অনলাইন ডেস্ক :
দাবানলে পুড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস অঙ্গরাজ্য। প্রথমে ২০ একর এলাকায় দাবানল দেখা দিলেও পরে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে তা ১২০০ একর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। প্রাণহানি এড়াতে আশপাশের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়েছে। সূত্র : বিবিসি
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে উল্লেখ করা হয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দাবানলের উৎপত্তি। ৮০-১০০ কিলোমিটার গতিবেগে বাতাসের পাশাপাশি শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে মুহূর্তেই তা আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
কয়েকটি ছবিতে দেখা গেছে, চারপাশ ঘন ধোঁয়ায় ছেয়ে গেছে। দাবানল ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যেও ছড়িয়ে পড়তে পারে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি শেরিফ জিম ম্যাকডোনেল বলেছেন, রাতে আগুন আরোভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। এ অবস্থায় রেসকিউ টিমকে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে সড়ক থেকে গাড়িগুলো সরিয়ে নিয়ে ফাঁকা করে দিতে বলা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়ায় বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) নেতৃত্বে নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের একজন হলেন আয়শা আল-ডিবস। নারীবিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি।
আয়শা আল-ডিবস জানিয়েছেন, এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা গৃহযুদ্ধ জর্জরিত দেশটি পুনর্গঠনে তাঁর প্রশাসন নারীদের অবদান রাখতে দিতে সক্ষম হবে।
২২ ডিসেম্বর রবিবার কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আয়শা আল-ডিবস একথাগুলো বলেন।
সাক্ষাৎকারে আয়শা আল-ডিবস জানান, সিরীয় নারীদের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় সম্পৃক্ত করতে এবং স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা খাতে যোগ্যতাসম্পন্ন নারীদের নিয়োগ দিতে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সিরিয়ার সব প্রদেশ ও সম্প্রদায়ের নারীদের আসন্ন জাতীয় সম্মেলনে অংশ নিতে উৎসাহ দেন দেশটির অন্তর্বর্তী সরকারের এই মন্ত্রী। সম্মেলনে দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা।
আসাদ সরকারের কারাগার থেকে নারী বন্দীদের মুক্তি ও তাঁদের কল্যাণের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হবে বলে জানান আয়শা আল-ডিবস। সেই সাথে তিনি জানান, কারাগারগুলোয় বন্দী নির্যাতনের জড়িত কারা কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
তিনি বলেন, সাবেক বন্দী নারীদের পুনর্বাসনের জন্য তাঁদের মনস্তাত্ত্বিক সহায়তার প্রয়োজন। তাঁদের স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও আইনি সুরক্ষার প্রয়োজন, যাতে তাঁরা কারা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিতে পারেন।
বিদ্রোহী যোদ্ধাদের দামেস্ক দখলের মধ্য দিয়ে ৮ ডিসেম্বর পতন হয় স্বৈরাচার বাশার আল-আসাদ সরকারের। শুধু তা-ই নয়, বাশার আল-আসাদ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় সিরিয়ায় পাঁচ দশকেরও বেশি সময়ের পারিবারিক শাসনের অবসান হয়। সূত্র : আল-জাজিরা
অনলাইন ডেস্ক:
ছয়দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও নেভেনি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানল। ফায়ার কর্মীরা চেষ্টা করেও করতে পারছেন না কূলকিনারা। আরো নতুন এলাকায় ছড়াচ্ছে আগুন। মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়েছে। এর মধ্যেই লস অ্যাঞ্জেলেসের ওপর দিয়ে যাওয়া ঝোড়ো বাতাসের গতি আরো বাড়তে পারে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। ফলে দাবানল আরো বিস্তৃত হতে পারে।
গত মঙ্গলবার থেকে আলাদা ছয়টি দাবানল লস অ্যাঞ্জেলেসে ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে সেখানে চারটি দাবানল সক্রিয় রয়েছে। এর মধ্যে প্যালিসেইডস দাবানল আরও এক হাজার একর এলাকায় ছড়িয়েছে। আগেই এই দাবানলে পুড়েছে ২২ হাজার একর এলাকা। ক্যালিফোর্নিয়ার ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত প্যালিসেইডস দাবানল মাত্র ১১ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে।
লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানলের আগুন নেভাবে ক্যালিফোর্নিয়াসহ আশপাশের সাত অঙ্গরাজ্যের ফায়ার কর্মীদের আনা হয়েছে। সহায়তা করছে কানাডা ও মেক্সিকো।
এমন দুর্যোগের মাঝেও থেমে নেই অপরাধ। ফায়ার সার্ভিস কর্মী সেজে লুটপাট চলছে লস অ্যাঞ্জেলেসে। এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশের ক্যাপ্টেন মাইক লরেঞ্জ বলেছে, বাসিন্দাদের ছেড়ে যাওয়া ঘরবাড়িতে লুটপাটের ঘটনায় অন্তত ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গ্রেফতার ব্যক্তিদের মধ্যে দুইজন ফায়ার সার্ভিসের সদস্য সেজে লুটপাট করছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর অবশেষে ছাড়া পেলেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষের সাথে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর পর যুক্তরাজ্য তাকে ছেড়ে দিয়েছে। সূত্র : বিবিসি
৫২ বছর বয়সী জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে মার্কিন জাতীয় প্রতিরক্ষার তথ্য সংগ্রহ এবং প্রকাশের অভিযোগ আনা হয়েছিল। কয়েক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র তার বিরুদ্ধে আফগান ও ইরাক যুদ্ধের গোপন নথি ফাঁসের অভিযোগ করে আসছে। যার ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়ে। জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ গত পাঁচ বছর ধরে ব্রিটেনে কারাগারে ছিলেন। এখানে বসেই তিনি যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যায়।
অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে কোনো সময় ব্যয় করতে হবে না এবং যুক্তরাজ্যে বন্দি থাকার ফলে সে সুবিধা পাবে। বিচার বিভাগের চিঠি অনুযায়ী জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে যাবেন।
২৪ জুন সোমবার জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ বালমার্স কারাগার থেকে ছাড়া পেয়েছেন। ১ হাজার ৯০১ দিন তিনি এ কারাগারে বন্দি ছিলেন। কারাগার থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই বিকালে তিনি যুক্তরাজ্যের যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরে যান। সেখান থেকেই তিনি অস্ট্রেলিয়াতে ফিরে যাবেন।
অনলাইন ডেস্ক :
রিদম অফ লাইফ শিরোনামে প্রতি বছরের মতো এবারো জার্মানির বাণিজ্যিক রাজধানী ফ্রাঙ্কফুর্টে শুরু হলো বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ভোক্তা পণ্য বাণিজ্য মেলা ‘অ্যাম্বিয়েন্তে ২০২৫’। ফ্রাঙ্কফুর্টের আন্তর্জাতিক মেসেতে ৭ ফেব্রুয়ারি আয়োজিত এ মেলা শুরু হয়।
মেলার আয়োজক জার্মানি ছাড়াও বিশ্বের প্রায় কয়েক লাখ দর্শনার্থী এবং চার হাজারের বেশি উদ্যােক্তা, প্রস্তুতকারক, চিন্তক, ডিজাইনার ও প্রদর্শক মেলায় অংশ নিচ্ছে। বরাবরের মতো বাংলাদেশও আছে। দেশের ৪২টি প্রতিষ্ঠান বিশ্বখ্যাত এইমেলায় তাদের তৈরি নানা পণ্য প্রদর্শন করছে। যার মধ্যে ১২টি প্রতিষ্ঠান দেশের রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) অধীনে। আর বাকিগুলো ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগে।
বাংলাদেশের অংশগ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরে বার্লিনে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য আফেয়ার্স রাহাত বিন জামান বলেন, অ্যাম্বিয়েন্তের মতো আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলাগুলোতে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ দেশের রপ্তানি পণ্যে তো বটেই, সামগ্রিক অর্থনীতি ও দেশের ভাবমূর্তির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জার্মানিতে বাংলাদেশ দূতাবাস সবসময়ের মতো বাংলাদেশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশে থেকে আন্তর্জাতিক যেকোনো মেলায় অংশগ্রহণ নিশ্চিতে সার্বিক সহায়তা করে যাবে।
বাংলাদেশ দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর চৌধুরী মোহাম্মদ গোলাম রাব্বী বলেন, অ্যাম্বিয়েন্তে মেলা বিশ্বের বৃহত্তম ভোক্তা পণ্য বাণিজ্য মেলা, যেখানে বাংলাদেশের দৃঢ় উপস্থিতি আন্তর্জাতিক বাজারে দেশের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করছে। এবারের মেলায় হস্তশিল্প, সিরামিকস ও কুকওয়্যারসহ বিভিন্ন বৈচিত্র্যময় পণ্য প্রদর্শিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, পণ্য বহুমুখীকরণই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বাণিজ্য সম্প্রসারণের মূল কৌশল এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও EPB-এর সহযোগিতার মাধ্যমে আগামী বছরগুলোতে বাংলাদেশ যাতে আরো বহুমুখী পণ্য নিয়ে এ মেলায় অংশগ্রহণ করতে পারে, আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।
এবারের মেলায় দেশের পণ্যের উচ্চমান ও পরিবেশবান্ধব হস্তশিল্পের পাশাপাশি বাংলাদেশি সিরামিকস, যা নান্দনিকতা ও টেকসই মানের জন্য পরিচিত, বৈশ্বিক খুচরা ক্রেতা, বিক্রেতা ও পরিবেশকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মেলা চলবে।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রায় ৩০০ শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের ওপর সংঘটিত ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের দায়ে ফ্রান্সের অবসরপ্রাপ্ত শল্যচিকিৎসক সার্জন জোয়েল লে স্কোয়ারনেককে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশের একটি আদালত।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ৭৪ বছর বয়সি স্কোয়ারনেক দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে শত শত রোগীকে নিপীড়ন করেছেন। অনেক ক্ষেত্রেই অস্ত্রোপচারের সময় অচেতন অবস্থায় বা জ্ঞান ফেরার সময় এসব ঘটনা ঘটিয়েছেন।
বার্তা সংস্থা এএফপি ও রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, লে স্কোয়ারনেক ইতোমধ্যে ২০২০ সালে চার শিশুকে ধর্ষণ ও নিপীড়নের দায়ে ১৫ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে জেল খাটছেন। ওই চার শিশুর মধ্যে তার নিজেরই ভাতিজি ছিল দুইজন।
ফ্রান্স টোয়েন্টি ফোর জানায়, স্কোয়ারনেক ১৯৮৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত পশ্চিম ফ্রান্সের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া অন্তত ২৯৯ জন রোগীকে (যাদের মধ্যে ২৫৬ জন ছিল ১৫ বছরের নিচে) তিনি যৌন নিপীড়ন করেছেন বলে স্বীকার করেছেন।
তার বিরুদ্ধে ১১১টি ধর্ষণ এবং ১৮৯টি যৌন নিপীড়নের অভিযোগ আনা হয়েছিল। যা তাকে ফ্রান্সের ইতিহাসে অন্যতম ‘সিরিয়াল ধর্ষণকারী’ হিসেবে পরিণত করেছে।
জানা যায়, ভুক্তভোগীদের পক্ষে আদালতে মামলা লড়েছেন প্রায় ৬০ জন আইনজীবী।
আদালতে প্রসিকিউটর স্টেফান কেলেনবার্গার সর্বোচ্চ ২০ বছরের কারাদণ্ড চেয়ে বলেন, লে স্কোয়ারনেকের মতো অপরাধীকে কেবল কারাগারে রাখলেই হবে না—কারামুক্তির পরেও যেন তাকে মনস্তাত্ত্বিক তত্ত্বাবধানে রাখা হয়।
এদিকে, আদালতে লে স্কোয়ারনেক বলেন, আমি দয়া চাই না। শুধু চাই, একজন ভালো মানুষ হওয়ার সুযোগ।
তবে তার এ কথাকে অনেকেই কৃত্রিম বলে মনে করেছেন। কারণ তিনি প্রায় প্রতিটি শুনানিতেই একই ধরনের ‘লোক দেখানো’ ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।
মামলার তদন্ত সূত্রে এএফপি জানায়, লে স্কোয়ারনেক নিজের অপরাধগুলো নোটবুকে বিস্তারিতভাবে লিখে রাখতেন। সেখানে তিনি ভুক্তভোগীদের নাম, বয়স, ঠিকানা এবং নিপীড়নের বিবরণসহ সবকিছুই লিখে রাখতেন।
এমনকি তিনি নিজেকে ‘একজন বড় ধরনের বিকৃত মানসিকতার পেডোফাইল’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং লিখেছেন, ‘এতে আমি ভীষণ আনন্দিত’।
স্কোয়ারনেক আদালতে আরো বলেন, তিনি মনে করেন তার দুইজন ভুক্তভোগীর মৃত্যুর জন্য তিনি ‘পরোক্ষভাবে দায়ী’।
তাদের একজন হলেন- মাথিস ভিনে, যিনি ২০২১ সালে ওভারডোজে আত্মহত্যা করেন বলে পরিবার দাবি করেছে। অপরজনকে ২০২০ সালে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
থমাস ডেলাবি নামের এক আইনজীবী তাকে বলেন, আপনি ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ংকর পেডোফাইল, শিশু নিপীড়নের জগতে একটি ‘পারমাণবিক বিস্ফোরণ’।
অন্য এক আইনজীবী বলেন, আপনার এ স্বীকারোক্তিতে কোনো অনুতাপ নেই। আপনার মধ্যে তো এতোটুকুও পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।
২০০৫ সালে শিশু পর্নোগ্রাফি রাখার দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়া সত্ত্বেও লে স্কোয়ারনেক ২০১৭ সাল পর্যন্ত সার্জন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার কর্মকাণ্ড নিয়ে সহকর্মীরা বহুবার উদ্বেগ প্রকাশ করলেও কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়নি।
অন্যদিকে, এএফপি ও রয়টার্স বলছে, এতো বড় কেলেঙ্কারি সত্ত্বেও মামলাটি ফ্রান্সে পর্যাপ্ত মিডিয়া কাভারেজ পায়নি। যা নিয়ে ভুক্তভোগী ও অধিকারকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
মূলত মামলাটি ফরাসি চিকিৎসা ব্যবস্থার এক গভীর গলদকে তুলে ধরেছে—যেখানে একজন দুর্বৃত্ত সার্জন দুই দশক ধরে নিঃশঙ্কভাবে শত শত শিশুকে নিপীড়ন করতে পেরেছে, আর শুধু চেয়ে দেখেছে প্রতিষ্ঠান।