অনলাইন ডেস্ক :
দাবানলে পুড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস অঙ্গরাজ্য। প্রথমে ২০ একর এলাকায় দাবানল দেখা দিলেও পরে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে তা ১২০০ একর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। প্রাণহানি এড়াতে আশপাশের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়েছে। সূত্র : বিবিসি
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে উল্লেখ করা হয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দাবানলের উৎপত্তি। ৮০-১০০ কিলোমিটার গতিবেগে বাতাসের পাশাপাশি শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে মুহূর্তেই তা আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
কয়েকটি ছবিতে দেখা গেছে, চারপাশ ঘন ধোঁয়ায় ছেয়ে গেছে। দাবানল ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যেও ছড়িয়ে পড়তে পারে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি শেরিফ জিম ম্যাকডোনেল বলেছেন, রাতে আগুন আরোভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। এ অবস্থায় রেসকিউ টিমকে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে সড়ক থেকে গাড়িগুলো সরিয়ে নিয়ে ফাঁকা করে দিতে বলা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
কনে হাঁটছেন সাদা গাউন পরে। এ সময় সেই পোশাক ছুরি দিয়ে টুকরো টুকরো করে কেটে খাচ্ছেন কেউ কেউ। তারা আসলে পোশাক খাচ্ছেন না, খাচ্ছেন কেক। এমনই এক বিশাল ‘পরিধানযোগ্য কেক’ বানিয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লিখিয়েছেন সুইজারল্যান্ডের নারী নাতাশা কোলিন কিম ফাহ লি ফোকাস।
গত ১৫ জানুয়ারি রাজধানী বার্নে এক প্রদর্শনীতে কেক দিয়ে তৈরি পোশাকটি পরে দেখান তিনি। সম্প্রতি গিনেস ওয়ার্ল্ডস রেকর্ডের অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে এর একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘সবচেয়ে বড় পরিধানযোগ্য কেক ড্রেস। এর ওজন ১৩১.১৫ কেজি, বানিয়েছেন সুইটিকেকসের কর্ণধার নাতাশা কোলিন কিম ফাহ লি ফোকাস।’ খবর এনডিটিভির
গিনেস ওয়ার্ল্ডস রেকর্ড জানায়, নাতাশা ২০১৪ সাল থেকে সুইটিকেকস বেকারিটি পরিচালনা করছেন। এ পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের কেক বানিয়ে বিক্রি করেছেন। এবার ‘পরিধানযোগ্য কেক’ বানিয়ে গিনেস বুকে নাম লেখালেন তিনি। সুইস ওয়ার্ল্ড ওয়েডিং ফেয়ার নামে ফ্যাশন শোর শেষ দিনে ঐতিহ্যবাহী বিয়ের পোশাকের আদলে কেক দিয়ে তৈরি এই পোশাকটি দেখানো হয়। এটি কীভাবে পরতে হবে, তাও ভিডিওতে দেখিয়েছিন তিনি।
ইনস্টাগ্রামে প্রকাশের পর ইতোমধ্যে প্রায় ১৪ লাখ মানুষ ভিডিওটি দেখেছেন। অনেকে মন্তব্য করছেন, ‘এখানে কেক কোথায়? তিনি তো বিয়ের পোশাক পরেছেন!’ আরেকজন লিখেছেন, ‘আমি তো অবাক! কিন্তু এত ভারী পোশাক পরে তিনি হাঁটছেন কী করে!’
অনলাইন ডেস্ক :
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েন বাংলাদেশের সাথে চলমান সহযোগিতা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি অংশীদারিত্ব বাড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে পাঠানো এক চিঠিতে তিনি চলমান সহযোগিতা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি অংশীদারিত্ব বাড়ানোর জন্য নতুন দিক অন্বেষণের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
চিঠিতে উরসুলা উল্লেখ করেন, বিস্তৃত অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা চুক্তির মধ্যে দিয়ে তারা অংশীদারিত্ব বাড়ানোর পক্ষে।
সূত্র : বাসস
চলারপথে রিপোর্ট :
অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করে আড়াই বছর পর ভারতে ফিরে গেছে এক কিশোরী। আজ ৪ ডিসেম্বর বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও পুলিশের উপস্থিতিতে তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
স্থলবন্দরের একাধিক সূত্র জানায়, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে সিপাহিজলা জেলার সোনামুড়া থানার দমদমা গ্রামের আব্দুল হাসেমের মেয়ে শাহীনা আক্তার (১৫) ২০২২ সালের ২৪ জুন অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। বাংলাদেশের পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর তাকে জেলে যেতে হয়।
প্রায় আড়াই বছর গাজীপুরের পুনর্বাসন কেন্দ্রে থাকার পর বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে তাকে ভারতে পাঠানো হয়।
নথিপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, সীমান্তে ঘুরতে ঘুরতে বাংলাদেশে প্রবেশ করে শাহীনা। তাকে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ এলাকায় পাওয়া যায়। পুলিশ তাকে আটক করে আদালতে পাঠায়।
নারায়ণগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আমলি আদালত-৭ এক আদেশে ওই ভারতীয় শিশুকে গাজীপুরের শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
অণলাইন ডেস্ক :
এক দশক পর ভারতের লোকসভায় ফিরেছে বিরোধী দলনেতার পদ। বাজেট অধিবেশনে আজ ২৯ জুলাই সোমবার লোকসভায় কেন্দ্রীয় সরকারকে এক হাত নিলেন দেশটির বিরোধী দলীয় নেতা রাহুল গান্ধী। পৌনে এক ঘণ্টা বক্তব্যে বিজেপি-শাসিত সরকারকে তুলোধুনো করেছেন রাহুল।
রাহুল বলেন, ‘হাজার হাজার বছর আগে কুরুক্ষেত্রে ছয় জন মিলে অভিমন্যুকে চক্রব্যূহে ফাঁসিয়ে হত্যা করেছিলেন। আমিও একটু পড়াশোনা করে দেখেছি, চক্রব্যূহকে পদ্মব্যূহও বলা হয়। পদ্মের মতো সামরিক গঠনের জন্য।”
এর পরই কেন্দ্রকে বিঁধে লোকসভার বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘একবিংশ শতাব্দীতে এক নতুন চক্রব্যূহ তৈরি হয়েছে। তাও আবার পদ্ম ফুলের আকারে। যার প্রতীক প্রধানমন্ত্রী বুকে পরে থাকেন। অভিমন্যুর সঙ্গে যা করা হয়েছিল, যেভাবে তাকে ফাঁসানো হয়েছিল চক্রব্যূহে, সেটাই দেশের সঙ্গে, দেশের যুব সমাজ, কৃষক, নারী এবং ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্পের সঙ্গে করা হচ্ছে।’ রাহুলের যুক্তি, মহাভারতের চক্রব্যূহের রাশ ছিল ছয় জনের হাতে- দ্রোণাচার্য, কর্ণ, কৃপাচার্য, কৃতবর্মা, অশ্বত্থামা ও শকুনি। বর্তমান সময়ের যে চক্রব্যূহের কথা রাহুল বলছেন, সেখানেও ছয় জনের হাতে রাশ রয়েছে বলে দাবি বিরোধী দলনেতার। রাহুলের মতে সেই ছয় জন হলেন- নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, মোহন ভাগবত, অজিত ডোভাল, আম্বানি ও আদানি।
লোকসভায় রাহুল এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গেই আপত্তি জানান স্পিকার ওম বিড়লা। বিজেপি শিবির থেকেও হট্টগোল শুরু হয়ে যায়। স্পিকার রাহুলকে জানান, যারা লোকসভার সদস্য নন, তাদের নাম ব্যবহার করা যাবে না। সাংবিধানিক পদে থেকে রাহুল যাতে সংসদীয় রীতি-রেওয়াজ মেনে চলেন, সেই বার্তা দেন স্পিকার। এর পর অবশ্য আম্বানী, আদানি ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের নাম প্রত্যাহার করে নেন। তবে বাকি তিনটি নামের ক্ষেত্রে নিজের বক্তব্যে অবিচল থাকেন রাহুল।
লোকসভার বিরোধী দলনেতার মতে, বর্তমান কালের এই চক্রব্যূহের নেপথ্য তিনটি শক্তি কাজ করছে। রাহুলের কথায় প্রথম শক্তি হল, ‘পুঁজির উপর একচেটিয়া অধিকারের ভাবনা, যেখানে গোটা দেশের সম্পত্তির উপর দু’জনের অধিকার থাকে।’ সরাসরি কারও নাম না করলেও রাহুলের খোঁচা যে দুই শিল্পগোষ্ঠীর দিকেই ছিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এছাড়া রাহুলের যুক্তিতে, দ্বিতীয় শক্তি হল সিবিআই, ইডি, আয়কর দফতরের মতো বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থা এবং তৃতীয় শক্তি হল রাজনৈতিক নেতারা। এই তিন শক্তিই চক্রব্যূহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে বলে আক্রমণ শানান লোকসভার বিরোধী দলনেতা।
এই ‘চক্রব্যূহের’ কারণে দেশবাসীর কী সমস্যা হয়েছে, সে কথাও তুলে ধরেন রাহুল। রাহুলের দাবি, যাঁরা ছোট ছোট ব্যবসা করেন, তাদের উপর এই চক্রব্যূহের প্রথম কোপ পড়েছে। নোট বাতিল থেকে শুরু করে পণ্য ও পরিষেবা কর এবং ‘কর-সন্ত্রাস’-এর কথা উঠে আসে রাহুলের সোমবারের বক্তৃতায়। তিনি বলেন, “দেশে যারা ছোট ছোট ব্যবসা করেন, রাতে তাদের কাছে আয়কর দফতর, পণ্য ও পরিষেবা কর দফতর থেকে ফোন যায়। তারা কর-সন্ত্রাসের শিকার হন। এই কর-সন্ত্রাস বন্ধ করার জন্য বাজেটে কোনও উল্লেখ নেই।”
অনলাইন ডেস্ক :
পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে সানা ইউসুফ (১৭) নামে এক জনপ্রিয় টিকটকারকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ২ জুন সোমবার ইসলামাবাদের সুম্বল থানার জি-১৩ সেক্টরে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। খবর প্রকাশ করেছে দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
পুলিশ জানিয়েছে, অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি সানার নিজ বাড়িতে প্রবেশ করে কাছ থেকে কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সানাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মরদেহ বর্তমানে ইসলামাবাদের পাকিস্তান ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস (পিআইএমএস)-এ ময়নাতদন্তের জন্য রাখা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে পুলিশ ধারণা করছে, এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। হত্যাকারী অতিথি সেজে সানার বাড়িতে ঢুকেছিলেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
সানা ইউসুফ ইসলামাবাদের চিত্রাল এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। অল্প বয়সেই টিকটকে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি। ফ্যাশন, লিপ-সিঙ্ক, জীবনধারা এবং সামাজিক বার্তা-নির্ভর কনটেন্ট তৈরি করে তরুণ প্রজন্মের কাছে দারুণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন।
পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি এবং হত্যার পেছনে নির্দিষ্ট কোনো উদ্দেশ্যও জানা যায়নি।