হাকিকুল ইসলাম খোকন :
যুক্তরাষ্ট্র এর ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেসে ভয়াবহ দাবানলে ৫ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। দেশটির দ্বিতীয় বড় এই শহরের আশপাশে দাবানলে এরই মধ্যে দেড় হাজারের বেশি বাড়িঘর পুড়ে গেছে। বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে লাখের বেশি মানুষ। বাতাসের গতি বেশি হওয়ায় দ্রুত দাবানল ছড়িয়ে পড়ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে জরুরি সেবা বিভাগের কর্মীরা। স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির অগ্নিনির্বাপণ বিভাগের প্রধান অ্যান্থনি মেরন বলেন, ‘দাবানল ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে কর্মীরা হিমশিম খাচ্ছেন। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করছি। কিন্তু লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির সব বিভাগ মিলেও দাবানল সামাল দেওয়ার মতো যথেষ্ট অগ্নিনির্বাপণকর্মী নেই।’
লস অ্যাঞ্জেলেসের অদূরে অভিজাত এলাকা প্যাসিফিক প্যালিসেডস। হলিউডের অনেক তারকা সেখানে বসবাস করেন। তীব্র গতির বাতাসের কারণে প্যাসিফিক প্যালিসেডস এলাকায় আগুন এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ছে।
দাবানলে ৮ জানুয়ারি বুধবার স্থানীয় সময় বিকেল পর্যন্ত প্যাসিফিক প্যালিসেডস এলাকার প্রায় ১৬ হাজার একর ভূমি পুড়ে গেছে। সেই সঙ্গে পুড়ে গেছে প্রায় এক হাজার বাড়িঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।
অন্যদিকে নগরের উত্তরের আলতাদেনা এলাকার চারপাশে অন্য একটি দাবানলে প্রায় ১০ হাজার ৬০০ একর জমি পুড়ে গেছে। সেখানে শহরতলির সড়কগুলোয়ও দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন
নিউইয়র্কেও বাংলাদেশের ফ্যাশন হাউস ‘সিগনেচার কালেকশন’
লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি শেরিফ রবার্ট লুনা জানিয়েছেন, ৫ জনের মৃত্যুর খবর জানা গেছে। হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। তিনি বলেন, ‘দেখুন, পরিস্থিতি এখনো দ্রুত বদলাচ্ছে। এই দাবানলের ওপর এখন পর্যন্ত আমাদের বিন্দুমাত্র নিয়ন্ত্রণ নেই। আমি সত্যি প্রার্থনা করছি যে আমাদের যেন আর শুনতে না হয়। আমার মনে হয় না এ ক্ষেত্রে এমন কিছু হতে চলেছে।’ মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকালে লস অ্যাঞ্জেলেসের অদূরে একাধিক স্থান থেকে শুরু হয় ভয়াবহ এই দাবানল। সূত্র-রয়টার্স
অনলাইন ডেস্ক :
প্রযুক্তি জগতের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক, জেফ বেজোস এবং মার্ক জাকারবার্গ আগামী ২০ জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। এনবিসি নিউজ গতকাল মঙ্গলবার এ খবর প্রকাশ করেছে। নতুন প্রেসিডেন্টের সােথ এই তিন প্রযুক্তি উদ্যোক্তার সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠের প্রচেষ্টা হচ্ছে এটা তার নজির।
এনবিসি জানায়, ২০ জানুয়ারির অনুষ্ঠানের পরিকল্পনায় জড়িত একজন কর্মকর্তার সূত্রে জানা গেছে, এই তিনজনকে অতিথিদের জন্য নির্ধারিত মঞ্চে ট্রাম্পের মন্ত্রিসভার মনোনীত সদস্যদের সাথে বসানো হবে।
আরও পড়ুন
ছাগলকাণ্ডের আলোচিত সেই মতিউর ও তার স্ত্রী গ্রেফতার
স্পেসএক্স এবং টেসলার সিইও ইলন মাস্ক বর্তমানে এক্স-এর প্রধান মালিক। তিনি ট্রাম্পের অন্যতম ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত। তার উপস্থিতি তাই অপ্রত্যাশিত নয়। মাস্ক ট্রাম্পের ডানপন্থী রাজনীতির সমর্থক এবং তার প্রচারণায় মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছেন।
ট্রাম্প ইতিমধ্যে মাস্ককে একটি পরামর্শ কমিশনের সহ-নেতৃত্বে নিয়োগ করেছেন। এই কমিশনের লক্ষ্য হলো যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি খরচ কমানো এবং আমলাতন্ত্র হ্রাস করা। যদিও এটি ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্ণমেন্ট এফিশিয়েন্সি’ বা সংক্ষেপে ‘DOGE’ নামে পরিচিত, এটি কোনো সরকারি সংস্থা নয়।
আরও পড়ুন
৫২৪ জনকে নিয়োগ দেবে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ, ৩১ জানুয়ারির মধ্য আবেদন
মেটার সিইও মার্ক জাকারবার্গ এবং অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের সাথে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্পর্ক ততটা ঘনিষ্ঠ নয়। তবে নির্বাচনের পর এই দুই উদ্যোক্তা ট্রাম্পের সাথে সম্পর্ক উন্নত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন।
জাকারবার্গ সম্প্রতি মেটার নতুন নীতিমালায় পরিবর্তন এনে যুক্তরাষ্ট্রে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে ফ্যাক্ট-চেকিং প্রক্রিয়া বাতিলের ঘোষণা দেন। তিনি এটিকে সরকারের এবং ঐতিহ্যবাহী গণমাধ্যমের ‘নির্যাতনমূলক সেন্সরশিপ’ হিসেবে অভিহিত করেন।
অন্যদিকে, বেজোস এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরে টানাপোড়েনের মধ্যে ছিল। বেজোসের মালিকানাধীন ‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’ ট্রাম্পের কঠোর সমালোচনা করেছে। তবে সাম্প্রতিক নির্বাচনের আগে পত্রিকাটি কোনো প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে সমর্থন করেনি, যা মার্কিন গণমাধ্যমকে অবাক করেছে।
আরও পড়ুন
টিউলিপের স্থলাভিষিক্ত হলো এমা রেনল্ডস
জাকারবার্গের ডানপন্থী অবস্থান ইতিমধ্যে মেটা পর্যবেক্ষকদের মধ্যে বিস্ময় সৃষ্টি করেছে। নির্বাচনের পরে তিনি ট্রাম্পের অভিষেকোত্তর একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সহ-আয়োজক হবেন বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে, বেজোসের প্রতিষ্ঠান দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট-এর কিছু প্রতিবেদনের দাবি অনুযায়ী, পত্রিকাটির বোর্ড ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিসের পক্ষে একটি সম্পাদকীয় প্রকাশের চেষ্টা করেছিল। তবে বেজোস নিজেই তা আটকে দেন বলে অভিযোগ উঠেছে, যদিও পত্রিকার নেতৃত্ব এই দাবি অস্বীকার করেছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে এ তিন প্রযুক্তি উদ্যোক্তার অংশগ্রহণ তাদের রাজনৈতিক কৌশল এবং সম্পর্ক উন্নয়নের প্রচেষ্টার স্পষ্ট ইঙ্গিত করে।
অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হবেন কে, সেটি নির্ধারিত হবে আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের আগে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মূল দুই প্রতিদ্বন্দ্বি কমালা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে সরাসরি বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিতর্কে কমালা হ্যারিসকে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ‘সবচেয়ে খারাপ ভাইস প্রেসিডেন্ট’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ট্রাম্প। অন্যদিকে হ্যারিস বলেছেন, স্বাস্থ্যসেবার জন্য ট্রাম্পের ‘কোনও পরিকল্পনা নেই’।
আজ ১১ সেপ্টেম্বর বুধবার এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ৯ টায় মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম এবিসি নিউজের আয়োজনে কমালা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে বিতর্ক শুরু হয়। বিতর্ক মঞ্চে প্রবেশ করেই ট্রাম্পের সাথে হাত মেলান কমালা। এরপর কমালার তার বক্তব্য শুরু করেন এবং একইসঙ্গে শুরু হয় বিতর্ক।
নিজের বক্তব্যে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘কমালা হ্যারিস ইসরায়েলকে ঘৃণা করেন। তিনি নিজের মতো করে আরব জনগণকেও ঘৃণা করেন।’
তিনি কীভাবে গাজায় চলমান যুদ্ধ শেষ করবেন এবং হামাসের হাতে আটক থাকা বন্দিদের ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হবেন জানতে চাওয়া হলে ট্রাম্প দাবি করেন, ‘তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকলে এ যুদ্ধই হতো না। কমালা ইসরায়েলকে ঘৃণা করেন। যদি তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, আমার বিশ্বাস দুই বছরের মধ্যে ইসরায়েলের অস্তিত্বই থাকবে না।’
এসময় সাবেক এই প্রেসিডেন্ট প্রশ্ন তোলেন কেন হোয়াইট হাউসে ক্ষমতায় থাকাকালীন নিজের পরিকল্পনাগুলো কার্যকর করেননি কমালা হ্যারিস।
ট্রাস্প বলেন, ‘তিনি এই সব বিস্ময়কর জিনিস করতে যাচ্ছেন। কেন তিনি এটা করেননি? তিনি সেখানে (হোয়াইট হাউসে) সাড়ে তিন বছর ধরে আছেন। সীমান্ত ঠিক করতে তাদের সাড়ে তিন বছর সময় লেগেছে। তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্যও সাড়ে তিন বছর সময় লেগেছে।’
তিনি বাইডেন এবং হ্যারিসকে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট আখ্যা দিয়ে বিতর্কের অবসান ঘটান।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট কে হবেন, সেটি নির্ধারিত হবে আগামী পাঁচ নভেম্বরের নির্বাচনে। প্রাথমিকভাবে এই নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে ধারণা করা হচ্ছিল।
কিন্তু গত জুলাইয়ে বাইডেন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়ে ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিসকে সমর্থন দেন। মূলত এরপর থেকেই ডেমোক্র্যাটিক ও রিপাবলকান, উভয় শিবিরেই নিজ নিজ প্রার্থীর পক্ষে বেশ জোর প্রচারণা চালাতে দেখা যাচ্ছে।
কিন্তু প্রশ্ন হলো, নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল আসলে কী হবে? মার্কিন নাগরিকরা কি প্রথমবারের মতো একজন নারী প্রেসিডেন্ট বেছে নিবেন, নাকি রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দ্বিতীয়বারের মতো রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসাবেন?
উত্তর পেতে হলে অপেক্ষা করতে হবে নভেম্বরের নির্বাচন পর্যন্ত।
অনলাইন ডেস্ক :
দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করেছে আম আদমি পার্টি। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পদত্যাগ ঘোষণার দুইদিনের মধ্যেই এ ঘোষণা দেওয়া হলো।
আজ ১৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ আম আদমি পার্টির (আপ) পরিষদীয় দলের নেতাদের বৈঠকে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে অতিশির নাম প্রস্তাব করা হয়। সঙ্গে সঙ্গেই সবাই তা সমর্থন করেন। অতিশি এতোদিন দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। পাশাপাশি গণপূর্ত ও রাজস্ব দপ্তর ছিল তার হাতে।
কেজরিওয়াল আজ মঙ্গলবার বিকেলে উপরাজ্যপাল বিনয় কুমার সাকসেনার সঙ্গে দেখা করে পদত্যাগপত্র দেবেন। গত রবিবার তিনি এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, দুই দিন পর মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেবেন।
প্রসঙ্গত, দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত কেজরিওয়াল। অর্থনৈতিক গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হাতে গ্রেফতার হয়ে প্রায় ছয় মাস তিহার জেলে ছিলেন তিনি।
গত শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জেলমুক্তি ঘটেছে আপপ্রধানের। তারপরই গত রবিবার মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করার কথা জানান কেজরিওয়াল।
অনলাইন ডেস্ক :
নাক ব্যবহার করে আপনি কি কোনো কিছু লিখেছেন? হয়তো আপনাদের কেউ কেউ চেষ্টাও করেছেন। কিন্তু নাক দিয়ে কতটা দ্রুত কম্পিউটারে লিখতে পারেন? ভারতের এক ব্যক্তি নাক দিয়ে দ্রুত ইংরেজি অক্ষর লিখে নিজের আগের রেকর্ডই ভেঙেছেন। তৃতীয়বারের মতো গড়েছেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস।
বিনোদ কুমার চৌধুরী (৪৪) ২০২৩ সালে প্রথম নাক দিয়ে লিখে রেকর্ড গড়েন। ওই সময় তিনি ২৭ দশমিক ৮০ সেকেন্ডে ইংরেজি অক্ষরগুলো লিখেছিলেন। পরে একই বছর তিনি ২৬ দশমিক ৭৩ সেকেন্ডে লিখে আগের রেকর্ড ভাঙেন। এবার তিনি ইংরেজি অক্ষর লিখতে সময় নিয়েছেন ২৫ দশমিক ৬৬ সেকেন্ড।
বিনোদ কুমারের রেকর্ড গড়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে দিয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস লিখেছে, ‘আপনি কি নাক দিয়ে দ্রুত ইংরেজি অক্ষরগুলো লিখতে পারবেন? ভারতের বিনোদ কুমার চৌধুরী ২৫ দশমিক ৬৬ সেকেন্ডে এ কাজটি করেছেন।’
বিনোদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, রেকর্ড গড়তে তিনি ঘণ্টার পর ঘণ্টার অনুশীলন করতেন। নাক দিয়ে লিখতে গিয়ে মাঝেমধ্যে তাঁর মাথা ঘুরে উঠত যাতে তিনি চোখে ‘তারা’ দেখতেন। প্রতিটি অক্ষর লেখার সময় মাঝখানে জায়গা রাখতে আরেকটি বাটনে চাপতে হয় তাঁকে।
বিনোদ কম্পিউটারশিল্পে কাজ করে থাকেন। লেখার এই গুণের জন্য তিনি ‘টাইপিং ম্যান অব ইন্ডিয়া’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।বর্তমানে বিনোদ কুমার কম্পিউটারের কি-বোর্ডে দ্রুততম সময়ে লেখার তিনটি রেকর্ডের মালিক। একটি হচ্ছে পেছনে এক হাত দিয়ে দ্রুততম সময়ে লেখা, আরেকটি হচ্ছে দুই হাত পেছনে দিয়ে দ্রুততম সময়ে লেখা এবং তৃতীয়টি হচ্ছে নাক দিয়ে দ্রুততম সময়ে লেখা।
বিনোদ কুমার বলেন, ‘আমার কাজ হচ্ছে কম্পিউটারে লেখা। এ কারণে আমি কম্পিউটারে বিভিন্ন কৌশলে লিখে রেকর্ড করার কথা চিন্তা করেছিলাম। এ কাজটি আমার আবেগ বা আসক্তির পাশাপাশি জীবিকার সঙ্গেও জড়িত।
বিনোদ কুমার আরো বলেন, নানা বাধাবিপত্তি সত্ত্বেও যে কাউকে তাঁর আবেগ–অনুভূতিকে ধরে রাখা উচিত। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস বলছে, বিনোদের সাফল্যের গোপন রহস্য হচ্ছে, তিনি প্রতিদিন অনুশীলন করতেন আর ইতিবাচক চিন্তাভাবনা করতেন।
বিনোদ বলেছেন, তিনি সব সময় নতুন রেকর্ড গড়ার দিকে তাকিয়ে থাকতেন। তাঁর স্বপ্ন হচ্ছে, সাবেক ভারতীয় ক্রিকেট তারকা শচীন টেন্ডুলকারের মতো রেকর্ড ভেঙে রেকর্ড গড়া। শচীন তাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ ৬২ বার প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার জিতেছেন। সব মিলিয়ে তিনি ১০০টি সেঞ্চুরি করেছেন। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া
দাফন সম্পন্ন
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের লক্ষীমুড়া গ্রামের নিহত হারুন মিয়ার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় মনিপুর বন্দরবাজার বালুর মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় স্থানীয় হারুন মিয়ার আত্মীয় স্বজনসহ সহস্রাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করে। এর আগে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে হারুন মিয়া নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরদিন দুপুরে ময়নাতদন্তের পর হারুন মিয়ার মরদেহে এসে পৌঁছায় তার নিজ এলাকায়। মরদেহ পৌঁছার পর থেকেই স্থানীদের ভিড় বাড়ে তার বাড়িতে। এরপর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জানাজায় উপস্থিত ছিলেন, বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজু আহমেদ, পত্তন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা হৃদয় আহমেদ জালাল, সাবেক মেম্বার সেলিম মিয়া, হোসেন মিয়া, মাওলানা সিরাজ আকরামসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা। নিহত হারুন মিয়ার ভাতিজা সোহেল বলেন, দুধ মিয়া সরাসরি করিম মিয়ার পক্ষে নিয়েছে। যার কারণে আমার চাচা হারুন মিয়া হত্যার শিকার হয়েছে। আমার চাচার হত্যার সাথে দুধ মিয়া জড়িত। দুধ মিয়াসহ যারা আমার চাচাকে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসির দাবি জানাই।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ জানান, শান্তিপূর্ণ ভাবে হারুন মিয়ার জানাযা সম্পন্ন হয়েছে। এলাকায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অভিযুক্ত আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে তিনি জানান।