অনলাইন ডেস্ক :
বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী কিয়ারা আদবাণী হাসপাতালে ভর্তি। ৪ জানুয়ারি শনিবার সকালে হঠাৎ এ খবর ছড়িয়ে পড়ে। এদিন দক্ষিণী তারকা রামচরণের সাথে মুম্বাইয়ের এক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল অভিনেত্রীর। কিন্তু সেই অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন তিনি। তারপরেই খবর ছড়ায়, অসুস্থ হয়ে নাকি সকাল সকাল হাসপাতালে ছুটতে হয়েছে তাকে। তবে ঠিক কী কারণে হাসপাতালে যেতে হয়, সেই খবর প্রকাশ্যে আসেনি প্রথমে।
কিয়ারার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই চিন্তিত হয়ে পড়েন তার অনুরাগীরা। তিনি এখন কেমন আছেন, সেই বিষয়ে খোঁজ নেওয়া শুরু করেন শুভাকাঙ্ক্ষীরা।
অবশেষে কিয়ারার সহযোগী দলের পক্ষ থেকে জানানো হল, হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়নি অভিনেত্রীকে। শারীরিক অসুস্থতা রয়েছে তার। গত কয়েক দিন অনবরত কাজ করায় অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। যার ফলে চিকিৎসক তাকে আগামী কয়েক দিন বিশ্রামে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। সেই কারণেই শনিবারের অনুষ্ঠানে তিনি অনুপস্থিত।
এ মাসেই মুক্তি পেতে চলেছে কিয়ারা ও রামচরণের ছবি ‘গেম চেঞ্জার’। সেই ছবির প্রচারেই একটি অনুষ্ঠানে শনিবার যোগ দেওয়ার কথা ছিল কিয়ারার। শঙ্কর পরিচালিত এই রাজনৈতিক ছবি নিয়ে বেশ কিছু দিনে ধরেই আগ্রহ তৈরি হয়েছিল দর্শকের মধ্যে। ছবিতে সামান্য পরিবর্তনের নির্দেশ দিয়েছিল সেন্সর বোর্ড। কয়েকটি গানেও কাঁচি চালানোর নির্দেশ রয়েছে।
ছবিতে রামচরণকে এক আইপিএস আধিকারিকের চরিত্রে দেখা যাবে। তবে শোনা যাচ্ছে, বাবা ও ছেলের দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। কিয়ারাও এক পুলিশ আধিকারিকের চরিত্রে অভিনয় করছেন। রাজনৈতিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারা লড়বে।
ছবিতে রামচরণ ও কিয়ারা ছাড়াও অভিনয় করেছেন সমুথিরকনি, এসজে সূর্য, শ্রীকান্ত, প্রকাশ রাজ ও সুনীল। ১০ জানুয়ারি মুক্তি পাচ্ছে এই ছবি।
অনলাইন ডেস্ক :
আজ ২১ ডিসেম্বর জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারকে সহায়তার জন্য রাজধানী ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘ইকোস অব রেভল্যুশন’ শীর্ষক কনসার্ট। এতে পারফর্ম করবেন জনপ্রিয় পাকিস্তানি সংগীতশিল্পী রাহাত ফতেহ আলী খান। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করছে ‘স্পিরিটস অব জুলাই’ প্ল্যাটফর্ম।
এ কনসার্ট থেকে আয়কৃত সম্পূর্ণ অর্থ শহীদ ও আহতদের পরিবার নিয়ে কাজ করা কল্যাণমূলক সংস্থা ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’-এ দান করা হবে। এই আয়োজনে বিশ্বখ্যাত সংগীতজ্ঞ উস্তাদ রাহাত ফাতেহ আলী খান বিনা পারিশ্রমিকে গান শোনাবেন। কনসার্টটি উপস্থাপনা করবেন দীপ্তি চৌধুরী। তিনি জানান, বিনা পারিশ্রমিকে আন্তর্জাতিক এই কনসার্টের উপস্থাপনা করবেন।
দীপ্তি বলেন, এটি শুধু কনসার্ট নয়, এখান থেকে অর্জিত অর্থ যাবে জুলাই বিপ্লবে আহতের সহায়তায়। এই আয়োজনে আমি কোনো পারিশ্রমিক নিচ্ছি না। এতে করে কাজটির মাধ্যমে এই মহতী উদ্যোগের অংশীদার হতে পারবো বলে মনে করি।
রাহাত ফতেহ আলী খানের পাশাপাশি কনসার্টে আরো গান গাইবে জনপ্রিয় দেশীয় ব্যান্ড আর্টসেল, চিরকুট, আফটারম্যাথ এবং সিলসিলার শিল্পীরা। এর বাইরেও র্যাপ সংগীত শিল্পী শেজান ও হান্নানের পরিবেশনাও এ কনসার্টে থাকছে।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশে যে কত মানুষ আর্জেন্টিনার ভক্ত তার কেউ বলতে পারবে না। তবে ৪ বছর পর পর যখন ফুটবল বিশ্বকাপ খেলা শুরু হয় তখন দেখা মিলে। তখন লাখ লাখ ভক্ত আর্জেন্টিনার সাফল্য কামনায় রাত জেগে খেলা দেখেন। আর সে দলের পক্ষে স্লোগান তুলেন। সেই আর্জেন্টিনা দলের মহা তারকা এলেন বাংলাদেশে। তার সঙ্গে দেখা হলো বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
মাশরাফি বিন মুর্তজা আর্জেন্টিনার ভক্ত তা জানে না কেউ। ৩৬ বছর পর আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ে শিরোপার অপেক্ষা দূর হয়েছিল। অপেক্ষা দূর হয়েছিল মাশরাফির।
নিজের প্রিয় দলকে বিশ্বকাপ জিততে দেখবেন এমন স্বপ্ন দেখেছিলেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক নিজেও। সেই স্বপ্ন কাতারে পূরণ করেছেন মেসি, ডি মারিয়া, এমিলিয়ানো মার্টিনেজরা। মাশরাফির এবং কোটি ফুটবলপ্রেমির স্বপ্ন পূরণের অন্যতম নায়ক মার্টিনেজ এখন বাংলাদেশে।
১১ ঘণ্টার সংক্ষিপ্ত সফরে সোমবার ভোরেই বাংলাদেশে এসেছেন। সকালে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার। যেখানে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন মাশরাফি। মেয়ে হুমায়রা ও ছেলে সাহেলকে নিয়ে মাশরাফি সেই অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন।
খুব কাছ থেকে তারা দেখেছেন মার্টিনেজকে। ছবি তুলেছেন। সাদা-নীল জার্সিতে পেয়েছেন অটোগ্রাফ। অল্প কিছুক্ষণের জন্য মার্টিনেজকে কাছে পেয়ে মুগ্ধ মাশরাফি। এত আন্তরিকতা দেখাবেন তা ভাবতেও পারেননি তিনি।
মার্টিনেজের সঙ্গে দেখা করার পর বিমুগ্ধ হয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া ফেসবুকে লিখেছেন মাশরাফি, ‘এমিকে ভালো লাগার শুরু কোপা আমেরিকা থেকেই, যেখানে সে টাইব্রেকারে দুটি গোল আটকে দিয়ে দলকে জয় এনে দিল। কত বছর পর বড় কোনো শিরোপা জিতল আর্জেন্টিনা! লিওনেল মেসিও পেল দেশের হয়ে প্রথম বড় ট্রফির স্বাদ। স্বাভাবিকভাবেই পাখির চোখে তাকিয়ে ছিলাম বিশ্বকাপের দিকে। কিন্তু সৌদি আরবের সাথে হেরে মনে হয়েছিল, আরেকটি বিশ্বকাপও হয়তো শেষ হবে হতাশায়। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে ঘুরে দাঁড়ানো এবং পরে বিশ্বকাপ জয় দেখতে পারাটা ছিল অনেক দিনের লালিত স্বপ্ন পূরণের মতো।’
‘সেই জয়ের অন্যতম নায়ক এমির সঙ্গে দেখা হলো আমাদের এই ঢাকায়। খুব অল্প সময়ের জন্য দেখা, কিন্তু দারুণ এক অনুভূতি। বিশ্বকাপ জয়ী দলের গোলকিপার চোখের সামনে! সে তো জানে না, আমার এবং আমার মতো আরও কত কোটি মানুষের কত বছরের অপেক্ষা শেষ হলো, যেদিন তার ঐ হাত ধরেই আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জয় করলো!’
‘আজকে সে সাক্ষাতের মাঝেই একবার ট্রাউজার উঠিয়ে দেখাল, পায়ের ঠিক সেই জায়গায় একটি ট্যাটু করিয়েছে, বিশ্বকাপ ফাইনালে শেষ বাঁশির ১৮ সেকেন্ড আগে কোলো মুয়ানির শটটি আটকিয়ে দিয়েছিল যে জায়গা দিয়ে। এক সেকেন্ডের জন্য মনে হলো, আসলে বিশ্বকাপটাতো ওখানেই জিতে নিয়েছে।’
‘আজকে আসলে বেশি ভালো লাগছে আমার সন্তানদের জন্য। যখন বললাম, ‘এমি আসছে, তোমাদের কি দেখা করার ইচ্ছা আছে?’ ওরা লাফাচ্ছিল। সবশেষ দুটি দিন ওরা ঠিকমতো ঘুমাতে পারছিল না এমিকে দেখবে বলে। আজকে এমির সঙ্গে দেখা হওয়ার পর বললাম, ‘বাচ্চারা তোমার অটোগ্রাফ নিতে চায়।’ সে এত আন্তরিকতা দেখাল, এক কথায় অসাধারণ। এমনকি সে ছবিও তুলে দিল ওদের সঙ্গে। এখন তারা মহাখুশি, আর ওদের খুশিতে আমিও এখন মহাখুশি।’
‘এমি, আপনাকে স্বাগত এই বাংলার মাটিতে। এখানে আপনাদের অগণিত ভক্ত আছে, যুগ যুগ ধরে। আশা করি, আপনারও ভালো লাগছে এই মাটিতে পা রেখে।’
‘পাশাপাশি এটাও ভাবি, সত্যি বাংলাদেশ একদিন বিশ্বকাপ ফুটবলে কোয়ালিফাই করবে আর আমরা আমাদের পতাকা নিয়ে মিছিল করব, ইনশাল্লাহ। অনেকের কাছে এখন এটা অবাস্তব মনে হতে পারে। তবে আমি বিশ্বাস করি, কাজটা কঠিন, খুব কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। স্বপ্ন পূরণের সেই দিনটির অপেক্ষায় আছি, ইনশাল্লাহ।’
ডেস্ক রিপোর্ট :
বাঁহাতি পেসার মারুফ মৃধার তোপে দুইশ’র নিচে থামতে হলো ভারতকে। জবাবে ৩৪ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ল বাংলাদেশ। শঙ্কা উড়িয়ে এরপর দলকে টানলেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান আরিফুল ইসলাম। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান আহরার আমিন। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারতকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠল টাইগার যুবারা।
দুবাইতে আজ ১৫ ডিসেম্বর শুক্রবার আসরের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে লো স্কোরিং ম্যাচে ভারতকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪২.২ ওভারে মাত্র ১৮৮ রানে অলআউট হয় ভারতীয়রা। লক্ষ্য তাড়ায় ৪৩ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে ১৮৯ রান তুলে জয় নিশ্চিত করে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালের টিকিট পেয়েছে তারা। এর আগে ২০১৯ সালের প্রতিযোগিতায় ভারতের কাছে হেরেই রানার্সআপ হয়েছিল বাংলাদেশ।
অথচ যুব এশিয়া কাপের গত ৯ আসরে আটবারের চ্যাম্পিয়ন ছিল ভারত। এর মধ্যে কেবল ২০১৭ সালে ফাইনালে উঠতে পারেনি তারা। ওইবার গ্রুপ পর্বে বিদায় নিয়েছিল দলটি। আর দশম আসরে এসে আরেকবার ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হলো তারা। তাদের নবম শিরোপার স্বপ্ন ভেঙে দিল বাংলাদেশের যুবারা।
একই সময়ে শুরু হওয়া আসরের প্রথম সেমিতে চমক দেখিয়ে জিতে শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে জায়গা করে নিয়েছে আয়োজক সংযুক্ত আরব আমিরাত। রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে তারা পাকিস্তানকে হারিয়ে দিয়েছে ১১ রানে। আমিরাতের করা ১৯৩ রানের জবাবে শক্ত অবস্থান থেকে পথ হারিয়ে পাকিস্তানিরা থামে ১৮২ রানে। আগামী রোববার ফাইনালে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও আমিরাত।
প্রতিপক্ষের ইনিংসের প্রথম তিনটি উইকেটই যায় মারুফের ঝুলিতে। শেষদিকে বল হাতে ফিরে আরও একবার উচ্ছ্বাস করেন তিনি। সব মিলিয়ে ৪ উইকেট নিতে ১০ ওভারে তিনি দেন ৪১ রান। চারে নামা আরিফুল অল্পের জন্য সেঞ্চুরিবঞ্চিত হন। ৯০ বলের আক্রমণাত্মক ইনিংসে তিনি করেন ৯৪ রান। তার ব্যাট থেকে ৯ চারের সঙ্গে আসে ৪ ছক্কা। ব্যাটিংয়ের শুরুতে ভারত কেঁপে ওঠে মারুফের তীব্র আঘাতে। ডানহাতি পেসার রোহানাত দৌলা বর্ষণ উইকেট শিকারে যুক্ত হলে মহাবিপর্যয়ে পড়ে তারা। এরপর মুশির খান ও মুরুগান অভিষেকের ফিফটিতে তিন অঙ্কের নিচে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা এড়ায় দলটি।
তবে শেষ পর্যন্ত লক্ষ্যটা নাগালের মধ্যেই রাখে বাংলাদেশ। বর্ষণ ৭ ওভারে ৩৯ রানের বিনিময়ে পান ২ উইকেট। অফ স্পিনার শেখ পারভেজ জীবন ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আঁটসাঁট বোলিং উপহার দেন। ৮.৪ ওভারে ২৯ রানে তার শিকার নিচের সারির ২ উইকেট। মাঝে বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক থ্রু পাইয়ে দেন অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি। মুশির ও অভিষেকের ৮৪ রানের জুটি ভাঙেন বাঁহাতি বোলিং অলরাউন্ডার। বাকিটি রানআউট। প্রথম ওভারেই উইকেট হারিয়ে ধাক্কা খায় আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। টাইগার পেসারদের তোপ সামলানোর কোনো উপায় খুঁজে পাচ্ছিল না তারা। একের পর এক ব্যাটার সাজঘরে ফেরায় ১৬তম ওভারে দলীয় ৬১ রানে পতন হয় তাদের ষষ্ঠ উইকেটের।
সপ্তম উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়েন মুশির ও অভিষেক। তাদের ব্যাটে দুইশর কাছাকাছি পর্যন্ত যেতে পারে ভারত। ছয়ে নামা মুশির ৩ চারে ৬১ বলে করেন ৫০ রান। আটে নামা অভিষেকের ব্যাট থেকে ৬ চার ও ২ ছয়ে আসে ৭৪ বলে ৬২ রান। ভারতের ইনিংসের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান আসে অতিরিক্ত খাত থেকে। বাই, লেগ বাই ও ওয়াইড মিলিয়ে ২০ রান পায় তারা। এছাড়া, দুই অঙ্কে যেতে পারেন দলটির আর মাত্র তিন খেলোয়াড়।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রেমের জালে ঋতাভরী চক্রবর্তী। আভাস মিলছিলো আগেই। দীপাবলিতে বলিউডের সংলাপ লেখক সুমিত অরোরার সাথে প্রেমের গুঞ্জনে সিলমোহর দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। ঘরোয়া অনুষ্ঠানে প্রেমিকের সাথে প্রকাশ্যে এনেছিলেন ছবি। এরপর বড়দিনে টলিপাড়ার ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সাথে আলাপ করিয়ে দেন মনের মানুষকে। নতুন বছরের শুরুটাও করেছেন ভালবাসার মানুষের বাহুডোরে। এবার সেই চর্চিত প্রেমিকের সঙ্গেই গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন অভিনেত্রী।
সূত্রের খবর, চলতি বছরে ডিসেম্বরে থাইল্যান্ডে ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সাথে ‘ডেস্টিনেশন ওয়েডিং’-এর পরিকল্পনা অভিনেত্রীর।
জানা যায়, বাঙালি ও পাঞ্জাবি রীতি অনুসারে বিয়ে করবেন অভিনেত্রী। বিয়ের অনুষ্ঠান হবে ঘরোয়াভাবে। তবে প্রীতিভোজ জাঁকজমকপূর্ণভাবেই আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
সুমিত অরোরা শাহরুখ খানের ‘জওয়ান’, ‘স্ত্রী’, ‘চন্দু চ্যাম্পিয়ান’ ছবির সংলাপ লেখক। এ ছাড়াও সোনাক্ষী সিন্হা অভিনীত ‘দাহাড়’ ও মনোজ বাজপেয়ী অভিনীত ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’ সিরিজের সংলাপও লিখেছেন তিনি।
২০২৩ সাল থেকে এই লেখকের প্রায় সব ছবিতেই ধারাবাহিকভাবে মন্তব্য করেছেন অভিনেত্রী। সেখানেই লেখককে কখনও ‘বেবি’ বলে সম্বোধন করেছেন, কখনও লিখেছেন, ‘তুমি আমার হিরো’।
প্রায়শই সুমিতের সাথে আদুরে ছবি ভাগ করে নেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। উষ্ণ রসায়নে বার বার মনের মানুষের বাহুলগ্না তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
চলতি পথে সড়কের ধারে হঠাৎ দৃষ্টি আটকে যায় পথিকের। থমকে দাঁড়িয়ে দেখেন জাতীয় পতাকার আদলে সাজানো হয়েছে ধানক্ষেত। আগ্রহ নিয়ে তারা এ সৌন্দর্য উপভোগ করেন।
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার রুপনারায়ণকুড়া ইউনিয়নের দেবিপুর গ্রামের সৌখিন কৃষক রনজিৎ সাহার ধান ক্ষেতে এমন চিত্রের দেখা মেলে।
চলতি বোরো মৌসুমে নিজের প্রায় ৬০ শতাংশ জমিতে সবুজ ও বেগুনি রঙের ধানের চারা দিয়ে তৈরি করেছেন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার প্রতিকৃতি। পার্থক্য শুধু লালের জায়গায় বেগুনি বৃত্ত। নতুন জাতের এ ধানের নাম ‘পার্পল লিফ রাইস’।
কৃষক রনজিৎ সাহা বলেন, প্রথমে সুতা দিয়ে মেপে জমিতে জাতীয় পতাকার গঠন তৈরি করি। এরপর সে অনুযায়ী রোপণ করি দুই জাতের ধানের চারা। দেশ ও পতাকার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতেই আমার এই আয়োজন।
পথচারী আলমগীর হোসেন বলেন সবুজ-বেগুনিতে এতো সুন্দর ধানের জমি আর দেখিনি। লোক মুখে শুনে জমি দেখতে এখানে আসা। যিনি এই জাতীয় ধান আবাদ করেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।
পথচারী সিরাজুল ইসলাম রুবেল বলেন, ফসলের মাঠে সবুজ-বেগুনিতে জাতীয় পতাকা দেখে আমার খুব ভালো লেগেছে। কাকলী আক্তার বলেন, ধানক্ষেতের চারপাশে সবুজ রঙের ধান আর মাঝখানে বেগুনি রঙের ধান রোপণ করায় দেশের জাতীয় পতাকার আদল হয়েছে। দেখতে খুবই সুন্দর দেখাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর কবীর বলেন, একজন কৃষক দেশের প্রতি ভালবাসার নিদর্শন হিসেবে তার জমিতে জাতীয় পতাকার প্রতিকৃতি ধান ক্ষেতে ফুটিয়ে তুলেছেন। কাজটি সত্যিই প্রশংসার দাবিদার জানিয়ে তিনি বলেন, গত কয়েক বছর ধরে এ উপজেলায় বেগুনি রঙের ধানের আবাদ শুরু হয়। সৌন্দর্য ও পুষ্টিগুণে ভরপুর এ ধানের নাম পার্পল লিফ রাইস। এ ধানের গাছের পাতা ও কাণ্ডের রঙ বেগুনি। তাই এটি রঙিন ধান হিসাবে পরিচিত।