অনলাইন ডেস্ক :
দেশের জনপ্রিয় অভিনেতা ও কণ্ঠশিল্পী তাহসান খানের সাথে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মেকআপ আর্টিস্ট রোজা আহমেদের বিয়ের খবর এখনও টপ অব দ্যা কান্ট্রি। বিশেষ করে তাহসানের স্ত্রী রোজা কে নিয়ে এখনও অনুরাগীদের চর্চা তুঙ্গে। কিন্তু তাহসানের সাথে বিয়েতে বসার আগে এই রোজা আহমেদকে কতটা চিনতেন তার অনুরাগীরা? বলা বাহুল্য, তাহসানের সাথে পরিচয় হওয়ার আগে থেকেই নেটিজেনদের কাছে বেশ পরিচিত ছিলেন এই মেকআপ আর্টিস্ট।
সম্প্রতি রোজা আহমেদের একটি পুরোনো সাক্ষাৎকার ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমে। সেখানে রোজা তার ক্যারিয়ার, পেশা নিয়ে বিস্তর আলাপ করেন। সেখানে তাকে বেশ কিছু প্রশ্ন ও নেটিজেনদের নানান অভিযোগ সম্পর্কে অবহিত করা হয়। সে প্রসঙ্গেই আলোচনা করেন রোজা।
জানালেন, একটা সময় পর্দায় আসার ইচ্ছে ছিল তার। শুধু তাই নয়, জয়া আহসান কিংবা মৌ এর মতো অভিনেত্রীদের সাথেও কাজ করার ইচ্ছে ছিল তার। রোজা বলেন, ‘একসময় ইচ্ছে ছিল মডেল হব, অভিনেত্রী হব।’
সেই সাক্ষাৎকারে ভ্লগারদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের কথা ওঠে। যেমন, অনেক ক্ষেত্রে খারাপ ব্যবহার করেন ভ্লগাররা, ঠিকমতো ব্র্যান্ড প্রোমোশন করেন না- এ ধরণের অভিযোগ। সে প্রসঙ্গে রোজা বলেন, ‘এটা যে যার ব্যক্তিগত ব্যাপার, এখানে আমার বলার কিছু নেই। আমি এত বড় কোনো ভ্লগার হয়ে যাইনি কিংবা কোনো ব্র্যান্ড প্রোমোটারও হইনি। আর এটা আমার মূল পেশাও না। তবে যারা এই পেশায় আছেন, তাদের আমি অনেক সম্মান করি, তারা অনেক ভালো করছেন। আমাদের অনেক সিনিয়র ভ্লগার যারা আছেন, যাদের নিয়ে এখন বিতর্ক হচ্ছে তারা অনেক কষ্টে এই জায়গাতে এসেছেন, আর আমরা তাদের থেকেই শিখেছি। যখন আমরা ভ্লগার বলতে কিছু বুঝতাম না, তখন তাদের হাত ধরে বাংলাদেশে ভ্লগ এসেছে।’
সেই সাক্ষাৎকারে এমনও অভিযোগ উঠেছে, অনেক ইনফ্লুয়েনসার কিংবা ব্র্যান্ড প্রোমোটাররা নাকি ফটোশ্যুটে করেই লাখের মতো পারিশ্রমিক নেন। এছাড়াও মেকআপ আর্টিস্টরাও প্রতি মিনিটে হাজার টাকা পারিশ্রমিক নেন বলেও অভিযোগ।
রোজা বলেন, ‘আপনারাই তো আমাদের ভ্যালুটা বাড়িয়েছেন। একজন নামী-দামী সেলিব্রেটির কাছে না গিয়ে আপনারা আমাদের কাছে আসছেন। তাদের থেকেও যদি আমরা বেশি চার্জ করি, তারাও আমাদের নিচ্ছেন- আমরা কেন নেব না। এটা একটা ব্যাবসা আফটার অল।’ রোজা এও বলেন, ‘সে এটা ডিজার্ভ করে, হয়তো সে জন্য এটা তিনি চার্জ করেছেন।’
মেকআপ আর্ট প্রসঙ্গেও বেশ আলাপ করেন রোজা। বলেন, ‘চাই আমার কাজকে সবাই জানবে। আর আমি বেছে কাজ করি; যেহেতু আমি একজন প্রোফেশনাল মেকআপ আর্টিস্ট। তো দেখা যায় আমার ওই কাজটা আগে। ওইটার ওপরে, ওই ক্যাজুয়ালের ওপরে ডিপেন্ড করে ওই ব্রান্ডকে কাজটা দেওয়া হয়। ওরা যখন চায় তখনই করতে হবে, নইলে আমার ওই কাজটা করা হয় না; কাজ হারিয়ে যায়। কিন্তু দিনশেষে এটা নিয়ে আমার আফসোস হয় না; কারণ কাজগুলো আমি শখের বসে করছি।’
বাংলাদেশের বরিশাল জেলায় বেড়ে ওঠা রোজা আহমেদ বর্তমানে ক্যারিয়ার গড়েছেন মার্কিন মুলুকে। পড়াশোনা করেছেন নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে কসমেটোলজির ওপর। পড়াশোনা শেষ করে কসমেটোলজি লাইসেন্স গ্রহণ করেন এবং পরবর্তীতে নিউ ইয়র্কের কুইন্সে রোজাস ব্রাইডাল মেকওভার প্রতিষ্ঠাতা করেন। তিনি একজন উদ্যোক্তা এবং সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েনসারও।
অনলাইন ডেস্ক :
টলিউড সুপারস্টার অভিনেতা দেব অভিনয় জীবনে ১৮-তে পা দিলেন। রবিবার একটি পোস্টার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে ১৮ বছরের জার্নি উদযাপন করেন দেব।
দেব সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি আবেগঘন পোস্ট করে অসংখ্য অনুরাগীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘হ্যালো সবাইকে! অবশেষে আজকে প্রাপ্তবয়স্ক হলাম ( Hello everyone! Finally I’ve become an adult today.. Mane 18 years old in the Industry! Thank you for the Love, Support and Blessings over the years).
গুটি গুটি পায়ে বাংলা সিনেমা জগতে দেব একাধিক সুপারহিট ছবি উপহার দিয়েছে। একটা মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে ওঠা দীপক অধিকারি ( দেব) আজ হয়ে উঠেছে সুপারস্টার অভিনেতা।
তবে সিনেমার জগতে দেবের সব চেয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তার বাংলা উচ্চারণ নিয়ে। তবুও থেমে থাকেননি দেব।এখনও সামাজিক মাধ্যমে দেবকে ট্রোল করার জন্য রয়েছে একাধিক পেজ। তাতে অবশ্য ভাঁটা পড়েনি জনপ্রিয়তা একচুলও।
তারপর সুপারহিট বাংলা ছবির মধ্যে ‘পরাণ যায় জ্বলিয়া রে’, ‘চ্যালেঞ্জ’, ‘খোকাবাবু’, ‘খোকা ৪২০’, ‘সেদিন দেখা হয়েছিল’, ‘রংবাজ’, ‘পাগলু’-র অন্যমত।
এভাবেই বারবার অনুরাগীদের সারপ্রাইজ দিয়ে সুপারস্টার দেব হয়ে উঠেছেন কাছের মানুষ।
অনলাইন ডেস্ক :
দিনের শুরুটা ভালো না হলেও পরবর্তীতে বোলার ও ব্যাটারদের দুর্দান্ত নৈপুন্যে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে ৯ উইকেট হাতে নিয়ে ৩৭০ রানের বড় ব্যবধানে এগিয়ে থেকে চালকের আসনে বসে গেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ।
আজ ১৫ জুন বৃহস্পিতবার সকালে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩৮২ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। এরপর আফগানিস্তানকে প্রথম ইনিংসে ১৪৬ রানে গুটিয়ে দেয় বাংলাদেশের বোলাররা। এতে প্রথম ইনিংস থেকে টাইগাররা ২৩৬ রানের লিড পেলে ফলো-অনে পড়ে আফগানিস্তান। কিন্তু আফগানিস্তানকে ফলো-অন না করিয়ে ম্যাচের তৃতীয় ইনিংসে দ্বিতীয়বারের মত ব্যাট হাতে নেমে দ্বিতীয় দিন শেষে ১ উইকেটে ১৩৪ রান করে বড় লিড দাঁড় করিয়েছে বাংলাদেশ।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম দিন শেষে ৭৯ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৬২ রান করেছিলো বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত ১৪৬, মাহমুদুল হাসান জয় ৭৬ রানে আউট হন। দিন শেষে মুশফিকুর রহিম ৪১ ও মেহেদি হাসান মিরাজ ৪৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।
আজ, দ্বিতীয় দিন ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশের পরের দিকের ব্যাটাররা। বাকী ৫ উইকেটে মাত্র ২০ রান যোগ করতে পারে বাংলাদেশ। ৯ রানে শেষ ৫ উইকেট হারায় টাইগাররা। এরমধ্যে ৩টিই নেন আফগানিস্তানের হয়ে অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা নিজাত মাসুদ।
মুশফিক ৭৬ বলে ৪টি চারে ৪৭ ও মিরাজ ৮টি চারে ৮০ বলে ৪৮ রানে আউট হন। লোয়ার অর্ডারে তাসকিন আহমেদ ২, তাইজুল শূন্য, শরিফুল ইসলাম ৬ রানে আউট হন। বল হাতে আফগানদের পক্ষে সেরা বোলার ছিলেন প্রথম দিন ২ উইকেট নেয়া মাসুদ। ১৬ ওভারে ৭৯ রানে ৫ উইকেট নেন তিনি।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে খেলতে নেমে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন আফগানিস্তানের দুই ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান ও আব্দুল মালিক। ৫ ওভারে ১৭ রান তুলে ফেলেন তারা। অবশ্য দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে বিচ্ছিন্ন হতে পারতেন জাদরান ও মালিক। শরিফুলের বলে লিটনের হাতে জীবন পান জাদরান।
জীবন পেয়ে সুবিধা করতে পারেননি জাদরান। ষষ্ঠ ওভারে শরিফুলের শিকার হন তিনি। ৬ রান করেন জাদরান। এরপর আফগানিস্তানের উপর চাপ বাড়ান আরেক পেসার এবাদত। মধ্যাহ্ন বিরতির আগে আফগানদের ২ উইকেট তুলে নেন এবাদত। মালিককে ১৭ ও রহমত শাহকে ৯ রানে শিকার করেন এবাদত। এতে ৩ উইকেটে ৩৫ রান নিয়ে বিরতিতে যায় আফগানিস্তান।
বিরতি থেকে ফিরে আফগানিস্তান শিবিরে দ্বিতীয়বারের মত আঘাত হানেন শরিফুল। অধিনায়ক হাসমতুল্লাহ শাহিদিকে ৯ রানে থামান তিনি। এতে ৫১ রানে ৪ উইকেট হারায় আফগানিস্তান। এ অবস্থায় দলের হাল ধরে বাংলাদেশের বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন আফসার জাজাই ও নাসির জামাল। জুটিতে ৭৩ বলে ৬৫ রান তুলে উইকেটে সেট হয়ে যান তারা। এ অবস্থায় জুটি ভাঙ্গতে মরিয়া ছিলো বাংলাদেশ।
অবশেষে দলীয় ১১৬ রানে জামালকে লেগ বিফোর আউট করে বাংলাদেশকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন মিরাজ। ৬টি চারে ৩৫ রান করেন জামাল।
মিরাজের ব্রেক-থ্রুর পর আফগানিস্তানকে চেপে ধরেন এবাদত ও তাইজুল। এতে ৩৯ ওভারে ১৪৬ রানে শেষ হয় আফগানদের প্রথম ইনিংস। আফগানদের পক্ষে জাজাই সর্বোচ্চ ৩৬ ও জানাত ২৩ রান করেন।
এবাদত ৪৭ রানে ৪টি, শরিফুল ২৮ রানে, তাইজুল ৭ রানে এবং মিরাজ ১৫ রানে ২টি করে উইকেট নেন। ইনিংসে ২ উইকেট নিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারে ১৫০ ও মিরপুরের ভেন্যুতে ৫০ শিকার পূর্ণ করেন মিরাজ।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৩৮২ রানের জবাবে ১৪৬ রানে অলআউট হয়ে ফলো-অনে পড়ে আফগানিস্তান। কিন্তু আফগানদের ফলো-অন না করিয়ে ম্যাচের ২৩৬ রানে এগিয়ে থেকে তৃতীয় ইনিংসে আবারও ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ।
জাকির হাসানকে নিয়ে ইনিংস শুরু করে প্রথম ওভারের শেষ বলে ক্যাচ দিয়ে জীবন পান মাহমুদুল হাসান জয়। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে আফগানিস্তানের বাঁ-হাতি স্পিনার আমির হামজার বলে আউট হন ৪টি চারে ১৩ বলে ১৭ রান করা জয়।
দলীয় ১৮ রানে জয়ের বিদায়ের পর জাকিরকে নিয়ে ওয়ানডে স্টাইলে খেলেছেন প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান নাজমুল হোসেন শান্ত। ব্যক্তিগত ৯ রানে জীবন পেয়ে আহমাদজাইর করা ১৮তম ওভারে শেষ চার বলে চারটি বাউন্ডারি মারেন শান্ত।
ইনিংসের ২১তম ওভারে বাউন্ডারি মেরে টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান জাকির। পরের ওভারের প্রথম বলে চারের সহায়তায় টেস্টে চতুর্থ হাফ-সেঞ্চুরি করেন শান্ত। হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়ে অবিচ্ছিন্ন থেকে দিন শেষ করেন জাকির ও শান্ত। দু’জনই ৬৪ বল করে খেলে সমান ৫৪ রানেই অপরাজিত আছেন। জাকির ৬টি ও শান্ত ৮টি চার মারেন।
স্কোর কার্ড (টস-আফগানিস্তান)
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস (প্রথম দিন শেষে ৩৬২/৫, ৭৯ ওভার, মুশফিক ৪১*, মিরাজ ৪৩*) :
মাহমুদুল হাসান ক ইব্রাহিম ব রহমত ৭৬
জাকির হাসান ক আফসার ব নিজাত ১
নাজমুল হোসেন শান্ত ক নাসির ব হামজা ১৪৬
মোমিনুল হক ক আফসার ব নিজাত ১৫
মুশফিকুর রহিম ক জামাল ব মাসুদ ৪৭
লিটন দাস ক ইব্রাহিম ব জহির ৯
মিরাজ ক হামজা ব আমাদজাই ৪৮
তাসকিন এলবিডব্লু ব আজাদজাই ২
তাইজুল ক মালিক ব নিজাত ০
করিফুল বোল্ড মাসুদ ৬
এবাদত অপরাজিত ০
অতিরিক্ত (বা-৮, লে বা-১, নো-১৬, ও-৭) ৩২
মোট (অলআউট, ৮৬ ওভার) ৩৮২
উইকেট পতন : ১/৬ (জাকির), ২/২১৮ (মাহমুদুল), ৩/২৫৬ (মোমিনুল), ৪/২৭১ (শান্ত), ৫/২৯০ (লিটন), ৬/৩৭৩ (মিরাজ), ৭/৩৭৫ (মুশফিক), ৮/৩৭৫ (তাইজুল), ৯/৩৭৭ (তাসকিন), ১০/৩৮২ (শরিফুল)।
আফগানিস্তান বোলিং :
আহমদজাই : ১০-১-৩৯-২ (নো-১),
মাসুদ : ১৬-২-৭৯-৫ (ও-১, নো-৪),
জানাত : ১১-৩-৩৩-০ (ও-১),
জহির : ১৬-০-৯৮-১ (ও-১, নো-৮),
হামজা : ২৪-১-৮৫-১ (নো-৩),
শাহিদি : ৩-০-৯-০
রহমত : ৬-১-৩০-১।
আফগানিস্তান প্রথম ইনিংস :
জাদরান ক লিটন ব শরিফুল ৬
মালিক ক জাকির ব এবাদত ১৭
রহমত ক তাসকিন ব এবাদত ৯
শাহিদি ক মিরাজ ব শরিফুল ৯
জামাল এলবিডব্লু ব মিরাজ ৩৫
জাজাই ক শরিফুল ব এবাদত ৩৬
জানাত স্টাম্প লিটন ব মিরাজ ২৩
হামজা ক মোমিনুল ব এবাদত ৬
আহমাদজাই ক লিটন ব তাইজুল ০
মাসুদ ক জাকির ব তাইজুল ০
জহির অপরাজিত ০
অতিরিক্ত (লে বা-১, নো-৪) ৫
মোট (অলআউট, ৩৯ ওভার) ১৪৬
উইকেট পতন : ১/১৮ (জাদরান), ২/২৪ (মালিক), ৩/৩৫ (রহমত), ৪/৫১ (শাহিদি), ৫/১১৬ (জামাল), ৬/১১৬ (জাজাই), ৭/১২৮ (হামজা), ৮/১৪০ (আহমাদজাই), ৯/১৪৬ (মাসুদ), ১০/১৪৬ (জানাত)।
বাংলাদেশ বোলিং :
তাসকিন : ৭-০-৪৮-০ (নো-৪),
শরিফুল : ৮-২-২৮-২,
এবাদত : ১০-১-৪৭-৪,
তাইজুল : ৫-০-৭-২,
মিরাজ : ৯-১-১৫-২।
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস :
মাহমুদুল হাসান ক জাদরান ব হামজা ১৭
জাকির হাসান অপরাজিত ৫৪
নাজমুল হোসেন শান্ত অপরাজিত ৫৪
অতিরিক্ত (নো-৩, ও-৬) ৯
মোট (১ উইকেট, ২৩ ওভার) ১৩৪
উইকেট পতন : ১/১৮ (জয়)।
আফগানিস্তান বোলিং :
আহমদজাই : ৫-০-৩৪-০,
মাসুদ : ৩.৫-০-৩০-০ (নো-৩),
হামজা : ৬.১-০-২৭-১,
জানাত : ৪-০-২৪-০ (ও-২),
জহির : ৪-০-১৯-০।
চলারপথে রিপোর্ট :
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেছেন, আজকের ছোট্ট-ছোট্ট সোনামনিরা আগামী দিনে বাংলাদেশের অভিভাক হিসেবে কাজ করবে। তিনি বলেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধূলার বিকল্প নেই। প্রশিক্ষনের মেধা ভবিষতে দেশের জন্য বিলিয়ে দিবে। আশা করি আজকের ক্ষুদে খেলোয়াড়গন আগামী দিন জাতীয় পর্যায়ে যাবে।
জেলা ক্রীড়া অফিস আয়োজিত আজ ৩১ জানুয়ারি বুধবার বেলা ১২টায় নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচি ২০২৩-২৪ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পর্যায়ে অনুর্ধ্ব-১৬ বালক ও বালিকাদের মাস ব্যাপী এ্যাথলেটিক্স প্রশিক্ষণের সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
জেলা ক্রীড়া অফিসার মাহমুদা আক্তারের সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, বিশিষ্ট শিল্পপতি ও কবি দেওয়ান মারুফ, ফুটবল প্রশিক্ষণের কোচ মোঃ রিপন মিয়া, এ্যাথলেটিক্স এর কোচ দিলিপ চন্দ্র দাস।
অনুষ্ঠানটি সার্বিক পরিচালনা করেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ সভাপতি মোঃ আবুল কাসেম। এসময় অনুর্ধ্ব-১৬ বালক ও বালিকা এ্যাথলেটিক্স ও ফুটবল প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি সনদ বিতরণ করেন।
স্পোটর্স ডেস্ক :
দলকে শুরুতেই এগিয়ে নিয়েছেন রাকিব হোসেন। সেই সুখ অবশ্য বেশিক্ষণ টেকেনি। প্রথমার্ধেই সমতায় ফেরে মালদ্বীপ। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে চমক দেখায় বাংলাদেশ। ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের গোলে দারুণ জয় নিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় পর্বে কোয়ালিফাই করেছে হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা।
বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় আজ ২০২৬ বিশ্বকাপের এশিয়া অঞ্চলের বাছাইয়ের প্রিলিমিনারি রাউন্ডের ফিরতি লেগে মালদ্বীপকে ২-১ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। আগের লেগে মালদ্বীপের মাঠে ১-১ ব্যবধানে ড্র করে তারা। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ ব্যবধান নিয়ে প্রিলিমিনারি পর্ব পার করতে পেরেছে রাকিব-ফাহিমরা। দ্বিতীয় পর্বে তারা খেলবে ‘আই’ গ্রুপে থাকা বাকি দল অস্ট্রেলিয়া, ফিলিস্তিন ও লেবাননের বিপক্ষে।
ঘরের মাঠে ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে বাংলাদেশ। আক্রমণ-রক্ষণ দুই দিকেই সমানভাবে মালদ্বীপকে চাপে রাখছিল কাবরেরার শিষ্যরা। এরই ধারাবাহিকতায় একাদশ মিনিটেই এগিয়ে যায় তারা। দশম মিনিটে সাদ উদ্দিনের বাড়ানো বলে ফাহিম দৌড়ে গিয়ে বক্সের শেষ প্রান্তে বল রিসিভ করেন। বল রিসিভ করেই রাকিবের উদ্দেশ্যে দ্রুতগতির কাটব্যাক করেন। ফরোয়ার্ড রাকিব হোসেন দুর্দান্ত প্লেসিংয়ে গোল করলে কিংস অ্যারেনা উল্লাসে ফেটে পড়ে।
প্রথম গোলের মিনিট তিনেক পরেই বাংলাদেশ আরেকটি সুযোগ পেয়েছিল। ডান প্রান্ত থেকে অধিনায়ক জামাল ভূইয়া বক্সের সামনে বল ফেলেন। সতীর্থ ফরোয়ার্ড বলটি রিসিভ করলেও পোস্টে রাখতে পারেননি। অধিনায়ক জামাল ভূইয়া আজকের ম্যাচের প্রথমার্ধে দারুণ খেলেছেন। বিশেষ করে তার বাড়ানো দুই বলে গোলের দারুণ সুযোগ তৈরি হয়েছিল।
গোলদাতা রাকিব হোসেন গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল পোস্টে ভেড়াতে পারেননি। বাংলাদেশ ব্যবধান দ্বিগুণ করতে ব্যর্থ হলেও মালদ্বীপ সমতা আনতে ভুল করেনি। ৩৬ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে হাজমার কর্ণার ফাহিম হেডে ক্লিয়ার করতে পারেননি। আইসাম ইব্রাহিম উড়ে আসা বল ঠান্ডা মাথায় জালে পাঠান। কিংস অ্যারেনার গ্যালারী নিস্তব্ধ হয়ে পড়ে।
দ্বিতীয়ার্ধের দ্বিতীয় মিনিটে ম্যাচে আবারও এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। প্রথম লেগে কয়েকটি সুযোগ মিস করা ফয়সাল আহমেদ ফাহিম এবার দ্বিতীয় লেগে গোলের দেখা পেয়েছেন। ৪৬ মিনিটে সংঘবদ্ধ এক আক্রমণে থেকে সাদ উদ্দিনের কোনাকুনি শট মালদ্বীপের গোলরক্ষক আংশিক সেভ করেন। ফিরে আসা বল ফাহিমকে লক্ষ্য করে বাড়ান সোহেল রানা। দারুণ শটে বল জালে পাঠাতে ভুল করেননি এই ফরোয়ার্ড।
ম্যাচের ৫৯ মিনিটে সোহেল রানা লাল কার্ড দেখলে দশজনের দলে পরিণত হয় বাংলাদেশ। তবে অনেকটা সময় একজন কম নিয়ে খেলেও মালদ্বীপের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে স্বাগতিকরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
উয়েফা আয়োজিত টুর্নামেন্ট থেকে গত মৌসুমে সবচেয়ে বেশি প্রাইজমানি পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে এক হাজার ৫৬৭ কোটি টাকা আয় করে শীর্ষে রয়েছে তারা।
ক্লাবগুলোর আয়ের এই তালিকা প্রকাশ করেছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ইউরোপা লিগ ও কনফারেন্স লিগে অংশ নেওয়া ক্লাবগুলোর আয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে তারা। মোট ২০০ কোটি ইউরো প্রাইজমানি থেকে অর্থ ভাগ করে দেওয়া হয়েছে ক্লাবগুলোকে। যেখানে সবাইকে ছাড়িয়ে শীর্ষে রিয়াল। ২০২১-২২ মৌসুমে তাদের আয় ১৩ কোটি ৩৭ লাখ ইউরো। বাংলাদেশি মুদ্রায় এক হাজার ৫৬৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা।
ক্লাবগুলোর এই আয় হিসাব করা হয়েছে কিছু নীতি মেনে। গ্রুপ পর্বের আয়, জয়ে পাওয়া বোনাস, সম্প্রচার স্বত্বের ভাগ এবং উয়েফার টুর্নামেন্টে অতীত ফলের ওপর নির্ভর করে অতিরিক্ত যে অর্থ দেওয়া হয়, সেসব হিসাব করেই এই আয়ের তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বড় ও ছোট ক্লাবগুলোর আয়ে তারতম্য ঘটবে। উয়েফা আয়োজিত টুর্ণামেন্টে অতীতের পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে দেওয়া হয় প্রাইজমানি। ফলে বড় দলগুলোর আয় বেশি হয়।