অনলাইন ডেস্ক :
বলিউডের অভিনেত্রী কারিনা কাপুর খানকে নিয়ে মন্তব্য করে খানিকটা বিপাকেই পড়লেন পাকিস্তানী অভিনেতা খাকান শাহনওয়াজ। ভারতীয় এই অভিনেত্রীকে নিয়ে পাকিস্তানের অভিনেতার মন্তব্যকে ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। কারিনার অনুরাগীরাও সামাজিক মাধ্যমে খাকানের উদ্দেশে ছুড়ে দিয়েছেন কটাক্ষ।
সম্প্রতি পাকিস্তানের এক অনুষ্ঠানে অভিনেতার উদ্দেশে এক অনুরাগী বলেন, তিনি কারিনার বিপরীতে খাকানকে দেখতে চান।
জবাবে পাকিস্তানি এই অভিনেতা বলেন, ‘হ্যাঁ, সেটা করতেই পারি। তিনি তো আমার থেকে বয়সে অনেকটাই বড়। তাই তার ছেলের চরিত্রে অভিনয় করতেই পারি।’ এরপরই এই অভিনেতাকে ভারতীয়দের কটাক্ষের শিকার হতে হয়। কারিনার অনুরাগীদের দাবি, খাকান বলিউড অভিনেত্রীকে অপমান করেছেন।
এক অনুরাগীর কথায়, ‘কোনও অভিনেত্রীকে তার বয়স নিয়ে অসম্মান করা উচিত নয়।’ অন্য একজন লেখেন, ‘খাকান কে? তিনি কোন যুক্তিতে কারিনা প্রসঙ্গে অবমাননাকর মন্তব্য করেন!’
উল্লেখ্য, ২৭ বছর বয়সি খাকান একজন মডেল ও অভিনেতা। অভিনেত্রী মাহিরা খান প্রযোজিত ‘বারওয়া খিলাড়ি’ ওয়েব সিরিজে অভিনয় করে প্রচারের আলোয় আসেন তিনি। এছাড়াও বেশ কয়েকটি নাটক ও বিজ্ঞাপনেও কাজ করেছেন।
এদিকে, কারিনা প্রসঙ্গে নেটিজেনদের কটাক্ষের জবাবে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি খাকান।
অনলাইন ডেস্ক :
বিনোদন ডেস্ক :
ঢাকাই সিনেমার নায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম। নাটক দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করা এ অভিনেত্রী এখন সিনেমা নিয়েই ব্যস্ত। পাশাপাশি বিজ্ঞাপনেও দেখা যায়। আজ তার জন্মদিন। দিনটি উদযাপন, বর্তমান ব্যস্ততা এবং সমসাময়িক প্রসঙ্গ নিয়ে আজকের ‘হ্যালো…’ বিভাগে কথা বলেছেন তিনি।
* জন্মদিন ঘিরে বিশেষ কোনো পরিকল্পনা আছে?
** তেমন কিছু ঠিক করিনি। প্রতিবার যা করি এবারও তা-ই করব। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাব। আমার স্বামী নিশ্চয়ই কিছু না কিছু পরিকল্পনা করে রেখেছে, আমি জানি। সেটার অপেক্ষায় আছি। সন্ধ্যায় হয়তো কিছু কাছের মানুষের সঙ্গে ছোট কোনো আয়োজন আছে। তবে বাবা-মাকে খুব মিস করব। এবার তাদের ছাড়া জন্মদিন পালন করতে হচ্ছে। কারণ তারা বর্তমানে কানাডায় আছে। তাই কিছুটা মন খারাপ তো আছেই।
* জীবনের এ পর্যায়ে কখনো চাওয়া পাওয়ার হিসাব করেছেন?
** হিসাব করিনি। তবে পাওয়াটাই বেশি। সবার কাছ থেকে এত ভালোবাসা, এত স্নেহ, এত দোয়া পেয়েছি-এর থেকে বেশি কিছু চাওয়ার নেই। আর কীইবা চাইতে পারি। আমি কৃতজ্ঞ সবার প্রতি। সারা জীবন এভাবেই কাজ করে যেতে চাই। আর সবাই আমাকে এবং আমার কাজকে আরও বেশি ভালোবাসবে, এটাই আশা করি।
* আপনার অভিনীত ‘পরান’ সিনেমাটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২২-এ সেরার নির্বাচিত হয়েছে। কেমন লাগছে?
** দারুণ। এ সিনেমা শুরু থেকেই দর্শকদের ভালোবাসা পেয়েছে। আর এবার তো রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পেল। অনেক ভালো লাগছে। দর্শকদের ভালোবাসা আমাদের কষ্টকে আগেই সার্থক করেছিল। এবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার সেই সার্থকতাকে আরও এক ধাপ বাড়িয়ে দিল। এখন কাজ করার জন্য আমি আরও বেশি অনুপ্রাণিত। সামনে এমন আরও অনেক ভালো কাজ করতে চাই।
* ‘দিগন্তে ফুলের আগুন’ নামে একটি সিনেমায় কাজ করছিলেন। সেটার খবর কী?
** এটি সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত সিনেমা। এতে আমি পান্না কায়সারের (কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক শহীদুল্লাহ কায়সারের স্ত্রী) চরিত্রে অভিনয় করেছি। সিনেমাটি পরিচালনা করছেন ওয়াহিদ তারেক। এর শুটিং শেষ হয়েছে অক্টোবর মাসেই। এখন ডাবিংয়ের কাজ করছি। সেটাও শীঘ্রই শেষ হয়ে যাবে। তারপর মুক্তির পরিকল্পনা। এ সিনেমাটা বড় পর্দায় দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।
* এছাড়া কী নিয়ে ব্যস্ত এখন?
** মাঝে অনেক ব্র্যান্ডের শুট করলাম। যেহেতু আমি একসঙ্গে অনেক ব্র্যান্ডের আম্বাসেডর হিসাবে কাজ করছি, তাই একটানা অনেক কাজ গেল। এসব কাজ ওসব ব্র্যান্ডের ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া এবং আমার অ্যাকাউন্টেও নিয়মিত প্রকাশ হচ্ছে। এখনো কিছু কাজ বাকি আছে। এছাড়া নতুন করে কোনো সিনেমা বা ওটিটির কাজ শুরু করিনি। কথা চলছে বেশকিছু কাজের। দুটো ওটিটির কথা চলছে। তবে কিছুই চূড়ান্ত হয়নি এখনো।
অনলাইন ডেস্ক :
বলিউডের অভিনেত্রী ঊর্বশী রাউতোলা। কোনো না কোনো ইস্যু নিয়ে কিছুদিন পর পরই সংবাদের শিরোনামে আসেন এই অভিনেত্রী। এর মধ্যে অধিকাংশ সময়ই নামের সাথে জুড়ে থাকে বিতর্ক। কিছুদিন আগেই বলিউড অভিনেতা সাইফের ওপর হামলার ঘটনা নিয়ে কথা বলে কটাক্ষের মুখে পড়েন। তারকার ওপর হামলা নিয়ে সমবেদনা জানানোর পরিবর্তে নিজের লাখ টাকার ঘরি শো-অফ করেন। এ দৃশ্য দেখে অসংবেদনশীল তকমা দেয়া হয় তাকে। পরে এ নিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন অভিনেত্রী ঊর্বশী।
এদিকে, এবার এ অভিনেত্রী বাথরুম থেকে ফাঁস হওয়া আপত্তিকর ২৩ সেকেন্ডের ভিডিও নিয়ে মুখ খুললেন। ফাঁস হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল, বাথরুমে প্রবেশ করছেন ঊর্বশী। এ সময় পরনে ছিল সালোয়ার কামিজ। দরজা বন্ধ করে জামাকাপড় খুলতে যাওয়ার আগ মুহূর্তে বন্ধ হয়ে যায় ভিডিওটি। যা দেখে রীতিমতো অবাক হয়েছেন নেটিজেনরা।
এরপরই প্রশ্ন উঠে-এ ধরনের ব্যক্তিগত মুহূর্ত প্রকাশ্যে এলো কীভাবে? এ নিয়ে ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষী ও নেটিজেনরা যখন নানান আলোচনা-সমালোচনা করছেন, বিষয়টি নিয়ে তখনই প্রতিক্রিয়া জানালেন অভিনেত্রী।
এ ব্যাপারে ঊর্বশী রাউতোলা বলেন, নির্মাতারা আমার কাছে এসে কান্নাকাটি করে বলেছিলেন, আমাদের সিনেমা নিয়ে কোনো ধরনের হাইপ নেই, আলোচনাও নেই। এ সিনেমার জন্য জমি বিক্রি করতে হয়েছে। তারা এমনটাও বলেছিলেন, সিনেমাটি নিয়ে যদি কোনো শোরগোল তৈরি করা না যায়, তাহলে ঋণ পরিশোধের বিপরীতে রাস্তায় দাঁড়াতে হবে।
এ অভিনেত্রী বলেন, নির্মাতারা এসে আমার বিজনেস ম্যানেজারের সাথে আলোচনা করেন এবং অনুমতি নেন আমাদের। আর আমাদের সিনেমার দৃশ্য এমনই ছিল, আলাদা কিছু শুটিং করিনি। এ জন্য তিনি বলেছিলেন, এটি আমরা আরো আগে মুক্তি দিতে পারি কিনা। আর প্রযোজকদের কথা ভেবে প্রোমোশনের জন্য এমনটা করি। যা ‘ঘুষপেটিয়া’ সিনেমার দৃশ্যের ছিল।
ডেস্ক :
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী দলকে প্রথম ম্যাচে হারিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ক্রিকেট দল। সেই জয় যে অঘটন ছিল না, বাংলাদেশের মেয়েরা সেটি দেখিয়ে দিলো পরের ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে।
বেনোনিতে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে আজ ১৬ জানুয়ারি সোমবার শ্রীলঙ্কাকে ৯ রানে হারিয়েছে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের মেয়েরা। টানা দুই জয়ে বিশ্বকাপের সুপার সিক্স প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে তাদের।
ম্যাচে টসভাগ্য সহায় ছিল না বাংলাদেশের মেয়েদের। প্রথমে তাদের ব্যাটিংয়ে পাঠায় শ্রীলঙ্কা। তবে টস হারলেও ব্যাটিংটা দারুণ করেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। ২ উইকেটেই গড়ে ১৬৫ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ।
মিষ্টি সাহাকে নিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ৭৫ রান তোলেন আফিয়া প্রত্যাশা। ৪৩ বলে ৫ চার আর ৩ ছক্কায় তিনি দুর্দান্ত এক হাফসেঞ্চুরি তুলে ১২তম ওভারে আউট হন ৫৩ করে।
মিস্টি অবশ্য তার মতো খেলতে পারেননি। ২৪ বলে ১৪ রানের ধীরগতির এক ইনিংস খেলে ওই ওভারেই সাজঘরে ফেরেন। কিছুটা চাপে পড়ে দল।
সেখানে দাঁড়িয়ে দিলারা আক্তার আর স্বর্ণা আক্তারের ঝোড়ো ব্যাটিং। উইকেটরক্ষক দিলারা আক্তার ২৭ বলে করেন অপরাজিত ৩৬ রান। হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন স্বর্ণা। ২৮ বলে তার ৫০ রানের মারকুটে ইনিংসে ছিল ৩ চার আর ২ ছক্কার মার।
রান তাড়ায় নামা শ্রীলঙ্কার ২৪ রানেই ২ উইকেট তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই চাপ সামাল দেন অধিনায়ক বিশ্বি গুনারত্নে আর দেওমি ভিহাঙ্গা। একটা সময় মনে হচ্ছিল, তারা হয়তো বাংলাদেশকে হারিয়েই দেবেন।
১৭তম ওভারে দেওমিকে (৪৪ বলে ৫৫) এলবিডব্লিউ করেন মারুফা আক্তার। একটা প্রান্ত ধরে ছিলেন অধিনায়ক বিশ্বি। তবে শেষরক্ষা করতে পারেননি। ৫৪ বলে ৮ চার আর ১ ছক্কায় ৬০ রানে অপরাজিত থাকেন লঙ্কান অধিনায়ক। ৪ উইকেটে ১৫৫ রানে থামে লঙ্কানদের ইনিংস।
মারুফা আক্তার ৪ ওভারে ১৯ রানে নেন ২টি উইকেট। দিশা বিশ্বাস এক উইকেটে ৪ ওভারে খরচ করেন ৪৪ রান।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশের তৃণমূল ফুটবলের অত্যন্ত পরিচিত এক নাম মোঃ শাহাদাত হোসেন। এক ফুটবল পাগল ও ফুটবল সংগঠক। দেশের ফুটবলের নানা ক্ষেত্রে রয়েছে তার সরব উপস্থিতি। বিশেষ করে মতিঝিল পাড়ায় বলতে গেলে তাকে এক নামে সবাই চেনে। এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাড়াও তিনি দেশের ফুটবল সমর্থকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন বাংলাদেশ ফুটবল সাপোর্টার্স ফোরাম এর প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক।
শাহাদাত জানান, ভালোবাসি ফুটবল, ভালোবাসি দেশকে ভালোবাসি নিজ জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে। তিনি আরো বলেন, এক সময় আমাদের জাতীয় পর্যায়ে ঢাকার বাইরের বেশ কয়েকটি ক্লাব অংশগ্রহন করেছে। সিলেটের বিয়ানীবাজার, কক্সবাজারের কক্সসিটি, নায়ারণগঞ্জের শুকতারা, চট্টগ্রামের আবাহনী-মোহামেডান ছাড়াও আরো বেশ কিছু ক্লাব জাতীয় পর্যায়ে খেলার কারনে উক্ত জেলা ও জেলার ফুটবলের সার্বিক পরিচিতি লাভ করেছিলো। এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে নিয়ে আমাদের আশাবাদ হলো এটির মাধ্যমে বাংলাদেশ ও দেশের গন্ডি পেরিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নামকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে চাই।
শাহাদাত বলেন, আমার বিশ্বাস ও আস্থা আছে যে, যদি আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লোকজন এটাকে ভালোভাবে গ্রহন করে আপন করে নিতে পারে তাহলে একদিন এটিই হতে পারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার পরিচিতির জন্য অন্যতম মুখপাত্র। আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রয়েছে। ফুটবলের এ প্রয়াসের মাধ্যমে আমার ইচ্ছা ও আকাংক্ষা এই যে এর মাধ্যমে আমি ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার নামকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে চাই যেমনি ভাবে আজকে রিয়াল-বার্সাকে সবাই এক নামেই চিনে।
২০১৭ সালে ঢাকা পাইওনিয়ার ফুটবল লিগে প্রথমবারের মতো এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশগ্রহণ করে। এরপর ২০১৯ সালের ওই আসরে অংশ নিয়ে দলটি তৃতীয় বিভাগ ফুটবল লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। চলতি ঢাকা তৃতীয় বিভাগ ফুটবল লিগে অংশ নিয়েছে এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়া। এছাড়াও নারী ফুটবল লিগে এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়া নারী ফুটবল দল ২০২১ সালে তৃতীয় এবং ২০২২ সালে দশম স্থান অর্জন করে।
শাহাদাত নিজের ক্লাবের অর্থনৈতিক দুরবস্থার কথা জানান, মূলত আমি এবং আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার হাতেগোনা কিছু ফুটবল পাগলদের নিয়ে কোনরকমে দলটি পরিচালনা করে আসছি। আমার নিজের জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নামে দলটি হলেও তেমন কোন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা পাচ্ছি না। গুটিকয়েক ব্যক্তি এবং নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাত্র একজন ব্যক্তির বদ্যানতায় দলটি পরিচালনা করছি। শাহাদাত আরও বলেন, আমার একান্ত চাওয়া-দলটি বাংলাদেশের ফুটবলে প্রতিষ্ঠিত হোক। এ লক্ষ্যে চেষ্টা করে যাচ্ছি, এজন্যই সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। আমাদের দলটির বিষয়ে যদি দেশের ফুটবলপ্রেমীদের কাছে সুন্দরভাবে তুলে ধরা যেত, তাহলে আশা করি অনেকেই এগিয়ে আসতো।
শাহাদাতের জন্ম ও বেড়ে উঠা দুটিই ঢাকাতে হওয়ায় এবং রাজনৈতিক কোন সম্পৃক্ততা না থাকায় দলটি পরিচালনা করতে হিমশিম খাচ্ছেন। আর্থিক সংকটে ভুগছে এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়া। শাহাদাতের ভাষ্য একটি ক্লাব দল পরিচালনার জন্য যে ধরনের কাঠামো দরকার তা আমাদের ক্লাবের ক্ষেত্রে ঘাটতি রয়েছে। আর্থিক সীমাবদ্ধতাও একটি বড় বিষয়।
ক্লাবের ঘাটতির বিষয়টি আরেকটু খোলাসা করেন শাহাদাত, দল পরিচালনার ক্ষেত্রে সব সিদ্ধান্ত আমাকে একাই নিতে হচ্ছে। আমাদের কমিটির বেশকিছু সদস্য দেশের বাইরে অবস্থান করেন এবং জেলাভিত্তিক দল হওয়ায় অনেকেই জেলাতে বসবাস করেন। তাদেরকে আমরা ক্লাবের সাথে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করছি মাত্র। আর বাকি যারা ঢাকায় রয়েছেন তাদের নিয়ে চেষ্টা করছি দলটি পরিচালনা করতে। হাতে গোনা কয়েকজন বাদে তেমন কেউই আর্থিকভাবে সহযোগিতা করে না।
যদি বিত্তবান কোন ক্রীড়াপ্রেমী থাকেন, তাহলে এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জন্য আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন, এটাই শাহাদাতের প্রত্যাশা।
অনলাইন ডেস্ক :
সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে জয় দিয়ে সাফ শুরু বাংলাদেশের। নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা। বাংলাদেশের জয়ে গোল করেছেন আকলিমা খাতুন, শামসুন্নাহার জুনিয়র ও শাহেদা আক্তার রিপা।
আজ ৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই গোল পায় বাংলাদেশ। রিপার বাড়ানো পাসে বাংলাদেশকে লিড এনে দেন আকলিমা খাতুন। এরপর ম্যাচের ১৩ মিনিটে অধিনায়ক শামসুন্নাহার জুনিয়রের গোলে ব্যবধান দিগুণ করে বাংলাদেশ। দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে নেপাল। ২৪ মিনিটে কর্নার থেকে থেকে গোল করে ব্যবধান কমান নেপালের মানমায়া দামাই।
প্রথমার্ধে শামসুন্নাহার আঘাত পাওয়ায় দ্বিতীয়ার্ধে তাকে ছাড়াই নামে বাংলাদেশ। স্বাভাবিকভাবে দাঁড়াতে না পারায় তার বদলে আইরিনকে নামান কোচ। বাংলাদেশ ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়েছে শুরু থেকেই। তবে সেসব চেষ্টা আলোর মুখ দেখেনি। নেপালি রক্ষণ সেসব সামলেছে ভালোভাবেই। অন্তিম সময়ে এসে দলের ব্যবধান বাড়িয়ে স্বস্তি দিয়েছে শাহেদা আক্তার। এতে ৩-১ ব্যবধানের জয় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের।
এ জয়ে গোলাম রাব্বানী ছোটনের শিষ্যরা ৩ পয়েন্ট নিয়ে আছে সাফ পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে। দিনের প্রথম ম্যাচে ১২ গোলের ব্যবধানে জেতা ভার এখন আছে টেবিলের চূড়ায়। আগামী রোববার নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।