চলারপথে রিপোর্ট :
সুলতানপুর ৬০ বিজিবি সদস্যরা তাদের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা বড়জ্বালা ও বুড়িচং সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমান ভারতীয় গাজা ও শাড়ী কাপড় জব্দ করেছে। আজ সোমবার ও রোববার সীমান্তে চোরাচালান বিরোধী অভিযানের সময় এসব চোরাই পণ্য উদ্ধার করেছে।
বিজিবি জানায়, সোমবার গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে সুলতানপুর ৬০ বিজিবি সদস্যরা কুমিল্লা আদর্শ উপজেলার বড়জ্বালা সীমান্তে অভিযান পরিচালনা করে। এসময় সীমান্তের মতিনগর নামক স্থান থেকে ৬০ কেজি গাজা উদ্ধার করে বিজিবি সদস্যরা। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়
এদিকে, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে রোববার ৬০ বিজিবি সদস্যরা চোরাচালান বিরোধী অভিযান চালায় বুড়িচং সীমান্ত এলাকায়।
এসময় বিজিবি সদস্যরা ৪৩০ পিস বিভিন্ন প্রকার ভারতীয় শাড়ী কাপড় উদ্ধার করে। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে এখানেও চোরাচালানীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। উদ্ধারকৃত ভারতীয় শাড়ীর মূল্য ৪৮ লাখ ২৬ হাজার টাকা।
সুলতানপুর ৬০ বিজিবির অধিনায়ক লে: কর্ণেল এ এম জাবের বিন জব্বার জানান, সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবির আভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা ব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সীমান্তে অভিযান পরিচালনা করে এসব অবৈধ মালামাল জব্দ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
সম্প্রতি দুজন ডেপুটি গভর্ণর নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ডেপুটি গভর্ণর হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ড. মো. হাবিবুর রহমান ও মো. খুরশীদ আলম- দুজনেরই বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়। তাদের ৩ বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরইমধ্যে কর্মক্ষেত্রে যোগদান করেছেন তারা।
২৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের কমিউনকেশন্স অ্যান্ড পাবলিকেশন্স বিভাগের পরিচালক ও সহকারী মুখপাত্র সাঈদা খানম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তাদের যোগদানের ব্যাপারটি নিশ্চিত করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার কৃতি সন্তান খুরশীদ আলম বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক-১ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের স্নাতকোত্তর এবং পরে এমবিএ করেন। ১৯৮৮ সালে সহকারী পরিচালক পদে বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগদান করেন তিনি। ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ, ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ, কৃষিঋণ বিভাগ, পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্ট, ডিপার্টমেন্ট অব কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট, ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন, এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস ডিপার্টমেন্ট, সচিব বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন খুরশীদ আলম। ব্যক্তিগত জীবনে দুই ছেলে-মেয়ের বাবা তিনি।
এছাড়া ডেপুটি গভর্ণর হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ড. মো. হাবিবুর রহমানও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সন্তান। জেলার বিজয়নগর উপজেলায় অবস্থিত খিরাতলায় তার গ্রামের বাড়ি। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) থেকে অর্থনীতিতে প্রথম শ্রেণিতে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন ড. হাবিবুর রহমান।
হাবিবুর রহমান বাংলাদেশ ব্যাংকের গবেষণা বিভাগ, মনিটারি ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনিক্যাল ইউনিটে (বর্তমানে মনিটারি পলিসি বিভাগ) কাজ করেছেন। পরে তিনি বিশ্বব্যাংকের ক্যাপাসিটি বিল্ডিং প্রজেক্টের আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পলিসি অ্যানালাইসিস ইউনিটে সিনিয়র রিসার্চ ইকোনমিস্ট হিসেবে নিয়োজিত হন। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংক ট্রেনিং অ্যাকাডেমিতে উপমহাব্যবস্থাপক এবং সবশেষ গভর্ণর সচিবালয়ের পলিসি সাপোর্ট উইংয়ে মহাব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করেন।
ড. হাবিবুর রহমানের সহধর্মিণী ড. সায়েরা ইউনুস বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। হাবিবুর রহমান ব্যক্তিগত জীবনে এক মেয়ে এবং দুই ছেলের জনক।
চলারপথে রিপোর্ট :
মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর আওতায় ৬৬২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে জায়গার দলির ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় ১০৫ টি পরিবার, বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ১২৬ টি পরিবার, নবীনগর উপজেলায় ১০০ টি পরিবার, আখাউড়া উপজেলায় ০৮ টি পরিবার, সরাইল উপজেলায় ৪৯ টি পরিবার, আশুগঞ্জ উপজেলায় ২০ টি পরিবার ও নাসিরনগর উপজেলায় ২৫৪টি পরিবারের মধ্যে জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়।
আজ ২২ মার্চ বুধবার সকালে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর উদ্বোধন করেন। এই সময়ে প্রধানমন্ত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৬টি উপজেলাকে “ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেন।
“ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত উপজেলাগুলো হচ্ছে বিজয়নগর উপজেলা, নাসিরনগর উপজেলা, সরাইল উপজেলা, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা, আশুগঞ্জ উপজেলা ও আখাউড়া উপজেলা।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর পরই ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা, নবীনগর উপজেলা, আখাউড়া উপজেলা, সরাইল উপজেলা, আশুগঞ্জ উপজেলা ও নাসিরনগর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপকারভোগীদের মধ্যে জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ১০৫জন উপকারভোগীর মধ্যে জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্থানীয় সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ আমিনুর রহমান।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান,যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ, সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসেন, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা।
অনুষ্ঠানে সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পাওয়া বেদে সঙ্গীতা বেগম বলেন, আগে আমরা নৌকায় থাকতাম। যাযাবর জীবন ছিলো আমাদের। এখন থেকে নিজের ঘরে থাকব, এর চেয়ে আনন্দের আর কি হতে পারে। তিনি তাকে ঘর দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
একই আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পাওয়া বেদে শিল্পী বেগম বলেন, জীবনে অনেক কষ্ট করেছি। প্রধানমন্ত্রী আমাকে আপন ঠিকানা দিয়েছেন। যতদিন বেঁচে থাকব, ততদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করব। তিনি বলেন, আমি জীবনেও নিজের জায়গায় পাকা ঘরে থাকতে পারব ভাবিনি, প্রধানমন্ত্রী আমার সেই স্বপ্ন পূরণ করেছেন।
সদর উপজেলার সুলতানপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পাওয়া প্রতিবন্ধী হিরন মিয়া বলেন, আগে ভাইয়ের বাড়িতে থাকতাম। এখন নিজের ঘরে থাকব। শেখ হাসিনা আমাকে জায়গাসহ ঘর দিয়েছে, আমি অনেক খুশি।
ঘর পাওয়া আনোয়ার, রবিউল ও শফিক মিয়া জানান, আজ প্রধানমন্ত্রীর ঘর পেয়ে ঈদের আগেই ঈদ মনে হচ্ছে। আজ থেকে আমরা আমাদের স্বপ্নের নিজের ঘরে থাকব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের স্বপ্ন পূরণ করে দিয়েছেন। যত দিন বেঁচে থাকব তত দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য প্রাণভরে দোয়া করব।
উল্লেখ্য, বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হস্তান্তর করা ১০৫টি ঘরের মধ্যে সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৩৫টি ঘর বেদে পরিবারকে দেয়া হয়।
স্টাফ রিপোর্টার:
এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেমের (ইপিএস) আওতায় আরও ২৬৩ জন বাংলাদেশি কর্মী দক্ষিণ কোরিয়া যাচ্ছেন। এসব কর্মীরা মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সিউলের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বে। ঢাকার কোরিয়ান দূতাবাস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। দূতাবাসের এক কর্মকর্তা বলেন, মঙ্গলবার ইপিএস সিস্টেমের মাধ্যমে আরও ২৬৩ জন বাংলাদেশি কর্মী দক্ষিণ কোরিয়া যাবেন।
এদিকে, প্রবাসী কল্যাণ বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এসব কর্মীদের বিমানবন্দরে বিদায় জানাবেন।
ঢাকার কোরিয়া দূতাবাসের তথ্য বলছে, ২০০৮ সাল থেকে এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম বা ইপিএস সিস্টেমের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্মী যাচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্মী পাঠানো সংক্রান্ত চুক্তি হলো ইপিএস। এখন পর্যন্ত ২৭ হাজার ৫৬১ জন কর্মী এই পদ্ধতিতে কোরিয়া গেছে। বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (বোয়েসেল) তথ্য বলছে, ২০১০ সালে বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি ২ হাজার ৬৯১ জন ইপিএসের আওতায় কর্মী নিয়েছিল কোরিয়া। ইপিএসের প্রোগ্রামের আওতায় বাংলাদেশসহ ১৬টি দেশ থেকে অদক্ষ বিদেশী কর্মী নিয়োগ দিয়ে থাকে কোরিয়া। করোনা মহামারির কারণে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের নভেম্বর পর্যন্ত বিদেশি ইপিএস কর্মী নেওয়া স্থগিত রেখেছিল। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে কোরিয়া সরকার আবার বিদেশি কর্মী নেওয়া শুরু করে।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মহাসড়কে একটি ইটবাহি ট্রাক উল্টে মহাসড়কে প্রায় আধা ঘন্টা যানজটের সৃষ্টি হয়। গতকাল বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের সদর উপজেলার রাধিকা নামক স্থানে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার দুপুর ১টার দিকে ইটবাহি একটি ট্রাক রাধিকা এলাকায় রাস্তার মাঝখানে উল্টে যায়। এতে মহাসড়কে আধাঘন্টা যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে রেকার দিয়ে উল্টে যাওয়া ট্রাকটি রাস্তার মাঝখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হয়।
এ ব্যাপারে খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুখেন্দু বসু বলেন, খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। উল্টে ট্রাকটি রেকার দিয়ে মাঝ রাস্তা থেকে সরিয়ে নিলে আধাঘন্টা পর যানবাহন চলাচল শুরু হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্ত এলাকা বড়জ্বালায় অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার সময় ৪ জন বাংলাদেশি নাগরিকে আটক করেছে বিজিবি। গতকাল ২৪ নভেম্বর রবিবার আনুমানিক রাত ১২ টার দিকে সীমান্ত এলাকা বড়জ্বালার দেবনগর থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, সতীষ চন্দ্র (৬৫) মৃত কার্তিক এর ছেলে, স্বপন দেবনাথ (৩২) সতীষ চন্দ্র এর ছেলে, সুকলা দেবী (৩০) স্বপন দেবনাথের স্ত্রী, কাকন বালা দেবনাথ (৫০) সুরেশ দেবনাথের স্ত্রী। উভয়ের ঠিকানা কিশোরগঞ্জ জেলার আমিরগঞ্জের মহিনন্দ।
আটককৃত অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ভারতের আগরতলায় বসবাসরত সুকলা দেবীর কাকার বাসায় বেড়ানোর উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় রবিবার (২৪ নভেম্বর) বড়জ্বালা বিওপির টহল দলের নিকট আটক হয়।
আটককৃত ব্যক্তিদের নিকট হতে ভারতীয় ৯০০ রুপি, বাংলাদেশি ৩১৭৫ টাকা, বিভিন্ন প্রকার শাড়ি ৩ পিস, অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ১টি, কানের দুল ১ জোড়া (ইমিটেশন) এবং বাংলালিংক সিম কার্ড-১টি পাওয়া যায়।
আটককৃত অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের ভারতীয় রুপি, বাংলাদেশি টাকা, শাড়ি, মোবাইল, কানের দুল এবং সিমকার্ডসহ মাধবপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয় এবং মাধবপুর থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উল্লেখ্য, সীমান্ত দিয়ে যাতে অবৈধভাবে কোন প্রকার অবৈধ অনুপ্রবেশকারী সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে। সে ব্যাপারে সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) বদ্ধ পরিকর। সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) এর অভিযান চলমান থাকবে।