নৌবাহিনীর বাৎসরিক টেনিস ও স্কোয়াশ প্রতিযোগিতা সমাপ্ত

জাতীয়, সারাদেশ, 28 December 2024, 913 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বাৎসরিক ‘টেনিস ও স্কোয়াশ প্রতিযোগিতা-২০২৪’ এর সমাপনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।

banner

আজ ২৮ ডিসেম্বর শনিবার চট্টগ্রামস্থ বানৌজা ঈসাখানে ‘এরিয়া টেনিস ও স্কোয়াশ কমপ্লেক্সে’ এই প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হয়। প্রতিযোগিতার সমাপনী দিনে বাংলাদেশ নৌবাহিনী পরিবার কল্যাণ সংঘের প্রেসিডেন্ট নাদিয়া সুলতানা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান।

নৌ ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের তত্ত্বাবধানে ও বানৌজা ঈসা খান এর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ৭ দিনব্যাপী আয়োজিত এ প্রতিযোগিতায় কমান্ডার ঢাকা নৌ অঞ্চল, কমান্ডার চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চল, কমান্ডার খুলনা নৌ অঞ্চল, কমান্ডার বিএন ফ্লিট এবং কমডোর সুপারিন্টেডেন্ট ডকইয়ার্ড দলের ৪২ জন পুরুষ ও ১৬ জন মহিলা কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।

Leave a Reply

প্রতিপক্ষের হামলায় নারী নিহত, দুইজন আটক

চলারপথে রিপোর্ট : তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় খাইরুন Read more

গাজীপুরে মামা হত্যার আসামি ভাগিনা গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : গাজীপুরে আনিসুর রহমান হত্যার মামলার আসামি ভাগিনা Read more

সদর মডেল থানায় যোগদান করেই কঠোর…

সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য : আজহারুল ইসলাম সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

চলারপথে রিপোর্ট : ফ্ল্যাট বাসা থেকে শরীর মীর (৪০) নামের Read more

নাসিরনগরে বাবাকে হত্যার ঘটনায় ছেলে আটক

চলারপথে রিপোর্ট : নাসিরনগরে আলম মিয়া (৬০) নামের এক ব্যবসায়ী Read more

আখাউড়ায় খেলাফত মজলিসের প্রার্থীর মতবিনিময়

মোঃ ইসমাইল: ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের খেলাফত মজলিস মনোনীত প্রার্থী Read more

৫০ কেজি গাঁজাসহ একজন গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : ৫০ কেজি গাঁজা ও ১টি সিএনজি উদ্ধারসহ Read more

কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপদসীমায়, জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের…

অনলাইন ডেস্ক : বর্ষার শেষপ্রহরে নেমে আসা অবিরাম বৃষ্টি ও Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার নতুন ওসি আজহারুল…

চলারপথে রিপোর্ট : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে Read more

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে…

অনলাইন ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ঐতিহাসিক Read more

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : কুমিল্লার দাউদকান্দি বারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) Read more

মেক্সিকোতে যাত্রীবাহী বাসে ট্রেনের ধাক্কায় ১০জন…

অনলাইন ডেস্ক : মেক্সিকোর আটলাকোমুলকো শহরে একটি পণ্যবাহী ট্রেন ও Read more

হারুন স্যারের সঙ্গে আমার বিয়ের কল্পকাহিনী প্রচার করা হচ্ছে

জাতীয়, 12 September 2023, 980 Views,
এডিসি সানজিদা- ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নেতাকে থানায় মারধরের ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হকের স্ত্রী পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) সানজিদা আফরিন। আজ ১২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার আলাপকালে তিনি বলেন, ‘সোস্যাল মিডিয়ায় আমি বুলিংয়ের শিকার। অনেকে নোংরা মানসিকতার পরিচয় দিচ্ছে। একটি ছবি ছড়িয়ে দিয়ে হারুন স্যারের সঙ্গে আমার বিয়ের কল্পকাহিনী প্রচার করছে। যে কেউ ভালোভাবে খেয়াল করলেই বুঝবে- ওই ছবির নারী আমি নই। এর আগে অনেক ইস্যুতে অনেকেই বুলিংয়ের শিকার হয়েছেন। এবার আমি এর শিকার।’

banner

সানজিদা আরও বলেন, ‘হাসপাতালে কী ঘটেছে সে ব্যাপারে তদন্ত হচ্ছে। তদন্তে পুরো বিষয় বেরিয়ে আসবে। ঘটনার দিন হাসপাতালে আমার স্বামী পৌঁছার পর আমাকে কোনো কিছু নিয়ে প্রশ্ন করেননি। আমার স্বামী প্রথম এডিসি হারুন স্যারের ওপর চড়াও হন।’

এডিসি হারুনের সঙ্গে ব্যক্তিগত কোনো সম্পর্ক আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হারুন স্যারের সঙ্গে আমার কোনো ব্যক্তিগত সম্পর্ক নেই। তিনি শুধুমাত্র আমার কলিগ। তবে হারুন স্যারের সহযোগিতা নিয়েছিলাম। তিনি আমাকে ডাক্তারের সিরিয়ালের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। এ ছাড়া আর কিছুই জানি না।’

সানজিদা আরো বলেন, ‘ইনটেনশন (উদ্দেশ্য) দেখে মনে হয়েছে, তারা আমাদের দু’জনকে পাশাপাশি দাঁড় করিয়ে একটা ভিডিও করতে চাচ্ছে। পরবর্তীতে তারা সেটি ইউজ (ব্যবহার) করবেন, একটি অসৎ উদ্দেশ্যের জন্য হতে পারে।’

পরিকল্পিতভাবে আপনার স্বামী এই ঘটনা ঘটিয়েছেন কি-না জানতে চাইলে সানজিদা বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে কি-না বলতে পারব না। তবে তিনি খুব মারমুখী ছিলেন।’

সানজিদা ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) হিসেবে কর্মরত এবং ৩১তম বিসিএস কর্মকর্তা।

সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সানজিদা বলেন, ‘বেশ কিছুদিন আমার কার্ডিয়াক সমস্যা হচ্ছিল। ২০১৯ সাল থেকে আমি হাইপার টেনশনের মেডিসিন খাচ্ছি। চার-পাঁচ মাস ধরে সমস্যাটা বেড়ে যায়। শনিবার ব্যথা বেড়ে যায়। সেদিন ফ্রি সময় থাকায় ডাক্তার দেখাতে চাই। আমি যে ডাক্তারকে দেখাই, তিনি দেশের বাইরে থাকায় ইব্রাহীম কার্ডিয়াক হাসপাতালে এডিসি হারুন স্যারকে একটি সিরিয়াল করে দিতে বলি। তিনি ওসির মাধ্যমে সিরিয়াল ম্যানেজ করে দেন।’

ডিএমপির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘সন্ধ্যায় ৬টায় আমি সেখানে যাওয়ার পরে দেখি, যেই ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়া হয়েছে তিনি একটি কনফারেন্সে আছেন। বিষয়টি হারুন স্যারকে জানালে, তিনি আশপাশে থাকায় হাসপাতালে আসেন। তিনি এসে একজন ডাক্তারকে ম্যানেজ করেন। তাকে দেখানোর পর বেশ কিছু টেস্ট দেন।’

ঘটনার সময় ইটিটি রুমে ছিলেন দাবি করে সানজিদা বলেন, “এ ঘটনার সময় আমি যে রুমে ইটিটি করানো হয় সেই রুমে ছিলাম। ইটিটি করানোর ১৫-২০ মিনিট পর আমি বাইরে একটা হট্টগোলের শব্দ শুনি। প্রথম যে সাউন্ডটা (শব্দটা) কানে আসে যে স্যারই (এডিসি হারুন) চিৎকার করে বলছেন, ‘ভাই, আপনি আমার গায়ে হাত তুললেন কেন? আপনি তো আমার গায়ে হাত তুলতে পারেন না’।”

তিনি আরো বলেন, ‘আমার প্রথমে ধারণা হয়েছিল যে, হয়তো অন্য কারো সঙ্গে ঝামেলা। কিছুক্ষণ পর আমি দেখতে পাই আমার হাজব্যান্ড (আজিজুল হক মামুন), উনি আসলে ওখানে কী করছিলেন, কেন গিয়েছিলেন আমি জানি না। ওনাকে টোটালি আউট অব মাইন্ড লাগছিল (মানসিকভাবে স্থির ছিলেন না) এবং খুবই উত্তেজিত ছিলেন। ওনার সঙ্গে আরো কয়েকজন ছেলে ছিল, আমি আসলে তাদের চিনি না। তারা স্যারকে (এডিসি হারুন) মারতে মারতে ইটিটি রুমে নিয়ে এলেন।’

‘তারা মূলত স্যারকে (এডিসি হারুন) মারতে মারতে, টেনে-হিঁচড়ে এই রুমে নিয়ে আসে। স্যার তাদের হাত থেকে বাঁচতে ইটিটি রুমের এক কোনায় গিয়ে দাঁড়ান’, যোগ করেন সানজিদা।

সানজিদা বলেন, “এরপর আমার হাজব্যান্ড তার সঙ্গে থাকা লোকজনকে বললেন, ‘এই ভিডিও কর।’ পরে সবাই ফোন বের করে ভিডিও করা শুরু করে। যখন তারা ভিডিও শুরু করে তখন আমি আমার হাজব্যান্ড এবং তার সঙ্গে থাকা লোকজনের সঙ্গে চিল্লাচিল্লি শুরু করি। এরপর আমি যারা ভিডিও করছে তাদের মোবাইল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে তাদের হাতের সঙ্গে লেগে আমিও হাতে সামান্য ব্যথা পাই। তার কারণ আমি চাচ্ছিলাম না সেই অবস্থায় কেউ আমার ভিডিও করুক। আর তাছাড়া আমার হাজব্যান্ডের সঙ্গে যেসব ছেলে ছিল আমি তাদের কাউকে চিনতামও না।”

তিনি আরও বলেন, ‘ওই অবস্থায় আমার হাজবেন্ড আমার গায়ে হাত তোলে এবং স্যারকে বের করার চেষ্টা করে। তখন স্যারের কাছে বিষয়টি সেফ মনে হয়নি। এরপর স্যার কিছুক্ষণ অপেক্ষা করছিলেন। তখন হাসপাতালের সিকিউরিটির লোকজনও আসেন। এর ১০/১৫ মিনিট পর থানা ফোর্স এলে তারা সেখান থেকে বের হয়ে যায়।’

প্রসঙ্গত, শনিবার রাতে রাজধানীর শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের ২ কেন্দ্রীয় নেতাকে পুলিশ নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করে বলে অভিযোগ ওঠে। আহত ব্যক্তিরা হলেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হল শাখার সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ।

ভুক্তভোগী ও তাদের সহপাঠীদের অভিযোগ, পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদ তাদের থানার ভেতিরে নিয়ে বেড়ধক পেটান। এমনকি ছাত্রলীগ নেতা পরিচয় দেওয়ার পরও হারুনের সঙ্গে ১০-১৫ পুলিশ সদস্য মিলে তাদের পিটিয়েছেন।

সংগৃহীত

আগে আন্দোলন ছিল ডাল-ভাতের, এখন দাবি মাছ-মাংসের দাম কমানোর: তথ্যমন্ত্রী

জাতীয়, 31 March 2023, 1598 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, আগে আন্দোলন ছিল ডাল-ভাতের জন্য, এখন দাবি মাছ-মাংসের দাম কমানোর।

banner

আজ ৩১ মার্চ শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার শিলক এম শাহ আলম চৌধুরী ডিগ্রি কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত চার ইউনিয়নের তৃণমূল প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘দেশ এখন বদলে গেছে, মানুষের ভাগ্যও পরিবর্তন হয়েছে। গ্রাম এখন শহরে পরিণত হয়েছে। আগে মানুষ আন্দোলন করতো ডাল-ভাতের জন্য। আর এখন মানুষের জীবন মানের উন্নয়ন হওয়ায় মাছ-মাংসের দাম কমানোর জন্য দাবি তোলে।’ খবর বাসসের

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দেশের প্রতিটি গ্রাম-মহল্লায় পর্যন্ত যে উন্নয়ন হয়েছে তা সবার কাছে বলতে হবে। যারা শুধু ভোট আসলে লাফালাফি করে, লুকিয়ে লুকিয়ে শহরে গিয়ে খালেদা জিয়ার নামে স্লোগান দেয়, তারা যে সড়ক কিংবা ব্রিজের ওপর দিয়ে যায় সেটিও আওয়ামী লীগের করা। করোনাসহ কোনো দুর্যোগ-দুর্বিপাকে তাদের পাওয়া যায়নি, তাদের বয়কট করে আগামীতেও সাংগঠনিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে হবে।’

দলের সাংগঠনিক বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তৃণমূলের নেতারাই আওয়ামী লীগের প্রাণ। গ্রামে-গঞ্জে-মহল্লায় আমাদের দলকে এই নেতারাই ধরে রেখেছেন। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। গ্রামে-গঞ্জে, হাটে-ঘাটে মাঠে সাধারণ মানুষের কাছে সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাঙ্গুনিয়াসহ সারাদেশে সরকারের অভূতপূর্ব উন্নয়নের দাবিদার তৃণমূলের নেতারাও। দলের সুনাম বজায় রাখতে আমাদের দলের নাম বিক্রি করে কেউ যদি অপকর্ম করে তাদের ছাড় দেয়া হবে না, প্রকাশ্যে শায়েস্তা করতে হবে।’

রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবু জাফরের সভাপতিত্বে এবং এমরুল করিম রাশেদ ও মাহমুদুল হাসান বাদশার যৌথ সঞ্চালনায় আওয়ামী লীগ নেতা স্বজন কুমার তালুকদার, আবুল কাশেম চিশতি প্রমুখ সভায় বক্তব্য দেন।

কারা নির্যাতিত ইসহাক সরকার মানুষের সেবায় উৎস্বর্গ করতে চায়

জাতীয়, রাজনীতি, 29 July 2025, 186 Views,

জায়েদুল কবির ভাঙ্গি, গাজীপুর :
পুরান ঢাকার বংশালের বাসিন্দা ইসহাক সরকার। তিনি জানান, দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় তার বিরুদ্ধে ৩৬৫টি মামলা হয়েছে এবং প্রায় ১০ বছর বিভিন্ন সময়ে কারাবন্দী ছিলেন।

banner

বিএনপির বিগত আন্দোলন গুলোতে ইসহাক সরকারের ভূমিকা ছিল মাঠে সরব। দিনের পর দিন তিনি রাস্তায় আন্দোলন চালিয়েছেন। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমেও সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। ত্যাগী ছাত্রনেতা ইসহাক সরকারের ফেরারী জীবন চিত্র নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছিল।

তিনি আরো জানান, পুরান ঢাকায় একটি লিজকৃত সম্পত্তি, যা একসময় আওয়ামী লীগ নেতা হাজী সেলিম দখল করেছিল, সেটি তিনি পুনরুদ্ধার করেন এবং এর আয়ে তিনি দলের নিখোঁজ-নিহত নেতাকর্মীদের পরিবারকে সহায়তা করেন।

একাধিক সূত্রে জানা যায়, ‘‘৯৬ সালের শেষের দিকে ঘটনা। বরিশাল জেলা সফরের উদ্দেশে সদরঘাটের দিকে আসছিলেন তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। তখন কয়েক শতাধিক কর্মী সমেত মিছিল- শ্লোগানে সদর এলাকা মুখর করে তোলেন ৩৪নং ওয়ার্ডের ছাত্রদল নেতা ইসহাক সরকার। পাশেই গাড়িতে বসেছিলেন তৎকালীন ঢাকা মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি প্রয়াত নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু। মধ্যরাতে এতো বড় শোডাউন দেখে ইসহাক সরকারকে কাছে ডাকেন তিনি। জিজ্ঞেস করেন নাম-পরিচয়। অনুরোধ করেন নয়াপল্টন কার্যালয়ে যাওয়ার। পরের দিনই হাজির হন নয়াপল্টনে। রাজনীতির প্রতি আগ্রহ দেখে তাৎক্ষণিকভাবেই তাকে কোতোয়ালি থানার দায়িত্ব দেন পিন্টু। এরপর থেকেই তার বিরুদ্ধে ঝড়ের গতি দায়ের হয় মামলা। শুরু হয় কারাগার আর ফেরারী জীবন। তার জন্য নির্যাতিত হয় পরিবারের অন্য সদস্যরাও। তবুও পিছু হটেননি। ছাড়েননি রাজনীতি। শত নির্যাতনেও তিনিছিলেন অবিচল। ওয়ার্ড থেকে থানার দায়িত্ব পেয়েই নেমে পড়েন রাজপথে। নিয়মিত অংশ নিতেন মিছিল-মিটিংয়ে। আধাবেলা হরতাল দিলে পুরান ঢাকায় পালন করতেন রাত পর্যন্ত। ৯৮ সালে রমনা পার্কে ছাত্রদলের কর্মসূচিতে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। ওই কর্মসূচিতে শতাধিক ছাত্রদল কর্মী নিয়ে অংশ নেন তিনি। মিছিল নিয়ে মৎস্য ভবনের মোড় আসতেই ৩৬ জন কর্মীসহ তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। থানা হাজতে খালি গায়ে তাদের বসিয়ে রাখা হয়। পরদিন তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়। ছোটভাই খাবার দিতে গেলে তাকে গ্রেফতার করা হয়। দেড় মাস পর জামিনে মুক্তি পান তিনি।

এক রনাঙ্গনের বীর যোদ্ধার রাজনৈতিক জীবন : বিগত সময় থেকে স্বৈরাচারী ও বাকশালী সরকারের বিরুদ্ধে সবসময় প্রতিবাদ করে আসছেন রাজপথের আলোচিত নেতা ও আন্দোলন সংগ্রামের অগ্নিপুরুষ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এর সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদল এর সাবেক সংগ্রামী সভাপতি ইসহাক সরকার।

ওয়ান ইলেভেন এর কঠিন সময়েরও অনেক আগে থেকে রাজপথে লড়াইকরে আসছেন এই অগ্নিপুরুষ। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে তাঁকে বহুবার হতে হয়েছে কারা-নির্যাতিত। বিগত হাসিনা সরকারের (১৯৯৬-২০০১) আন্দোলনে দেশের তৎকালীন ইতিহাসে সর্বোচ্চ ১৫২ মামলায় ৩ বছর কারাবন্দী ছিলেন তারই বড় ভাই আন্দোলন সংগ্রামের সাহসী নেতা “ইয়াকুব সরকার”। রাজপথের বীর নেতা, আড়াইশোর বেশি অর্থাৎ ছাত্র রাজনীতির ইতিহাসে সর্বাধিক মিথ্যামামলার আসামী “ইসহাক সরকার”।

যার জীবনের অনেকটা সময়ই কেটেছে কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে। কারাগারে থাকা অবস্থায় তাকে পিতৃবিয়োগের শোক সংবরণ করতে হয়েছে। আরেক ভাই “ইসমাইল সরকার” যিনি রাজনীতি না করেও ৬০ মামলায় এখন পর্যন্ত ৪ বার কারাবরণ করেছেন। “ইসমাইল” নামের পিছনে শুধুমাত্র সরকার নাম থাকার কারণে তাকে রাজনীতি না করেই হাসিনা বাহিনীর নোংরা ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয়েছে।

এই বীরযোদ্ধার; আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটকের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস পাঠকের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছিঃ

১৯৯৬ সালের ২৭ এপ্রিল রাজধানীর রমনা পার্ক থেকে প্রথমবারের মতো আটক হন ইসহাক সরকার। ছাত্রদলের তৎকালীন সভাপতি শহিদউদ্দিন চৌধুরী এনি ও ইসহাক সরকারসহ ছাত্রদলের ৩৪ নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ। যার মধ্যে ২২ জনই ছিলেন কোতয়ালি থানা ছাত্রদলের নেতাকর্মী। আটককৃতদের পুলিশ কন্ট্রোল রুমের খোলা মাঠে সারাদিন খালি গায়ে রাখা হয়। পরদিন বাংলাদেশের গণমাধ্যমসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রধান শিরোনাম হয়ঃ ÒTorture on Dhaka University students under police custodz; Sheikh Hasina style”

১৯৯৯ সালে হরতাল চলাকালেবংশাল বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পিকেটিং করার সময় দ্বিতীয়বারের মতো আটক হয় ইসহাক সরকার। ১৭টি মামলা দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করা হয় ইসহাককে। কোতয়ালি থানায় রিমান্ডে থাকাকালীন সময়ে খাবার দিতে এসে পুলিশের হাতে আটক হয় তারই সহোদর ইসমাইল সরকার (১৭) ও তাঁর সহযোগী নীরব। ৪ মাস পর জেল থেকে মুক্তি পান ইসহাক সরকার। সেই একই বছরের শেষ দিকে বংশাল বিএনপি কার্যালয়ের ভেতর থেকে ইসহাক সরকার কে পুনরায় আটক করে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ! ছাত্ররাজনীতির ইতিহাসে প্রথম বারের মতো ১০৭ মামলায় গ্রেফতার হয়ে দেড় বছর কারাবরণ করেন তিনি। কারাগারে থাকাকালীন সময়ে তাঁর বাবার মৃত্যু হলে ৪ ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি নিয়ে বাবার জানাযা ও দাফনে অংশ নিয়ে আবার কারাগারে গমন করেন তিনি।

বাবার জানাযায় ডান্ডা-বেড়ি পরে পুলিশের সাথে অংশ নিতে আসলে, তাঁকে এক নজর দেখার জন্য হাজার হাজার জনতার ঢল নামে। যা পুরাতন ঢাকায় ব্যাপক আলোচিত হয়।

দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ইসহাক সরকারের মুক্তি কামনা করে বলেনঃ “কারাগারে থাকা অবস্থায় কিছুদিন পূর্বে ইসহাকের পিতার মৃত্যু হয় কারাগারের অন্ধ প্রকোষ্ঠে তাঁকে পিতৃ বিয়োগের শোক সংবরন করতে হচ্ছে। আমি অবিলম্বে ইসহাকের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাই।” সব মামলায় জামিনের পর এক এক করে ৫টি নতুন মামলায় কারাগেট থেকে পুনরায় গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ১০৭ মামলায় কারাগারে থাকার সময় বিএনপির “ঢাকা টু পঞ্চগড়” লংমার্চের ২২ জন ও পথসভায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন “আমার ২৫ বছর বয়সের ছাত্রনেতা ইসহাক সরকারকে ১০৭টি মামলা দেওয়া হয়েছে। এটা ইতিহাসে নজিরবিহীন।”

এরই প্রেক্ষিতে “আর কাউকে জেলগেট থেকে গ্রেফতার করা যাবেনা”-হাইকোর্টের এমন আদেশের পর মুক্তি পান ইসহাক সরকার। কারাগারে থাকার সময় আন্দোলন করতে গিয়ে নিহত হন ইসহাক সরকারের ঘনিষ্ট বন্ধু ও সহচর মামুন, নিরব ও সামসু। এছাড়াও ছাত্রদল কর্মী রুবেল, ওমর ফারুক ও সালাম আন্দোলনে নিহত হন। ইসহাক যখন ১০৭ মামলায় কারাগারে, ঠিক তখনি ২৫টি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রাজনীতি না করা ছোট ভাই ইসমাইল সরকারকে দ্বিতীয় বারের মতো কারাগারে প্রেরণ করা হয়। দুই ছেলে জেলে থাকাকালীন সময়ে তাঁদের মাকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আমন্ত্রনে তাঁর বাড়িতে সাক্ষাত করতে যান গর্বিত সেই মা জননী। ২০০০ সালের প্রথম দিকে ইসমাইল সরকার কে ৩০টি মামলায় আবার গ্রেফতার দেখানো হয়। ২০০৯ সালে হাসিনা সরকার যখন আবার ক্ষমতায় আসে তখন এই বীর পরিবারের উপর নির্যাতনের “নীলনকশা” তৈরি করা হয়। আবার শুরু করে অত্যাচার-নির্যাতন। শুরু হয় আবার একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার নগ্ন পরিকল্পনা। ইসহাক সরকার এর উপর দায়ের করা হয় একের পর এক মিথ্যা মামলা।

এ ব্যাপারে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সরকারের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে সংসদে দাড়িয়ে বলেনঃ “ইসহাকের উচিত কোর্টের পাশেই ঘর বানিয়ে থাকার। যেন সকাল হলেই কোর্টে গিয়ে হাজিরা দিতে কষ্ট না হয়।” জীবনের ব্যাপক ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও প্রশাসন ও লোকচক্ষুর অন্তরালে থেকে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন এই বীরযোদ্ধা। পরিবার ও আত্মীয় স্বজন থেকে অনেক দূরে থাকতে হচ্ছে তাঁকে। এই বীরের আন্দোলন থামাতে ব্যর্থ হয়ে স্বৈরাচার সরকারের দালাল তৎকালীন লালবাগ জোনের পুলিশ কমিশনার হারুন-উর-রশিদ কাপুরুষের মতো সবসময় সরগরম হয়ে থাকা বংশাল বিএনপির কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে পুলিশ মোতায়েন করে রাখে। এতো ষড়যন্ত্রের শিকার হওয়ার পরেও অন্যায়ের সাথে আপোষতো দূরের কথা বরং অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা থেকে বিন্দুমাত্র বিচলিত হননি এই বীর রণাঙ্গনের যোদ্ধা। অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় তাঁদের পরিবারের উপরও চলেছে জালিম হাসিনার পোষা হায়েনালীগ ও তাদের দোসর প্রশাসনের নির্মম বর্বরতা ও নির্যাতন। তাঁদের বাসায় কখনো নিক্ষেপ করা হয় সাউন্ড গ্রেনেড। আবার কখনো করা হয় গুলিবর্ষণ। কিংবা বাসায় তালা ঝুলিয়ে গৃহবন্দী করে রাখা হয় তাঁদের পরিবারের অন্য সদস্যদের। হামলা ও ভাংচুর তো এখন নিত্যদিনের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানেই শেষ নয় ২০১৩ সালে সরকার বিরোধী আন্দোলন এর সময় একই সাথে ৯ জন কে গুম করা হয় যারা ছিলেন সোহেল চাচা, জহির, পারভেজ, চঞ্চল, সহ ইসহাক সরকার এর হাতে গড়া ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদল এর সাহসী নেতা কর্মীরা এবং এরই প্রেক্ষিতে ২০১৩ সালের ১৮ জুন মঙ্গলবার বিশ্ববিখ্যাত ইংরেজি পত্রিকা দ্যা গার্ডিয়ান তাদের বিশ্বরাজনৈতিক পাতায় ইসহাক সরকারের প্রতিবাদমুখর এক আলোকচিত্র দিয়ে তৈরি করে তাদের মূল প্রচ্ছদ ও প্রতিবেদন! সবশেষে তাঁর গণতন্ত্রের মুক্তির আন্দোলনের অগ্রযাত্রা রুখতে তাঁর নাম নথিভুক্ত করা হয় র‌্যাব এর ক্রসফায়ার তালিকায়! এতোসব নির্মম নির্যাতনের পরও গণতন্ত্রের স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে যাচ্ছেন তৃণমূল ছাত্রদলের প্রাণপ্রিয় নেতা ইসহাক সরকার।

জাল টাকাসহ গ্রেফতার ২

জাতীয়, 13 June 2023, 1350 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
শিবচরে অভিযান চালিয়ে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার জাল নোটসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে মাদারীপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ১১টার দিকে মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার কাবিলপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

banner

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ওই এলাকার মোতালেব হাওলাদারের ছেলে ইয়াছিন হাওলাদার (২৩) এবং দাদন মিয়ার ছেলে জোবায়ের মিয়া (২১)।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাত পৌনে ১১টার দিকে শিবচরের কাবিলপুর এলাকার মাদ্রাসা সংলগ্ন একটি ব্রিজের উপর থেকে দুই যুবককে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার জাল নোট ও একটি এন্ড্রয়েট ফোন সেট জব্দ করে পুলিশ।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন জানান, ‘এ ব্যাপারে শিবচর থানায় মঙ্গলবার সকালে মামলা দায়ের হয়েছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রাপ্তি ভূমি ব্যবস্থাপনায় ডিজিটালাইজেশন: শিক্ষামন্ত্রী

জাতীয়, 8 June 2024, 697 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদান্যতায় ও নির্দেশনায় ডিজিটাল বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছে। সেই ডিজিটাল বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রাপ্তি হচ্ছে ভূমি ব্যবস্থাপনায় ডিজিটালাইজেশন। দীর্ঘ প্রক্রিয়া ও সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে আলোচনা করে ল্যান্ড রেকর্ডকে ধীরে ধীরে ডিজিটালাইজেশনের একটি পর্যায়ে নিয়ে আসা হয়েছে।

banner

আজ ৮ জুন শনিবার নগরীর এম.এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম হলে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় ও জেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত সপ্তাহব্যাপী ভূমিসেবা সপ্তাহ-২০২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, ভূমি ব্যবস্থাপনা সহজীকরণের জন্য সরকার একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ নিয়েছে। যাদের ভূমি আছে বা ভূমি ক্রয়-বিক্রয় করলে ভূমির নিবন্ধনের পাশাপাশি বিদ্যমান দখলে কে আছে, ভূমি কর কে দেবে এসব বিষয়গুলো সহজ করার জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ের নিয়ম-নীতি অনুযায়ী যে উদ্যোগ সে উদ্যোগগুলো অনুসরণপূর্বক জেলা প্রশাসন সে দায়িত্বটুকু পালন করে। ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনার কারণে আমরা এখন ভূমি অফিসে না গিয়ে ঘরে বসেই মোবাইলের মাধ্যমে অনলাইনে খাজনা প্রদান, ই-নামজারীর আবেদন ও ভূমির অবস্থানসহ ভূমি সংক্রান্তে সকল ধরণের সেবা গ্রহণ করছি।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার রাজীব হোসেনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম, সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি সঞ্জয় সরকার, জেলা পুলিশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আহমেদ, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল হক চৌধুরী সৈয়দ ও জেলা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সরোয়ার কামাল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন চান্দগাঁও সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইউসুফ হাসান।