৪ বিলিয়ন পাউন্ড আত্মসাতের অভিযোগে যুক্তরাজ্যে টিউলিপ সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদ

আন্তর্জাতিক, 23 December 2024, 458 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশের অবকাঠামো প্রকল্প থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। তদন্তে নাম এসেছে শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে, যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকেরও। এ ঘটনায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা।

banner

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ বলছে, বাংলাদেশে একটি পারমাণবিক শক্তি প্রকল্প থেকে নিজের পরিবারকে প্রায় চার বিলিয়ন পাউন্ড আত্মসাৎ করতে সহায়তা করার অভিযোগে মন্ত্রিপরিষদ অফিসের ন্যায় ও নৈতিকতা দল মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

টিউলিপ ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন লেবার মন্ত্রিসভার সদস্য, তিনি ইকনোমিক সেক্রেটারি টু দি ট্রেজারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার কাজ যুক্তরাজ্যের অর্থবাজারের ভেতরের দুর্নীতি সামাল দেয়া। তবে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে তার খালা ও বাংলাদেশের সদ্য ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য রাশিয়ার সাথে একটি দুর্নীতির চুক্তিতে সাহায্য করার অভিযোগ রয়েছে।

অবশ্য টিউলিপ সিদ্দিককে গত বৃহস্পতিবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও খবরটি সামনে এসেছে ২২ ডিসেম্বর রবিবার। অভিযোগ অনুযায়ী, রূপপুরের এই প্রকল্প থেকে চার বিলিয়ন পাউন্ড সরিয়ে নেয় শেখ হাসিনার পরিবার ও তার মন্ত্রীরা।

টেলিগ্রাফ বলছে, দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ সামনে আসার পর টিউলিপ সিদ্দিক দেশটির মন্ত্রিপরিষদ অফিসের ন্যায় এবং নৈতিকতা দলের (পিইটি) প্রতিনিধির সাথে বৈঠকে যোগ দিতে সম্মত হন। গত বৃহস্পতিবার পিইটি’র ওই কর্মকর্তা টিউলিপ সিদ্দিকের অফিসে যান। পরে ওই কর্মকর্তার কাছে ১০ বিলিয়ন পাউন্ডের রূপপুর প্রকল্পের দুর্নীতির সঙ্গে তার জড়িত থাকার অভিযোগের বিষয়ে জবাব দেন টিউলিপ।

উল্লেখ্য, শেখ রেহানা-কন্যা টিউলিপ সিদ্দিককে নিয়ে বিতর্ক চলছেই। বাংলাদেশে একটি আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে নেতিবাচকভাবে ব্রিটিশ গণমাধ্যমে তিনি সংবাদ শিরোনাম হয়েছেন গত ১৯ ডিসেম্বর। তবে এবারই প্রথম না, চারবারের নির্বাচিত এমপি ও বর্তমান সরকারের মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিককে নিয়ে নেতিবাচক সংবাদ ব্রিটিশ গণমাধ্যমে এর আগে আরো বেশ কয়েকবার হয়েছে।

Leave a Reply

জীবিত নবজাতক দাফনের চেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক : চাঁদপুর শহরের পৌর কবরস্থানে অবিশ্বাস্য ও হৃদয়বিদারক Read more

নবীনগরে সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে প্রাইভেটকার ও ট্রাক্টরের সঙ্গে Read more

প্রতিপক্ষের হামলায় নারী নিহত, দুইজন আটক

চলারপথে রিপোর্ট : তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় খাইরুন Read more

গাজীপুরে মামা হত্যার আসামি ভাগিনা গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : গাজীপুরে আনিসুর রহমান হত্যার মামলার আসামি ভাগিনা Read more

সদর মডেল থানায় যোগদান করেই কঠোর…

সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য : আজহারুল ইসলাম সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

চলারপথে রিপোর্ট : ফ্ল্যাট বাসা থেকে শরীর মীর (৪০) নামের Read more

নাসিরনগরে বাবাকে হত্যার ঘটনায় ছেলে আটক

চলারপথে রিপোর্ট : নাসিরনগরে আলম মিয়া (৬০) নামের এক ব্যবসায়ী Read more

আখাউড়ায় খেলাফত মজলিসের প্রার্থীর মতবিনিময়

মোঃ ইসমাইল: ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের খেলাফত মজলিস মনোনীত প্রার্থী Read more

৫০ কেজি গাঁজাসহ একজন গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : ৫০ কেজি গাঁজা ও ১টি সিএনজি উদ্ধারসহ Read more

কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপদসীমায়, জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের…

অনলাইন ডেস্ক : বর্ষার শেষপ্রহরে নেমে আসা অবিরাম বৃষ্টি ও Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার নতুন ওসি আজহারুল…

চলারপথে রিপোর্ট : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে Read more

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে…

অনলাইন ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ঐতিহাসিক Read more

কাল ফের ভোট, এরদোয়ানকে কেনো চান তুরস্কের বেশিরভাগ মানুষ?

আন্তর্জাতিক, 27 May 2023, 1391 Views,

অনলাইন ডেস্ক :

banner

গত ১৪ মে তুরস্কের আলোচিত নির্বাচনে কোন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ৫০% এর বেশি ভোট পাননি। তাই আগামীকাল রবিবার আবারও অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। তুরস্কের ইতিহাসে তো বটে বিশ্বের চোখ থাকবে কালকের নির্বাচনের দিকে। তবে প্রথম দফার চেয়ে দ্বিতীয় দফায় এগিয়ে আছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তবে কালকের নির্বাচনে ৫০% পেতে হবে এমন কোনো শর্ত নেই। যে প্রার্থী বেশি ভোট পাবেন তিনিই নির্বাচিত হবেন।

এদিকে তুরস্ককে দীর্ঘ সময় ধরে শাসন করছেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। এরপরও দেশটির বেশিরভাগ মানুষ তাকে ভালোবাসেন। প্রায় প্রতিটি নির্বাচনে তারা তাকে ভোট দেন। কিন্তু, তারা কেন এমনটা করেন। কারণ, দু’দশক সময় ধরে ক্ষমতায় থাকার পর এবং এক ডজনেরও বেশি নির্বাচনের পর এরদোয়ান জানেন কীভাবে সবকিছু সামাল দিতে হয়। ইস্তাম্বুলে ট্যাক্সি ড্রাইভারদের এক সম্মেলনে তাকে কাছে পেয়েও মানুষের যেন আশ মিটছিল না।

এরদোয়ান মূলত তার প্রজাবৎসল নীতি, নৈতিকতা, কঠোর ব্যক্তিত্ব ও ধর্মীয় মতবাদের মাধ্যমে তুরস্কের জনগণকে নিয়ন্ত্রণ করেন। তার ইশারা মতো ট্যাক্সি ড্রাইভাররা উল্লাস করছিলেন, হাততালি দিচ্ছিলেন – এবং তার নির্দেশ মতোই তারা বিরোধীদের প্রতি দুয়ো দিচ্ছিলেন। তবে বিরোধীরাও কম যান না। তারাও চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়েছেন। কাল কি হবে সেটা শুধুমাত্র ভোটাররাই বলতে পারেন।

সম্মেলনের স্থানটি ছিল বসফরাসের উপকূলে ইস্তাম্বুলের একটি কনভেনশন সেন্টার, যেটি নির্মিত হয়েছিল এরদোয়ান ওই শহরের মেয়র থাকাকালীন সময়ে।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট যখন তার ভাষণ শেষ করেন, সমাবেশের উত্তেজনা তখন তুঙ্গে: “এক জাতি, এক পতাকা, এক মাতৃভূমি, এক দেশ।” ততক্ষণে অনেক বয়স্ক ড্রাইভার উত্তেজনায় উঠে দাঁড়িয়েছিলেন। তারা মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলছিলেন ওপরের দিকে, কিংবা হাত তুলে প্রেসিডেন্টকে স্যালুট করছিলেন।

মাথায় স্কার্ফ আর রক্ষণশীল পোশাক পরে আয়েশে ওজদোয়ান ওই সমাবেশে গিয়েছিলেন তার ট্যাক্সি ড্রাইভার স্বামীর সঙ্গে।

এরদোয়ানের সমর্থকরা বলছেন, তার কারণে তাদের জীবন উন্নত হয়েছে
তার নেতার ভাষণের প্রতিটি শব্দ যাতে তিনি শুনতে পান সে জন্য বেশ আগেই মিটিংয়ে হাজির হয়েছিলেন। সিটের পাশে ছিল একটি ক্র্যাচ। তার হাঁটতে কষ্ট হয়, কিন্তু তারপরও তিনি ওই সমাবেশে না গিয়ে থাকতে পারেননি।

“এরদোয়ান আমার কাছে সবকিছু,” বিস্তৃত হাসি দিয়ে বলছিলেন তিনি। “আমরা আগে হাসপাতালে যেতে পারতাম না, কিন্তু এখন আমরা সহজেই সেবা পাই। আমাদের এখন পরিবহন ব্যবস্থা আছে। তিনি রাস্তাঘাট উন্নত করেছেন। মসজিদ নির্মাণ করেছেন। দ্রুত গতির ট্রেন আর পাতাল রেল দিয়ে তিনি দেশকে উন্নত করেছেন।”

প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের ভাষণে জাতীয়তাবাদী বক্তব্য ছিল ওই সমাবেশের অনেকের কাছেই বেশ আকর্ষণীয়। এদেরই একজন হলেন ৫৮-বছর বয়সী কাদির কাভলিওলু, যিনি গত ৪০ বছর ধরে মিনিবাস চালাচ্ছেন। “যেহেতু আমরা আমাদের মাতৃভূমি ও জাতিকে ভালবাসি, তাই আমরা দৃঢ়ভাবেই প্রেসিডেন্টের পেছনে রয়েছি।”

“আলু-পেঁয়াজের দাম বাড়ুক কিংবা কমুক,” তিনি বলছেন, “প্রতিটি পদক্ষেপে আমরা তার সঙ্গে আছি। আমার প্রিয় প্রেসিডেন্টই আমাদের আশা-ভরসা।”

তুর্কি প্রেসিডেন্টের ওপর তার সমর্থকদরে অনেক আশা-ভরসা
এ মাসের শুরুতে তুর্কি ভোটাররা যখন নির্বাচনে ভোট দিতে গিয়েছিলেন, সে সময় তারা তাদের মানিব্যাগের অবস্থার কথা বিবেচনা করে ভোট দেননি। তুরস্কে খাবারের দাম এখন আকাশ ছোঁয়া। ৪৩% মুদ্রাস্ফীতির কারণে অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে অসহনীয়। তবে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটকেও অনেকে দায়ী করছেন ওই মুদ্রাস্ফীতির জন্য।

এই অবস্থার পরও প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ৪৯.৫ শতাংশ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন।

এই ঘটনায় বিশ্লেষকরা বেকুব বনে গেছেন, এবং গুরুত্বপূর্ণ এক শিক্ষা লাভ করেছেন : ‘জনমত জরিপের ফলাফল থেকে সাবধান।’

বিভক্ত এক দেশ

এরদোয়ানের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী, ধর্মনিরপেক্ষ বিরোধীদলীয় নেতা কামাল কুলুচদারোলু নির্বাচনে পেয়েছেন মোট ৪৪.৯ শতাংশ ভোট।

সুতরাং, বিভক্ত এই দেশে ভোটাররাও ছিলেন বিভক্ত – বিরোধী দু’পক্ষের মধ্যে ব্যবধান ছিল মাত্র ৪ শতাংশ ভোটের।

একজন উগ্র-জাতীয়তাবাদী প্রার্থী সিনান ওগান ওই নির্বাচনে অপ্রত্যাশিতভাবে ৫.২ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন, যে কারণে নির্বাচনটি এই রোববার (২৮শে মে) দ্বিতীয় রাউন্ডের ভোটে যেতে বাধ্য হয়। ওগান এরপর প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের প্রতি তার সমর্থন জানান।

তাহলে প্রশ্ন হলো, তুরস্কের অর্থনীতিতে এক বড় সঙ্কট থাকার পরও কেন বেশিরভাগ ভোটার এরদোয়ানকেই বেছে নিলেন?

এরদোয়ানের প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কুলুচদারুলু (মাঝে) এবং তার জোট সঙ্গীরা
গত ফেব্রুয়ারিতে দেশজুড়ে বিপর্যয়কর জোড়া ভূমিকম্প, যাতে অন্তত ৫০ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, এরপরও ভোটাররা কেন তাকে প্রত্যাখ্যান করলেন না?

“আমি মনে করি তিনি একজন চূড়ান্ত ‘টেফলন রাজনীতিবিদ’ [কোন অভিযোগ যার গায়ে বসতে পারে না],” বলছেন অধ্যাপক সোলি ওজেল, যিনি ইস্তাম্বুলের কাদির হ্যাস ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক।

“তার যে সাধারণ মানুষকে আকৃষ্ট করার ক্ষমতা রয়েছে, এটা আপনি অস্বীকার করতে পারবেন না। তার শরীর থেকে ক্ষমতার আভা বের হয়। এটা এমন এক জিনিস যা কুলুচদারোলুর নেই।”

কিন্তু প্রথম রাউন্ডের হতাশাজনক ফলাফল দেখে তিনি নিজে এখন ডান দিকে মোচড় দিয়েছেন। তিনি এখন অনেক বেশি কট্টরপন্থী জাতীয়তাবাদী। এটা দেখে একজন তুর্কি সাংবাদিক মন্তব্য করেছে, “এটা হচ্ছে পতনের রাস্তায় দৌড়।”

ক্ষমতাসীন একে পার্টির একটি জনসভা
তুরস্কের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট যিনিই হোন না কেন, এই নির্বাচনে আসলে বিজয়ী হয়েছে জাতীয়তাবাদ।

ভোটাররা এযাবতকালের সবচেয়ে জাতীয়তাবাদী ও রক্ষণশীল এক সংসদকে নির্বাচিত করেছে, যেখানে এরদোয়ানের ক্ষমতাসীন একে (জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) পার্টি জোটের নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছে।

তুরস্কের কিছু তরুণ ভোটার মনে করছেন, ফলাফল নির্ধারিত হয়ে গেছে। রঙধনু রঙের এক পতাকার নীচে একটি লাল সোফায় বসে ২১-বছর বয়সী জেইনেপ এবং ২৩-বছর বয়সী মের্ট গরম গরম তুর্কি চা পরিবেশন করছিলেন এবং নিজেদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে দুশ্চিন্তা করছিলেন।

তারা দু’জনেই বোগাজিচি বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোবিজ্ঞান নিয়ে পড়ছেন। এটি একটি সর্বজনশ্রদ্ধেয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যার রয়েছে ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাস। জেইনেপ এবং মের্ট-এর পরিচয় হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের এলজিবিটিকিউ ক্লাবে – যেটি এখন বন্ধ হয়ে গেছে। ২০১৫ থেকে ওই ক্যাম্পাসে সমকামীদের শোভাযাত্রা করাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

নির্বাচনী প্রচারণার সময় প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান তুরস্কের সমকামী সম্প্রদায়কে টার্গেট করে বক্তব্য দিয়েছেন। ইজমির শহরে এক বিশাল সমাবেশে তিনি বলেছেন, “এই জাতি থেকে কোনো এলজিবিটি মানুষ বের হবে না।”

“আমাদের পারিবারিক কাঠামোকে আমরা কলঙ্কিত করি না। এখানে সন্তানরা মানুষের মতো সোজা হয়ে দাঁড়ায় – আমাদের পরিবারগুলো এমনই।”

কাঁধ পর্যন্ত কালো চুল এবং কানে দুল পরা মের্টের মনে হচ্ছে, তুরস্কের এলজিবিটি সম্প্রদায় এখন ক্রমবর্ধমান ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

“এরদোয়ান নিজে, প্রতিটি বক্তৃতায়, প্রতিটি অনুষ্ঠানে, আমাদের লক্ষ্যবস্তু হিসাবে তুলে ধরছেন,” বলছিলেন তিনি, “দিনের পর দিন রাষ্ট্র আমাদের শত্রু বানাচ্ছে।“

নতুন এক তুর্কি শতাব্দী

রোববার তুর্কি ভোটাররা তাদের দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় ভোট দিতে যাবেন, যেটি হবে তুরস্কের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়।

মোস্তফা কামাল আতাতুর্কের নেতৃত্বে তুরস্ক একটি ধর্মনিরপেক্ষ প্রজাতন্ত্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর পার হয়েছে প্রায় ১০০ বছর।

রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান আবার নির্বাচিত হলে একটি নতুন “তুর্কি শতকের” প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। তার সমর্থকরা বলছেন, তিনি আরও উন্নয়ন, আরও শক্তিশালী এক তুরস্ক উপহার দেবেন। সূত্র : বিবিসি

সৌদিতে চাঁদ দেখা গেছে, ঈদুল আজহার তারিখ ঘোষণা

আন্তর্জাতিক, 18 June 2023, 1193 Views,
ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে আজ ১৮ জুন রবিবার পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। সন্ধ্যায় সৌদি, আরব আমিরাত, ওমানসহ অন্যান্য দেশের চাঁদ দেখা কমিটি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত জানায়। সূত্র : খালিজ টাইমস

banner

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে আরবি বছর ১৪৪৪ হিজরি সনের এগারোতম মাস জিলকদের ২৯তম দিন আজ ১৮ জুন রবিবার। আর মহাকাশীয় গণনার ভিত্তিতে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এ বছর জিলকদ মাসটি ২৯ দিনের হবে। অর্থাৎ সোমবার থেকে শুরু হবে জিলহজ মাস।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, আগামী ২৭ জুন সৌদিতে আরাফাহর দিন ও ২৮ জুন ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।

ডব্লিউএইচও থেকে বেরিয়ে যেতে নির্বাহী আদেশে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সই

আন্তর্জাতিক, 21 January 2025, 414 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া হিসেবে একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০ জানুয়ারি সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার পর ট্রাম্প বেশ কিছু নির্বাহী আদেশে সই করেন। এর মধ্যে ডব্লিউএইচও থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে যাওয়া সংক্রান্ত আদেশও রয়েছে।

banner

দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়া ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাহী আদেশে সইয়ের পর বলেন, ওহহ, এটা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় এতো দিন অন্য দেশের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্র ‘অন্যায্য পরিমাণে’ অর্থ প্রদান করেছে।

সিএনএনের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এর আগে ২০২০ সালের জুলাইয়ে ট্রাম্পের প্রথম প্রশাসন আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে এনেছিল। ওই সময় বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়েছিল।

নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপটি অপ্রত্যাশিত নয়। ডোনাল্ড ট্রাম্প কার্যত ২০২০ সাল থেকেই ডব্লিউএইচও’র বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছেন। সেসময় তিনি করোনভাইরাস মহামারি নিয়ে সংস্থাটিকে আক্রমণ করেছিলেন এবং এই সংস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের তহবিল বন্ধ করার হুমকিও দিয়েছিলেন।

এরই জেরে ২০২০ সালের জুলাই মাসে বৈশ্বিক এই সংস্থাটি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করার জন্য আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ফের ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপের নীতিতে ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক, 5 February 2025, 339 Views,

হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
ক্ষময়তায় এসেই আবারও ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতিতে ফিরলো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি এরই মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি প্রেসিডেন্সিয়াল মেমোরেন্ডামে স্বাক্ষর করেছেন। এর মাধ্যমে মূলত তার প্রথম মেয়াদের নীতিতে ফিরে গেলেন। ট্রাম্পের সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের এই নীতির মধ্যে রয়েছে, ইরানের তেল রফতানি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা, যাতে তেহরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখা যায়।

banner

প্রেসিডেন্সিয়াল মেমোরেন্ডামে স্বাক্ষর করার পর এবং সফররত ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাথে বৈঠকের আগ মুহূর্তে ট্রাম্প সাংবাদিকদের জানান, তিনি ইরানের বিরুদ্ধে এই আদেশে স্বাক্ষর করতে কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট আদেশটির কথা উল্লেখ করে বলেন, সবাই চায় আমি এটি স্বাক্ষর করি। আমি তা করেছি এবং এটি ইরানের জন্য খুবই কঠিন হবে। ট্রাম্প দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সাথে একটি চুক্তি করতে চায়। আমি ইরানকে বলছি, যারা খুব মনোযোগ সহকারে শুনছে, আমি একটি দুর্দান্ত চুক্তি করতে চাই। এমন একটি চুক্তি যেখানে আপনি আপনার জীবন চালিয়ে যেতে পারেন।

ট্রাম্পের মতে, ইরানের একটি জিনিস থাকতে পারে না। তাদের হাতে পারমাণবিক অস্ত্র থাকতে পারে না। তারা যদি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির দিকে এগিয়ে যায়, তাহলে আমি মনে করি এটি তাদের জন্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক হবে। তেহরান পারমাণবিক অস্ত্রের কতোটা কাছাকাছি জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, তারা খুব কাছাকাছি।

নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘে ইরানের মিশন এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।

ট্রাম্প সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে ইরানের ওপর তেল রফতানি নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ করেছেন। তেল রফতানি নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে প্রয়োগ না করার বাইডেনের নীতি ওয়াশিংটনকে দুর্বল করেছে এবং তেহরানকে সাহস জুগিয়েছে। যা ইরানকে তেল বিক্রি, নগদ অর্থ সঞ্চয় এবং সশস্ত্র মিলিশিয়ার মাধ্যমে পরমাণু কর্মসূচি ও প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম করেছে।

গত বছরের ডিসেম্বরে জাতিসংঘের পরমাণু বিষয়ক নজরদারি সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সির একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি শুরু করেছে ইরান। তাদের কাছে ৬০ শতাংশ বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম রয়েছে, যা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির ৯০ শতাংশের কাছাকাছি। তবে, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির লক্ষ্য অস্বীকার করেছে।

ট্রাম্পের স্বাক্ষর করা প্রেসিডেন্সিয়াল মেমোরেন্ডামে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে- মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারিকে ইরানের ওপর ‘সর্বোচ্চ অর্থনৈতিক চাপ’ আরোপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ও প্রয়োগ ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এছাড়া মার্কিন অর্থ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ইরানের তেল রফতানি শূন্যের কোঠায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মার্কিন জ্বালানি তথ্য প্রশাসনের অনুমান অনুযায়ী, তেল রফতানি থেকে তেহরানের ২০২৩ সালে ৫৩ বিলিয়ন ডলার এবং এর আগের বছর ৫৪ বিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে। ওপেকের তথ্য্নুযায়ী, ২০২৪ সালে উৎপাদন ২০১৮ সালের পর সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।

ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে ইরানের তেল রফতানি প্রায় শূন্যের কোঠায় নিয়ে গিয়েছিলেন। বাইডেনের আমলে ইরান নিষেধাজ্ঞা এড়াতে সফল হওয়ায় তেল রফতানি বৃদ্ধি পায়।

ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি গত ডিসেম্বরে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে জানিয়েছে, প্রয়োজনে তারা ইরানের ওপর সব আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করতে প্রস্তুত। যাতে করে দেশটি পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে না পারে। সূত্র: রয়টার্স

ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আহমাদিনেজাদ প্রার্থী হতে পারেন

আন্তর্জাতিক, 27 May 2024, 739 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর আগামী ২৮ জুন অনুষ্ঠিত হবে ইরানে নতুন নির্বাচন। সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ এই নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। ইরানের গণমাধ্যম ‘ইরান ইন্টারন্যাশনাল’ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

banner

আহমাদিনেজাদ সমর্থক পরিচালিত ‘দোলাত বাহার’ টেলিগ্রাম চ্যানেলে শনিবার সমর্থকদের একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, পরিস্থিতি অগ্রগতির দিকে যাচ্ছে।

আহমাদিনেজাদ বলেছেন, শুধু ইরানে নয়, গোটা বিশ্বেই দ্রুত পরিবর্তন ঘটছে এবং আমি আশাবাদী যে আমরা শিগগিরই একটি দারুণ পরিবর্তন দেখতে পাব।

সংসদে আহমাদিনেজাদ সমর্থকরা ইতোমধ্যেই আহমাদিনেজাদের সম্ভাব্য প্রার্থিতাকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা দাবি করেছেন, আহমাদিনেজাদই ইরানের অন্যতম জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।

ইরানের পার্লামেন্টে তাবরিজ অঞ্চলের প্রতিনিধি আহমাদ আলীরেজা বেইগি বলেছেন, যদি মাহমুদ আহমাদিনেজাদ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, তাহলে তিনি বিজয়ী হবেন। পাশাপাশি তিনি সতর্ক করে বলেছেন, গার্ডিয়ান কাউন্সিলকে অবশ্যই আহমাদিনেজাদের প্রার্থিতার অনুমোদন দিতে হবে। তিনি যদি প্রার্থী হন এবং এই প্রার্থিতাও যদি বাতিল করা হয় তাহলে সেটার পরিণতি খুব খারাপ হবে।

মাহমুদ আহমাদিনেজাদ ২০০৫ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত পরপর দুই মেয়াদে ইরানের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। এর আগে তিনি রাজধানী তেহরানের মেয়র হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু ২০১৭ এবং ২০২১ সালে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও গার্ডিয়ান কাউন্সিল তার প্রার্থীতার অনুমোদন দেয়নি।

২০১৭ সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হওয়ার পর সাবেক এই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পদ্ধতির স্পষ্টবাদী সমালোচক হয়ে ওঠেন। এমনকি প্রকাশ্যে ইরানের শীর্ষ নেতা খামেনিরও তিনি সমালোচনা করেন। তিনি গত দুই বছর ধরে সর্বোচ্চ নেতার ঘনিষ্ঠ অনুগতদের কোপানাল এড়াতে বেশিরভাগ সময় ‘চুপ’ থেকেছেন।

খামেনির উত্তরসূরি এবং ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হতে সাংবিধানিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা ‘গার্ডিয়ান কাউন্সিল’ কর্তৃক অনুমোদন পেতে হয়।