শীতে সুস্থ থাকতে যেসব বীজ খেতে পারেন

লাইফস্টাইল, 9 January 2025, 623 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
শীতের দিনগুলিতে অনেকের সর্দি, কাশি, জ্বর এর সমস্যা লেগেই থাকে। এ কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো জরুরি। সেক্ষেত্রে প্রয়োজন সঠিক খাদ্যাভাস। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীতে শরীর সুস্থ রাখতে খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন কিছু বীজ। এসব বীজ আপনার স্বাস্থ্যের জন্য দারুন উপকারী হবে। কারণ এই বীজগুলিতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফাইবার, স্বাস্থ্যকর চর্বি, ভিটামিন ও খনিজ থাকায় তা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভূমিকা রাখে। যেমন-

banner

ফ্ল্যাক্সসিড : শীতকালে ফ্ল্যাক্সসিড খাওয়া খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। এতে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার এবং প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের অভ্যন্তরে প্রদাহ কমায়, ত্বকে আর্দ্রতা প্রদান করে। এই বীজ হৃদরোগের জন্যও উপকারী। এই বীজ শীতকালে শরীরকে ভেতর থেকে উষ্ণতা দেয়। ফ্ল্যাক্সডিস কাঁচা বা পাউডার হিসেবে দই, স্মুদি বা ওটমিলের সাথে যোগ করে খেলে উপকার পাবেন।

আরও পড়ুন
দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত থাকার উপায়

সূর্যমুখীর বীজ:এই বীজে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম, কপার, সেলেনিয়াম ও প্রোটিন রয়েছে। এসব উপাদান শরীরে শক্তি জোগানোর পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। সূর্যমুখী বীজ হালকা ভেজে এবং স্ন্যাকস হিসাবে খেতে পারেন। সালাদে মিশিয়েও খেতে পারেন।

আরও পড়ুন
ওজন কমানোর ৫টি উপায়

চিয়া সিড : চিয়া সিডে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রোটিন, ফাইবার থাকায় এটি হাড় মজবুত ও শক্তি বৃদ্ধি করে। শীতে পানি কম খাওয়ার ফলে শরীরে পানির ঘাটতি দেখা যায়, কিন্তু এই সিড সেই ঘাটতি দূর করতেও সাহায্য করে। চিয়া সিড পানিতে ভিজিয়ে, পুডিং আকারে বা স্মুদিতে মিশিয়েও খেতে পারেন।

আরও পড়ুন
ডালিম খেলে কী কী উপকার হয়?

কুমড়ার বীজ : কুমড়ার বীজে থাকা ফসফরাস, জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন এবং অনেক ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এর পাশাপাশি শরীরে তাপ বজায় রাখতে সাহায্য করে। শীতকালে এই বীজ খেলে তা ফোলাভাব কমাতে এবং শরীরকে ভেতর থেকে গরম রাখতে সাহায্য করবে। হালকা ভাজা কুমড়ার বীজ সকালের নাশতায় খেতে পারেন। এছাড়া কোনও সালাদে ছড়িয়েও খেতে পারেন।

Leave a Reply

ইটালি প্রবাসী দিদারের মা আনোয়ারা বেগমের…

শফিকুল ইসলাম বাদল : ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের বিরামপুর Read more

কসবায় মায়ের অভিযোগে ছেলের কারাদণ্ড

চলারপথে রিপোর্ট : মাদকাসক্ত ছেলের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে Read more
ফাইল ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

চলারপথে রিপোর্ট : পুকুরের পানিতে ডুবে ইসরাত জাহান নোভা (৯) Read more

ইরান কখনও আপোস করবে না: আয়াতুল্লাহ…

অনলাইন ডেস্ক : জায়নবাদীদের সাথে ইরান কখনও আপোস করবে না Read more
ফাইল ছবি

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক পাঁচ দিনের…

অনলাইন ডেস্ক : রাজধানীর শাহবাগ ও পল্টন মডেল থানার পৃথক Read more
ফাইল ছবি

প্রতারণা করে জুলাই অভ্যুত্থানের সুবিধা নিলে…

অনলাইন ডেস্ক : জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদের পরিবার এবং আহতদের কল্যাণ Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৮ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় নাগরিক…

দুলাল মিয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর Read more

কারাগারে হাজতির মৃত্যু

দুলাল মিয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে জুনায়েদ মিয়া (৩২) নামে Read more

আখাউড়ায় কৃষকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা

চলারপথে রিপোর্ট : কৃষকদের সেচ দক্ষতা বাড়াতে পানি ব্যবহারকারী গ্রুপের Read more

ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের ১১তম ব্যাচের ওরিয়েন্টেশন

সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য: রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের Read more

স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবিতে সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে…

অনলাইন ডেস্ক : স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবিতে সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে অনশন Read more

ইরানে ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানালো ২১…

অনলাইন ডেস্ক : ইরানে ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানিয়েছে মিশরসহ ২১টি Read more

আজ ‘বিশ্ব গোলাপ’ দিবস

লাইফস্টাইল, 7 February 2025, 433 Views,

হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
মানুষের মনকে জয় করার শুভেচ্ছা বার্তা মানেই ফুল। হোক প্রেমিক-প্রেমিকা বা প্রিয়জন। আর সেই ফুলের নামই হচ্ছে গোলাপ। আজ ৭ ফেব্রুয়ারি সেই ফুলের ‌‘বিশ্ব গোলাপ’ দিবস। এই ফুলের রয়েছে কয়েকটি রং। তবে সম্পর্কের ভেদেই দিতে হবে এই ফুল। তাই জেনে নেয়া যাক কোন গোলাপ কাকে দিবেন।

banner

১. সাদা গোলাপ– ক্ষমা চাওয়ার প্রতীক।
২. কমলা গোলাপ– পছন্দ জানানোর প্রতীক।
৩. হলুদ গোলাপ– বন্ধুত্বের প্রতীক।
৪. গোলাপি গোলাপ– সেরা বন্ধুত্বের প্রতীক।
৫. লাল গোলাপ– ভালোবাসার প্রতীক।

উল্লেখ্য, ৭ ফেব্রুয়ারি ছাড়াও প্রতিবছর ২২ সেপ্টেম্বর বিশ্ব গোলাপ দিবস পালন করা হয়। সারা বিশ্ব জুড়ে ক্যানসার রোগীদের জন্য উৎসর্গ করা হয় দিনটি। এর সূত্রপাত ১৯৯৪ সালে কানাডায়।

এসি ছাড়াই ঘর ঠান্ডা করার আট উপায়, চলুন জেনে নেওয়া যাক

লাইফস্টাইল, 27 April 2025, 162 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
এখন চলছে বৈশাখ মাস। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বইছে মৃদু তাপপ্রবাহ। গরমে হাঁসফাঁস নগরবাসী। এমন গরমে এসির শীতল পরশ অনেকের জন্য স্বস্তির হয়। কিন্তু সব সময় এসি কেনা বা চালানো সম্ভব হয় না। তবে এসি ছাড়াই কিছু কিছু সহজ এবং কার্যকরী উপায় অনুসরণ করলেই আপনি গরমের হাত থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

banner

চলুন জেনে নেওয়া যাক সহজ সেই উপায়গুলো-
সঠিকভাবে সিলিং ফ্যান ব্যবহার করুন: অনেকেই জানেন না সিলিং ফ্যানের ঘূর্ণনের দিক বদলালেও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। গ্রীষ্মকালে ফ্যানের ঘূর্ণন যেন ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে হয়, তা নিশ্চিত করুন। এতে ঠাণ্ডা বাতাস নিচের দিকে চলে আসে এবং ঘরের পরিবেশ অনেকটাই আরামদায়ক হয়।

রাতের ঠাণ্ডা বাতাস কাজে লাগান: দিনের প্রচণ্ড রোদে জানালা বন্ধ রাখুন। কিন্তু রাতে যখন বাইরের তাপমাত্রা কমে আসে, তখন জানালা খুলে দিন। শীতল বাতাস ঘরে ঢুকতে দিন এবং গরম বাতাস বেরিয়ে যেতে দিন। পরদিন সকাল পর্যন্ত জানালা বন্ধ রাখলে ঘরের ভেতরের ঠাণ্ডা পরিবেশ বেশিক্ষণ টিকে থাকবে।

বরফ আর ভেজা কাপড়ের ব্যবহার: বরফের সাহায্যে ঘর ঠাণ্ডা রাখার একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি হলো ফ্যানের সামনে বরফের বাটি রাখা। বরফ গলতে গলতে ঠাণ্ডা বাতাস তৈরি করে, যা ফ্যানের মাধ্যমে পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। চাইলে জানালায় ভেজা তোয়ালে বা চট ঝুলিয়ে দিয়েও একই ধরনের শীতল প্রভাব পাওয়া যায়।

গাছ দিয়ে ঘর রাখুন ঠান্ডা: ঘরের ভেতরে কিছু নির্দিষ্ট ধরনের গাছ রাখলে তা প্রাকৃতিকভাবেই তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরা, মানি প্ল্যান্ট, স্নেক প্ল্যান্টের মতো গাছ ঘরের বাতাস শুদ্ধ করে এবং পরিবেশ শীতল রাখতে ভূমিকা রাখে। এগুলোর পরিচর্যা করাও সহজ।

জানালায় হিট-প্রটেক্টিং ফিল্ম লাগান: জানালা দিয়েই বেশি তাপ ঘরে প্রবেশ করে। তাই জানালায় হিট-প্রটেক্টিং ফিল্ম লাগালে সূর্যের তাপের প্রবেশ অনেকটাই কমে যায়। এতে ঘরের ভেতর তাপমাত্রা বেশ নিয়ন্ত্রিত থাকে, আর এসি ছাড়াই তুলনামূলক শীতল পরিবেশ পাওয়া সম্ভব হয়।

মোটা ও হালকা রঙের পর্দার ব্যবহার: গাঢ় রঙের মোটা পর্দা রোদ আটকাতে কার্যকর হলেও, বেশি গরম জায়গায় হালকা রঙের মোটা পর্দা ব্যবহার করাই ভালো। কারণ হালকা রঙ সূর্যের তাপ প্রতিফলিত করে দেয়, ফলে ঘর অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা থাকে। সুতরাং পর্দা বাছাইয়ের সময় শুধু রং নয়, কাপড়ের গুণও খেয়াল রাখুন।

অপ্রয়োজনীয় বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি বন্ধ রাখুন: কম্পিউটার, টেলিভিশন, ওভেনের মতো ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করলে তা শুধু কাজই করে না, বরং বাড়তি তাপও উৎপন্ন করে। তাই যেসব ডিভাইসের প্রয়োজন নেই, সেগুলো বন্ধ রাখুন। এতে ঘরের গরমভাব অনেকটাই কমানো সম্ভব।

বরফের অতিরিক্ত ব্যবহার: বরফের আরেকটি উপায় হলো বড় পাত্রে বরফ রেখে তা ঘরের মাঝখানে রাখা। পাত্রের উপর দিয়ে ফ্যানের বাতাস চালালে ঘরের বিভিন্ন প্রান্তে ঠাণ্ডা বাতাস ছড়িয়ে যায়। বিশেষ করে দুপুরের তীব্র গরমে এটি বেশ কার্যকর।

প্রকৃতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলুন
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে দিন দিন গরম বেড়েই চলেছে। এই অবস্থায় শুধু এসি চালিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব নয়। বরং প্রাকৃতিক ও টেকসই পদ্ধতিতে জীবনযাত্রা সহজ ও স্বস্তিদায়ক করে তুলতেই হবে।

এসি ছাড়াই ঘর ঠাণ্ডা রাখার এই সহজ পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করে আপনি নিজের এবং পরিবেশের উভয়ের উপকার করতে পারবেন।

প্রাকৃতিক ভাবে ঘন করুন ভ্রু

লাইফস্টাইল, 13 January 2025, 580 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, পুষ্টির অভাব এবং অতিরিক্ত পরিমাণে চিকন করে ভ্রু প্লাক করার কারণে অনেকেরই ভ্রু পাতলা হতে পারে। এজন্য সময় নিয়ে যত্ন নিতে পারলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। ঘরে বসেই প্রাকৃতিক ভাবে পাতলা ভ্রু ঘন করবেন, জেনে নিন সেসব উপায়।

banner

* পেঁয়াজের রস নতুন চুল গজাতে ভালো কাজ করে। ভ্রু ঘন করতেও এই রসের জুড়ি নেই। পেঁয়াজের রস বের করে তুলোর বলের সাহায্যে ভ্রুতে লাগান। শুকিয়ে গেলে আরও কয়েক প্রলেপ লাগাতে পারেন। নিয়মিত পেঁয়াজের রস ব্যবহার করলে ভ্রু ঘন হবে।

* পাতলা ভ্রুতে ঘৃতকুমারীর রস লাগাতে পারেন। কেননা নতুন চুল ও ভ্রু গজাতে এ রসে থাকা বিভিন্ন উপাদান সাহায্য করে।

* অলিভ অয়েল, ভিটামিন ই অয়েল ও ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে তুলোয় করে ভ্রুতে লাগান। এতেও ভ্রু ঘন হবে খুব তাড়াতাড়ি।

* ক্যাস্টর অয়েল ভ্রু ঘন করতে সাহায্য করে। আঙুলে ক্যাস্টর অয়েল মাখিয়ে ভ্রুতে মাসাজ করুন। এরপর ৩০ মিনিট রেখে দিন। পরে কুসুম গরম পানি ও ক্লিনজারের সাহায্যে ধুয়ে নিন।

* ল্যাভেন্ডার তেলও খুব উপকারী। নিয়মিত ব্যবহার করলে ভ্রুর লোম পড়া বন্ধ হবে। ভ্রু ঘনও হবে। এছাড়া ডায়েটে রাখুন পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন, ভিটামিন এ, ই এবং কে, আয়রন, জিঙ্ক, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম। সবুজ শাকসবজি, ফল খেতে হবে বেশি করে। বেশি চিনি দেয়া খাবার খাওয়া চলবে না। অতিরিক্ত ভাজাভুজি খাওয়াও ছাড়তে হবে।

অ্যাভাসকুলার নেক্রোসিস বা হাড় নষ্ট হয়ে যাওয়া রোগ

লাইফস্টাইল, 8 January 2025, 711 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
১. অ্যাভাসকুলার নেক্রোসিস এমন একটি রোগ যা হাড়ের স্থায়ী বা অস্থায়ীভাবে রক্ত সরবরাহ বন্ধের ফলে হয়। রক্ত সরবরাহ বন্ধ হলে হাড়ের টিস্যু মারা যায় এবং হাড় ভেঙে যায়। যখন কোন জয়েন্ট যেমন হিপ জয়েন্ট এর কাছাকাছি হয় তখন জয়েন্টের পৃষ্ঠটি ভেঙে যেতে পারে। এই অবস্থা যেকো হাড়ে হতে পারে এটি সাধারণত লম্বা হাড়ের শেষ মাথায় হয়। সাধারণত ১টি হাড়, একই সময়ে অনেক হাড় অথবা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন হাড়কে ক্ষয়গ্রস্থ করে।

banner

২. কোথায় কোথায় নেক্রোসিস হতে পারেঃ
গোড়ালি
চোয়ালে
হাটুতে
হাতের হিউমেরাস ও কাধের জয়েন্টে
পায়ের ফিমার ও হিপ জয়েন্টে

৩. অ্যাভাসকুলার নেক্রোসিসের কারণঃ
কোন কারণে জয়েন্টে আঘাত পেলে
জয়েন্ট ভেঙে গেলে
কোনো কারনে রক্তনালী ক্ষতিগ্রস্থ হলে
দীর্ঘদিন ধরে কর্টিকোস্টেরয়েড ঔষুধ সেবন করলে
দীর্ঘদিন ধরে এবং অতিরিক্ত মদ্য পান করলে
দীর্ঘদিন ধরে কোন রোগে আক্রান্ত হলে যেমনঃ ডায়াবেটিস
রক্তে কোন রোগ থাকলে। সিকেল সেল অ্যানিমিয়া লিউকেমিয়া
রেডিয়েশনের বা কেমোথেরাপি কারণে
এইচআইভি / এইডস রোগের জন্য ।
অটো ইমিউন রোগের জন্য
হাইপার লিপিডেমিয়ার কারণে
হাইপার কোয়াগুলেবেল অবস্থায় থাকলে
প্যানক্রিয়াটাইটিস, গাউচার রোগ, সিস্টেমেটিক লুপাস ইরাইথিম্যাটাস রোগ থাকলে
কোন অঙ্গ প্রতঙ্গ প্রতিস্থাপন করলে
জয়েন্ট ডিসলোকেশন

৪. রোগের লক্ষণঃ
হাঁটাচলা করার সময় ব্যাথা লাগা
পায়ে টান লাগা
সিঁড়ি বেয়ে ওঠার সময় ব্যথা অনুভব করা
দাঁড়ানোর সময় ব্যথা অনুভব করা
হাটু ভেঙে বসতে না পারা
আক্রান্ত অঙ্গ ছোট হয়ে যাওয়া
কুচকিতে উরুতে, নিতম্বে ব্যথা হওয়া
বিশ্রাম নেওয়ার সময় ব্যথা অনুভব হওয়া
ক্রস পায়ে বসতে না পারা

৫.রোগ নির্ণয়ঃ
এক্স-রে
এমআরআই
সিটি স্ক্যান
হাড়ের স্ক্যান
বাইওপসি
হাড়ের কার্যকারিতা পরীক্ষা

৬. চিকিৎসাঃ
এ রোগের চিকিৎসা কিছু বিষয়ের উপর নির্ভর করে, যেমনঃ বয়স,রোগের পর্যায়, হাড়ের ক্ষতির পরিমান।

নন সার্জিক্যাল চিকিৎসাঃ
আক্রান্ত স্থানে ঠান্ডা বা গরম সেঁক, কিছু ননস্টেরয়েডাল এন্টি ইনফ্লামেটরি ঔষধ, ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা এবং পুনর্বাসন এবং বিশ্রাম কার্যকর।

সার্জিক্যাল চিকিৎসাঃ
কোর ডি কম্প্রেশন ( Core Decompression)
হাড় গ্রাফটিং (Bone Grafting)
অস্টিওটমি (Osteotomy)
সম্পূর্ণ হিপ জয়েন্ট প্রতিস্থাপন (Total Hip Joint Replacement)

৭. জটিলতাঃ
চিকিৎসা করা না হলে, এই রোগ ধীরে ধীরে খারাপ রূপ ধারণ করে, অ্যাভাসকুলার নেক্রোসিসের ফলে হাড়ের মসৃণ আকৃতি নষ্ট হয় ফলে আর্থ্রাইটিস হতে পারে। ব্যথা বা অন্য কোন লক্ষণ প্রকাশ পেলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের শরনাপন্ন হতে হবে।

লেখক: ডা. মো. সফিউল্যাহ প্রধান, ফিজিওথেরাপি, ডিজএবিলিটিস ও রিহেবিলিটেশন স্পেশালিস্ট, সহযোগী অধ্যাপক (আইআইএইচএস) ও কনসালটেন্ট ডিপিআরসি, শ্যামলী, ঢাকা।

কিছু নিয়ম মেনে চলে নিজেকে রাখুন চিরতরুণ

লাইফস্টাইল, 27 July 2024, 783 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
আজকাল যৌবন ধরে রাখতে, সুন্দর দেখাতে নারী-পুরুষ সবাই দারুণ আগ্রহী। কাজেই পোশাক, চুল, ত্বক ও দাড়ির স্টাইল সময়ের সঙ্গে মিলিয়ে চলতে এবং নিজেকে তরুণ দেখাতে অনেক কিছুই করতে হয়। তবে কি এসবই শেষ সমাধান? মোটেও এমনটা নয়। রূপ বোদ্ধাদের মতে, ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে এবং নিজেকে চিরতরুণ রাখার জন্য ছোট ছোট কিছু নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন। স্কিন কেয়ার রুটিন ও স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইলই উজ্জ্বল-তারুণ্যদীপ্ত ত্বকের ইচ্ছা পূরণ করবে।

banner

প্রাথমিক স্কিন কেয়ার : ভিটেন-হ্যার্ডেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্বক বিশেষজ্ঞ উলরিকে হাইনরিশ বলেন, ‘বয়স বাড়া মানেই কোনো কিছু পরিত্যাগ করা নয়। বয়সের সঙ্গে সৌন্দর্য হারাতে হবে- এমন কোনো কথা নেই। বয়সের সঙ্গে ত্বক পাতলা এবং শুষ্ক হয়। তাই এমন ক্রিম বা কসমেটিক ব্যবহার করতে হবে যাতে ভিটামিন এ, সি এবং ই-থাকে। আর হ্যাঁ, ত্বক ভালো রাখতে প্রাথমিক স্কিন কেয়ার রুটিন মেনে চলা প্রয়োজন। না হলে ত্বকের সমস্যা বাড়তে পারে। এমনকি বয়সের ছাপ পড়ে ত্বকে।

প্রাত্যহিক ত্বকের পরিচর্যা
প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে শুতে যাওয়ার আগে প্রথমে মুখ ভালোভাবে ক্লিনজিং করুন। তারপর প্রাকৃতিক টোনার ও ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।

সানস্ক্রিন কখনো ভুলবেন না। রোদের ক্ষতিকারক রশ্মি ত্বকের ক্ষতি করে। ফটোএজিং ঘটায়। ফলে সময়ের আগেই ত্বক বুড়িয়ে যায়। তাই মেঘলা দিনেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত।

বয়স ৩০ পেরোলেই অ্যান্টি-এজিং স্কিন কেয়ার রুটিন ফলো করা উচিত। রেটিনল, AHA সমৃদ্ধ প্রোডাক্ট ত্বকে ব্যবহার করতে হবে। সৌন্দর্যচর্চায় আগের ট্রেন্ড ফিরে এসেছে। অর্থাৎ গাছগাছালির পাতা, রস, শেকড় ইত্যাদির তৈরি ভেষজ ক্রিম, পাউডার, তেল ব্যবহার করতে পারেন।

অসময়ে ত্বকে বলিরেখা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। শারীরিক সমস্যা বা পুষ্টির অভাবেও এমন হতে পারে। সঠিকভাবে ত্বকের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি আপনাকে জীবনশৈলীর দিকেও নজর দিতে হবে। বিশেষ করে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে।

পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করাও জরুরি। রাতে অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম দরকার। নিয়মিত ব্যায়াম করতে ভুলবেন না। এই ছোট ছোট নিয়মগুলো মেনে চললেই আপনিও পাবেন চিরতরুণ ত্বক।

লেখা : উম্মে হানি