অনলাইন ডেস্ক :
বিপিএলে রাজশাহীকে সাত উইকেটে হারাল ফরচুন বরিশাল। আজ ৬ জানুয়ারি সোমবার ১৬৮ রানের জবাবে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান করেছে তামিম ইকবালের দল।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটে ১৬৮ রান করে রাজশাহী। উদ্বোধনী জুটি থেকে আসে ৩০ রান। চতুর্থ ওভারে মোহাম্মদ হারিসকে ২২ রানে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন তানভীর আহমেদ। দ্বিতীয় উইকেটে জিসান আলমের সঙ্গে ৫৫ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়। বড় সংগ্রহের ইঙ্গিত দিতে থাকেন তারা। এই জুটি ভেঙ্গে দেন ফাহিম আশরাফ। পাকিস্তানি এই অলরাউন্ডারের বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দেন জিসান। ২৭ বলে ৩৮ রান করেন তিনি। পরে ইয়াসির আলীর সঙ্গে জুটি বেঁধে রানের চাকা সচল রাখেন বিজয়।
পরে ইয়াসিরকেও ফিরতে হয়। শাহিন আফ্রিদির এলবিডব্লিউর ফাঁদে পা দেওয়া এই ব্যাটার ২৩ বলে করেন ৩৭ রান। অন্যদিকে শাহিনের বলেই বোল্ড হন বিজয়। ৩৫ বলে ৩৯ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। শেষ দিকে রায়ান বার্ল ১১ বলে ১০ ও আকবর আলী ৯ বলে ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন।
শাহিন আফ্রিদি ৪ ওভারে ২০ রান খরচ করে ২ উইকেট নেন।
জবাবে খেলতে নেমে বেগ পেতে হয়নি বরিশালকে। তামিম ইকবাল ৪৮ বলে ৮৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ম্যাচ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন। প্রীতম কুমার করেছেন ৩ রান। এ ছাড়া কাইল মায়ার্সের ব্যাট থেকে আসে ১১ বলে ২৪ ও তাওহিদ হৃদয় করেন ১৩ রান। ২৪ বলে ৩৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন মুশফিক।
অনলাইন ডেস্ক :
বিশ্বকাপ বাছাইয় পর্বের ম্যাচে ৮ সেপ্টেম্বর সোমবার মুখোমুখি হয়েছিল ইসরায়েল ও ইতালি। নানা রোমাঞ্চ ছড়িয়ে ম্যাচটি ৫-৪ গোলে জিতে নেয় ইতালি। দারুণ এক উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচটি শেষের আগ পর্যন্ত মনে হচ্ছিল ম্যাচটি ড্র হবে। তবে নানা নাটকীয়তার পর জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে গাত্তুসোর ইতালি।
ম্যাচের ১৬তম মিনিটে আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় ইসরায়েল। ডি-বক্সের ভেতরে ইসরাইলের এক ফুটবলারের পাস ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল পাঠান লোকাতেলি। ইতালির সমতায় ফিরতে বেশ সময় লেগে যায়। ৪০তম মিনিটে ময়সে কিনের দুর্দান্ত গোলে সমতায় ফেরে আজ্জুরিরা। কে ভেবেছিল, দ্বিতীয় হাফে দুই দল গোলের বন্যা বইয়ে দেবে? দ্বিতীয় হাফে দুই দল মিলিয়ে করে ৭ গোল। ৫২ মিনিটে ইসরায়েলকে লিড এনে দেন ডর পেরেটজ। তবে এবার সমতায় ফিরতে বেশি সময় নেয়নি ইতালি। ৫৪তম মিনিটে ইতালিকে আবারও সমতায় ফেরান সেই কিন। এবার শুধু সমতা নয়, ৫৮তম মিনিটে গোল করে ম্যাচে প্রথমবার লিড নেয় গাত্তুসোর দল।
ডি-বক্সের ভেতরে রেটেগুয়ের ব্যাকহিল পাস পেয়ে বল জালে জড়ান পোলিতানো। এরপর ৮১তম মিনিটে রাসপাদোরি ইতালির চতুর্থ গোলটি করলে সহজ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়বে তারা এমনটাই মনে হচ্ছিল। তবে নাটকের তখনও বাকি ছিল। ৮৭ মিনিটে ইতালি আবারও এক আত্মঘাতী গোল করে। আর ৮৯তম মিনিটে ইসরায়েলকে সমতায় ফেরান সেই পেরেটজ।
তবে দুই মিনিটের মধ্যেই তাদের উচ্ছ্বাস থামিয়ে দেন সান্দ্রো তোনালি। ডি-বক্সের বাইরে থেকে জয়সূচক গোলটি করেন নিউক্যাসল ইউনাইটেডের মিডফিল্ডার। স্মরণীয় জয়ে তিন ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে ‘আই’ গ্রুপের দ্বিতীয় স্থানে ইতালি। সমান পয়েন্ট নিয়ে তিনে নেমে গেছে ইসরায়েল।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজকে যারা জেলা স্টেডিয়ামে ফুটবল প্রতিযোগিতা করছে আগামীতে তাদেরকে বিভাগীয় বা জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রতিযোগিতায় দেখতে চাই। তিনি বলেন আমরা তোমাদের নিয়ে ভবিষ্যৎ চিন্তা করি তোমরা যেন ভাল মানুষ হয়ে দেশের ভবিষ্যৎ উজ্জল করবে। এ ক্ষুদে খেলোয়াড়রা খেলাধূলায় অংশ গ্রহন করে ক্রীড়াঙ্গনকে আরও সমৃদ্ধি করার আহবান জানান। তিনি বলেন, খেলাধূলার মান উন্নয়নে এবং নিয়মিত পরিচর্চার জন্য তৃর্ণমুল পর্যায়ে ক্রীড়া প্রতিভা বিকাশের উদ্দেশ্যে জেলা ক্রীড়া অফিস যে আয়োজন করে তা প্রশংসার দাবিদার।
আজ ৬ নভেম্বর বুধবার সকাল ১০টায় নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়ামে ক্রীড়া পরিদপ্তর যুব আওতায় ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ক্রীড়া অফিস আয়োজিত বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচি-২০২৪-২৫ অনুর্ধ্ব-১৫ ফুটবল প্রতিযোগিতা উদ্বোধনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মোঃ সাইফুল ইসলাম একথা বলেন। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা ক্রীড়া অফিসার মাহ্মুদা আক্তার। ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করেন অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়, তেলিনগর উচ্চ বিদ্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ, পাকশিমুল হাজী শিশু মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় এবং ইউনাইটেড ফুটবল একাডেমী। এসময় প্রতিটি বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন। বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।
স্পোটর্স ডেস্ক :
প্রথমার্ধে গোলের জন্য ১৩টি শট নিয়েছে আর্জেন্টিনা। ৩টি পোস্টে রাখতে পারলেও গোল হয়নি। বিরতির পর নিকো গঞ্জালেস একবার চিলির ক্রসবারও কাঁপিয়েছেন। ভাগ্য সহায় হয়নি আর্জেন্টিনার। শুধু তা ই নয়, ৩৭তম জন্মদিনের কেক কেটে মাঠে নামা লিওনেল মেসিও ৬৮ মিনিটে গোলের সুযোগ নষ্ট করেছেন। নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে এভাবে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠা আর্জেন্টিনাকে শেষ পর্যন্ত গোল এনে দিয়েছেন লাওতারো মার্তিনেজ। চিলির বিপক্ষে ১-০ গোলের স্বস্তির জয়ে কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালও নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টিনা।
২০২২ বিশ্বকাপে একের পর এক মিস করে আর্জেন্টিনার সমর্থকদের চক্ষুশূল হয়ে উঠেছিলেন লাউতারো মার্টিনেজ। তবে বিশ্বকাপের পর নিজেকে ঠিকই ফিরিয়ে এনেছেন চেনা ছন্দে। চলতি বছর ইন্টার মিলানের হয়ে ইতালিয়ান সিরিআ জয় করেছেন। যেখানে লাউতারো হয়েছেন বর্ষসেরা স্ট্রাইকার। তবু কোপা আমেরিকায় চিলির বিপক্ষে ম্যাচে আর্জেন্টিনার প্রথম একাদশে জায়গা মেলেনি তার।
প্রথমার্ধের হতাশা আর দ্বিতীয়ার্ধে চাপের মুখে থাকায় শেষ পর্যন্ত লাউতারো মার্টিনেজকেই মাঠে নামাতে বাধ্য হলেন আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি। ৭৩ মিনিটে মাঠে নেমে ৮৮ মিনিটে করলেন দলের জয়সূচক গোল। লিওনেল মেসির কর্নার থেকে জটলায় বল পেয়েছিলেন এই স্ট্রাইকার। সেখান থেকেই এলো জয়সূচক গোল।
১-০ গোলের এই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম দল হিসেবে কোপা আমেরিকার শেষ আটে পা রাখল আর্জেন্টিনা। গ্রুপে তারা আছে সবার ওপরে। ৩ পয়েন্ট নিয়ে কানাডা আছে দুইয়ে। চিলি এবং পেরু দুই দলেরই ঝুলিতে আছে ১ পয়েন্ট।
তবে আর্জেন্টিনাকে এই ম্যাচে অনেকটা সময় পর্যন্ত টিকিয়ে রেখেছিলেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। অভিষেকের পর থেকেই হয়ে উঠেছেন আর্জেন্টাইন ফুটবলের ত্রাতা। কোপা আমেরিকা বা বিশ্বকাপে তার অতিমানবীয় গোলকিপিং সহজে ভুলতে চাইবে না আর্জেন্টিনার সমর্থকরা। সেই এমি মার্টিনেজই আরও একবার আর্জেন্টিনার মান বাঁচালেন আজ।
প্রথমার্ধে গোলবারের নিচে একেবারেই অলস সময় পার করেছিলেন এমি মার্টিনেজ। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে বেশিরভাগ সময় পার করেছেন ব্যস্ত সময়। দ্বিতীয়ার্ধের ৭২ এবং ৭৬ মিনিটে রদ্রিগো এচিভেরিয়া দুই দফায় জোরালো শট করেছিলেন। তবে এমি মার্টিনেজের বিশ্বস্ত হাত বাঁচিয়ে দেয় দলকে।
১-০ গোলের এই স্কোরলাইনে অবশ্য প্রমাণ করা কষ্ট, ঠিক কতটা দাপুটে ফুটবল উপহার দিয়েছে আর্জেন্টিনা আজ। গোলমুখে চিলির ৩ শটের বিপরীতে তারা নিয়েছে ২২ শট। ৬টি বিগ চান্স সামনে এসেছিল। ৯টি শট ছিল অন টার্গেট। কিন্তু চিলির গোলবারের নিচে ছিলেন ক্লদিও ব্রাভো। ৪১ বছরের অভিজ্ঞ এই গোলরক্ষক যেন চীনের মহাপ্রাচীর হয়ে ছিলেন আর্জেন্টিনার সামনে।
টানা আক্রমণ করেও ওই এক ব্রাভোর কারণেই গোল পায়নি আর্জেন্টিনা। প্রথমার্ধ পার হয়েছে গোল না পাওয়ার হতাশায়। উপরন্তু ৩৭ মিনিটে লিওনেল মেসির দূরপাল্লার শট বারে লেগে চলে যায় বাইরে। হতাশার মাত্রা তাতে আরও বেড়েছে। দ্বিতীয়ার্ধেও নিকো গঞ্জালেসের জোরালো শট ব্রাভোর হাত হয়ে লাগে ক্রসবারে।
বিপরীতে চিলিকে সেই অর্থে সুযোগই দেয়নি আর্জেন্টিনা। মাঝমাঠে রদ্রিগো ডি পল আর ডিফেন্সে রোমেরো-লিসান্দ্রো মার্টিনেজ জুটি ঠেকিয়েছে একের পর এক আক্রমণ। শেষদিকে আনহেল ডি মারিয়া মাঠে নামলে গতি পায় আলবিসেলেস্তেদের আক্রমণ। যোগ করা সময়ে ৪র্থ মিনিটে এই ডি মারিয়াই সহজ এক সুযোগ তৈরি করে দেন লাউতারোর উদ্দেশে। যদিও সেই সুযোগ অবিশ্বাস্যভাবে ঠেকিয়ে দেন চিলি গোলরক্ষক।
আর্জেন্টিনার প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের ৪৬ বছর পূর্তির দিনে চিলির বিপক্ষে প্রতিশোধও নেওয়া হলো তাদের। নিউ জার্সির এই মাঠেই ২০১৬ কোপা আমেরিকা ফাইনালে টাইব্রেকারে চিলির কাছে হেরেছিল আর্জেন্টিনা। সেই হারের পর আর্জেন্টিনার জার্সি তুলে রাখার ঘোষণা দিয়েছিলেন মেসি। তবে সাত সপ্তাহ পরই সিদ্ধান্ত পাল্টে ফিরেছিলেন জাতীয় দলে। বাকিটা সবার জানা।
শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা। আলবিসেলেস্তেদের পরের ম্যাচ পেরুর বিপক্ষে। ৩০ জুন মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে গ্রুপের শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে তারা।
অনলাইন ডেস্ক :
সাফ উইমেন’স অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে শেষ মুহূর্তের গোলে নেপালকে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। দুই লাল কার্ড, গোল-বন্যা এবং নাটকীয় শেষ মুহূর্ত সব মিলিয়ে কিংস অ্যারেনায় রোমাঞ্চ ছড়ায় পুরো ৯০ মিনিট। শিখা জাহান ও সাগরিকার গোলে প্রথমার্ধেই ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয়ার্ধে সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন সাগরিকা। সংখ্যাগত ঘাটতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে সমতায় ফেরে নেপাল। কিন্তু অতিরিক্ত সময়ে তৃষ্ণা রানীর গোলে জয় ছিনিয়ে নেয় পিটার জেমস বাটলারের শিষ্যরা।
প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক খেলা উপহার দেয় বাংলাদেশ। ১৪তম মিনিটে সাগরিকার পাস থেকে মুনকি আক্তারের শট প্রতিহত হলে ফিরতি বলে জাল খুঁজে নেন শিখা জাহান। এরপর ৩৬তম মিনিটে গোলরক্ষকের ভুলে পাওয়া বল টোকা দিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সাগরিকা।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে নেপালের ফরোয়ার্ড মিনার শট কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান গোলরক্ষক স্বর্ণা রানী মন্ডল। ফলে ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে একাধিক সুযোগ হাতছাড়া করে বাংলাদেশ। ৫৫তম মিনিটে সাগরিকা ও নেপালের সিমরান ফাউলের জেরে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। উত্তেজিত পরিস্থিতি সামাল দিতে দুজনকেই লাল কার্ড দেখান রেফারি।
একজন কম নিয়ে খেলতে থাকা বাংলাদেশ একটু পরেই গোল হজম করে। জয়নবের ফাউলে পাওয়া পেনাল্টি থেকে গোল করেন নেপালের আনিশা রায়। ৮৬তম মিনিটে মিনা দেউবার গোলে সমতায় ফেরে তারা।
যোগ করা সময়েও একাধিকবার হুমকিতে পড়ে বাংলাদেশের ডিফেন্স। তবে অতিরিক্ত সময়ের একদম শেষ মুহূর্তে উমহেলা মারমার পাস থেকে দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে জয়সূচক গোল করেন তৃষ্ণা রানী। ওই গোলেই বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ জয় নিশ্চিত হয়।
এ জয়ে টানা দুই ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। এর আগে সাগরিকার হ্যাটট্রিকে শ্রীলঙ্কাকে ৯-১ গোলে হারিয়ে আসর শুরু করেছিল তারা।
আগামী মঙ্গলবার নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে ভুটানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। নেপালের বিপক্ষে লাল কার্ড পাওয়া সাগরিকা অবশ্য ওই ম্যাচে খেলতে পারবেন না।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও লাল্লারবাগ যুব সংগঠনের উদ্যোগে গ্রামীণ ঐতিহ্যের হাডুডু খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৩০ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকেলে নোয়াগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এই খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
নোয়াগাঁও শেখ আশরাফ উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. ফজলুল হক মৃধার সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, নোয়াগাও ইউনিয়নের উন্নয়নের রূপকার, দৈনিক ফ্রনটিয়ার পত্রিকার সম্পাদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র পরিচালক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আব্দুল মালেক।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, নোয়াগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আতাহার হোসেন মৃধা বকুল।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মো. আবু সিদ্দিক মৃধা, মো. জুলকার নাইন, মো. জাকির হোসেন মৃধা, মো. আব্দুল আমিন, মো. রাজ্জাক মৈশান, শাহজাহান নুরতাজ খাঁ, মো. সিরাজ মাস্টার, মো. আলী হোসেন মৃধা প্রমুখ।
উৎসবমুখর ও আনন্দঘন পরিবেশে অনুষ্ঠিত এই হাডুডু খেলায় বিপুল সংখ্যক দর্শক খেলা উপভোগ করেন। খেলায় বড়দল ও ছোটদল নামে দুটি দল অংশগ্রহণ করেন। বিপুল উত্তেজনাপূর্ণ এই খেলায় ছোটদল জয়লাভ করেন। খেলা শেষে প্রধান অতিথি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আব্দুল মালেক অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যান্য অতিথিদেরকে সাথে নিয়ে খেলোয়াড় এবং বিজয়ী ও অংশগ্রহনকারীদের মাঝে পুরুষ্কার বিতরণ করেন। এসময় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, গ্রাম বাংলার বিলুপ্তপ্রায় খেলাধুলার ঐতিহ্যকে পুনরুদ্ধার করতে আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে এবং এর বিকাশ ও লালন করতে আমি এই এলাকার মানুষকে সাথে নিয়ে সবসময়ই চেষ্টা করে যাবো। তিনি বলেন, বিলুপ্তপ্রায় গ্রামীণ সংস্কৃতিকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসা উচিৎ। এসময় খেলা দেখতে আসা সুলতানা মিয়া বলেন, ‘অনেকদিন পর এমন খেলা দেখতে পেয়ে খুবই ভাল লাগছে। সবাইকে নিয়ে এই খেলা দেখার মজাই আলাদা। বিশেষ দিনে এমন আয়োজনের দাবি জানাচ্ছি।’ আরেক দর্শক রফিক মিয়া বলেন, ‘খেলা দেখতে দুপুরের পরপরই চলে এসেছি। মাঠে হাজার হাজার মানুষ। একসাথে সবাই আনন্দ উপভোগ করেছি,বন্ধুদের নিয়ে খেলা দেখার মজাই আলাদা। হা-ডু-ডু খেলা দারুণ আনন্দ দিয়েছে। এসময প্রখর রোদে মাঠে দাঁড়িয়ে খেলা দেখেছে মানুষ। খেলার মাঠে শিশু-কিশোর কিংবা বৃদ্ধ, হাজারো মানুষের ঢল নেমেছে। যুব সমাজকে বিপথগামী হওয়া থেকে রোধের পাশাপাশি এলাকাবাসীকে আনন্দ দিতেই হারিয়ে যাওয়া হা-ডু-ডু খেলার আয়োজন করা হয়েছে। আগামীতেও এমন খেলার আয়োজন করা হবে এমনটাই জানালেন সমাজসেবক আব্দুল মালেক।