অ্যাভাসকুলার নেক্রোসিস বা হাড় নষ্ট হয়ে যাওয়া রোগ

লাইফস্টাইল, 8 January 2025, 713 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
১. অ্যাভাসকুলার নেক্রোসিস এমন একটি রোগ যা হাড়ের স্থায়ী বা অস্থায়ীভাবে রক্ত সরবরাহ বন্ধের ফলে হয়। রক্ত সরবরাহ বন্ধ হলে হাড়ের টিস্যু মারা যায় এবং হাড় ভেঙে যায়। যখন কোন জয়েন্ট যেমন হিপ জয়েন্ট এর কাছাকাছি হয় তখন জয়েন্টের পৃষ্ঠটি ভেঙে যেতে পারে। এই অবস্থা যেকো হাড়ে হতে পারে এটি সাধারণত লম্বা হাড়ের শেষ মাথায় হয়। সাধারণত ১টি হাড়, একই সময়ে অনেক হাড় অথবা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন হাড়কে ক্ষয়গ্রস্থ করে।

banner

২. কোথায় কোথায় নেক্রোসিস হতে পারেঃ
গোড়ালি
চোয়ালে
হাটুতে
হাতের হিউমেরাস ও কাধের জয়েন্টে
পায়ের ফিমার ও হিপ জয়েন্টে

৩. অ্যাভাসকুলার নেক্রোসিসের কারণঃ
কোন কারণে জয়েন্টে আঘাত পেলে
জয়েন্ট ভেঙে গেলে
কোনো কারনে রক্তনালী ক্ষতিগ্রস্থ হলে
দীর্ঘদিন ধরে কর্টিকোস্টেরয়েড ঔষুধ সেবন করলে
দীর্ঘদিন ধরে এবং অতিরিক্ত মদ্য পান করলে
দীর্ঘদিন ধরে কোন রোগে আক্রান্ত হলে যেমনঃ ডায়াবেটিস
রক্তে কোন রোগ থাকলে। সিকেল সেল অ্যানিমিয়া লিউকেমিয়া
রেডিয়েশনের বা কেমোথেরাপি কারণে
এইচআইভি / এইডস রোগের জন্য ।
অটো ইমিউন রোগের জন্য
হাইপার লিপিডেমিয়ার কারণে
হাইপার কোয়াগুলেবেল অবস্থায় থাকলে
প্যানক্রিয়াটাইটিস, গাউচার রোগ, সিস্টেমেটিক লুপাস ইরাইথিম্যাটাস রোগ থাকলে
কোন অঙ্গ প্রতঙ্গ প্রতিস্থাপন করলে
জয়েন্ট ডিসলোকেশন

৪. রোগের লক্ষণঃ
হাঁটাচলা করার সময় ব্যাথা লাগা
পায়ে টান লাগা
সিঁড়ি বেয়ে ওঠার সময় ব্যথা অনুভব করা
দাঁড়ানোর সময় ব্যথা অনুভব করা
হাটু ভেঙে বসতে না পারা
আক্রান্ত অঙ্গ ছোট হয়ে যাওয়া
কুচকিতে উরুতে, নিতম্বে ব্যথা হওয়া
বিশ্রাম নেওয়ার সময় ব্যথা অনুভব হওয়া
ক্রস পায়ে বসতে না পারা

৫.রোগ নির্ণয়ঃ
এক্স-রে
এমআরআই
সিটি স্ক্যান
হাড়ের স্ক্যান
বাইওপসি
হাড়ের কার্যকারিতা পরীক্ষা

৬. চিকিৎসাঃ
এ রোগের চিকিৎসা কিছু বিষয়ের উপর নির্ভর করে, যেমনঃ বয়স,রোগের পর্যায়, হাড়ের ক্ষতির পরিমান।

নন সার্জিক্যাল চিকিৎসাঃ
আক্রান্ত স্থানে ঠান্ডা বা গরম সেঁক, কিছু ননস্টেরয়েডাল এন্টি ইনফ্লামেটরি ঔষধ, ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা এবং পুনর্বাসন এবং বিশ্রাম কার্যকর।

সার্জিক্যাল চিকিৎসাঃ
কোর ডি কম্প্রেশন ( Core Decompression)
হাড় গ্রাফটিং (Bone Grafting)
অস্টিওটমি (Osteotomy)
সম্পূর্ণ হিপ জয়েন্ট প্রতিস্থাপন (Total Hip Joint Replacement)

৭. জটিলতাঃ
চিকিৎসা করা না হলে, এই রোগ ধীরে ধীরে খারাপ রূপ ধারণ করে, অ্যাভাসকুলার নেক্রোসিসের ফলে হাড়ের মসৃণ আকৃতি নষ্ট হয় ফলে আর্থ্রাইটিস হতে পারে। ব্যথা বা অন্য কোন লক্ষণ প্রকাশ পেলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের শরনাপন্ন হতে হবে।

লেখক: ডা. মো. সফিউল্যাহ প্রধান, ফিজিওথেরাপি, ডিজএবিলিটিস ও রিহেবিলিটেশন স্পেশালিস্ট, সহযোগী অধ্যাপক (আইআইএইচএস) ও কনসালটেন্ট ডিপিআরসি, শ্যামলী, ঢাকা।

Leave a Reply

ইটালি প্রবাসী দিদারের মা আনোয়ারা বেগমের…

শফিকুল ইসলাম বাদল : ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের বিরামপুর Read more

কসবায় মায়ের অভিযোগে ছেলের কারাদণ্ড

চলারপথে রিপোর্ট : মাদকাসক্ত ছেলের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে Read more
ফাইল ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

চলারপথে রিপোর্ট : পুকুরের পানিতে ডুবে ইসরাত জাহান নোভা (৯) Read more

ইরান কখনও আপোস করবে না: আয়াতুল্লাহ…

অনলাইন ডেস্ক : জায়নবাদীদের সাথে ইরান কখনও আপোস করবে না Read more
ফাইল ছবি

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক পাঁচ দিনের…

অনলাইন ডেস্ক : রাজধানীর শাহবাগ ও পল্টন মডেল থানার পৃথক Read more
ফাইল ছবি

প্রতারণা করে জুলাই অভ্যুত্থানের সুবিধা নিলে…

অনলাইন ডেস্ক : জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদের পরিবার এবং আহতদের কল্যাণ Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৮ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় নাগরিক…

দুলাল মিয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর Read more

কারাগারে হাজতির মৃত্যু

দুলাল মিয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে জুনায়েদ মিয়া (৩২) নামে Read more

আখাউড়ায় কৃষকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা

চলারপথে রিপোর্ট : কৃষকদের সেচ দক্ষতা বাড়াতে পানি ব্যবহারকারী গ্রুপের Read more

ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের ১১তম ব্যাচের ওরিয়েন্টেশন

সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য: রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের Read more

স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবিতে সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে…

অনলাইন ডেস্ক : স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবিতে সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে অনশন Read more

ইরানে ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানালো ২১…

অনলাইন ডেস্ক : ইরানে ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানিয়েছে মিশরসহ ২১টি Read more

ফেসবুক পে-আউট সেটআপে ভুল হলে যা করতে হবে

লাইফস্টাইল, 15 May 2025, 142 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
ফেসবুক এখন অর্থ উপার্জনের সুযোগ করে দিয়েছে। এ অর্থ পেতে আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। ফেসবুক-এ সঠিকভাবে পে-আউট সেটআপ করতে হবে। আপনার ফেসবুক পে-আউট সেটআপ করার সময় যদি ভুল হয়ে থাকে, সেটি ঠিক করার জন্য কিছু অপশন অনুসরণ করতে পারেন-

banner

১। পে-আউট সেটিংস চেক করুন:
ফেসবুক পেআউট হাব ‘মেটা পেআউটস’-এ যান। সেখানে সেটিংস > পে-আউটস অংশে গিয়ে ভুল তথ্য ঠিক আছে কি না চেক করুন।

২। পে-আউট ইনফরমেশন আপডেট করুন:
পে-আউট অ্যাকাউন্ট এডিট করুন। যদি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা নাম ভুল হয়, তবে সেটি পরিবর্তন করুন। ট্যাক্স ইনফরমেশন ঠিক করুন। যদি ভুল হয়ে থাকে, তাহলে নতুনভাবে সাবমিট করুন।

৩। পে-আউট ডিটেলস পরিবর্তন করতে না পারলে:
ফেসবুক সাপোর্টের সাথে যোগাযোগ করুন। এ ক্ষেত্রে ফেসবুক বিজনেস হেল্প সেন্টার ‘ফেসবুক সাপোর্ট’-এ যান। গেট সাপোর্ট (সাপোর্ট নিন) অপশন ব্যবহার করে ম্যানুয়ালি রিপোর্ট করুন। লাইভ চ্যাট বা ই-মেইল সাপোর্টে রিকোয়েস্ট পাঠান। এভাবে আপনি সাপোর্ট টিমের সাথে যোগাযোগ করুন। তাও না পারলে পরিচিত এক্সপার্টদের সহযোগিতা নিতে পারেন।

ডালিম খেলে কী কী উপকার হয়?

লাইফস্টাইল, 9 January 2025, 715 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
ডালিম উপকারী ফল হিসেবে সকলেই এটা কম বেশি সবাই জানেন। কিন্তু অনেকেই জানেন না ডালিম খেলে কী কী উপকার হয়? সংক্রমণ প্রতিরোধ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার মতো উপকারিতা আছে ডালিমে। এমনকি হার্ট-অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে এ ফল।

banner

ডালিমের পুষ্টিগুণ
১৪৪ গ্রাম ডালিমে ৯৩ ক্যালরি, ২ দশমিক ৩০ গ্রাম প্রোটিন, ২০ দশমিক ৮৮ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট ও ০ দশমিক ১৪ গ্রাম ফ্যাট থাকে। ডালিমে কমলা, আপেল ও আমের চেয়ে চারগুণ, আতা ও আঙ্গুরের চেয়ে দ্বিগুণ, বরই ও আনারসের চেয়ে প্রায় সাতগুণ বেশি ফসফরাস রয়েছে।

আরও পড়ুন
ওজন কমানোর ৫টি উপায়

ডালিমের উপকারিতা
হার্ট-অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়
যারা নিয়মিত ডালিম খান, তাদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটাই কমে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কেননা ডালিমে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিইনফ্লেমেন্টরি যৌগ থাকে; যা হার্টের জন্য যেমন ভালো, তেমনি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
প্রতিদিন ডালিম খেলে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাকে বাড়বে। হাত পায়ের ব্যথা কমাতেও ডালিম কার্যকরী। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন এ থাকে।

রক্তশূন্যতা দূর
যাদের শরীরে রক্তের পরিমাণ কম, যারা রক্তশূন্যতার সমস্যায় অনেক দিন ধরে ভুগছেন, তারা প্রতিদিন ডালিম খান। এতে শরীরের লোহিত রক্তকণিকা বাড়বে।

আরও পড়ুন
দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত থাকার উপায়

ক্যানসারের ঝুঁকি কমবে
প্রতিদিন ডালিমের রস বা ডালিমের দানা চিবিয়ে খেলে ক্যানসারের ঝুঁকি কমে। এমনটাই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। শরীরের যেকোনো অংশের টিউমারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে এ ফল।

আরও পড়ুন
অ্যাভাসকুলার নেক্রোসিস বা হাড় নষ্ট হয়ে যাওয়া রোগ

জয়েন্টের ব্যথা ও ফোলাভাব কমাতে
ডালিমে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিইনফ্লেমেন্টরি বৈশিষ্ট্য আছে। জয়েন্টের ফোলা ভাব, হাত পায়ের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে এ ফল। এমনকি বাতের সমস্যা থেকেও মুক্তি দিতে পারে ডালিম।

 

শীতে সুস্থ থাকতে যেসব বীজ খেতে পারেন

লাইফস্টাইল, 9 January 2025, 624 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
শীতের দিনগুলিতে অনেকের সর্দি, কাশি, জ্বর এর সমস্যা লেগেই থাকে। এ কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো জরুরি। সেক্ষেত্রে প্রয়োজন সঠিক খাদ্যাভাস। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীতে শরীর সুস্থ রাখতে খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন কিছু বীজ। এসব বীজ আপনার স্বাস্থ্যের জন্য দারুন উপকারী হবে। কারণ এই বীজগুলিতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফাইবার, স্বাস্থ্যকর চর্বি, ভিটামিন ও খনিজ থাকায় তা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভূমিকা রাখে। যেমন-

banner

ফ্ল্যাক্সসিড : শীতকালে ফ্ল্যাক্সসিড খাওয়া খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। এতে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার এবং প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের অভ্যন্তরে প্রদাহ কমায়, ত্বকে আর্দ্রতা প্রদান করে। এই বীজ হৃদরোগের জন্যও উপকারী। এই বীজ শীতকালে শরীরকে ভেতর থেকে উষ্ণতা দেয়। ফ্ল্যাক্সডিস কাঁচা বা পাউডার হিসেবে দই, স্মুদি বা ওটমিলের সাথে যোগ করে খেলে উপকার পাবেন।

আরও পড়ুন
দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত থাকার উপায়

সূর্যমুখীর বীজ:এই বীজে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম, কপার, সেলেনিয়াম ও প্রোটিন রয়েছে। এসব উপাদান শরীরে শক্তি জোগানোর পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। সূর্যমুখী বীজ হালকা ভেজে এবং স্ন্যাকস হিসাবে খেতে পারেন। সালাদে মিশিয়েও খেতে পারেন।

আরও পড়ুন
ওজন কমানোর ৫টি উপায়

চিয়া সিড : চিয়া সিডে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রোটিন, ফাইবার থাকায় এটি হাড় মজবুত ও শক্তি বৃদ্ধি করে। শীতে পানি কম খাওয়ার ফলে শরীরে পানির ঘাটতি দেখা যায়, কিন্তু এই সিড সেই ঘাটতি দূর করতেও সাহায্য করে। চিয়া সিড পানিতে ভিজিয়ে, পুডিং আকারে বা স্মুদিতে মিশিয়েও খেতে পারেন।

আরও পড়ুন
ডালিম খেলে কী কী উপকার হয়?

কুমড়ার বীজ : কুমড়ার বীজে থাকা ফসফরাস, জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন এবং অনেক ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এর পাশাপাশি শরীরে তাপ বজায় রাখতে সাহায্য করে। শীতকালে এই বীজ খেলে তা ফোলাভাব কমাতে এবং শরীরকে ভেতর থেকে গরম রাখতে সাহায্য করবে। হালকা ভাজা কুমড়ার বীজ সকালের নাশতায় খেতে পারেন। এছাড়া কোনও সালাদে ছড়িয়েও খেতে পারেন।

সারাদিন ফুরফুরে থাকতে যে ৫টি কাজ করুন

লাইফস্টাইল, 5 January 2025, 806 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
আমরা প্রতিনিয়ত ছুটে চলেছি। কিন্তু কিছু বিষয় মেনে চলতে পারলে সেই সোনার হরিণ সফলতা চলে আসবে খুব সহজে।
এজন্য প্রথমে আমাদের সকালের সময়ের সাথে বন্ধুত্ব তৈরি করতে হবে। বলুনতো কত দিন ভোরে ঘুম থেকে ওঠা হয় না?

banner

সারারাত জেগে কাজ করা আর দুপুর পর্যন্ত ঘুমানো আজকাল আমাদের ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এটা কোনো সুস্থ লাইফস্টাইল নয়, সফল এবং সুস্থ জীবনধারা চাবিকাঠি হতে পারে সকালের সময়টার সঠিক ব্যবহার।

আমরা কি জানি বিশ্বের নাম করা এমন অনেক ব্যক্তি আছেন যারা প্রতিদিনের কাজ শুরু করেছেন, সেই ভোরে। এদের মধ্যে মার্গারেট থ্যাচার সকাল ৫টায় উঠে যেতেন বিছানা থেকে।

সকালে আমাদের কর্মক্ষতা এবং উৎপাদনশীলতা অন্য সময়ের তুলনায় অনেক বেশি থাকে। আর রাতে ভালো ঘুমের পর আমরা শারীরিক ও মানসিকভাবেও বেশ ফুরফুরে মেজাজে থাকি। তাই এই সময়ে যেকোনো জরুরি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিলে তা সঠিকভাবে নেওয়া সম্ভব। সফল হতে ও সারাদিন ফুরফুরে মেজারে থাকতে সকাল ৮টার আগে যে পাঁচটি কাজ করতে হবে:

* কাজের তালিকা
অনেক সময় খুব জরুরি করণে কাউকে ফোন করতে হবে, কিন্তু নির্দিষ্ট দিনে ‍আর হয়তো মনেই থাকে না। তাই সারা দিনের জন্য কাজের পরিকল্পনা করে নিন। একটি ডায়েরিতে জরুরি তালিকা করে রাখলে কাজ করা সহজ হবে। আর কাজের চাপে কোনো কিছু ভুলে গেলেও লেখা থাকলে কাজ মিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। ও আরেকটি বিষয়, আমরা শুধু কাজের তালিকার কথা বলি। কিন্তু কাজের ফাঁকে যে বিশ্রাম নিতে হবে তাও লিখে রাখুন। আমরা যখন কাজের মধ্যে ডুবে থাকি তখন অনেক সময় খাওয়ার কথাও ভুলে যাই, ছোট ছোট সব বিষয়গুলো উল্লেখ করেই তালিকা তৈরি করুন। যেমন প্রতিটি জরুরি মিটিংয়ের পর ১০ মিনিট রেস্ট। সময় মতো খাবার খাওয়া, একটানা ডেস্কে বসে না থেকে ফোনে কথা বলার সময় একটু হাঁটা। হলকা কিছু হাত ও ঘাড়ের ব্যায়ামের জন্যও দিনের তালিকায় কিছু সময় বরাদ্দ করুন।

* স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট
কোনো সন্দেহ নেই সকালের নাস্তা দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার। কিন্তু দেরি করে ঘুম থেকে ওঠায় আমাদের অনেকেরই সকালে নাস্তা না করে কাজে দৌঁড়াতে হয়। আর কাজের ঝামেলায় অনক দিনই নাস্তা করার সময় হয় না। রাতের পর দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকায় আমাদের শরীরে বিরূপ প্রভাব পড়ে। এজন্যই নিয়মিত সকালে ওঠার অভ্যেস করতে হবে এবং সকাল আটটার মধ্যে স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে কাজের উদ্দেশে বেরোতে হবে। রুটি, সবজি, ডিম, যেকোনো একটি ফল আর চা হতে পারে স্বাস্থ্যকর নাস্তা। তবে ভিন্নতা আনতে মাঝে মাঝে দুধ দিয়ে কর্নফ্রেক্স বা সবজি খিচুড়িও খাওয়া যায়।

* সময় নিয়ে তৈরি হন
তাড়াহুড়ো করে অফিস বা ক্লাস ধরতে হলে অনেক সময় যেনতেন মতো দৌড়ে বেরিয়ে ‍যাই। কিন্তু সকালে একটু আগে উঠতে পারলে প্রয়োজন মতো তৈরি হওয়ার সময় পাওয়া যায়। যেমন অফিসে জরুরি মিটিংয়ে বাইরের কোনো অফিসের কর্মকর্তা আসবেন। আপনি যেখানে আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করছেন সেখানে সাজ পোশাকটা তো তেমনই হওয়া চাই। তাই তৈরি হওয়ার জন্য নিয়মিত হাতে অন্তত কিছুটা সময় রেখে বিছানা ছাড়ুন।

* ব্যায়াম
প্রতিদিন সাধারণত আমরা যে সময়ে ঘুম থেকে উঠে কাজ শুরু করি ব্যায়াম করার জন্য একটি ঘণ্টা তো দূরের কথা ২০ মিনিটের সময় বের করাও কঠিন। কিন্তু আমরা যদি সকাল ৬টা থেকে দিন শুরু করি তাহলে দেখুন কত সময়। চাইলে ব্যায়াম করতে পারেন। হাঁটা বা ফ্রিহ্যান্ড এক্সারসাইজ আর ইয়োগা যে কোনোটি করতে পারেন। আবার ঘরের টুকিটাকি কাজ করলেও কিন্তু আমাদের ওয়ার্ক আউটটা হয়ে যায়। যেমন বিছানা গোছানো, ফার্নিচার মোছা, মেঝে পরিষ্কার, করতে পারেন যে কোনোটি।

* আধা লিটার পানি
এটা আবার এমন কি জরুরি কাজ, তাই ভাবছেন? কিন্তু প্রতিদিন সকালে বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে নিয়ম করে অন্তত আধা লিটার পানি পান করুন। কারণ আমাদের ত্বক এবং শরীর সব কিছুর সুস্থতার জন্যই পানি অপরিহার্য।

ওজন কমানোর ৫টি উপায়

লাইফস্টাইল, 21 December 2024, 918 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
ডায়েট ও জিম আরই ওজন কমানোর একমাত্র রাস্তা নয়। শরীরচর্চা এবং নিয়ম মেনে খাবার খেলেও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। প্রতিদিন নিয়ম করে হাঁটাচলা করলেও ওজন কমানো সম্ভব। প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস গরম পানি খালি পেটে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। গরম পানি শরীরের যাবতীয় দূষিত পদার্থ বের করে দিতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে এবং হজম শক্তিতেও দারুণ সাহায্য করে।

banner

অস্ট্রেলিয়ার পুষ্টিবিদ রাইজ উইথ টিগান জানান জিমে না গিয়ে কোনও কড়া ডায়েট না করেই ১৯ কেজি ওজন কমিয়েছেন। কীভাবে এই অসাধ্য সাধন করলেন? নিজের ইনস্টাগ্রামে তিনি সেই সিক্রেট ভাগ করে নিয়েছেন পুষ্টিবিদ।

ওজন কমানোর ৫ টিপস জেনে রাখুন
ক্যালোরি কমানো: নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টিগান জানিয়েছেন, তিনি দিনে ৫০০ কম ক্যালোরি গ্রহণ করেন। যা তার নিজের শরীরের দৈনন্দিন চাহিদার থেকেও কম। সেই জন্যও ডায়েটেও বদল এনেছেন তিনি।

বাড়িতেই শরীরচর্চা: মেদ ঝরাতে একটু ওয়ার্ক আউট করতেই হবে। তবে তার জন্য অন্য কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন নেই। এমনকি শরীর না দিলে প্রতিদিন করতে হবে না। টিগান জানিয়েছেন তিনি সপ্তাহে ৩ থেকে ৫ বার ৩০ মিনিটের জন্য কঠিন শরীর চর্চা করেন।

নিজের যত্ন নিন: রোগা হবেন নিজের শরীর, মন সম্পর্কে সচেতন হবেন না, যত্নশীল হবেন না তা কখনও হয় নাকি। টিগান জানান, মানসিক চাপ কমাতে, প্রতিদিন যোগা, শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যয়াম করা এবং ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা প্রতিদিন ঘুমোনো নিশ্চিত করতেই হবে।

হাঁটা বাড়ান: মেদ ঝরাতে হাঁটার কোনও বিকল্প নেই। তবে একদিনে অনেকটা হাঁটা যায় না। তাই ধীরে ধীরে সেই পরিমাণটা বাড়ান। প্রথমে ৫০০০ পা তারপর ১০,০০০ পা এইভাবে নিয়মিত একটু করে নিজের ক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করুন।

নিজের দিকে মনোনিবেশ করুন: টিগান জানিয়েছেন, তিনি ওজন কমানোর প্রতিজ্ঞা করার পরে আর অন্যরা কী করছেন সেই দিকে নজর দেননি। এমনকি বাকিরা শুকিয়ে যাচ্ছে তিনি হচ্ছেন না সেই ভাবনাও ভাবেননি। কেবল নিজের জীবন, নিয়মের দিকেই মন দিয়েছিলেন। তার পরামর্শ নিজেরাও বাকিরাও তাই করুন, নিজের ওপর ভরসা রাখুন, আর নিয়ম মেনে চলুন, সাফল্য আসবে।