অনলাইন ডেস্ক :
প্রেমের জালে ঋতাভরী চক্রবর্তী। আভাস মিলছিলো আগেই। দীপাবলিতে বলিউডের সংলাপ লেখক সুমিত অরোরার সাথে প্রেমের গুঞ্জনে সিলমোহর দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। ঘরোয়া অনুষ্ঠানে প্রেমিকের সাথে প্রকাশ্যে এনেছিলেন ছবি। এরপর বড়দিনে টলিপাড়ার ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সাথে আলাপ করিয়ে দেন মনের মানুষকে। নতুন বছরের শুরুটাও করেছেন ভালবাসার মানুষের বাহুডোরে। এবার সেই চর্চিত প্রেমিকের সঙ্গেই গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন অভিনেত্রী।
সূত্রের খবর, চলতি বছরে ডিসেম্বরে থাইল্যান্ডে ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সাথে ‘ডেস্টিনেশন ওয়েডিং’-এর পরিকল্পনা অভিনেত্রীর।
জানা যায়, বাঙালি ও পাঞ্জাবি রীতি অনুসারে বিয়ে করবেন অভিনেত্রী। বিয়ের অনুষ্ঠান হবে ঘরোয়াভাবে। তবে প্রীতিভোজ জাঁকজমকপূর্ণভাবেই আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
সুমিত অরোরা শাহরুখ খানের ‘জওয়ান’, ‘স্ত্রী’, ‘চন্দু চ্যাম্পিয়ান’ ছবির সংলাপ লেখক। এ ছাড়াও সোনাক্ষী সিন্হা অভিনীত ‘দাহাড়’ ও মনোজ বাজপেয়ী অভিনীত ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’ সিরিজের সংলাপও লিখেছেন তিনি।
২০২৩ সাল থেকে এই লেখকের প্রায় সব ছবিতেই ধারাবাহিকভাবে মন্তব্য করেছেন অভিনেত্রী। সেখানেই লেখককে কখনও ‘বেবি’ বলে সম্বোধন করেছেন, কখনও লিখেছেন, ‘তুমি আমার হিরো’।
প্রায়শই সুমিতের সাথে আদুরে ছবি ভাগ করে নেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। উষ্ণ রসায়নে বার বার মনের মানুষের বাহুলগ্না তিনি।
অনলাইন ডেস্ক :
নতুন যুগে পা রাখলো লঙ্কান ক্রিকেট। অবশেষে ওয়ানডেতে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিয়ান পেলো তারা। আজ ৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে পাল্লেকেলেতে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে বিধ্বংসী এক ডাবল হাঁকিয়েছেন পাথুম নিশাঙ্কা।
ওপেনিংয়ে নেমে একদম শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকার কীর্তিও গড়েছেন নিশাঙ্কা। ১৩৯ বলে তার ২১০ রানের মহাকাব্যিক ইনিংসটিতে ছিল ২০টি চার আর ৮টি ছক্কার মার।
শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটে প্রথম ব্যাটার হিসেবে ওয়ানডেতে ডাবল সেঞ্চুরি করে ইতিহাস গড়লেন নিশাঙ্কা। এই ফরম্যাটে ডাবল সেঞ্চুরি করা বিশ্বের দশম ব্যাটার তিনি।
ওয়ানডেতে ডাবল সেঞ্চুরির ঘটনা আছে আজসহ ১২টি। এর মধ্যে ভারতের রোহিত শর্মা একাই হাঁকিয়েছেন তিনটি।
নিশাঙ্কার চোখ ধাঁধানো ইনিংসে ভর করে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেটে ৩৮১ রানের পাহাড় গড়েছে লঙ্কানরা। আভিষ্কা ফার্নান্ডোর সঙ্গে ওপেনিং জুটিতেই ১৮২ রান তুলে দেন নিশাঙ্কা। ফার্নান্ডো সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে ফেরেন বল সমান ৮৮ রানের ইনিংস খেলে। এছাড়া ৩৬ বলে ৪৪ করেন সাদিরা সামারাবিক্রমা।
অনলাইন ডেস্ক :
কোপা আমেরিকার এবারের আসরের সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে ‘এ’ গ্রুপে আর্জেন্টিনার সঙ্গী পেরু ও চিলি।
আর ‘ডি’ গ্রুপে ব্রাজিলের সঙ্গী কলম্বিয়া ও প্যারাগুয়ে। দুই গ্রুপে আরও একটি করে দল যোগ হবে। যাদের আসতে হবে প্লে-অফ পেরিয়ে।
যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামিতে আজ কোপা আমেরিকার ৪৮তম আসরের গ্রুপ পর্বের ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আসরে দক্ষিণ আমেরিকা ফুটবল কনফেডারেশনের (কনমেবল) ১০ সদস্য দেশের সঙ্গে উত্তর, মধ্য আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চল (কনকাকাফ) থেকে খেলবে ৬টি দেশ।
ড্র’য়ে ‘বি’ গ্রুপে মেক্সিকো ও জ্যামাইকার সঙ্গী লাতিন আমেরিকার দুই দেশ একুয়েডর ও ভেনেজুয়েলা। ‘সি’ গ্রুপে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আছে উরুগুয়ে, বলিভিয়া ও পানামা।
যুক্তরাষ্ট্রে আগামী বছরের ২০ জুন শুরু হবে এই টুর্নামেন্ট। উদ্বোধনী ম্যাচে আটালান্টায় প্লে-অফ পেরিয়ে আসা দলের মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। ১৪ জুলাই মায়ামিতে অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল।
একনজরে কোপা আমেরিকার গ্রুপ পর্বের ড্র:
গ্রুপ এ: আর্জেন্টিনা, পেরু, চিলি, কনকাকাফ ৫
গ্রুপ বি: মেক্সিকো, একুয়েডর, ভেনেজুয়েলা, জ্যামাইকা
গ্রুপ সি: যুক্তরাষ্ট্র, উরুগুয়ে, পানামা, বলিভিয়া
গ্রুপ ডি: ব্রাজিল, কলম্বিয়া, প্যারাগুয়ে, কনকাকাফ ৬
চলারপথে রিপোর্ট :
উয়েফা আয়োজিত টুর্নামেন্ট থেকে গত মৌসুমে সবচেয়ে বেশি প্রাইজমানি পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে এক হাজার ৫৬৭ কোটি টাকা আয় করে শীর্ষে রয়েছে তারা।
ক্লাবগুলোর আয়ের এই তালিকা প্রকাশ করেছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ইউরোপা লিগ ও কনফারেন্স লিগে অংশ নেওয়া ক্লাবগুলোর আয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে তারা। মোট ২০০ কোটি ইউরো প্রাইজমানি থেকে অর্থ ভাগ করে দেওয়া হয়েছে ক্লাবগুলোকে। যেখানে সবাইকে ছাড়িয়ে শীর্ষে রিয়াল। ২০২১-২২ মৌসুমে তাদের আয় ১৩ কোটি ৩৭ লাখ ইউরো। বাংলাদেশি মুদ্রায় এক হাজার ৫৬৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা।
ক্লাবগুলোর এই আয় হিসাব করা হয়েছে কিছু নীতি মেনে। গ্রুপ পর্বের আয়, জয়ে পাওয়া বোনাস, সম্প্রচার স্বত্বের ভাগ এবং উয়েফার টুর্নামেন্টে অতীত ফলের ওপর নির্ভর করে অতিরিক্ত যে অর্থ দেওয়া হয়, সেসব হিসাব করেই এই আয়ের তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বড় ও ছোট ক্লাবগুলোর আয়ে তারতম্য ঘটবে। উয়েফা আয়োজিত টুর্ণামেন্টে অতীতের পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে দেওয়া হয় প্রাইজমানি। ফলে বড় দলগুলোর আয় বেশি হয়।
স্পোর্টস ডেস্ক :
প্রথম ম্যাচে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতকে নাগালে পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ৯৫ রানে আটকেও জিততে পারেনি স্বাগতিকরা। টি-২০ সিরিজের শেষ ম্যাচে অবশ্য ভুল করেনি লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ভারতের নারী দলকে ৪ উইকেটে হারিয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়িয়েছে নিগার সুলতানারা।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে আজ ১৩ জুলাই বৃহস্পতিবার শুরুতে ব্যাট করতে নামে ভারত। সুলতানা-রাবেয়াদের বোলিং তোপে ৯ উইকেট হারিয়ে তুলতে পারে ১০২ রান।
দলটির হয়ে তিনে নামা জেমিমাহ রদ্রিগুয়েজ ২৮ রানের ইনিংস খেলেন। চারে নামা হারমনপ্রীত কাউর আউট হন দেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪০ রানের ইনিংস খেলে।
জবাব দিতে নেমে ১৬ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ওই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠে ওপেনার শামীমা সুলতানা ও নিগার সুলতানার ব্যাটিংয়ে। অধিনায়ক নিগার ১৪ রান করে আউট হন।
অন্য প্রান্তে ছিলেন ওপেনার শামীমা সুলতানা। তিনি ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে আউট হন দলের ৮৫ রানে। তার ব্যাট থেকে ৪৬ বলে আসে ৪২ রানের ইনিংস। তিনটি চারের শটে ওই রান করেন তিনি। বাকি পথটা ঋতু মনি ও নাহিদা আক্তার পাড়ি দেন। ঋতু ৭ রান ও নাহিদা খেলেন ১২ রানের হার না মানা ইনিংস।
এর আগে বাংলাদেশ দলের হয়ে সুলতানা খাতুন ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। রাবেয়া খান ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে নেন তিন উইকেট। এছাড়া নাহিদা, ফাহিমা ও স্বর্ণা একটি করে উইকেট নেন।
স্টাফ রিপোর্টার:
১১ ডিসেম্বর আশুগঞ্জ মুক্ত দিবস। নানা আয়োজন ও আননন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে পালিত হল দিবসটি। এই উপলক্ষে গতকাল রবিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের উদ্যোগে উপজেলার গোলচত্বরে সম্মুখ সমরের ¯ভৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে সম্মুখ সমর থেকে একটি র্যালি বের হয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ গোলচত্ত্বরসহ বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে সম্মুখ সমরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সম্মুখ সমরে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা কমান্ড কাউন্সিলের প্রশাসক অরবিন্দ বিশ্বাসের সভাপতিত্ব আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সি, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিমা সুলতানা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী তাহমিনা শারমিন, বাংলাদেশ আইনসমিতির সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান আনসারি, আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ রহমান, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাসিম, বীরমুক্তিযোদ্ধা শেখ জসিম উদ্দিন আহমেদ, হেবজুল বারী, মোজাম্মেল হক গোলাপসহ বিশেষ ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন ।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের এদিনেই পাক হানাদার বাহিনীকে বিতাড়িত করে আশুগঞ্জকে শত্রুমুক্ত করে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সদস্যরা।