স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ১২৫ কেজি গাঁজাসহ একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা জব্দ করেছে পুলিশ। বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কসবা থানা পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে। এর সকালে উপজেলার পৌরশহরের ইমামপাড়া এলাকা থেকে মাদকগুলো জব্দ করা হয়।
কসবার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের আভিযানিক দল পৌরশহরের ইমাম পাড়া এলাকার একটি সড়কে অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক কারবারী ১২৫ কেজি গাঁজা ও একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা রেখে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় কসবায় থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় ১২ বছরের শিশু সুমাইয়াকে হত্যার ঘটনায় তার সৎ মা শারমীন আক্তারকে (৩৬) যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
গতকাল বুধবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার এই দন্ডাদেশ প্রদান করেন। দন্ডপ্রাপ্ত শারমীন আক্তার উপজেলার মেহারী ইউনিয়নের মেহারী গ্রামের শামীম মিয়ার স্ত্রী। রায়ের সময় শারমীন আক্তার আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালতে মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মেহারি গ্রামের শামীম মিয়ার প্রথম স্ত্রী দুই ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান ফেলে রেখে বিদেশে চলে যান। তিন সন্তানের কথা চিন্তা করে শামীম মিয়া আরেকটি বিয়ে করেন। বড় দুই ছেলেকে ঢাকায় নিয়ে যান শামীম মিয়া। অন্যদিকে সুমাইয়া তার সৎ মায়ের সাথেই থাকতো।
গত বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি সকালে নিজ ঘরে শিশু সুমাইয়ার লাশ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে শামীম মিয়ার দুই ছেলেকে নিয়ে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন। তারা সুমাইয়ার গলায় কালো চিহ্ন দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। এই ঘটনায় সৎ মা শারমীন আক্তারকে প্রধান আসামী করে অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন শামীম মিয়ার ছেলে আরমিন ভূইয়া।
এই মামলায় শারমীন আক্তারকে গ্রেপ্তার করে আদালতে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আদালতের আদেশে দুই দিনের রিমান্ডে আনা হলে শারমীন হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেন। পরে শ্বাসরোধে হত্যার কথা উল্লেখ করে আদালতে তিনি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
জবানবন্দিতে জানায়, সুমাইয়াকে পড়তে এবং রাতে খাবার খেতে বলায় এ নিয়ে তর্কবিতর্ক হয়। এরই জেরে ক্ষোভে দুই হাত দিয়ে চেপে সুমাইয়াকে হত্যা করে শারমীন। এই মামলায় শারমীনকে অভিযুক্ত করে তদন্তকারি কর্মকর্তা কসবা থানার উপ-পরিদর্শক লিয়াকত আলী আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহবুবুল আলম খোকন জানান, রায় প্রদানকালে কারাদন্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাকে আদালতের আদেশে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
আসামী গ্রেফতারের পর হাজতবাসকালীন সময়টুকু কারাদন্ডের সময় থেকে বাদ দেয়া হবে বলে আদালত আদেশ দিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় গাছের সাথে ধাঁক্কা লেগে মো. জিসান (১৫) নামে এক কিশোরের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। ২ মার্চ রোববার রাত ১০টার দিকে মৃত্যুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ছমিউদ্দিন। এর আগে বিকালের দিকে আখাউড়া উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের আমোদাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত জিসান আখাউড়া উত্তর ইউনিয়নের আজমপুর গ্রামের দুবাই প্রবাসী মো. সুমন মিয়ার ছেলে।
জানা গেছে, জিসানের বাবা দুবাই প্রবাসী মো. সুমন। ছেলের অনেক দিনের বায়না ছিল তাকে একটি মোটরসাইকেল কিনে দিতে হবে। ছেলের এই বায়না মেটাতে এক সাপ্তাহ আগে ছেলেকে একটি মোটরসাইকেল কিনে দেন বাবা। এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই সেই মোটরসাইকেলই কাল হয়ে দাঁড়াল জিসানের জন্য। বিকালের দিকে আমোদাবাদ এলাকায় গাছের সঙ্গে ধাঁক্কা লেগে গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করে।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ছমিউদ্দিন জানান, বিকালের দিকে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হলে তাকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে যাওয়া হয় পরে সেখানের দায়িত্বশীল ডাক্তার তাকে মৃত্যু ঘোষণা করে। ময়নাতদন্ত ছাড়াই জিসানের লাশ দাফন করার অনুরোধ করেন তার পরিবার।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক এমপি’র ব্রাহ্মণবাড়িয়া শুভাগমন উপলক্ষে জেলাপরিষদের পক্ষ থেকে গতকাল রবিবার সার্কিট হাউজ ভিআইপি কক্ষে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন, পরিষদ চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার, পরিষদ সদস্য এম এ আজিজ, অধ্যাপিকা রুমানুল ফেরদৌসী এবং কসবা পৌরসভার মেয়র এম এ জি হাক্কানী।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুল হক স্বপনকে (৫১) শ্যুটার গানসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ৪ মে বৃহস্পতিবার দুপুরের তাকে উপজেলা খাড়েরা ইউনিয়নের দারোগাবাড়ী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
শরীফুল উপজেলার সৈয়দাবাদ গ্রামের সাবেক উপজেলা বিএনপির সভাপতি জহিরুল হকের ছেলে। গ্রেফতারের পর অসুস্থ হয়ে পড়লে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানায় নেতাকর্মীরা।
দলীয় সূত্র জানান, আগামী ০৬ এপ্রিল উপজেলা বিএনপির কমিটি গঠনে নির্বাচন হওয়ার কথা। এ লক্ষ্যে সাধারণ সম্পাদক শরীফুল হক স্বপনসহ উপজেলা বিএনপির নেতা আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ফখর উদ্দিন আহাম্মদ খানসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের দেলী-পাতাইসার উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কেন্দ্র পরিদর্শনে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার হওয়ার পর হৃদরোগে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আনা হয়। পরে বিকেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে দারোগাবাড়ী এলাকায় স্বপনের শরীর তল্লাশি করে একটি লোডেড শ্যুটার গান পাওয়া যায়। এ সময় অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে এবং আগের একটি বিস্ফোরক মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য, আগামী ০৬ মে কসবায় উপজেলা বিএনপি কমিটি গঠনের বিষয়ে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু উপজেলা বিএনপি নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে একাধিক প্রার্থী না থাকায় গ্রেফতার হওয়া শরীফুল হক স্বপনকে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন জেলা বিএনপি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান মামলা ও কারাদন্ড দেওয়ার পরও কসবায় বন্ধ হচ্ছে না পাহাড় কাটা। রাতের আধাঁরে কেটে নেওয়া হচ্ছে পাহাড় ও টিলা ভূমি। এতে করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য। ৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের লতুয়ামুড়া এলাকায় পাহাড় কাটার দায়ে মামুন মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে সাত দিনের কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
এ আদালত পরিচালনা করেছেন প্রথম শ্রেণীর নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্যাট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. গোলাম সরওয়ার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্যাট ইকরামুল হক নাহিদ এবং তৌহিদুল ইসলাম। তাদেরকে সহযোগীতা করেছেন জেলা পুলিশ ও বিজিবি।
কারাদন্ড প্রাপ্ত মো. মামুন মিয়া কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের লতুয়ামুড়া গ্রামের বাসিন্দা। তাকে গতকাল শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।উপজেলা ভূমি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কসবা উপজেলার বায়েক ও গোপীনাথপুর ইউনিয়নে পাহাড় রয়েছে। কসবা উপজেলার মাদলা মৌজায় এক দাগেই পাহাড় রয়েছে দুইশ ৩৭ একর। এনিয়ে দুই ইউনিয়নে পাহাড় রয়েছে তিনশ ৭৫ একর। তবে স্থানীয়দের ধারণা ৫০ একরেরও বেশী পরিমান পাহাড় কেটে নেওয়া হয়েছে। এভাবে কাটতে থাকলে এক সময় পাহাড়হীন হয়ে পড়বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা। জানা যায়, একটি সংঘবদ্ধ চক্র পাহাড় কাটা ও মাটি বিক্রয়ের সাথে জড়িত। তারা প্রকৃতিরখুঁটি পাহাড় ধ্বংস করছে। তাদের সাথে রয়েছে ভূমি অফিসের কিছু অসৎ কর্মকর্তা ও কর্মচারীর যোগসাজশ।
কসবা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. গোলাম সরওয়ার জানিয়েছেন, পাহাড় কাটার দায়ে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে মামুন মিয়া নামের একজনকে সাতদিনের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ জহিরুল হক কবির বলেন, পাহাড় কাটার দায়ে কারাদন্ডপ্রাপ্ত মামুন মিয়াকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।