অনলাইন ডেস্ক :
পৌষের শুরু থেকে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। পৌষের মাঝামাঝি সময়ে ঝেঁকে বসেছে শীত। প্রকোপ শীত বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। কর্মহীন হয়ে পড়েছে অনেকে দিন মজুর। এছাড়াও চায়ের দোকান গুলোতে বেড়েছে ভিড়। অনেকে খড়কুটো, কাঠ জ্বালিয়ে তাপে শরীর গরমে ব্যস্ত সময় পার করছে। এছাড়াও ব্যাডমিন্টন খেলায় মেতেছে স্কুল কলেজে শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ।
জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামাল উদ্দিন বলেন, শুক্রবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর বাতাশের আদ্রতা ছিলো ৯৩। এ অবস্থা আরও কয়েক দিন থাকতে পারে।
আজ ৩ জানুয়ারি শুক্রবার ভোরে শহর থেকে বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, এক দিন পর আকাশে সূর্য দেখা গেলেও তাপের তেমন প্রখড়তা ছিলো না। প্রকোপ শীতে নিম্ন আয়ের মানুষের আয় কমেছে। আবার অনেক দিন মজুর কর্মহীন হয়ে পড়ছে। চায়ের দোকানেও অনেকেই আড্ডা জমিয়েছে। ফাঁকা জায়গায় অনেককেই ব্যাডমিন্টন খেলতে দেখা যায়।
শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ডে কথা হয় রিকশা চালকা আবেদ আলীর সাথে। তিনি বলেন, স্বাভাবিক সময়ে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা আয় করলেও বৃহস্পতিবার শীত থাকায় শহরে লোকজন কম বের হয়েছে। এতে প্রায় ৪০০ টাকা আয় করতে পেরেছি।
এলজিইডি মোড় এলাকার দিন মজুর জুব্বার মিয়া বলেন, এখন একটু কাজ কম। তারপর শীতের কারনে কাজ আরও কমে গেছে। অনেকেই কাজ না পেয়ে ফিরেও যাচ্ছে।
সদর উপজেলা গালা গ্রামের উজ্জল মিয়া বলেন, শীত মানেই গ্রামে পিঠার উৎসব চলে বেশির ভাগ বাড়িতে। দুধ চিতই, ভাপা পিঠা, পাটিসাপটাসহ বিভিন্ন পিঠার আয়োজন করা হয়। এছাড়াও আত্মীয় স্বজনদের উপস্থিতিতে সম্মেলনের মতো হচ্ছে। শীতে কষ্টের পাশাপাশি সকলে মিলে আনন্দে উৎসবে কাটানো যায়।
অপর জন রাসেল মিয়া বলেন, কয়েক বছর আগেও আমাদের বাড়িতে চাল গুড়া করার ঢেকি ছিলো। তখন দেখতাম বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার গুড়া করতে গ্রামের অনেকেই সিরিয়াল দিয়েছে। শীতে অনেক কিছুই উপভোগ করা যায়।
এ দিকে বৃহস্পতিবার রাতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ত্রাণ তহবিল হতে টাঙ্গাইল জেলা হাসপাতালের সামনে ৩২০ জন অসহায় ছিন্নমূল মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক শরীফা হক।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আকতারুজ্জামান বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিল হতে ১০ হাজার কম্বল, শীতবস্ত্র কেনার জন্য সরকারিভাবে ১২ উপজেলায় ৬৮ লাখ ৫০ হাজার বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এছাড়া ১১টি পৌরসভার মধ্যে প্রথম শ্রেণির জন্য ২ লাখ টাকা করে, দ্বিতীয় শ্রেণির জন্য দেড় লাখ করে ও তৃতীয় শ্রেণির জন্য এক লাখ টাকা করে বরাদ্দ পাওয়া গেছে। যা অসহায় ছিন্নমূল মানুষের মাজে বিতরণ করা হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন বিআরডিবি অফিস চত্বরে ৬৫৪ ফ্যামিলি কাডধারীর মাঝে আজ ২ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ন্যায্যমূল্যে টিসিবির চাল, ডাল ও তৈল বিক্রি করা হয়।
কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কসবা পৌর প্রশাসক মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার এর নির্দেশে ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে টিসিবির ডিলার মেসার্স মামুন স্টোর এর মাধ্যমে উপকারভোগী প্রতি কাডধারীর মাঝে প্রতি কেজি ৬০ টাকা দরে ২ কেজি মসুর ডাল এবং প্রতি কেজি ৩০ টাকা দরে ৫ কেজি চাল নির্ধারিত ২৭০ টাকা মূল্যে বিক্রি করা হয়।
টিসিবির পণ্য বিক্রি অনুষ্ঠানে ট্যাগ অফিসার সহকারী উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ রাসেল, পৌরসভার কর্মচারীগণ সহ পুলিশ সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কার্ডধারী নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে টিসিবির চলতি মাসের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রয় শুরু হয়েছে। আজ ২৯ ডিসেম্বর রবিবার সকাল ১০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত মোঃ ইশতিয়াক ভূঁইয়া বিক্রয়ের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। প্রত্যেক কার্ডধারীকে ৬০ টাকা দরে ২ কেজি করে মশুর ডাল, ৩০ টাকা দরে ৫ কেজি চাউল দেয়া হয়।
এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত মোঃ ইশতিয়াক ভূঁইয়া বলেন, সদর উপজেলার নিম্ন আয় ও সুুবিধাবঞ্চিত কার্ডধারী মানুষের মাঝে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভায় ৪৯৫২জনসহ সদর উপজেলায় ১৬ হাজার ৬১৮ জন নিম্ন আয়ের কার্ডধারী মানুষের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির এ পণ্য পর্যায়ক্রমে বিক্রি করা হবে।
রবিবার পৌরসভার সদর উপজেলা পরিষদ চত্বর, মেড্ডা কালভৈরবসহ ৩টি স্থানে এই টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, নিম্নআয়ের মানুষের মাঝে এই কার্যক্রমটি খুবই জনবান্ধব। মানুষ যেনো সঠিকভাবে এই পণ্য পায়, এজন্য জোরালো ভাবে তদারকি করা হচ্ছে। কোন ডিলার দুর্নীতি করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরোও বলেন, টিসিবি’র পণ্য সামগ্রী ডিলার ব্যতীত খোলা বাজারে ক্রয় বিক্রয় হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা দোকানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ রায়হান উদ্দিন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ের প্রশাসনিক অফিসার মোঃ ইসমাইল হোসেন, ডিলার মোঃ আলী মিয়া প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে মর্যাদা দিয়ে গেজেট প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। গত ১৫ ডিসেম্বর রোববার ২০২৪ এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কবি কাজী নজরুল ইসলামকে ২৪ মে ১৯৭২ সালে কলকাতা হতে সপরিবারে ঢাকায় আনা হয় এবং তার বসবাসের জন্য ধানমন্ডিস্থ ২৮ নম্বর (পুরাতন) সড়কের ৩৩০-বি বাড়িটি বরাদ্দ প্রদান করা হয়। কবিকে ১৯৭৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করা হয় এবং একই বছরে তাকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়। জীবনাবসানের পর কবিকে পরিপূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়। পরবর্তীতে তাকে জাতীয় কবি হিসেবে সম্বোধন করে কবি নজরুল ইনস্টিটিউট আইন, ২০১৮ জারি করা হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, ১৯২৯ সালের ১০ ডিসেম্বর অবিভক্ত ভারতের কলকাতার এলবার্ট হলে সমগ্র বাঙালি জাতির পক্ষ থেকে নেতাজী সুবাস চন্দ্র বসু, বিজ্ঞানী আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, এস, ওয়াজেদ আলী, দীনেশ চন্দ দাশসহ বহু বরণ্যে ব্যক্তিত্বের উপস্থিতিতে কবি কাজী নজরুল ইসলামকে ‘জাতীয় কাণ্ডারি’ এবং ‘জাতীয় কবি’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
পরবর্তীকালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীন বাংলাদেশে কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে প্রদত্ত বাণীতে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী/প্রধান উপদেষ্টাগণ কবিকে ‘জাতীয় কবি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। কাজী নজরুল ইসলাম সর্বক্ষেত্রে বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে স্বীকৃত হলেও তাকে জাতীয় কবি হিসেবে ঘোষণা করে সরকারিভাবে কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি।
প্রজ্ঞাপনে আরো উল্লেখ করা হয়, যেহেতু কবি কাজী নজরুল ইসলামের জাতীয় কবির মর্যাদার বিষয়টি ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠিত সত্য এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে স্বীকৃত এবং যেহেতু বাংলাদেশের জনগণ তাকে জাতীয় কবি ঘোষণা করেয সরকারি প্রজ্ঞাপন প্রত্যাশা করে, সেহেতু তার ঢাকায় আগমনের তারিখ হতে (৪ মে ১৯৭২) জাতীয় কবি ঘোষণাপূর্বক গেজেট প্রজ্ঞাপন প্রকাশের প্রস্তাব গত ৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অনুমোদন করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, যেহেতু কবি কাজী নজরুল ইসলামকে ১৯৭২ সালের ৪ মে থেকে বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশের প্রস্তাব উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অনুমোদিত হয়েছে, সে কারণে কবি কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশের জাতীয় কবি ঘোষণা করা হলো এবং ইহা সকলের অবগতির জন্য গেজেট আকারে প্রকাশ করা হলো।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিরাসার দক্ষিণপাড়া সাহেব বাড়ি যুবকবৃন্দের উদ্যোগে বিরাসার দক্ষিণপাড়া মসজিদ প্রাঙ্গণে আগামী ১০ জানুয়ারি শুক্রবার পবিত্র ইসলামী মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত ইসলামী মহাসম্মেলনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া এর প্রিন্সিপাল আল্লামা মুফতী মুবারকুল্লাহ দাঃ বাঃ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি থাকবেন উজানী পীর হযরত মাওলানা মুফতী এহতেরামুল হক (উজানী)। প্রধান বক্তা থাকবেন হযরত মাওলানা কামাল উদ্দিন দায়েমী, ঢাকা। বিশেষ অতিথি থাকবেন নাটাই কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব হযরত মাওঃ মুফতি বদরুল আলম, বিরাসার দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদের খতিব হযরত মাওলানা ফায়জুর রহমান, বিরাসার ইসলামিয়া দারুল উলূম মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক হযরত মাওলানা আব্দুল আজিজ। এছাড়াও উক্ত ইসলামী মহাসম্মেলনে আরো বহু উলামায়ে কেরামগণ তাশরীফ আনিবেন। উক্ত মাহফিলে উপস্থিত হয়ে দ্বিন ও আখেরাতের অশেষ নেকী হাসিল ও দোয়ায় শরীক হওয়ার জন্য বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছেন বিরাসার দক্ষিণপাড়া সাহেব বাড়ি মাহফিল পরিচালনা কমিটি।
চলারপথে রিপোর্ট :
মেসেঞ্জারে পরিচয়। টানা দুই বছরের প্রেম। বাধা হয়নি ছয় হাজার কিলোমিটারের পথ। বাধা হয়নি ধর্ম। ধীরে ধীরে প্রেম। শেষ পরিণয় বিয়েতে আবদ্ধ হয়েছেন তারা। ইউক্রেনের নাগরিক অ্যান্দ্রো প্রকিপ। নাম বদলে এখন মোহাম্মদ। বিয়ে করেছেন বাংলাদেশের বৃষ্টি আক্তারকে। স্বামীর সঙ্গে নাম মিলিয়ে বৃষ্টির নাম এখন বৃষ্টি প্রকিপ।
আজ ৩০ ডিসেম্বর সোমবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী কালাছড়া গ্রামে দেখা মিলে বৃষ্টি ও প্রকিপের। কথা বলেন তাদের ভালোবাসা নিয়ে। জানালেন বিয়ে করতে পেরে তারা খুশি। সবার দোয়া চান তারা।
কালাছড়া গ্রামের কামাল মিয়ার মেয়ে বৃষ্টি। এসএসসি পাস। টুকটাক ইংরেজি জানেন। বছর দুয়েক আগে ফেসবুকে রিকোয়েস্ট পাঠান প্রকিপকে। সেই থেকে প্রেমের শুরু। গত ১৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশে আসেন প্রকিপ। সে দিনই বিয়ে করেন বৃষ্টিকে।
কথা হলে বৃষ্টি জানান, প্রকিপকে পেয়ে তিনি বেশ খুশি। প্রকিপ শুরু থেকেই বলছিলেন বিয়ে করবেন। শেষ পর্যন্ত সে কথা রেখেছে তার। আমিও তার সাথে চলে যেতে প্রসেস করছি।
প্রকিপ জানায়, তার বিয়ে করা দরকার ও সে মুসলিম হবে- এ দুটি বিষয় আকৃষ্ট করেছে তাকে। বৃষ্টিকে বিয়ে করতে পেরে সে খুব খুশি। বাংলাদেশ তার ভালো লাগছে।
ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার ফরহাদ আলী বলেন, প্রেমের এমন ঘটনায় তারা সবাই খুশি। এ দম্পত্তিকে দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে অনেকেই ছুটে আসছেন।