অনলাইন ডেস্ক :
বিপিএলে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে এসে দুর্বার রাজশাহীকে ১০৫ রানে হারিয়েছে চিটাগং কিংস। এর মধ্য দিয়ে টুর্ণামেন্টে জয়ের খাতা খুললো চিটাগং কিংস।
৩ জানুয়ারি শুক্রবার মিরপুরে চিটাগা কিংসের দেয়া ২২০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৩ ওভার বাকি থাকতেই ১১৪ রানে অলআউট হয়ে যায় রাজশাহী।
২২০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে রান তোলায় গতি থাকলেও নিয়মিত উইকেটও হারায় রাজশাহী। পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৫৮ রান করে তারা। বেশির ভাগ রানই আসে মোহাম্মদ হারিসের ব্যাটে। ২ চার ও ৩ ছক্কায় ১৫ বলে ৩২ রান করে মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে আউট হন তিনি।
রাজশাহীর হয়ে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১৯ বলে ৩২ রানের জুটি গড়েন এনামুল হক বিজয় ও মোহাম্মদ হারিস, সেটিই ছিল সর্বোচ্চ। এর বাইরে ইয়াসির আলী ও আকবর আলী ২০ বলে ৩১ রানের জুটি গড়েন। ইয়াসির ১৫ বলে ১৬ ও আকবর ১২ বলে ১৮ রান করেন।
বাকি ব্যাটাররাও খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। চিটাগংয়ের হয়ে ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন আলিস আল ইসলাম। তিন উইকেট নেন ৪ ওভারে ২৩ রান দেওয়া আরাফাত সানিও।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই প্রথম উইকেট হারিয়েছিল চিটাগং কিংস। তাসকিন আহমেদের বলে সাব্বির হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন পারভেজ হোসেন ইমন। এরপরের দুর্বার রাজশাহীর বোলারদের ওপর দিয়ে ঝড় বইয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানের ওপেনার উসমান।
উসমান খানকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন ইংলিশ ব্যাটার গ্রাহাম ক্লার্ক। দু’জনে মিলে দ্বিতীয় উইকেটে ৬৩ বলে ১২০ রানের জুটি গড়েন। যদিও ২৫ বলে ৪০ রানে সোহাগ গাজীর বলে ফিরতে হয়েছে ক্লার্ককে।
তবে রানের গতি বাড়ানোর সঙ্গে ইনিংসও বড় করেছেন উসমান। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ২১ বলে পেয়েছেন হাফ সেঞ্চুরি। পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর রান তোলার গতি কমেনি তার। যদিও সেঞ্চুরি পাওয়ার আগেই ফিরতে পারতেন উসমান।
সোহাগ গাজীর শর্ট ডেলিভারিতে স্কয়ার লেগ দিয়ে খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছিলেন। তবে সেটা লুফে নিতে পারেননি সাব্বির হোসেন কিংবা শফিউল ইসলামের কেউ। জীবন পেয়ে ৪৮ বলে সেঞ্চুরি পেয়েছেন পাকিস্তানের এই ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ৬২ বলে ১৩ চার ও ৬ ছক্কার মারে ১২৩ রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেন উসমান।
বিপিএলের ইতিহাসে এটি ৩৩তম সেঞ্চুরি। এছাড়া ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় শতকের দেখা পেলেন পাকিস্তানের এই ব্যাটার। তার সেঞ্চুরিতে ভর করে দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে ২১৯ রানের পাহাড় গড়েছে চিটাগং। এর আগে ২০২৩ সালে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষেও উসমান সেঞ্চুরি করেছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
বিপিএলের একটি ম্যাচ খেলেছে ঢাকা পর্বে সিলেট স্ট্রাইকার্স। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ওই ম্যাচে জয়ের সুযোগ থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা পারেননি জাকের আলীরা। সিলেটে এবার নাহিদ রানা-আকিফ জাভেদদের ওই রংপুরের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ২০৫ রান করেছে সিলেট। ফিফটি করেছেন দলটির স্থানীয় ব্যাটার রনি তালুকদার ও জাকির হাসান। টস হেরে সিলেট ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে ৫ ওভারে ৪৭ রান পায়। জর্জ মানসে ১২ বলে ১৮ করে ফিরে যান। এরপর রনি ও জাকির ৪১ রান যোগ করেন।
রনি তালুকদার ফিরে যান ৩২ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলেন। জাতীয় দলে দুর্দান্ত কামব্যাক করে আবার বাইরে চলে যাওয়া ডানহাতি এই ওপেনার সাতটি চার ও তিনটি ছক্কার শট খেলেন। জাকির ৩৮ বলে ৫০ রান করেন। তিনি চারটি ছক্কা হাঁকান। ইনিংসে ছিল না কোন চারের শট।
শেষটায় যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় দলে খেলা ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার অ্যারন জোনস ১৯ বলে ৩৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। চারটি ছক্কার সঙ্গে একটি চার আসে তার ব্যাট থেকে। অপেক্ষাকৃত সিলেটের ছোট বাউন্ডারিতে ৫ বলে তিনটি ছয়ের শটে ২০ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দারুণ খেলা জাকের আলী।
রংপুর রাইডার্সের নাহিদ রানা ও পাকিস্তানের বাঁ-হাতি পেসার আকিফরা এদিন খরুচে ছিলেন। নাহিদ ৪ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে উইকেট শূন্য ছিলেন। আকিফ ৪ ওভারে ৫১ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ৪ ওভারে ৩১ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। শেখ মাহেদী ৪ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে দখল করেন ১ উইকেট।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ-সুন্দর প্রজন্ম গঠনই জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সংকল্প’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে দিনব্যাপী ফুটবল টুর্ণামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার শহরের দানবীর লোকনাথ রায় ময়দানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রদলের আয়োজনে দিনব্যাপী (২০ মিনিটের নির্ধারিত সময়ের) ফুটবল টুর্ণামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফাইনালে আখাউড়া উপজেলা ছাত্রদলকে ২-০ গোলে হারিয়ে নবীনগর উপজেলা ছাত্রদল জয়ী হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক সাজিদুর রহমান সাজিদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল বলেন, মাদক থেকে বিরত রাখতে তারেক রহমানের নির্দেশে ফুটবল টুর্ণামেন্টের আয়োজন করা হয়েছে। দেশের এই সংকটকালে বিশৃঙ্খলা চলছে। তারেক রহমান বারবার বলেছেন অতিদ্রুত সংস্কার করে নির্বাচিত দলের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। অনির্বাচিত সরকার যতো শক্তিশালী হোক চাইলেই তারা সিদ্ধান্ত দিতে পারেনা। তাই দ্রুত নির্বাচিত দলীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহবান জানান। তিনি আরো বলেন, গত ষোল বছরের আন্দোলনের ফলই ৫ আগস্টের অর্জন হয়েছে। ৫ আগস্টের অর্জন কারো একার নয়, কোন দলের নয়। ৫ আগস্টের বিজয় সমগ্র জাতির অর্জনের ফসল। কেউ যদি মনে করে এই অর্জন কোন ব্যক্তির কিংবা কোন একটি সংগঠনের তাহলে সেটা ভুল ধারণা। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে বিএনপির পাঁচশত লোক নিহত হয়েছে শুধুমাত্র এই ৫আগস্টের আন্দোলনে। এছাড়া গত ষোল বছরে বিএনপির কয়েক হাজার লোক নিহত হয়েছে। জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রদল, সদর, নবীনগর, বাঞ্ছারামপুর, কসবা, আখাউড়া, বিজয়নগর ও আশুগঞ্জ উপজেলার ছাত্রদল অংশগ্রহণ করে। সকাল দশটা থেকে শুরু হয়ে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত খেলা চলে। সেমিফাইনালে সদর উপজেলা ছাত্রদলকে টাইব্রেকারে হারিয়ে নবীনগর উপজেলা ছাত্রদল ফাইনালে উঠে। অন্যদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রদলকে হারিয়ে আখাউড়া উপজেলা ছাত্রদল ফাইনালে উঠে।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রেজুয়ানুল হক শীষ। খেলায় ধারাভাষ্য বর্ণনা করেন সাবেক ফুটবলার ওমর ফারুক আজাদ, সোহেল রানা ও মিজানুর রহমান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর কলেজের সভাপতি এবিএম মোমিনুল হক, জেলা বিএনপি নেতা আলী আজম, জসিম উদ্দিন রিপন, জেলা যুবদলের সাবেক আহবায়ক মনির হোসেন, মাইনুল হোসেন চপল, নিয়ামুল হক, নবীনগর পৌরসভার সাবেক মেয়র মাইনুদ্দিন মঈন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মিজানুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সালাহ্ উদ্দিন আহমেদ, জেলা শ্রমিক দলের নেতা আজিজুর রহমান, জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদুল হক, জসিম চৌধুরী, রাশেদ কবির আখন্দ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ তৈমুর, আশিকুল ইসলাম সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুল হক জালাল, পৌর যুবদলের সভাপতি এডভোকেট মাসুদুল হক, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ইয়াছিন মিয়া, দুলাল আহমেদ, হাফিজ মিয়া, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শেখ হাফিজুল্লাহ্, সাধারণ সম্পাদক ফোজায়েল চৌধুরী, আজহারুল ইসলাম দিদার, সাঈদ আহমেদ সানী, ডিকন রিজুয়ানুল হক শীষ প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি গড়লেন ইতিহাস। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে লাল-সবুজের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান হিসেবে রেকর্ডবুকে নাম তুললেন উইকেটকিপার ব্যাটার।
আজ ২৩ ডিসেম্বর সোমবার রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে তিন দিনের নারী বিসিএলের ম্যাচে উত্তরাঞ্চলের বিপক্ষে মধ্যাঞ্চলের হয়ে ১৫৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন জ্যোতি। ২০ চার ও ২ ছক্কার মারে ২৫৬ বলে ১৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন নিগার সুলতানা জ্যোতি।
জ্যোতির সেঞ্চুরিতে বড় লিড নিয়েছে মধ্যাঞ্চল। আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২৪০ রান করে ইনিংস ঘোষণা করেছিল সোবহানা মোস্তারির উত্তরাঞ্চল। দলটির হয়ে ২৪৬ বলে সর্বোচ্চ ৮৬ রানের ইনিংস খেলেছেন জাতীয় দলের ওপেনার ফারজানা হক পিঙ্কি। মধ্যাঞ্চলের নাহিদা আক্তার ৪৮ রানে শিকার করেছেন ৭ উইকেট।
জবাবে দুই ওপেনার মুরশিদা খাতুন ও ফারজানা আক্তারের জোড়া ফিফটিতে ব্যাট হাতে ভালো জবাব দেয় মধ্যাঞ্চল। দুই ওপেনারের ভালো শুরুর পর জ্যোতি সেঞ্চুরিতে রাঙানো ইনিংস খেললেন। ৮ উইকেটে ৩৮৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছে মধ্যাঞ্চল। উত্তরাঞ্চলের হয়ে ১১৩ রানে ৬ উইকেট নেন জান্নাতুল ফেরদৌস সুমনা।
২১ ডিসেম্বর রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে শুরু হয় নারীদের বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ (বিসিএল)। এর আগে নারী ক্রিকেটারদের দুই দিনের ম্যাচ আয়োজন হতো। প্রথমবারের মতো এবার তিন দিনের ম্যাচের আয়োজন করা হয়। ছেলেদের মতোই চার দল নিয়ে আয়োজন করা হয়েছে নারীদের বিসিএল। দলগুলো হলো-উত্তরাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চল।
অনলাইন ডেস্ক :
টটেনহ্যামের মাঠে গিয়ে বিধ্বস্ত করেছে লিগ টেবিলে রাজত্ব করা লিভারপুল। ২২ ডিসেম্বর রবিবার রাতের ম্যাচে মো. সালাহ ও লুইস দিয়াজের জাদুতে ৬-৩ গোলে জিতেছে অল রেডসরা। লন্ডনে ম্যাচের ২৩ মিনিটে প্রথম লিড নেয় লিভারপুল। গোল করেন কলম্বিয়ান তারকা লুইস দিয়াজ। ৩৬ মিনিটে ম্যাক অ্যালিস্টার ব্যবধান ২-০ করেন।
টটেনহ্যামের ইংলিশ মিডফিল্ডার জেমস মেডিসন ৪২ মিনিটে গোল করে ম্যাচে ফেরার বার্তা দেন। কিন্তু প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে সজোবোজলাই গোল করে কতৃর্ত্বের সাথে শেষ করেন প্রধমার্ধ।
দ্বিতীয়ার্ধে দেখা যায় মিশরীয় তারকা সালাহর জাদু। তিনি ৫৪ ও ৬১ মিনিটে গোল করেন। অল রেডসরা ৫-১ গোলের লিড নেয়। ম্যাচ একপ্রকার শেষ হবার পর ৭২ ও ৮৩ মিনিটে গোল করে ব্যবধান ৫-৩ করে টটেনহ্যাম। পরে ৮৫ মিনিটে দিয়াজ নিজের দ্বিতীয় গোল করে লিভারপুলের গোল সংখ্যা ৬ করেন ও এতে তাদের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান আরো মজবুত হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
পার্থ টেস্টের ব্যর্থতা ভুলে অ্যাডিলেইডে ঘুরে দাঁড়াতে খুব একটা অসুবিধা হলো না অস্ট্রেলিয়ার। ১০ উইকেটের দাপুটে জয়ে সিরিজে ১-১ সমতা ফিরিয়েছে স্বাগতিকরা। ১৯ রানের লক্ষ্য পেরোতে কেবল ২০ বল লাগে তাদের। এর আগে প্যাট কামিন্সের তোপে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭৫ রানেই গুটিয়ে যায় ভারত।
মাত্র তিনদিনেই শেষ হলো দিবারাত্রির এই টেস্ট, যেখানে দুই দল খেলেছে মাত্র ১০৩১ বল। ভারত-অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি টেস্টে এটি সর্বনিম্ন।
শনিবার টেস্টের দ্বিতীয় দিনেই মূলত ভারতের হাত থেকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় ম্যাচটি। ১২৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে তারা দিন শেষ করে। আজ ৮ ডিসেম্বর তৃতীয় দিনে খেলতে নেমে ১৭৫ রানে অলআউট হয় রোহিত শর্মার দল। কিন্তু প্রথম ইনিংসে অজিরা ১৫৭ রানের লিড নেওয়ায় তাদের পুঁজিটা দাঁড়ায় মাত্র ১৮ রানের।
মাত্র ১৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনারের যে বেগ পাওয়ার কথা নয়, তারা খেলেছেন কেবল ২০ বল। নাথান ম্যাকসুইনি ১০ ও উসমান খাজা ৯ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিশ্চিত করেছেন। ১০ উইকেটের বিশাল জয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল প্যাট কামিন্সের দল।