অনলাইন ডেস্ক :
ধুলাবালি, মরা চামড়া ইত্যাদি নানান কারণে নাকের দুই পাশ, থুতনি ও গালে ব্ল্যাকহেডস হয়। মূলত তৈলাক্ত ত্বকে এগুলো বেশি হয়ে থাকে। ব্ল্যাকহেডস চেহারার সৌন্দর্য নষ্ট করে। পারলারে গিয়ে মুখের যত্ন নিলে আবারও কিছুদিন পর এগুলো মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। এজন্য নিয়মিত ঘরেই যত্ন নেয়া দরকার।
ব্ল্যাকহেডস দূর করার ঘরোয়া উপায়
চিনির স্ক্রাব
ফাংশনাল প্ল্যান্ট সায়েন্স অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিজ্ঞান পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, চিনির স্ক্রাব খুব ভালভাবে ত্বক এক্সফোলিয়েট করতে পারে। অর্থাৎ ত্বকের ভেতর থেকে মৃত কোষ টেনে বের করতে পারে। বাজারের যেকোনো স্ক্রাবারের চেয়ে কয়েকগুণে ভালো কাজ করে চিনির স্ক্রাব।
আধা চা চামচ চিনির সাথে এক চামচ নারকেল তেল অথবা আমন্ড অয়েল বা জোজোবা অয়েল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ ত্বকে মালিশ করুন ৫ মিনিট। ১৫ মিনিট রেখে পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। গালে অনেক বেশি ব্ল্যাকহেডস থাকলে সপ্তাহে ২-৩ দিন স্ক্রাব করতে পারেন।
টি ট্রি তেল
টি ট্রি তেলে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে। এই তেলের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণও আছে। ত্বকের যে কোনো সংক্রমণ, দাগছোপ, ব্রণ-ফুস্কুড়ির সমস্যা দূর করতে পারে টি ট্রি অয়েল। তবে ব্যবহারবিধি জানতে হবে।
প্রথমে উষ্ণ পানিতে ভালো করে মুখ ধুয়ে নিন। শুকনো করে মুছে তুলোয় টি ট্রি অয়েল নিয়ে গাল ও নাকের যেখানে ব্ল্যাকহেডস হয়েছে সেখানে লাগিয়ে রাখতে হবে। তবে এসেনশিয়াল অয়েল সরাসরি ত্বকে লাগালে যদি কোনও সমস্যা হয়, তাহলে নারকেল তেল বা আমন্ড অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন। মিনিট ১৫ রেখে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।
মধুর স্ক্রাব
ত্বকের জন্য মধু খুবই উপকারী। এক চা চামচ মধুর সাথে এক চামচ চিনি ও এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে ভালো করে ত্বকে মালিশ করে নিন। ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২-৩ দিন স্ক্রাব করলে ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।
অনলাইন ডেস্ক :
মন হঠাৎ করেই খারাপ হচ্ছে। খিটখিটে হচ্ছে মেজাজ। কর্মব্যস্ত এই সময়ে পুরুষ ও নারী উভয়ের ক্ষেত্রেই মন খারাপ হয়। আমাদের মন খারাপ হওয়া মানেই কিন্তু মানসিক রোগ না। মন খারাপ হলো সাধারণ আবেগ। বিভিন্ন কারণে আমাদের মন খারাপ হতে পারে। তবে হঠাৎ মন খারাপ হলে তখন কোনো কাজে মন বসতে চায় না, তখন ভালো লাগে না আশপাশের মানুষজনের কথাও। আমরা সবাই কম-বেশি এমন সমস্যায় পড়ি, যখন কিছুই ভালো লাগবে না তখন যা করতে পারেন:
আরও পড়ুন
এইচএমপি ভাইরাস ঠেকাতে যেসব সতর্কতা মানার পরামর্শ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের
* নিয়মিত ব্যায়াম করুন, এটা মনকে সারাদিন সতেজ রাখতে সাহায্য করে
* উল্টো পরিস্থিতি জটিল করে তোলে
* সুষম খাদ্য গ্রহণ
* কোনো বিষয় নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন না হওয়া
* ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে
আরও পড়ুন
ঘরোয়া উপায়ে কমবে পিঠের ব্যথা
* উত্তেজনা কোনো বিষয়ে সমাধান বয়ে আনে না
* সময় মতো সব কাজ করার অভ্যেস গড়ে তুলতে হবে
* অনেকেই আছেন সারা রাত জেগে কাজ করেন আর সারাদিন ঘুমান। এটা শরীর ও মন দুটোর জন্যই ক্ষতিকর
* ইতিবাচক চিন্তা করুন, জীবনকে সহজ করে দেখুন
* দুশ্চিন্তা এড়িয়ে চলুন
* বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিন
* মনে কষ্ট পুষে না রেখে বিশ্বস্ত কারও সঙ্গে শেয়ার করুন
আরও পড়ুন
ঘরোয়া উপায়ে মুখের ব্ল্যাকহেডস দূর করুন
* সময় পেলে পছন্দের কোথাও বেড়াতে যাওয়া যায়
* গান শুনুন, মাছ ধরুন, সাঁতার কাটুন বাধা-ধরা জীবন থেকে বেরিয়ে কিছুক্ষণের জন্য হলেও ভালো লাগার কাজে, নির্মল আনন্দে ডুবে থাকুন
* এতো কিছুর পরও যদি মন ভালো না হয়, তবে কাউন্সিলরের পরামর্শ নিন।
অনলাইন ডেস্ক :
১. অ্যাভাসকুলার নেক্রোসিস এমন একটি রোগ যা হাড়ের স্থায়ী বা অস্থায়ীভাবে রক্ত সরবরাহ বন্ধের ফলে হয়। রক্ত সরবরাহ বন্ধ হলে হাড়ের টিস্যু মারা যায় এবং হাড় ভেঙে যায়। যখন কোন জয়েন্ট যেমন হিপ জয়েন্ট এর কাছাকাছি হয় তখন জয়েন্টের পৃষ্ঠটি ভেঙে যেতে পারে। এই অবস্থা যেকো হাড়ে হতে পারে এটি সাধারণত লম্বা হাড়ের শেষ মাথায় হয়। সাধারণত ১টি হাড়, একই সময়ে অনেক হাড় অথবা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন হাড়কে ক্ষয়গ্রস্থ করে।
২. কোথায় কোথায় নেক্রোসিস হতে পারেঃ
গোড়ালি
চোয়ালে
হাটুতে
হাতের হিউমেরাস ও কাধের জয়েন্টে
পায়ের ফিমার ও হিপ জয়েন্টে
৩. অ্যাভাসকুলার নেক্রোসিসের কারণঃ
কোন কারণে জয়েন্টে আঘাত পেলে
জয়েন্ট ভেঙে গেলে
কোনো কারনে রক্তনালী ক্ষতিগ্রস্থ হলে
দীর্ঘদিন ধরে কর্টিকোস্টেরয়েড ঔষুধ সেবন করলে
দীর্ঘদিন ধরে এবং অতিরিক্ত মদ্য পান করলে
দীর্ঘদিন ধরে কোন রোগে আক্রান্ত হলে যেমনঃ ডায়াবেটিস
রক্তে কোন রোগ থাকলে। সিকেল সেল অ্যানিমিয়া লিউকেমিয়া
রেডিয়েশনের বা কেমোথেরাপি কারণে
এইচআইভি / এইডস রোগের জন্য ।
অটো ইমিউন রোগের জন্য
হাইপার লিপিডেমিয়ার কারণে
হাইপার কোয়াগুলেবেল অবস্থায় থাকলে
প্যানক্রিয়াটাইটিস, গাউচার রোগ, সিস্টেমেটিক লুপাস ইরাইথিম্যাটাস রোগ থাকলে
কোন অঙ্গ প্রতঙ্গ প্রতিস্থাপন করলে
জয়েন্ট ডিসলোকেশন
৪. রোগের লক্ষণঃ
হাঁটাচলা করার সময় ব্যাথা লাগা
পায়ে টান লাগা
সিঁড়ি বেয়ে ওঠার সময় ব্যথা অনুভব করা
দাঁড়ানোর সময় ব্যথা অনুভব করা
হাটু ভেঙে বসতে না পারা
আক্রান্ত অঙ্গ ছোট হয়ে যাওয়া
কুচকিতে উরুতে, নিতম্বে ব্যথা হওয়া
বিশ্রাম নেওয়ার সময় ব্যথা অনুভব হওয়া
ক্রস পায়ে বসতে না পারা
৫.রোগ নির্ণয়ঃ
এক্স-রে
এমআরআই
সিটি স্ক্যান
হাড়ের স্ক্যান
বাইওপসি
হাড়ের কার্যকারিতা পরীক্ষা
৬. চিকিৎসাঃ
এ রোগের চিকিৎসা কিছু বিষয়ের উপর নির্ভর করে, যেমনঃ বয়স,রোগের পর্যায়, হাড়ের ক্ষতির পরিমান।
নন সার্জিক্যাল চিকিৎসাঃ
আক্রান্ত স্থানে ঠান্ডা বা গরম সেঁক, কিছু ননস্টেরয়েডাল এন্টি ইনফ্লামেটরি ঔষধ, ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা এবং পুনর্বাসন এবং বিশ্রাম কার্যকর।
সার্জিক্যাল চিকিৎসাঃ
কোর ডি কম্প্রেশন ( Core Decompression)
হাড় গ্রাফটিং (Bone Grafting)
অস্টিওটমি (Osteotomy)
সম্পূর্ণ হিপ জয়েন্ট প্রতিস্থাপন (Total Hip Joint Replacement)
৭. জটিলতাঃ
চিকিৎসা করা না হলে, এই রোগ ধীরে ধীরে খারাপ রূপ ধারণ করে, অ্যাভাসকুলার নেক্রোসিসের ফলে হাড়ের মসৃণ আকৃতি নষ্ট হয় ফলে আর্থ্রাইটিস হতে পারে। ব্যথা বা অন্য কোন লক্ষণ প্রকাশ পেলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের শরনাপন্ন হতে হবে।
লেখক: ডা. মো. সফিউল্যাহ প্রধান, ফিজিওথেরাপি, ডিজএবিলিটিস ও রিহেবিলিটেশন স্পেশালিস্ট, সহযোগী অধ্যাপক (আইআইএইচএস) ও কনসালটেন্ট ডিপিআরসি, শ্যামলী, ঢাকা।
অনলাইন ডেস্ক :
আমাদের মনে হঠাৎ কোনো খাবার খাওয়ার ইচ্ছা জাগে। খাবার যে শুধু ক্ষুধা লাগলেই খায় বা খেতে ইচ্ছা হয়, তেমনটা হয়। অনেক সময় রসনা তৃপ্তির জন্যও বিভিন্ন মুখরোচক খাবার খাওয়া হয়। তবে হঠাৎ কোনো খাবার খাওয়ার ইচ্ছা এমনি এমনি নাও হতে পারে। শরীরের কোনো উপাদানের ঘাটতি হলে, সেই সংকেত দেয় আমাদের জিহ্বা। লো ব্লাড সুগার থেকে মানসিক চাপ, এমনকি নারীদের পিরিয়ডের কারণেও ক্রেভিং অর্থাৎ, নির্দিষ্ট কোনো খাবার খাওয়ার বা পান করার ইচ্ছা জাগতে পারে। কোন খাবার খাওয়ার বাসনা কোন সমস্যার কারণে হতে পারে, জেনে নিন-লো ব্লাড সুগার: শ্বেতসার সম্পন্ন খাবার যেমন রুটি, পাস্তা জাতীয় খাবার খাওয়ার ইচ্ছা জাগার মানে হলো, রক্তে গ্লুকোজ বা শর্করার ঘাটতি রয়েছে। দীর্ঘসময় শ্বেতসার খাওয়া না হলে এমনটা হতে পারে। হঠাৎ রক্তে গ্লুকোজ বা শর্করা কমে গেলে স্টার্চজাতীয় খাবার খেতে ইচ্ছা করে। সেক্ষেত্রে আস্ত বীজ ও শস্যজাতীয় খাবার গ্রহণ করা উচিত। শস্যজাতীয় খাবারে ফাইবার অর্থাৎ, তন্তুজাতীয় উপাদানের আধিক্য থাকে। এছাড়া এসব উপাদান হজম হতেও সময় লাগে, তাই অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে। শস্যজাতীয় খাবার অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান ভরপুর।
তৃপ্তির অভাব: গরম, সুস্বাদু কোনো পেট ভরিয়ে কিছু খেতে ইচ্ছে করলে মিষ্টি আলু বা মসুর ডাল খাবারে রাখতে পারেন। মসুর ডালে প্রোটিন, ফাইবার থাকায় রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ স্বাভাবিক রাখে এবং বার বার ক্ষুধা লাগার সমস্যা কমিয়ে আনে। মিষ্টি আলুও ফাইবার আর ভিটামিন ‘এ’-এর ভালো উৎস। তাই এই খাবার গুলো অনেকক্ষণ পেট ভরা রেখে তৃপ্তি আনে।
এর বিকল্প হতে পারে উচ্চ আমিষ বা প্রোটিন জাতীয় খাবার। ক্ষুধা মেটাতে আর তৃপ্তি প্রদানে ডিম, মাছ, মুরগীর মাংসও ভালো কাজ করে।
মানসিক চাপ: গবেষকদের মতে, যখন মানুষ মানসিক চাপে থাকে, তখন কর্টিসোল নামক হরমোন নিঃসৃত হয়। এর ফলে মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়ার ইচ্ছা তীব্র হয়। এরকম হলে চিনি বা মিষ্টি খাওয়া উচিত নয়। কারণ তাতে হঠাৎ রক্তে চিনির পরিমাণ বেড়ে যায় আবার ভেঙেও যায়। এরফলে মেজাজ খারাপ হওয়া এবং ক্লান্ত বোধ হতে পারে। তাই মিষ্টি খাওয়ার চাহিদা মেটাতে ফল, দই বা ঠান্ডা দই খেতে পারেন। ফল বা দই একটি চমৎকার নাস্তা। দইয়ে প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকে যা হাড়ের জন্য ভালো। অন্যদিকে, বেরি বা ফলে রোগ প্রতিরোধী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে।
পিরিয়ড সাইকেল: নারীদের ক্ষেত্রে, মানসিক চাপে থাকলে মিষ্টিজাতীয় খাবার খেতে ইচ্ছে করে। বিশেষ করে চকলেট খাবার খেতে ইচ্ছা হওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি হয়। গবেষণাতেও দেখা গেছে নারীদের পিরিয়ড চলাকলে সাধারণত চকলেট, মিষ্টি, নোনতা খাবার ইচ্ছা বেশি হয়। সেক্ষেত্রে চকলেট বা বাদাম বা নারকেল দুধ খাওয়া যেতে পারে। চিনিবিহীন বা কম চিনিযুক্ত চকলেট দুধও পান করা যেতে পারে। বাদাম আর বীজ খেলে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি পূরণ হয়।
পিপাসা: অনেকের ক্ষেত্রে শুধু খাবার খাওয়ার আকাক্সক্ষার সাথে পানীয় পানের ইচ্ছাও জাগতে দেখা যায়। মস্তিষ্কের একটি নির্দিষ্ট অংশ ক্ষুধা-তেষ্টা নিয়ন্ত্রণ করে। তাই অনেক সময় পর্যাপ্ত পানি পান না করার কারণে খাবারের সাথে সাথে পানীয় পানের ইচ্ছাও জাগে। তাই যদি কখনো ক্ষুধা বোধ হয় কিন্তু কি খাবেন ভেবে পান না, তখন এক গ্লাস পানি পান করুন।পানি পানের পর ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে দেখুন সমস্যার সমাধান হয় কিনা।
মানুষের শরীরে সোডিয়ামঘাটতি সহ বিভিন্ন কারণে খাওয়ার পর তৃপ্তি বোধ না করার সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিভিন্ন উপাদানের অভাবজনিত কারণে মানুষ ভিন্ন ভিন্ন খাবার খাওয়ার আকাক্সক্ষা তৈরি হতে পারে। ফল, দই, ডিম এবং বীজ ও শস্য খাবার এধরনের আকাঙ্ক্ষা মেটাতে সাহায্য করতে পারে। তবে বেশি গুরুতর পরিস্থিতিতে চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
মানুষের মনকে জয় করার শুভেচ্ছা বার্তা মানেই ফুল। হোক প্রেমিক-প্রেমিকা বা প্রিয়জন। আর সেই ফুলের নামই হচ্ছে গোলাপ। আজ ৭ ফেব্রুয়ারি সেই ফুলের ‘বিশ্ব গোলাপ’ দিবস। এই ফুলের রয়েছে কয়েকটি রং। তবে সম্পর্কের ভেদেই দিতে হবে এই ফুল। তাই জেনে নেয়া যাক কোন গোলাপ কাকে দিবেন।
১. সাদা গোলাপ– ক্ষমা চাওয়ার প্রতীক।
২. কমলা গোলাপ– পছন্দ জানানোর প্রতীক।
৩. হলুদ গোলাপ– বন্ধুত্বের প্রতীক।
৪. গোলাপি গোলাপ– সেরা বন্ধুত্বের প্রতীক।
৫. লাল গোলাপ– ভালোবাসার প্রতীক।
উল্লেখ্য, ৭ ফেব্রুয়ারি ছাড়াও প্রতিবছর ২২ সেপ্টেম্বর বিশ্ব গোলাপ দিবস পালন করা হয়। সারা বিশ্ব জুড়ে ক্যানসার রোগীদের জন্য উৎসর্গ করা হয় দিনটি। এর সূত্রপাত ১৯৯৪ সালে কানাডায়।
অনলাইন ডেস্ক :
বিশ্বব্যাপী মানুষের কিডনিতে পাথর হওয়ার ঘটনা বেড়ে চলায় বিশ্বের নেতৃস্থানীয় স্বাস্থ্য সংস্থাগুলো এখন বেশ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। কিডনি মানবদেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর একটি। যা একটি ফিল্টারের মতো কাজ করে। এর কাজ হলো দেহ থেকে টক্সিন বা খাদ্য বিষ এবং অতিরিক্ত পানি প্রস্রাব আকারে বের করে দেওয়া। কিন্তু এখন প্রচুর মানুষই কিডনিতে পাথর হওয়ার অভিযোগ করেন। প্রস্রাবে থাকা ক্রিস্টাল বা স্ফটিক থেকে কিডনিতে পাথর হয়। এই পাথর প্রস্রাবের নালিতে ব্যথা এবং প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। কিডনির পাথরসমুহকে ক্যালসিয়াম ফসফেট, সিস্টিন, ক্যালসিয়াম অক্সালেট এবং ইউরিক এসিড হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এসবের মধ্যে ক্যালসিয়াম অক্সালেটই মানুষেদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। কিডনিতে পাথর হওয়ার জন্য প্রধানত খাদ্যাভ্যাস দায়ী। সুতরাং কিডনিতে পাথর হওয়া থেকে বাঁচতে চাইলে কিছু খাবার বেশি বেশি খেতে হবে আবার কিছু খাবার পুরোপুরি এড়িয়ে চলতে হবে। সবজি, ফল, পূর্ণ শস্য, নিম্ন-চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত পণ্য, পোল্ট্রি, শীম, মাছ, বাদাম এবং বীজ জাতীয় খাবার খেতে হবে বেশি বেশি। সোডিয়াম এবং সুগার কম আছে এমন খাবার খেতে হবে। তাহলে আসুন এবার জেনে নেওয়া যাক কোন খাবারগুলো খাওয়া যাবেন না বা বাদ দিতে হবে।
১. ক্যাফেইন এবং সোডা এড়িয়ে চলুন: আপনি যদি কিডনিতে পাথর রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে প্রচুর পরিমাণে তরল খেতে হবে। কিন্তু তাই বলে কফি খাবেন না। দিনে দুই কাপের (২৫০-৫০০) বেশি কফি, চা এবং কোল্ড ড্রিঙ্কস খাবেন না। অতিরিক্ত কফি পানে কিডনির অবস্থা আরো খারাপ হবে।
২. সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার: সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে। প্রক্রিয়াজাত এবং ক্যানজাত খাবার খাওয়াও বাদ দিতে হবে। কারণ এসব খাবারে প্রচুর লবণ দেওয়া হয় সংরক্ষণের জন্য। তারচেয়ে বরং কম লবণযুক্ত খাবার খান।
৩. বেশি প্রোটিনযুক্ত খাবার: মাংস, মাছ এর মতো উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়ার পরিমাণও কমিয়ে দিতে হবে। তার চেয়ে বরং চর্বিহীন মাংস সামান্য পরিমাণে তেলে রান্না করে বা সেদ্ধ করে খান। আর বেশি মশলাযুক্ত খাবারও এড়িয়ে চলুন।
৪. উচ্চহারে চর্বিযুক্ত খাবার: পনিরের মতো উচ্চহারে চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়াও বাদ দিতে হবে। তারচেয়ে বরং নিম্নহারে চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার খান। নাস্তার জন্যও আপনার পাস্তুরিত দুধ খাওয়াই উচিত। উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
৫. ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি খাদ্য: আপনার যদি কিডনিতে পাথর হয়ে থাকে তাহলে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি আছে উচ্চমাত্রায় এমন খাবার এড়িয়ে চলতে হবে আপনাকে। এন্টাসিড ওষুধও এড়িয়ে চলুন কেননা তাতে উচ্চ মাত্রায় ক্যালসিয়াম থাকে। তবে খুবই স্বল্প পরিমাণে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন। এছাড়া মাছের তেল বা ভিটামিন ডি খেতেও সাবধান। কেননা কিডনিতে পাথর থাকলে পরিস্থিতি খারাপ করে তুলতে পারে এসব খাবার।
৬. অক্সালেট সমৃদ্ধ খাবার: আপনার কিডনিতে হওয়া পাথরগুলো যদি হয় ক্যালসিয়াম অক্সালেট তাহলে আপনাকে অবশ্যই অক্সালেট সমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। এমন খাবারগুলো হলো, চা, কফি, বিট, লাউজাতীয় তরকারি, মিষ্টি আলু, স্পিনাক, টমেটো স্যুপ, ক্যানজাত ফলের সালাদ, রুবার্ব বা রেউচিনি, স্ট্রবেরি ইত্যাদি। এছাড়া চকোলেট, টোফু, বাদাম এবং মোটাভাবে চূর্ণিত শস্য বাদ দিতে হবে। আপনার যদি ইউরিক এসিড পাথর হয়ে থাক তাহলে আপনাকে এই খাবারগুলো খাওয়া বাদ দিতে হবেৃ৭. অ্যালকোহল: কিডনিতে পাথর হওয়ার সঙ্গে সরাসরি জড়িতে না হলেও অ্যালকোহল কিডনিদে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। এতে আছে পিউরিন উপাদান যা ইউরিক এসিড পাথর তৈরি করতে পারে। এছাড়া অ্যালকোহল কিডনির কর্মক্ষমতা নষ্ট করে। ৮. হেরিং জাতীয় ছোট মাছ
এই চর্বিবহুল মাছটি বেশ সুস্বাদু। কিন্তু কিডনিতে পাথর সৃষ্টি করতে পারে এই মাছ। সুতরাং এই মাছ না খাওয়াই নিরাপদ। ৯. অ্যাসপ্যারাগাস: অনেক মূত্রবর্ধক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু কিডনিতে পাথর হলে এটি না খাওয়াই ভালো। ১০. সেঁকা বা গেঁজানো খামির: আপনার কিডনিতে যদি ইউরিক এসিড স্টোন হয়ে থাকে তাহলে সেঁকা বা পোড়ানো অথবা গেঁজানো খামির এড়িয়ে চলাই জরুরি। কেননা এতে উচ্চহারে পিউরিন থাকে। এ ছাড়া শীম ও শুটিজাতীয় খাদ্য, ফুলকপি, কিডনি ও লিভারের মাংস, মাশরুম, অলিভ অয়েল এবং সার্ডিন মাছ খাওয়াও এড়িয়ে চলতে হবে।