিনি ও এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে ভালো করে ত্বকে মালিশ করে নিন। ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২-৩ দিন স্ক্রাব করলে ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।
অনলাইন ডেস্ক :
সকালের নাশতায় ওটস খুবই ভালো একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প—বিশেষ করে যদি আপনি পুষ্টিকর, সহজে হজমযোগ্য এবং দীর্ঘসময় পেট ভরা রাখে এমন কিছু খুঁজছেন।
ওটসের উপকারিতা-
১. উচ্চ ফাইবারযুক্ত: বিশেষ করে বেটা-গ্লুকান নামে একটি দ্রবণীয় ফাইবার থাকে, যা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
২. লম্বা সময় ধরে পেট ভরা রাখে: এর কারণে আপনি বারবার ক্ষুধা পাবেন না, ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
৩. হার্টের জন্য ভালো: কোলেস্টেরল কমায় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৪. হজমে সহায়ক: ফাইবার থাকায় হজমের সমস্যা কমায় এবং পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
৫. প্রোটিনের ভালো উৎস: বিশেষ করে যদি আপনি ওটসের সাথে দুধ, বাদাম বা দই যোগ করেন।
কীভাবে খেতে পারেন-
দুধ বা পানিতে সেদ্ধ করে, সঙ্গে মধু, ফল (যেমন: কলা, আপেল, বেরি), বাদাম ইত্যাদি যোগ করে।
ওভারনাইট ওটস: রাতে দুধে ভিজিয়ে রেখে সকালে ঠান্ডা করে ফল আর বাদাম দিয়ে খেতে পারেন।
সেভরি ওটস: নোনতা ওটস রান্না করে সবজি, ডিম দিয়ে খাওয়া যায়।
সাবধানতা-
ইনস্ট্যান্ট ওটস এড়ানো ভালো, কারণ তাতে অনেক সময় অতিরিক্ত চিনি বা প্রিজারভেটিভ থাকে।
ডায়াবেটিস থাকলে ফলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রিত রাখা দরকার।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রতিদিন এর ব্যস্ত জীবনযাত্রার কারণে ইদানীং অনেকেই ভুগছেন পিঠের ব্যথায়। কিন্তু জানেন কি–ঘরোয়া উপায়ে সহজেই এ সমস্যা থেকে মুক্তি মিলতে পারে?
সারা দিন চেয়ারে বসে কাজকর্ম করতে গিয়ে আমাদের শরীরে জেঁকে বসে নানা রোগব্যাধি। পেশিতে টান ধরা, হাত-পায়ের যন্ত্রণা, হাড়ের বিভিন্ন রোগ–এসব তো আছেই; কিন্তু দিনের একটা বড় সময় চেয়ারে বসে থাকতে থাকতে পিঠেও শুরু হয় ভীষণ যন্ত্রণা।
দিনের বেশির ভাগ সময় অফিসে কাজ করেন কম্পিউটার বা ল্যাপটপে মুখ গুঁজে। রয়েছে বাড়ির হাজার কাজ। ফলে রাতে যখন বিছানায় গিয়ে বালিশে মাথা ঠেকান, সেই মুহূর্ত থেকে শুরু হয়ে যায় নানা অঙ্গে ব্যথা। বিশেষ করে পিঠের ব্যথা। ঠিকমতো ঘুমানো যায় না। বিভিন্ন বয়সের মানুষজন এ সমস্যায় এখন নিয়মিত ভুগছেন।
ব্যথা-বেদনা হলেই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ‘পেইন কিলার’ বা ব্যথার ওষুধ কিনে খেয়ে থাকেন অনেকেই। কিন্তু এভাবে নিজের মর্জিমতো ওষুধ ক্রমাগত খেলে শরীরে নানা রকমের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তার বদলে উপায় থাকলে ব্যথা উপশমের জন্য নানা প্রাকৃতিক উপাদান বা পদ্ধতির আশ্রয় নেওয়া যেতে পারে। এমন একটি প্রাকৃতিক উপাদানের মধ্যে রয়েছে একটি মসলা, যা নিয়মিত খেলে কমতে পারে পিঠের ব্যথা।
একটি মসলায় মিলতে পারে এ সমস্যার সমাধান। নিয়ম করে তা খেতে হবে। তাহলেই আর সারা দিন ঘাড় নিচু করে কাজ করলেও কষ্ট হবে না।
কোন মসলায় কমে ব্যথা?
দারুচিনিতে রয়েছে নানা ধরনের উপকারী উপাদান। তাতে ফাইবার, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্ক সব রয়েছে। থাকে নানা ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্টও। সব কটি উপাদান মিলে শরীরের বিভিন্ন অংশে তৈরি হওয়া ক্ষত ঠিক করে। কমতে শুরু করে সব ধরনের ব্যথা।
কীভাবে খাবেন?
সাধারণত বাঙালি বহু রান্নায় দারুচিনি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিন্তু তা নিয়মিত খাওয়া হয়ে ওঠে না। নিয়ম করে দারুচিনি খেতে হলে চায়ে মিশিয়ে খেতে পারেন। তাতে খানিকটা আরাম মিলবে। রোজ সকালে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস আর দারুচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে চা খান। ক্রমেই কমতে থাকবে ব্যথার সমস্যা।
অনলাইন ডেস্ক :
আজকাল যৌবন ধরে রাখতে, সুন্দর দেখাতে নারী-পুরুষ সবাই দারুণ আগ্রহী। কাজেই পোশাক, চুল, ত্বক ও দাড়ির স্টাইল সময়ের সঙ্গে মিলিয়ে চলতে এবং নিজেকে তরুণ দেখাতে অনেক কিছুই করতে হয়। তবে কি এসবই শেষ সমাধান? মোটেও এমনটা নয়। রূপ বোদ্ধাদের মতে, ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে এবং নিজেকে চিরতরুণ রাখার জন্য ছোট ছোট কিছু নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন। স্কিন কেয়ার রুটিন ও স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইলই উজ্জ্বল-তারুণ্যদীপ্ত ত্বকের ইচ্ছা পূরণ করবে।
প্রাথমিক স্কিন কেয়ার : ভিটেন-হ্যার্ডেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্বক বিশেষজ্ঞ উলরিকে হাইনরিশ বলেন, ‘বয়স বাড়া মানেই কোনো কিছু পরিত্যাগ করা নয়। বয়সের সঙ্গে সৌন্দর্য হারাতে হবে- এমন কোনো কথা নেই। বয়সের সঙ্গে ত্বক পাতলা এবং শুষ্ক হয়। তাই এমন ক্রিম বা কসমেটিক ব্যবহার করতে হবে যাতে ভিটামিন এ, সি এবং ই-থাকে। আর হ্যাঁ, ত্বক ভালো রাখতে প্রাথমিক স্কিন কেয়ার রুটিন মেনে চলা প্রয়োজন। না হলে ত্বকের সমস্যা বাড়তে পারে। এমনকি বয়সের ছাপ পড়ে ত্বকে।
প্রাত্যহিক ত্বকের পরিচর্যা
প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে শুতে যাওয়ার আগে প্রথমে মুখ ভালোভাবে ক্লিনজিং করুন। তারপর প্রাকৃতিক টোনার ও ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।
সানস্ক্রিন কখনো ভুলবেন না। রোদের ক্ষতিকারক রশ্মি ত্বকের ক্ষতি করে। ফটোএজিং ঘটায়। ফলে সময়ের আগেই ত্বক বুড়িয়ে যায়। তাই মেঘলা দিনেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত।
বয়স ৩০ পেরোলেই অ্যান্টি-এজিং স্কিন কেয়ার রুটিন ফলো করা উচিত। রেটিনল, AHA সমৃদ্ধ প্রোডাক্ট ত্বকে ব্যবহার করতে হবে। সৌন্দর্যচর্চায় আগের ট্রেন্ড ফিরে এসেছে। অর্থাৎ গাছগাছালির পাতা, রস, শেকড় ইত্যাদির তৈরি ভেষজ ক্রিম, পাউডার, তেল ব্যবহার করতে পারেন।
অসময়ে ত্বকে বলিরেখা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। শারীরিক সমস্যা বা পুষ্টির অভাবেও এমন হতে পারে। সঠিকভাবে ত্বকের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি আপনাকে জীবনশৈলীর দিকেও নজর দিতে হবে। বিশেষ করে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে।
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করাও জরুরি। রাতে অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম দরকার। নিয়মিত ব্যায়াম করতে ভুলবেন না। এই ছোট ছোট নিয়মগুলো মেনে চললেই আপনিও পাবেন চিরতরুণ ত্বক।
লেখা : উম্মে হানি
অনলাইন ডেস্ক :
মানুষ ব্রেকফাস্ট এড়িয়ে যাওয়া খুব সহজ বলে মনে করে। তবে, অনেকেই দৈনন্দিন রুটিনে ব্রেকফাস্ট এড়িয়ে যান। কিন্তু ব্রেকফাস্ট এড়িয়ে যাওয়ার ফলে যে সমস্যা হয়, তা তারা বোঝেন না। বিশেষজ্ঞদের মতে, বয়স বাড়ার সাথে সাথে ব্রেকফাস্ট এড়িয়ে যাওয়ার কারণে সৃষ্ট নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে ব্রেকফাস্ট যাতে বাদ না পড়ে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
ব্রেকফাস্ট এড়িয়ে যাওয়ার ফলে যে ক্ষতি হতে পারে তা নিয়েই আজকের প্রতিবেদন। চলুন, জানা যাক। দিন শুরু করার জন্য ব্রেকফাস্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এটি আমাদের সারাদিন কাজ করতে এবং ক্রিয়াকলাপে অংশগ্রহণ করার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি ও পুষ্টি সরবরাহ করে। ব্রেকফাস্ট বাদ দিলে আমাদের শরীর ও মুখের ওপর অনেক নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
ত্বকের সমস্যা
ব্রেকফাস্ট বাদ দিলে ব্রণ, বলিরেখা ও ত্বকের স্বর পরিবর্তনের মতো ত্বকের সমস্যা হতে পারে। একবার আপনার মুখে এইসব ঘটতে শুরু করলে ওষুধ খাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না।
চোখের নিচে কালো দাগ
ব্রেকফাস্ট না করলে চোখের নিচে কালো দাগ পড়তে পারে। যা ক্লান্তি ও দুর্বলতার লক্ষণ। ব্রেকফাস্ট অনেক শক্তি দেয়, কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা ক্ষুধার্ত থাকলে চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে যাওয়ার সম্ভবনা বাড়ে।
আরও পড়ুন
প্রাকৃতিক ভাবে ঘন করুন ভ্রু
মুখের রঙের পরিবর্তন
ব্রেকফাস্ট এড়িয়ে গেলে মুখের রঙের পরিবর্তন হতে পারে। যেমন- মুখ ফ্যাকাশে বা শুকনো দেখায়। সেইসঙ্গে মুখের রং ফরসা হয়ে যায়।
শক্তির অভাব
ব্রেকফাস্ট এড়িয়ে গেলে শক্তির অভাব হতে পারে। যার ফলে আপনি ক্লান্ত ও দুর্বল বোধ করতে পারেন।
জমের সমস্যা
ব্রেকফাস্ট বাদ দিলে অ্যাসিডিটি, গ্যাস ও পেটে ব্যথার মতো হজমের সমস্যা হতে পারে। সকালের খাবার বাদ দিলে পেটে গ্যাসের সমস্যা হয়।
আরও পড়ুন
মন ভালো করার টিপস জেনে নিন
ওজন বৃদ্ধি
ব্রেকফাস্ট বাদ দিলে ওজন বাড়তে পারে। কারণ আপনি দিনের বেলা বেশি খেতে পারেন।
মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব
ব্রেকফাস্ট এড়িয়ে যাওয়া মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে। যেমন- স্ট্রেস, উদ্বেগ ও বিষণ্নতা। তাই ব্রেকফাস্ট কখনই বাদ দেওয়া উচিৎ নয়। একটি স্বাস্থ্যকর ও সুষম সকালের নাস্তা আপনাকে সারা দিনের জন্য শক্তি ও পুষ্টি সরবরাহ করে।
অনলাইন ডেস্ক :
১. অ্যাভাসকুলার নেক্রোসিস এমন একটি রোগ যা হাড়ের স্থায়ী বা অস্থায়ীভাবে রক্ত সরবরাহ বন্ধের ফলে হয়। রক্ত সরবরাহ বন্ধ হলে হাড়ের টিস্যু মারা যায় এবং হাড় ভেঙে যায়। যখন কোন জয়েন্ট যেমন হিপ জয়েন্ট এর কাছাকাছি হয় তখন জয়েন্টের পৃষ্ঠটি ভেঙে যেতে পারে। এই অবস্থা যেকো হাড়ে হতে পারে এটি সাধারণত লম্বা হাড়ের শেষ মাথায় হয়। সাধারণত ১টি হাড়, একই সময়ে অনেক হাড় অথবা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন হাড়কে ক্ষয়গ্রস্থ করে।
২. কোথায় কোথায় নেক্রোসিস হতে পারেঃ
গোড়ালি
চোয়ালে
হাটুতে
হাতের হিউমেরাস ও কাধের জয়েন্টে
পায়ের ফিমার ও হিপ জয়েন্টে
৩. অ্যাভাসকুলার নেক্রোসিসের কারণঃ
কোন কারণে জয়েন্টে আঘাত পেলে
জয়েন্ট ভেঙে গেলে
কোনো কারনে রক্তনালী ক্ষতিগ্রস্থ হলে
দীর্ঘদিন ধরে কর্টিকোস্টেরয়েড ঔষুধ সেবন করলে
দীর্ঘদিন ধরে এবং অতিরিক্ত মদ্য পান করলে
দীর্ঘদিন ধরে কোন রোগে আক্রান্ত হলে যেমনঃ ডায়াবেটিস
রক্তে কোন রোগ থাকলে। সিকেল সেল অ্যানিমিয়া লিউকেমিয়া
রেডিয়েশনের বা কেমোথেরাপি কারণে
এইচআইভি / এইডস রোগের জন্য ।
অটো ইমিউন রোগের জন্য
হাইপার লিপিডেমিয়ার কারণে
হাইপার কোয়াগুলেবেল অবস্থায় থাকলে
প্যানক্রিয়াটাইটিস, গাউচার রোগ, সিস্টেমেটিক লুপাস ইরাইথিম্যাটাস রোগ থাকলে
কোন অঙ্গ প্রতঙ্গ প্রতিস্থাপন করলে
জয়েন্ট ডিসলোকেশন
৪. রোগের লক্ষণঃ
হাঁটাচলা করার সময় ব্যাথা লাগা
পায়ে টান লাগা
সিঁড়ি বেয়ে ওঠার সময় ব্যথা অনুভব করা
দাঁড়ানোর সময় ব্যথা অনুভব করা
হাটু ভেঙে বসতে না পারা
আক্রান্ত অঙ্গ ছোট হয়ে যাওয়া
কুচকিতে উরুতে, নিতম্বে ব্যথা হওয়া
বিশ্রাম নেওয়ার সময় ব্যথা অনুভব হওয়া
ক্রস পায়ে বসতে না পারা
৫.রোগ নির্ণয়ঃ
এক্স-রে
এমআরআই
সিটি স্ক্যান
হাড়ের স্ক্যান
বাইওপসি
হাড়ের কার্যকারিতা পরীক্ষা
৬. চিকিৎসাঃ
এ রোগের চিকিৎসা কিছু বিষয়ের উপর নির্ভর করে, যেমনঃ বয়স,রোগের পর্যায়, হাড়ের ক্ষতির পরিমান।
নন সার্জিক্যাল চিকিৎসাঃ
আক্রান্ত স্থানে ঠান্ডা বা গরম সেঁক, কিছু ননস্টেরয়েডাল এন্টি ইনফ্লামেটরি ঔষধ, ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা এবং পুনর্বাসন এবং বিশ্রাম কার্যকর।
সার্জিক্যাল চিকিৎসাঃ
কোর ডি কম্প্রেশন ( Core Decompression)
হাড় গ্রাফটিং (Bone Grafting)
অস্টিওটমি (Osteotomy)
সম্পূর্ণ হিপ জয়েন্ট প্রতিস্থাপন (Total Hip Joint Replacement)
৭. জটিলতাঃ
চিকিৎসা করা না হলে, এই রোগ ধীরে ধীরে খারাপ রূপ ধারণ করে, অ্যাভাসকুলার নেক্রোসিসের ফলে হাড়ের মসৃণ আকৃতি নষ্ট হয় ফলে আর্থ্রাইটিস হতে পারে। ব্যথা বা অন্য কোন লক্ষণ প্রকাশ পেলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের শরনাপন্ন হতে হবে।
লেখক: ডা. মো. সফিউল্যাহ প্রধান, ফিজিওথেরাপি, ডিজএবিলিটিস ও রিহেবিলিটেশন স্পেশালিস্ট, সহযোগী অধ্যাপক (আইআইএইচএস) ও কনসালটেন্ট ডিপিআরসি, শ্যামলী, ঢাকা।