চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাসিক আইন-শৃংখলা কমিটির সভা আজ ২৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ফিরোজুর রহমান, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ এমরানুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সহ-সভাপতি কাজী জাহাঙ্গীর, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা অ্যাডভোকেট মোঃ নাসির, এনজিও নেতা এস.এম শাহীন, ইউপি চেয়ারম্যান আল-আমিনুল হক পাভেল, আবদুল হাকিম মোল্লা, আবদুর রশিদ ভূইয়া, ওমর ফারুক, মোঃ শাহআলম, মোঃ নাছির উদ্দিন, মোঃ কামরুল হাসান ও আবু ছায়েদ।
সভায় শহরের সীমাহীন যানজট, লাগানহীন রিক্সা ভাড়া, রাতের বেলা পুনিয়াউট রেলগেইটে বিভিন্ন গাড়ির যাত্রীদের কাছ থেকে ছিনতাই, মাদক ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম, শহরে দিনের বেলায় ট্রাক চলাচল ও শব্দ দূষনের বিষয়ে আলোচনা হয় এবং তা সমাধানের ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানানো হয়।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি আইন-শৃংখলা বিষয়ে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দিয়ে বলেন, আইন-শৃংখলার উন্নয়নে আমাদেরকে আরো কঠোর হতে হবে। তিনি বলেন, শহরের গুরুত্বপূর্ণ দুটি ব্রীজ এখন সিএনজি ও ইজিবাইকের স্ট্যান্ডে পরিনত হয়েছে। কয়েকবার ব্রীজ থেকে এসব গাড়ি অপসারণ করা হলেও তারা আবারো ফিরে আসে। তিনি শহরের যানজট নিরসনে ট্রাফিকিং ব্যবস্থা আরো জোরদার করার আহবান জানান। তিনি বলেন, আগামী প্রজন্মের বাসযোগ্য একটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া বির্নিমানে কাজ করছি। আপনারাও যার যার অবস্থান থেকে কাজ করবেন।
সভায় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা মুজিব, বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগন ও আইন-শৃংখলা কমিটির সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দিন দিন বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। গত ৪০ দিনে মোট ৪২২ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। অবশ্য এসব ডেঙ্গু রোগীদের বেশিরভাগই ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়ে আসা। তবে জেলায় এখন পর্যন্ত কেউ মারা যায়নি।
সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ি সর্বশেষ গত ২৪ ঘন্টায় ১৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুইজন, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চারজন, বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন, নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুইজন, নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনজন, আখাউড়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন ভর্তি হয়েছেন। ২৪ ঘন্টায় চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৩ জন।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ি, সবচেয়ে বেশি ২২ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। ২১ জন ভর্তি আছে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। জেলায় মোট ভর্তি থাকা রোগীর সংখ্যা ৬৯ জন। বাকিরা চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
এর আগে গত ৪ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রথম ডেঙ্গু রোগী ধরা পড়ে। আজ ১২ আগস্ট শনিবার বিকেলে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চতুর্থ তলায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে নতুন একটি ওয়ার্ডে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা চলছে। তবে, তাদের জন্য কোনো শয্যা নেই। নিজেদের আনা শয্যা মেঝেতে বিছিয়ে তারা চিকিৎসা নিচ্ছেন। সব রোগীর উপরেই মশারি টানানো রয়েছে।
ওয়ার্ডটিতে ঢোকার পথে চোখে পড়ে এক যুবকের মাথায় পানি দেওয়া হচ্ছে। জানা গেলো তার নাম সোলেমান। বাড়ি সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের বাকাইল গ্রামে। মা-বাবা মিলে তার মাথায় পানি ঢালছেন। ঘিরে আছেন অন্য স্বজনরাও। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাকাইল গ্রামের যুবক সেলুনকর্মী সোলেমান ৮/১০ দিন আগে ঢাকা থেকে বাড়ি আসেন বলে জানান তার বাবা জয়নাল মিয়া। বাড়িতে আসার দিন থেকেই তার পেটে ব্যথা ও বমি বমি ভাব। পরীক্ষা করিয়ে ডেঙ্গু ধরা পড়লে তাকে এক সপ্তাহ আগে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
কসবার উপজেলার ধর্মনগর গ্রামের সুফিয়া বেগম নামে এক নারী জানান, তার মেয়ে নাসিমা কয়েকদিন ধরে জ¦রে আক্রান্ত। পরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়লে শনিবার তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। জ¦রসহ বমির উপক্রম আছে নাসিমার।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ জানান, জেলার সব কয়টি সরকারি হাসপাতালেই প্রতিদিন নতুন নতুন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হচ্ছেন। তাদের চিকিৎসা বিষয়ে সার্বিক খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। ডেঙ্গু আক্রান্তদের বেশিরভাগই ঢাকা থেকে আসা বলে জানান তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ডিবি পরিচয়ে ৩৬ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে।
আজ ২৭ মার্চ বুধবার সকাল ১০ টার দিকে জেলা শহরের পূর্ব পাইকপাড়া জামে মসজিদ রোডে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ফজলুল হক জেলার নবীনগর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের বাঘাউড়া গ্রামের আলী আহাদের ছেলে।
ফজলুর রহমান ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসায়ী। তিনি জেলা শহরের পশ্চিম পাইকপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। বিকেলে এ ঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এদিকে দিন দুপুরে পুলিশ পরিচয়ে এমন ঘটনায় সাধারণ মানুষের মাঝে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
ছিনতাইয়ের শিকার ফজলুর রহমান বলেন, সকালে বাসা থেকে জমি বিক্রির টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়ার জন্য রিকশায় করে রওনা দেই। বাসার একটু সামনে পূর্ব পাইকপাড়া জামে মসজিদ রোড আসিফ টিউটোরিয়াল অ্যান্ড হাই স্কুলের সামনে গেলে দাঁড়িয়ে থাকা কালো রঙের একটা হাইয়েক্স মাইক্রোবাসে থাকা তিনজন আমার রিকশা গতিরোধ করে। পুলিশের ড্রেস পরা একজন ও বাকী দুজন তারা ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে আমার নাম জানতে চায়। আমার সঙ্গে অবৈধ জিনিস আছে বলে জোড় করে গাড়িতে তোলে। উঠতে না চাওয়ায় তারা আমাকে মারধর করে। চিৎকার করলেও কেউ এগিয়ে আসেননি। আমার সঙ্গে থাকা ৩৫ লাখ ৭০ হাজার টাকার ব্যাগসহ তারা আমাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। আমারে অনেক ভয় ভীতি দেখিয়ে জেলা শহরের পীরবাড়ি এলাকার একটু সামনে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে।
ঘটনার প্রত্যেক্ষদর্শী পানের টংয়ের দোকানদার আলিয়া বেগম ও সেন্টু মিয়া জানান, পুলিশি পোশাক থাকায় ঝামেলা হতে পারে ভেবে কেউ এগিয়ে যাইনি। পরে জানতে পারি তারা পুলিশ ছিলো না। তারা পুলিশের পোশাক পড়া ছিনতাইকারী। দিন দুপুরে এমন ঘটনায় তারা বিস্ময় প্রকাশ করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. বিল্লাল হোসেন জানান, আশপাশে থাকা সব সিসি টিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। এরইমধ্যে ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত গাড়িটিকে শনাক্ত করা হয়েছে। পুলিশ ও ডিবি পুলিশ যৌথভাবে কাজ করছে। শিগগিরই রহস্য উৎঘাটন করতে পারবো বলে আশা করছি। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে এসে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মোহাম্মদ মিয়া চাঁন (৫৫) নামে এক বিএনপির নেতা মৃত্যুবরন করেছেন। আজ ১৯ আগস্ট শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার কাউতলী স্টেডিয়াম মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত মোহাম্মদ মিয়া চান উপজেলার চর-ইসলামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও চর-ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার।
বিএনপির নেতা-কর্মীরা জানান, জেলা বিএনপি আয়োজিত পদযাত্রা কর্মসূচিতে যোগ দিতে মোহাম্মদ মিয়া চান ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসেন। বেলা ১১টার দিকে মোহাম্মদ মিয়া চান একটি মিছিল নিয়ে কাউতলী স্টেডিয়াম মার্কেটের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় তিনি স্ট্রোক করেন। অচেতন অবস্থায় দলীয় নেতা-কর্মীরা তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
বিজয়নগর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব লিটন মুন্সী জানান, কাউতলী থেকে নেতা-কর্মীরা পদযাত্রা করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সামনে যাওয়ার পথে কাউতলী স্টেডিয়াম মার্কেটের সামনে পৌছলে হঠাৎ করে তিনি স্ট্রোক করেন। পরে তাকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান আহবায়ক কমিটির সদস্য হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি বলেন, বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসে চর-ইসলামপুর থেকে নৌকাযোগে দুই শতাধিক নেতা-কর্মী নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসেন মোহাম্মদ মিয়া। পরে কাউতলী থেকে পদযাত্রা করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সামনে যাওয়ার পথে কাউতলী স্টেডিয়াম মার্কেটের সামনে পৌছলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি অসুস্থ হন। পরে তাকে হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আঞ্চলিক ভাষা “বাউনবাইরার কতা” নামে ফেসবুকভিত্তিক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে পবিত্র ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে দুইশত অসহায় মানুষের মধ্যে ঈদ-সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। ঈদ সামগ্রীর মধ্যে ছিলো শাড়ি,লুঙ্গি, সেমাই, চিনি ও দুধের প্যাকেট)। এ সময় ১৩টি পরিবারকে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য নগদ টাকা দেয়া হয়।
গতকাল বুধবার বিকেল ৪টায় স্থানীয় নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় আয়োজিত ঈদ সামগ্রী বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম।
সংগঠনের সমন্বয়ক ডঃ মাহবুবুর রহমান এমিলের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সদস্য মোঃ মাহাবুব উল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস.আর.এম ওসমান গনি সজীব, নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সাহিদুল ইসলাম ও বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন ও ফটোগ্রাফার আরিফুর রহমান রুজেল।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোঃ শাহগীর আলম বলেন, “বাউনবাইরার কতা” একটি নির্দলীয় সংগঠন। এই সংগঠনটি সমাজের গরীব অসহায় মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। সারা বছর ধরেই বিভিন্ন কাজ করে থাকে সংগঠনটি। জেলা প্রশাসন সব সময় ভালো কাজের পাশে থাকবে। প্রবীনদের ঈদি প্রদান ও স্বাবলম্বী প্রজেক্টের মাধ্যমে বাউনবাইরার কতা সেই ভালো কাজটি করছে।
সংগঠনের সমন্বয়ক ডাঃ মাহাবুবুর রহমান এমিল জানান, “বাউনবাইরার কতা” একটি ফেসবুক ভিত্তিক সংগঠন। ২০১৩ সালে “বাউনবাইরার কতা” ফেসবুক গ্রুপ চালু হওয়ার পর বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা ১লাখ ৯ হাজার। সংগঠনটি সব সময় সমাজের অসহায় মানুষের জন্য কাজ করছে। ষষ্ঠবারের মতো এবারের ঈদে ২০০ জনের মধ্যে ঈদ উপহার হিসেবে শাড়ি, লুঙ্গি ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে গরীব ১৩টি পরিবারকে স্বাবলম্বী করতে ১টি পরিবারকে মক্তব, ১টি পরিবারকে ঘর ও ছাগল প্রদান, ১টি পরিবারকে রান্নাঘর, ঘর মেরামত ও বাথরুম তৈরি করা, ২ টি পরিবারকে টিউবওয়েল, ৭ টি পরিবারকে ছাগল প্রদান ও ১ টি পরিবারকে মুরগীর খামার করে দেয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
গণঅভ্যুত্থানের একমাস পূর্ণ হওয়ায় শহীদদের স্মরণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় র্যালি ও আলোচনা সভা হয়েছে। আজ ৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের টেংকেরপাড় মাঠে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে শহীদি মার্চের এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহন করেন।
এসময় বক্তব্য রাখেন শিক্ষার্থী আল মামুন, দুর্জয় মাহমুদ, রেহেনা বুশরা, মুনিয়া, রিয়াদুল ইসলাম, আবু বাশার সানি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার সাধারণ সম্পাদক গাজী মোঃ নিয়াজুল করিম প্রমুখ। সভায় বক্তারা ছাত্র আন্দোলনে সকল শহিদ ও আহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, গণঅভ্যুত্থানের আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারও তার বাহিনী ছাত্রদের উপর নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ ও নির্যাতন চালিয়েছে। দেশে যেই সরকার গঠন করুক এসব ঘটনার দ্রুত বিচার করতে হবে, অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে। এছাড়াও বক্তারা বলেন, যারা দেশে পুণরায় বৈষম্য সৃষ্টি করতে চাইবে তাদেরকে আওয়ামীলীগ সরকারের পতন থেকে অভিজ্ঞতা নিতে হবে। একটি মহল ছাত্রদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার রটাচ্ছে উল্লেখ করে তারা বলেন, ধ্বংস নয় বরং শিক্ষার্থীরা বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়তে মাঠে নেমেছে। তাই সকল অপপ্রচার থেকে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। একটি সুন্দর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে এগিয়ে যেতে হবে। পরে একটি র্যালি টেংকের পাড় থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্থানীয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়।