অনলাইন ডেস্ক :
এফএ কাপে ১১ জানুয়ারি শনিবার চতুর্থ স্তরের দল সালফোর্ড সিটিকে নিজেদের মাঠে ৮-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে ম্যানচেস্টার সিটি। এই জয়ে তারা নাম লিখিয়েছে টুর্নামেন্টের চতুর্থ রাউন্ডে।
অন্যরকম একাদশ নিয়ে মাঠে নামা সিটি পুরো ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করে। ডিভিন মুবামা তার সিনিয়র অভিষেকে একটি গোল করেন, জ্যাক গ্রিলিশ এক বছরের গোলখরা কাটিয়ে পেনাল্টি থেকে গোল করেন, আর জেমস ম্যাকাটি দ্বিতীয়ার্ধে পার দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিক। মুবামা জেরেমি ডোকুর করা অষ্টম মিনিটের গোলে এগিয়ে নেয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মুবামা। প্রথমার্ধের শেষের আগে নিকো ও’রেইলি গোল করে সিটিকে বড় ব্যবধানে এগিয়ে নেন।
দ্বিতীয়ার্ধের ৪৯তম মিনিটে গ্রিলিশ পেনাল্টি আদায় করে নিজেই গোল করেন। এরপর ম্যাকাটি ২০ মিনিটের মধ্যে তিনটি গোল করেন এবং ডোকু পেনাল্টি থেকে গোল করেন। সালফোর্ড সিটি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক সতীর্থ গ্যারি নেভিল, রায়ান গিগস, ফিল নেভিল, পল স্কলস, নিকি বাট ও ডেভিড বেকহ্যাম কর্তৃক সহ-মালিকানাধীন। যদিও তারা লিগ টু থেকে উন্নতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে, তবে এ ম্যাচে সিটির সামনে পড়ে তারা কঠিন বাস্তবতা টের পেয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
১০৭ রানের লক্ষ্য পাড়ি দেওয়া খুব একটা কঠিন নয়। তবে শেষ দিনের প্রথম ঘণ্টায় কিউইদের জন্য আতঙ্কের নাম ছিলেন জাসপ্রিত বুমরাহ। মেঘলা কন্ডিশনে দারুণ বোলিং উপহার দেন তিনি। কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে জয়ের কাজটাও সহজ হতে থাকে নিউজিল্যান্ডের।
১৯৮৮ সালের পর এই প্রথম ভারতের মাটিতে টেস্ট জিতল নিউজিল্যান্ড। হলো ৩৬ বছরের অপেক্ষার অবসান। আর তাতে মূল্যহীন হয়ে গেল সরফরাজ খান ও ঋষভ পন্থের লড়াই। ঢাকা গেল না ৪৬ রানে অলআউটের লজ্জা। শেষ পর্যন্ত রোহিতদের ৮ উইকেটে হারাল নিউজিল্যান্ড। এর আগে ২০০৪ সালে ওয়াংখেড়েতে রিকি পন্টিংয়ের অস্ট্রেলিয়াকে ১০৭ রানের লক্ষ্য দিয়েও ১৩ রানে হারিয়ে দিয়েছিল রাহুল দ্রাবিড়ের ভারত। সাবেক কোচের সেই কীর্তি ছুঁতে পারলেন না রোহিত-কোহলিরা। এবার ২০ বছর আগের ইতিহাস ফেরাতে পারলেন না তারা।
নিউজিল্যান্ডের কাছে প্রথম টেস্টে ৮ উইকেটে হেরে গেল ভারত। টেস্টের শেষ দিন জয়ের জন্য টম লাথামদের দরকার ছিল ১০৭ রান। রোহিতদের প্রয়োজন ছিল ১০ উইকেট। ২ উইকেট হারিয়ে প্রয়োজনীয় ১১০ রান তুলে নিলেন কিউইরা।
প্রথম ইনিংসে ৪৬ রানে অলআউট হয়ে পরিস্থিতি কঠিন করে তুলেছিল ভারত। রোহিত স্বীকার করে নিয়েছিলেন উইকেট বুঝতে তার ভুল হয়েছিল। সেই ভুলের মাসুল দিল ভারতীয় দল। নিউজিল্যান্ডের কাছে প্রথম টেস্ট হেরে গেলেন রোহিতরা। ৩৬ বছর পর ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের কাছে টেস্ট হারল ভারত।
শনিবার ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস ৪৬২ রানে শেষ হওয়ার পর শেষ দিন জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের দরকার ছিল ১০৭ রান। দিনের দ্বিতীয় বলেই সফরকারী দলের অধিনায়ক টম লাথামকে (শূন্য) আউট করেন যাসপ্রিত বুমরাহ। দিনের শুরুতে উইকেট পেয়েও চাপ ধরে রাখতে পারেননি ভারতীয় বোলাররা। নিউজিল্যান্ডের অপর ওপেনার ডেভন কনওয়ে এবং তিন নম্বরে নামা উইল ইয়াং সাবলীলভাবে এগিয়ে নিয়ে যান দলের ইনিংস। ইনিংসের ১৩তম ওভারে কনওয়েকে (১৭) আউট করে প্রতিপক্ষ শিবিরে আবার আঘাত হানেন বুমরাহ। তাতেও লাভ হয়নি। রাচিন রবীন্দ্র জুটি বাঁধেন ইয়ংয়ের সঙ্গে। দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে তারা দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেন। সাবলীলভাবে দলের ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান তারা।
মোহাম্মদ সিরাজ, রবীন্দ্র জাদেজা নিউজিল্যান্ডের ব্যাটারদের তেমন সমস্যায় ফেলতে পারেননি। তবু কিছুটা বিস্ময়করভাবে দলের দুই প্রধান স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও কুলদীপ যাদবকে প্রথম দেড় ঘণ্টায় আক্রমণেই আনলেন না রোহিত। স্পিনের বিরুদ্ধে নিউজিল্যান্ডের প্রায় সব ব্যাটারেরই দুর্বলতা রয়েছে। তাও রোহিত কুলদীপকে প্রথম আক্রমণে আনেন ইনিংসের ১৯তম ওভারে। ততক্ষণে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের ২২ গজের সঙ্গে মানিয়ে নেন ইয়ং ও রাচিন। ফলে কুলদীপও বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে সিরিচের প্রথম টেস্টে দলকে জেতালেন দুই কিউই ব্যাটার। রাচিন ব্যাট করলেন ওয়ানডে মেজাজে। নিউজিল্যান্ড যখন জয় থেকে মাত্র ১০ রান দূরে, তখন অশ্বিনকে প্রথমবার আক্রমণে আনলেন রোহিত।
শেষ পর্যন্ত ইয়ং ৪৮ ও রাচিন ৩৯ রানে অপরাজিত থাকলেন। ভারতের পক্ষে উইকেট পেলেন শুধু বুমরাহ। তিনি ২৯ রান খরচ করে ২ উইকেট নিলেন। প্রথম টেস্ট হেরে তিন টেস্টের সিরিজ়ে ০-১ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ল ভারত।
অনলাইন ডেস্ক :
২০২৩ সালের ৩ অক্টোবর আল হিলালের হয়ে শেষ গোল করেছিলেন নেইমার। প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে এটাই এতো দিন ছিল তাঁর সবশেষ কোনো গোল। সৌদি ক্লাবের হয়ে গোলের পর কেটে গেছে প্রায় দেড় বছর। অবশেষে গোলের অপেক্ষা ফুরোল নেইমারের।
অ্যাগুয়া সান্তার বিপক্ষে ক্যাম্পেওনাতো পাউলিস্তা টুর্ণামেন্টে আজ বাংলাদেশ সময় সকালে খেলেছে সান্তোস। ভিলো বেলমিরো স্টেডিয়ামে ১২ মিনিটে বক্সের ভেতর ড্রিবল করে ঢুকতে গিয়ে ফাউলের শিকার হয়েছেন নেইমার। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজালে ১৪ মিনিটে স্পটকিক থেকে গোল আদায় করে নেন ব্রাজিলের এই ফরোয়ার্ড। এই গোলে তাঁর ফুরিয়েছে ৫০২ দিনের অপেক্ষা। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের গোলখরা কাটানোর দিনে জিতেছে তাঁর দলও। অ্যাগুয়া সান্তাকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে সান্তোস। ২৬ ও ৭০ মিনিটে থাচিয়ানো ও গিলার্মে করেছেন সান্তোসের অপর দুই গোল। অ্যাগুয়া সান্তার একমাত্র গোল ৪৩ মিনিটে করেন নেতিনহো।
ব্রাজিলের জার্সিতে সর্বোচ্চ ৭৯ গোলের রেকর্ড নেইমারের। তাঁরই কি না গোল পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৫০০ দিনেরও বেশি। তাতে অবশ্য ব্রাজিলের ফরোয়ার্ডের দায় কম। কারণ, তাঁর চেয়ে সময়টা কেটেছে চোটের সঙ্গে যুদ্ধ করতে করতে। এমন অবস্থায় আল হিলাল এ বছরের জানুয়ারিতে চুক্তি বাতিল করেছিল। সৌদির এই ক্লাবে ২০২৩ সালে পিএসজি ছেড়ে দুই বছরের চুক্তিতে গিয়েছিলেন। বার্ষিক ১০ কোটি ৪০ লাখ ডলারের চুক্তি করা হয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটা ১২৭৭ কোটি ২৭ লাখ টাকা। তবে সৌদি ক্লাবে সব মিলে খেলতে পেরেছিলেন ৭ ম্যাচ।
আল হিলালের সাথে সম্পর্ক শেষ হওয়ার পর নেইমার ফেরেন তাঁর শৈশবের ক্লাব সান্তোসে। ১২ বছর পর ব্রাজিলের ক্লাবটিতে ফিরলেও জয় পাচ্ছিলেন না কিছুতেই। সান্তোসে ফেরার পর নেইমারের প্রথম তিন ম্যাচের দুটিই ড্র হয়েছে। একটিতে হেরেছে সান্তোস। অবশেষে আজ তাঁর গোলখরা কাটানোর দিনে জিতলো সান্তোস। জয়ের পর নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে অ্যাগুয়া সান্তার বিপক্ষে জয়ের কিছু মুহূর্তের ছবি পোস্ট করেছেন ব্রাজিলের এই ফরোয়ার্ড।
চলারপথে রিপোর্ট :
“এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলায় প্রতিপাদ্য মধ্যে দিয়ে আজ ১৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা থেকে দিনব্যাপী তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে ক্রীড়া পরিদপ্তর কর্তৃক বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচি ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের জেলা ক্রীড়া অফিসের ব্যবস্থাপনায় অনুর্ধ্ব-১৬ জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া অফিস আয়োজিত সিক্সার্স ক্রিকেট প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মোঃ সাইফুল ইসলাম।
জেলা ক্রীড়া অফিসার মাহমুদা আক্তারের সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে বক্তব্যে রাখেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ সামছুর রহমান, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মাহফুজা আখতার।
আনিছুল হক রিপনের উপস্থাপনায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দায়িত্ব প্রাপ্ত কোচ রুহুল কুদ্দুছ শামীম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ক্রিকেট কোচিং একাডেমীর কোচ মোঃ শামীম ভূইয়া, ক্রিকেট আম্পায়ার মোঃ আজিম, মোঃ বাবু, মোঃ কামাল, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস্ স্কুল এন্ড কলেজের ক্রীড়া শিক্ষক মোঃ আব্বাস উদ্দিন, বিশিষ্ট ফুটবলার ইয়াকুব।
এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় এবং রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, আমাদেরকে দেশ ও পৃথিবীর সাথে নিজেকেও বদলাতে হবে তাহলেই আমাদের সফলতা আসবে।
তিনি বলেন, আমাদের সমাজ থেকে ময়লা আবর্জনা পরিস্কার করতে হবে এবং মাদকের মতো বিভিন্ন কুফল থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, শরীরচর্চা, সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য দিয়ে উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে যখন গড়ে তুলতে পারবো তখনই আমরা দেশ এবং পৃথিবী বদলাতে পারবো। তারুণ্যে উৎসবের এই ক্রিকেট প্রতিযোগিতা ১১টি দল অংশ গ্রহণ করেন। দিনব্যাপী খেলা শেষে বিজয়ী এবং রানার্স আপদের মাঝে পুরস্কার বিতরন করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
ডাকেটের ইতিহাস গড়া ব্যাটিংয়ে রেকর্ড রান তুলল ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার সামনে ৩৫২ রানের বিশাল লক্ষ্য। শুরুতেই তাদের ব্যাটিং লাইনে আঘাত করে সহজ জয়ের আশাও হয়তো করেছিল ইংলিশরা। কিন্তু সময় গড়াতেই ধীরে ধীরে ম্যাচ হাত ফসকে বেরিয়ে যেতে থাকে। তাদের ওপর চড়াও হন জশ ইংলিস। তাতে প্রতিযোগিতার ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান করেও হারতে হলো ইংল্যান্ডকে। ১৫ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের রেকর্ড গড়া জয় পেল অস্ট্রেলিয়া। ৩৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ট্র্যাভিস হেড (৬) ও স্টিভ স্মিথের (৫) উইকেট তুলে নেয় ইংল্যান্ড। অজি শিবিরে শুরুতেই আঘাত হানেন জোফরা আর্চার ও মার্ক উড। তবে ম্যাথু শর্ট ও মার্নাস লাবুশেনের জুটি স্বস্তিতে ফেরায় অজিদের। দুইজনে মিলে গড়েন ৯৫ রানের জুটি। লাবুশেন ৪৫ বলে ৪৭ রান করে আদিল রশিদের বলে আউট হন। হাফ সেঞ্চুরি করা শর্টও তাকে অনুসরণ করে মাঠ ছাড়েন। ৬৬ বলে ৯ চার ও ১ ছয়ে ৬৩ রান করে লিভিংস্টোনের শিকার হন এই ওপেনার।
দলীয় ১৩৬ রানে চার উইকেট পড়লে কিছুক্ষণের জন্য ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারায় অস্ট্রেলিয়া। এরপর ১১৬ বলে ১৪৬ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে দলকে পথে ফেরান অ্যালেক্স ক্যারি ও ইংলিস। ৩৮তম ওভারে রশিদের বলে আর্চারের হাত ফসকে জীবন পেয়ে ক্যারি দুটি রান নিয়ে হাফ সেঞ্চুরিতে পৌঁছান।
ব্রাইডন কার্স ১৪৬ রানের এই জুটি ভাঙলে ইংল্যান্ড ভেবেছিল তারা ম্যাচে ফিরেছে। কিন্তু ক্যারি ৬৩ বলে ৬৯ রানে পেসার ব্রাইডন কার্সকে উইকেট দিলেও ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন ইংলিস। ৪৫তম ওভারের তৃতীয় বলে আর্চারকে ছক্কা মেরে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করেন ইংলিস। অন্য প্রান্ত থেকে সময় সুযোগ বুঝে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে রানের ব্যবধান কমাতে থাকেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও।
৪৭তম ওভারে লিভিংস্টোন ম্যাক্সওয়েলের ক্যাচ নিলেও আর্চারের বল কোমরের ওপরে থাকায় নো বল হয়। ফ্রি হিট থেকে ছক্কা মারেন এই অজি ব্যাটার। ৪৭.৩ ওভারে ছক্কা মেরে দলকে জয়ের বন্দরে নেন ইংলিস। ৮৬ বলে ৮ চার ও ৬ ছয়ে ১২০ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ৩৬ বলে ৭৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ৩২ রান করেন ম্যাক্সওয়েল। তার ১৫ বলের ক্যামিওতে ছিল চারটি চার ও দুটি ছয়।
রেকর্ড রান করেন ডাকেট
এর আগে টস জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় অস্ট্রেলিয়া। বেন ডারশুইসের আঘাতে সাজঘরে ফেরেন ফিল সল্ট (১০) ও জেমি স্মিথ (১৫)। ৪৩ রানে ২ উইকেট হারানোর ধাক্কা দ্রুত সামলে নেয় ইংলিশরা।
তৃতীয় উইকেটে ১৫৮ রানের জুটি গড়েন জো রুট ও ডাকেট। ৭৮ বলে চার চারে ৬৮ রান করে অ্যাডাম জাম্পার বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন রুট। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়তে থাকলেও ডাকেটের ব্যাটে শক্ত ভিত গড়ে ইংল্যান্ড। ৯৫ বলে ১১ চার ও ১ ছয়ে শতক হাঁকান এই ওপেনার।
ডেথ ওভারে সেভাবে রান তুলতে পারেনি ইংল্যান্ড। শেষ ১০ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে ৮৩ রান যোগ করে তারা। ১৩৪ বলে ১৫০ রান করেন ডাকেট। তাকে ফেরান মার্নাস লাবুশেন। ১৪৩ বল খেলে ১৭ চার ও ৩ ছয়ে ১৬৫ রান করে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অভিষেক রাঙান ডাকেট। তৃতীয় সেঞ্চুরির ইনিংসকে ক্যারিয়ার সেরা বানিয়েছেন ডাকেট, আগের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ ছিল ১০৭ রান। প্রতিযোগিতার ইতিহাসে এটা সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসও।
শেষ দিকে ১০ বলে ২১ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে দলীয় স্কোর সাড়ে তিনশ পার করেন আর্চার। তার সঙ্গে ১ রানে অপরাজিত ছিলেন আদিল রশিদ। সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন ডারশুইস। দুইটি করে উইকেট নেন জাম্পা ও লাবুশেন।
অনলাইন ডেস্ক :
ভুটানকে হারিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশের যুবারা। ১১ মে রবিবার ভারতের অরুনাচল স্টেডিয়ামে ভুটানকে ৩-০ গোলে হারিয়ে শেষ চারে ওঠে লাল-সবুজের জার্সিধারিরা।
ম্যাচ শেষে কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন বলেন, আমি প্রথমেই অভিনন্দন জানাই আমার ছেলেদেরকে দুর্দান্ত একটা ম্যাচ খেলার জন্য। আজকের ম্যাচটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল, যেহেতু মালদ্বীপের সাথে দুর্ভাগ্যবশত আমরা ড্র করেছি। তো ছেলেরা তাদের শতভাগ দিয়ে আজকে ৩ পয়েন্ট অর্জন করেছে। এটা আমার বিশ্বাস ছিল যে, ছেলেরা আসলে এটা করতে পারবে। এবং ছেলেরা তাদের দেশপ্রেম থেকে তারা তাদের সর্বোচ্চ দিয়ে খেলে নাইন্টি মিনিটস গেমস ডমিনেট করেই তারা জয়লাভ করেছে।