চলারপথে রিপোর্ট :
গোপীনাথপুর এলাকা থেকে ৫০ কেজি গাঁজা ১টি পিকআপ ভ্যানসহ ১ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯।
র্যাব-৯, সিপিসি-১ ব্রাহ্মণবাড়িয়া কোম্পানির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯, সিপিসি-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কোম্পানীর একটি আভিযানিক দল গতকাল ৭ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ৫০.১ কেজি গাঁজাসহ ১ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত মো. জাহাংগীর আলম (৩৮) আখাউড়া উপজেলার আখাউড়া মসজিদ পাড়া গ্রামের মৃত মো. সানা মিয়ার ছেলে। এ সময় তার সাথে থাকা ১টি পিকআপ ভ্যান জব্দ করা হয়।
পরবর্তী আইনগত ব্যবস্হা গ্রহণের লক্ষ্যে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮-এর সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি ও জব্দকৃত আলামত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানায় হস্তান্তর করা হয়। এছাড়াও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন র্যাব-৯, সিলেট এর গোয়েন্দা তৎপরতা এবং চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় তীব্র স্রোতের কারণে সেতু ধসের আশঙ্কায় কসবা উপজেলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও আরো একটি সেতু ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তা ধসে গেলে পৌর এলাকার দেবগ্রামের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে।
ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দুই পাশে থাকা বৈদ্যুতিক খুঁটির মাটি সরে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে কয়েকটি এলাকা বিদ্যুৎহীন রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, পৌর এলাকার দেবগ্রাম ও মোগড়া ইউনিয়নের নয়াদিলের সংযোগস্থলের সেতু বৃহস্পতিবার রাত ৯টা থেকে ঝুঁকির মধ্য পড়ে। সেতুর এক পাশের দেয়াল ধসে পড়লে আতঙ্ক দেখা দেয়। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা গাছ ফেলে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে পৌর এলাকার দেবগ্রামে নতুন নির্মাণ হওয়া সেতুটির এক পাশ থেকে মাটি সরে যায়। এ অবস্থায় একপাশ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এখানেও দুটি বৈদ্যুতিক খুঁটির নিচ থেকে মাটি সরে গেছে।
এ বিষয়ে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গাজালা পারভীন রুহি জানান, সেতুর বিষয়ে অবগত রয়েছি। ঝুঁকি থাকায় সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ব্যালট পেপারে ভুল প্রতীক থাকার ঘটনার ১০ দিন পর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা অমিত কুমার দাশকে বদলি করা হয়েছে। আজ ৭ মে মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের সহকারী সচিব শহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। ওই চিঠিতে ৯ মের মধ্য অমিত কুমারকে কর্মস্থল থেকে মুক্ত হতে বলা হয়।
চিঠিতে অমিত কুমার দাশকে মুন্সীগঞ্জ সদরে বদলির কথা উল্লেখ করা আছে।
তবে চিঠিতে বদলির কারণ সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। বেলা পৌণে ১২টার দিকে জেলা নির্বাচন অফিসের সংশ্লিষ্টরা চিঠির বিষয়ে নিশ্চিত করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২৮ এপ্রিল কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৯ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১৩ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৩৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সকাল ৮টা থেকে ১১টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয়।
দুপুরের দিকে চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউসুফ আহমেদ দেখতে পান ব্যালট পেপারে তার প্রতীক অটোরিকশার বদলে প্যাডেল চালিত তিন চাকার রিকশা প্রতীক দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে তার ভোটারা বিব্রত হচ্ছিলেন। দুপুর ১টার দিকে তিনি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জানান।
অভিযোগের বিষয়টি রিটার্নিং কর্মকর্তা নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করলে সেখান থেকে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
অপহরনের দুইদিন পর টেম্পু বেপারী (২৬) নামে এক যুবককে উদ্ধার ও তিন অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল শনিবার রাতে গ্রেফতার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় অপহরণকারীদের কাছ থেকে মুক্তিপন বাবদ নেয়া নগদ ১ লাখ টাকাও উদ্ধার করা হয়।
আজ ২০ আগস্ট রবিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানা পুলিশ।
উদ্ধারকৃত টেস্পু বেপারী জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার পলবান্ধা বেপারীপাড়ার মোঃ আবদুস সালাম বেপারীর ছেলে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার কাউতলী গ্রামে ভাড়া বাসায় বসবাস করেন ও তিনি ট্রেনসহ বিভিন্ন এলাকায় হকারি করেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন কসবা উপজেলার বাদৈর গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে মোঃ ফারুক মিয়া (৪৫), একই উপজেলার কুইয়াপানিয়া গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে জাহের মিয়া ওরফে বোচন (৫৫) ও খিদিরপুর গ্রামের হান্নান মিয়ার ছেলে মাহবুবুর রহমান (২৬)।
পুলিশ জানায়, গত ১৭ আগষ্ট বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার কাউতলী ব্রীজের উপর থেকে টেম্পু বেপারীকে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। পরে অপহরণকারীরা টেম্পু বেপারীর পরিবারের সদস্যদের কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করেন। মুক্তিপনের টাকা না দিলে তাকে হত্যার হুমকি দেয় অপহরণকারীরা। অপহরণকারীদের কথামতো টেম্পু মিয়ার পরিবারের সদস্যরা বিকাশের মাধ্যমে ১ লাখ টাকা মুক্তিপন পাঠায় ও বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করে।
পরে পুলিশ গোপন সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শনিবার গভীর রাতে কসবা উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে টেম্পু মিয়াকে উদ্ধার ও তিন অপহরণকারীকে গ্রেফতার করে। এ সময় টেম্পু মিয়ার পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে নেয়া মুক্তিপনের ১ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় কসবা উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহৃত যুবককে উদ্ধার করা হয়। এ সময় মুক্তিপন নেয়া নগদ এক লাখ টাকাসহ তিন অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত তিন অপহরণকারী কসবার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে কসবাসহ বিভিন্ন থানায় ৮/১০টি করে মাদকের মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালানোর সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা থেকে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সদ্য সাবেক যুগ্মসচিব এ. এ. এম. জি. কিবরিয়া মজুমদারকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আজ ১২ অক্টোবর শনিবার দুপুরে বিজিবির ৬০ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা কসবার পুটিয়া সীমান্ত থেকে তাকে আটক করে। সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়টি জানিয়েছে বিজিবি। কিবরিয়া ঢাকার সবুজবাগ এলাকার মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, দুপুর সাড়ে ১২টায় বিজিবির সালদা নদী সীমান্ত ফাঁড়ির একটি টহল দল পুটিয়া সীমান্ত থেকে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় কিবরিয়া মজুমদারকে আটক করে। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। এজন্য গ্রেফতার এড়াতে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পালানোর চেষ্টা করছিলেন তিনি।
বিজিবির ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল এ. এম. জাবের বিন জব্বার জানান, আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে কেউ যেন দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে – সেজন্য সীমান্তে সজাগ দৃষ্টি রাখছে বিজিবি সদস্যরা।