চলারপথে রিপোর্ট :
পুলিশের পৃথক অভিযানে বিভিন্ন ধরণের মাদকসহ তিনজন গ্রেফতার হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা সবাই যুবক বয়সি। জব্দ করা বিভিন্ন মাদক ভারত থেকে অবৈধ ভাবে আসা। এসব ঘটনায় থানায় পৃথক মামলা হয়েছে।
পুলিশের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ সোমবার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার সলিমগঞ্জ ইউনিয়নের দাস পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৫ বোতল ফেন্সিডিল, ৯৬ বোতল মদ ও এক কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এসময় অপু মিয়া (২৪) নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে, রবিবার রাতে কসবা পৌর এলাকার মরাপুকুর পাড় নামক স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৯০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আশরাফুল ইসলাম (২২) ও গোলাম জিলানী (২৩) নামে দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় ৯২ কেজি গাঁজাসহ একটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করেঝে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোকেরা।
আজ ৬ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকাল ৭টায় কসবা উপজেলার কুটি গ্রামের রাস্তার উপর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
এ সময় গাঁজাবহনকারি একটি রেজিষ্ট্রেশনবিহীন পিকআপ জব্দ করা হয়। অভিযান টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় কসবা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে খাদে উল্টে গিয়ে নারী, শিশুসহ অন্তত ২৫ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। আজ ৬ এপ্রিল রবিবার ভোরে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কসবা উপজেলার তিনলাখ পীর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতদের উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
সরাইল খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন রহমান জানান , সিলেট থেকে ছেড়ে আসা এস, আর পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস চট্টগ্রামে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে তিনলাখ পীর এলাকা অতিক্রম করার সময় তিনলাখ পীর ব্রিজের উওর পাশে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে উল্টে যায়। এ সময় স্থানীয়রা দ্রুত বাসের ভেতরে থাকা যাত্রীদের উদ্ধার করে এবং আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। তিনি আরো জানান, দুর্ঘটনা কবলিত বাসটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ ২ জুলাই রবিবার দুপুরে উপজেলার কুটি ইউনিয়নের মাইজখার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশুরা হলো- মাইজখার গ্রামের রাজু ভুঁইয়ার মেয়ে মাইশা আক্তার (৮) ও তার ভাগনে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের দইখলা গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে জুবায়ের হোসেন (১১)।
নিহতদের পরিবার জানায়, আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে রাজু ভুঁইয়ার ভাগনে জোবায়ের মায়ের সঙ্গে মাইজখার গ্রামে নানাবাড়ি বেড়াতে এসেছিল। দুপুরে রাজু ভুঁইয়ার বাড়ির পেছনে সাঁতার কাটতে গভীর পুকুরে নামে মাইশা ও জুবায়ের। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই পানিতে তলিয়ে যায় দুই শিশু। বাড়ির লোকজন তাদের দেখতে না পেয়ে পুকুরে নেমে খোঁজাখুজি করতে থাকে। একপর্যায়ে পানির নীচ থেকে তাদের নিথর দেহ উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আশিক শর্মা দুই শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন।
কসবা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, উপজেলার মাইজখার গ্রামে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মারা যাওয়ার খবর শুনেছি। তবে এ বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান মামলা ও কারাদন্ড দেওয়ার পরও কসবায় বন্ধ হচ্ছে না পাহাড় কাটা। রাতের আধাঁরে কেটে নেওয়া হচ্ছে পাহাড় ও টিলা ভূমি। এতে করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য। ৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের লতুয়ামুড়া এলাকায় পাহাড় কাটার দায়ে মামুন মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে সাত দিনের কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
এ আদালত পরিচালনা করেছেন প্রথম শ্রেণীর নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্যাট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. গোলাম সরওয়ার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্যাট ইকরামুল হক নাহিদ এবং তৌহিদুল ইসলাম। তাদেরকে সহযোগীতা করেছেন জেলা পুলিশ ও বিজিবি।
কারাদন্ড প্রাপ্ত মো. মামুন মিয়া কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের লতুয়ামুড়া গ্রামের বাসিন্দা। তাকে গতকাল শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।উপজেলা ভূমি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কসবা উপজেলার বায়েক ও গোপীনাথপুর ইউনিয়নে পাহাড় রয়েছে। কসবা উপজেলার মাদলা মৌজায় এক দাগেই পাহাড় রয়েছে দুইশ ৩৭ একর। এনিয়ে দুই ইউনিয়নে পাহাড় রয়েছে তিনশ ৭৫ একর। তবে স্থানীয়দের ধারণা ৫০ একরেরও বেশী পরিমান পাহাড় কেটে নেওয়া হয়েছে। এভাবে কাটতে থাকলে এক সময় পাহাড়হীন হয়ে পড়বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা। জানা যায়, একটি সংঘবদ্ধ চক্র পাহাড় কাটা ও মাটি বিক্রয়ের সাথে জড়িত। তারা প্রকৃতিরখুঁটি পাহাড় ধ্বংস করছে। তাদের সাথে রয়েছে ভূমি অফিসের কিছু অসৎ কর্মকর্তা ও কর্মচারীর যোগসাজশ।
কসবা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. গোলাম সরওয়ার জানিয়েছেন, পাহাড় কাটার দায়ে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে মামুন মিয়া নামের একজনকে সাতদিনের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ জহিরুল হক কবির বলেন, পাহাড় কাটার দায়ে কারাদন্ডপ্রাপ্ত মামুন মিয়াকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
শফিকুল ইসলাম বাদল :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নবীনগর উপজেলার নবীনগর পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের ভোলাচং গ্রামের রঞ্জিত পোদ্দার দীর্ঘ ২২ বছর যাবত তাঁর উদ্ভাবিত প্রযুক্তিতে নিজ হাতে তৈরি করেন সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যসম্মত চানাচুর। প্রথম দিকে তিনি অল্প পরিমানে এ চানাচুর বানিয়ে তাঁর ডালপুরী- সিঙ্গারার দোকানে বিক্রি করতে শুরু করলে দ্রুত আশেপাশের এলাকায় এ চানাচুরের জনপ্রিয়তা ও চাহিদা বেড়ে যায়। অল্প সময়ের মধ্যে দুর-দুরান্ত থেকে এমন কি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশীরা ও এ চানাচুর খেতে ও পরিবার-আত্মীয় স্বজনদের জন্য নিতে আসেন ভোলাচং পশ্চিম বাজারে রঞ্জিত পোদ্দারের দোকানে। সেই ধারাবাহিকতায় রঞ্জিত পোদ্দার ও তার ছেলে শিবু শংকর পোদ্দার দীর্ঘ দিন ধরে কোন কেমিক্যাল বা রং ব্যবহার না করে বাড়িতেই চানাচুর তৈরি করে বিক্রি করে আসছেন। রঞ্জিতের তৈরি চানাচুরের ব্যবসায়িক নাম “রঞ্জিত চানাচুর”।
জানা যায়- ১৮০ টাকা কেজি দরে দৈনিক প্রায় ২২ থেকে ২৫ কেজি চানাচুর বিক্রি করেন তিনি । এতে যা আয় হয় তাতে ভাল ভাবেই চলে তাঁর সংসার। এ ব্যবসার জন্য জনতা ব্যাংকের লোন আছে কিন্ত বর্তমানে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী তাদের (রঞ্জিতের চানাচুর) নাম ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন স্থানে অবৈধ ভাবে এ তাদের নাম দিয়ে চানাচুর বিক্রি করে আসছেন। এতে ক্রেতারা হচ্ছেন বিভ্রান্ত ও প্রতারিত। ফলে বিক্রি যেমন কমে যাচ্ছে তেমনি বাড়ছে ব্যবসায় দুর্নাম। এ বিষয়ে ভোলাচং পশ্চিম বাজারে অবস্থিত রঞ্জিত পোদ্দারের “রঞ্জিত স্টোর” দোকানে গিয়ে খোঁজ করে জানা যায় – বার্ধ্যক জনিত কারনে রঞ্জিত পোদ্দার মারা গেছেন কয়েক বছর আগে। বর্তমানে দোকানটি পরিচালনা করছেন তার ছেলে শিবু শংকর পোদ্দার। তাঁর নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান- “আমার বাবা এ দোকানে এক সময় সিঙ্গারা-ডালপুরীরর সাথে তাঁর হাতে বানানো চানাচুর বিক্রি করতেন। তিনি সব সময় চাইতেন বাজারের অন্যান্য দোকানের সিঙ্গারা, সমুচ ও ডালপুরী থেকে তার বানানো গুলো যেন ভিন্ন স্বাদের মুখরোচক ও স্বাস্থ্য সম্মত হয়”। আমি সে গুনগত মান ধরে রাখতে বদ্ধপরিকর।