চলারপথে ডেস্ক :
হাওর অঞ্চলের প্রত্যেকটি সড়ক উড়াল সড়ক হবে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, হাওর অঞ্চলের যেন কোনো ক্ষতি না হয় সেজন্য উড়াল সড়ক করা হবে। হাওরে উড়াল সড়কের প্রকল্প ইতোমধ্যেই একনেকে অনুমোদন দিয়েছি।
আজ ২৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে আওয়ামী লীগের সুধী সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাওরের পানি নিষ্কাশনের সকল ব্যবস্থা করা হয়েছে। নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র করেছি।
তিনি বলেন, গ্রামের মানুষ যেন গ্রামেই শহরের সকল সুযোগ সুবিধা পায় সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। ‘আমার গ্রাম হবে আমার শহর’ এই স্লোগানে আমরা কাজ করছি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমরা প্রত্যেকের হাতে মোবাইল ফোন পৌঁছে দিয়েছি। ভূমিহীনদের জন্য বিনামূল্যে ঘর, জমির ব্যবস্থাও করে দেওয়া হয়েছে।
কৃষকদের উদ্দেশে সরকারপ্রধান বলেন, করোনা মহামারির সময় ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতাকর্মীরা ধান কেটে কৃষকের ঘরে পৌঁছে দিয়েছে। একজন কৃষক এখন মাত্র ১০ টাকা দিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে।
এর আগে দুপুর ১টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ আবদুল হক নূরুর সভাপতিত্বে সুধী সমাবেশ শুরু হয়।
এর আগে বেলা ১১টায় হেলিকপ্টারে হাওর উপজেলা মিঠামইনে পৌঁছান সরকারপ্রধান। সেখানে তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাসের উদ্বোধন করেন। এরপর দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিঠামইনের কামালপুরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের বাড়িতে যান। সেখানে দুপুরের খাবার ও বিশ্রামের পর তিনি বিকেলে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সুধী সমাবেশে অংশ নেন।
অনলাইন ডেস্ক :
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে টেলিফোনে কথা বলেছেন। আলাপকালে আনোয়ার ইব্রাহিম বাংলাদেশে শান্তি ও নিরাপত্তা পুনর্গঠনে অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতার কথাও জানান।
আজ ১৪ আগস্ট বুধবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও নিজের একটি ছবি পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানান আনোয়ার ইব্রাহিম নিজেই।
তিনি পোস্টে লেখেন, ‘গতকাল আমার পুরনো বন্ধু প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে ফোনে কথা হয়েছে, তাকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে সাম্প্রতিক নিয়োগের জন্য ব্যক্তিগতভাবে অভিনন্দন জানিয়েছি।’
তিনি আরো লেখেন, মালয়েশিয়ার সাথে প্রফেসর ইউনূসের দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ক রয়েছে। আমি তাকে আশ্বস্ত করেছি, মালয়েশিয়া বাংলাদেশে শান্তি ও নিরাপত্তা পুনর্গঠন ও পুনঃস্থাপনে অন্তর্বর্তী সরকারকে সাহায্য ও সমর্থন করতে প্রস্তুত রয়েছে।
সংখ্যালঘুসহ সব বাংলাদেশি নাগরিককে সুরক্ষা ও সমান অধিকার রক্ষার আশ্বাস দেওয়ায় ড. ইউনূসের প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম।
অধ্যাপক ড. ইউনূস দুই দেশের মধ্যে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো জোরদার করতে তাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাংলাদেশ সফর করতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন ও পলায়নের প্রথম বর্ষপূর্তির দিনে জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ ৫ আগস্ট মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ শুরু করেন তিনি।
বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)সহ বিভিন্ন গণমাধ্যম ও অনলাইন অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করছে। এ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারাসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার বিপুল সংখ্যক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সঙ্গিত পরিবেশন করা হয়। এ ছাড়া শহীদদের স্মরণে একমিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে পতন ঘটে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের। ওই সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তীব্র জনরোষ থেকে বাঁচতে পালিয়ে ভারতে চলে যান। তারপর ৮ আগস্ট গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। ড. ইউনূসের নেতৃত্বে পরিচালিত এ সরকার জুলাই ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করে।
চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের সীল-সাক্ষর জালিয়াতি
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ বাপ্পীকে (২৯)কে গ্রেপ্তার করেছে অপরাধ তদন্তকারী সংস্থা (সিআইডি)। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারকের সীল ও স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগে গতকাল সোমবার ভোরে তাকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত রাব্বি উপজেলার নিজ সরাইল গ্রামের মোখলেছুর রহমানের ছেলে।
গতকাল সোমবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিআইডির পুলিশ সুপার শাহরিয়ার রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারকের সীল-সাক্ষর জাল-জালিয়াতি করে মোটর সাইকেলের লাইসেন্স করে আসছিল। সম্প্রতি একটি মোটর সাইকেল আটকের পরে দেখা যায় ওই মোটর সাইকেলের সীল ও সাক্ষর ভূয়া। পরে ওই চক্রের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় ইশতিয়াক আহমেদ বাপ্পী ৫নং আসামী। সোমবার ভোরে তার নিজ বাড়ি থেকে বাপ্পীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে আদালতে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহাদাৎ হোসেন শোভনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বাপ্পীকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি শুনেছি। এ ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে। দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি নিয়মিত বাণিজ্যিক ফ্লাইটে সাধারণ মানুষ বঙ্গবন্ধু কন্যার মহান হৃদয় ও মমতার এক অনন্য বৈশিষ্ট্য প্রত্যক্ষ করলেন। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযাত্রী হিসেবে ভ্রমণ করছিলেন।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভা থেকে দেশে ফেরার পথে ফ্লাইটের যাত্রীরা বিস্মিত ও আনন্দিত হন, যখন তারা দেখলেন যে, শেখ হাসিনা নিজেই তাদের সাথে দেখা করছেন। তিনি একের পর এক তাদের আসনে আসছেন ও বিমানের আরোহী সকলের সাথে কুশল বিনিময় করছেন।
শেখ হাসিনা জাতীয় পতাকাবাহী বিমানের বাণিজ্যিক ফ্লাইটে যাত্রীদের সাথে কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ফ্লাইটে তাদের আসনের পাশে প্রধানমন্ত্রীকে পেয়ে অনেকেই বিস্মিত ও অবাক হয়েছেন।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় মেয়ে শেখ হাসিনার সাথে ছবি তুলতে চাইলে তিনি অনেক যাত্রীর অনুরোধ মেনে নেন। তিনি বাচ্চাদের সাথেও খুব স্নেহের সাথে কথা বলেন ও তাদের সাথে কিছুক্ষণ মজার গল্প করেন এবং কয়েকটি শিশুকে কোলে তুলে নেন।
এ সময় কয়েকজন যাত্রী গত সাড়ে ১৪ বছরে দেশের উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাদের মতামত তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী ১৪-১৫ জুন অনুষ্ঠিত ‘ওয়ার্ল্ড অফ ওয়ার্ক সামিট : সোশ্যাল জাস্টিস ফর অল’- এ যোগদান শেষে সুইজারল্যান্ডের জেনেভা থেকে দেশে ফিরেছেন।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি নিয়মিত ফ্লাইট গতরাত ১টা ৫৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সূত্র : বাসস
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বাধীনতা লাভের মাত্র ১১ মাসের মধ্যে বঙ্গবন্ধু উপহার দিয়েছিলেন বাঙালি জাতির অধিকারের দলিল, বহুল আকাঙিক্ষত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান।
জাতীয় সংবিধান দিবস উপলক্ষে আজ দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী দেশের সকল নাগরিককে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে দীর্ঘ তেইশ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রাম ও নয় মাসের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয়ের মাত্র এগারো মাসের মধ্যে ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গৃহীত হয়েছিল বাঙালি জাতির অধিকারের দলিল, বহুল আকাঙিক্ষত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের দর্শনে বিশ্বাসী। দেশের অগ্রগতিতে আমরা আশু, স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনা করছি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সুদূরপ্রসারী এবং বলিষ্ঠ নেতৃত্বে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অতি অল্প সময়ে সংবিধান প্রণয়ন বাঙালির জাতীয় জীবনে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং সংবিধানের চেতনা ধারণের জন্য জাতীয় সংবিধান দিবস পালন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে- এ আমার প্রত্যাশা।’