অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও এর উপরের পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ আবারও বেড়েছে। ক্ষমতার মেয়াদ আরো ৬০ দিন বাড়িয়ে আজ ১২ জানুয়ারি রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব সমপদমার্যাদার কমিশন্ড কর্মকর্তাদের সারা বাংলাদেশে বিশেষ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করা হলো। এই ক্ষমতা ১৪ জানুয়ারি থেকে ৬০ দিনের জন্য অর্পণ করা হয়েছে। এর আগে গত ১৫ নভেম্বর তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ দুমাস (৬০ দিন) বাড়ানো হয়েছিল। সেই মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১৩ জানুয়ারি মঙ্গলবার।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশের আকাশে ২৮ মে বুধবার পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ২৯ মে বৃহস্পতিবার ১৪৪৬ হিজরি সনের জিলহজ মাস গণনা শুরু হবে। জিলহজ মাসের ১০ তারিখ, অর্থাৎ ৭ জুন বাংলাদেশে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।
২৮ মে বুধবার সন্ধ্যায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্ম উপদেষ্টা প্রফেসর ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। সভায় দেশের বিভিন্ন জেলা প্রশাসন, আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাঠ পর্যায়ের কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে চাঁদ দেখা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চাঁদ দেখা যাওয়ার তথ্য জানাতে টেলিফোন ও ফ্যাক্স নম্বর খোলা রাখা হয়েছিল। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চাঁদ দেখা যাওয়ার তথ্য আসায় দ্রুত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব, চাঁদ দেখা কমিটির সদস্যরাসহ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
রমজানের পরে ইবাদেতের সবচেয়ে বড় মৌসুম হলো জিলহজের প্রথম দশক। রাসুল (সা.) বলেছেন, আল্লাহর নিকট অন্য যেকোনো সময়ের আমলের চেয়ে জিলহজের প্রথম দশকের আমল অধিক প্রিয় [সহিহ বুখারি]।
অনলাইন ডেস্ক :
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ১০ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় দোকান কর্মচারী শাহজাহান আলীকে (২৪) হত্যার অভিযোগে করা মামলায় এ রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে।
১৪ আগস্ট বুধবার তাদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদের আদালত ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
নিউমার্কেট থানা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় পাপোশের দোকানের কর্মচারী শাহজাহান আলীকে হত্যায় সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হককে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নৌপথে পলায়নরত অবস্থায় রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গত ১৬ জুলাই কোটাবিরোধী আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় পাপোশের দোকানের কর্মচারী শাহজাহান আলীকে হত্যার অভিযোগে তার মা আয়শা বেগম (৪৫) একটি মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয় অজ্ঞাতনামা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঐতিহ্যবাহী শত বছরের স্কুল পরশুরাম সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষ সংকটে ক্লাস করতে হচ্ছে পুরনো জরাজীর্ণ ভবনে। ভবনটির টিনের চাল ফুটো থাকায় অনর্গল বৃষ্টির পানি পড়ে শ্রেণিকক্ষে। ফলে বাধ্য হয়ে শিক্ষার্থীদের ছাতা মাথায় দিয়ে ক্লাস করতে হচ্ছে।
যারা ছাতা ব্যবহার করছেন না তাদের বই, খাতা ও স্কুল ব্যাগ বৃষ্টির পানিতে ভিজে যাচ্ছে। সরকারি এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির এ দুরাবস্থার কারণে অনেক শিক্ষার্থী ক্লাস করতে আসছেন না বলে জানা যায়।
স্কুলটি নতুন একটি ভবন থাকলেও সেখানে রয়েছে শ্রেণিকক্ষ সংকট। শ্রেণি কক্ষ সংকটের কারণে ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পুরাতন আধা পাকা টিনসেডের কক্ষে পাঠদান করানো হচ্ছে।
শ্রেণি কক্ষে গিয়ে দেখা যায় টিনের চাল ফুটো থাকায় সরাসরি বৃষ্টির পানি পড়ছে শ্রেণিকক্ষে। ফলে অনেকটা বাধ্য হয়েই শ্রেণি কক্ষের বেশীর ভাগ শিক্ষার্থী ছাতা মাথায় দিয়ে ক্লাস করছে।
স্কুল সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে পরশুরাম সরকারি পাইলট হাই স্কুলে। স্কুলের নতুন ভবনের দ্বিতীয় তলায় রয়েছে প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষকদের অফিস কক্ষ। নিচ তলায় শুধুমাত্র তিনটি শ্রেণিকক্ষ রয়েছে। বাধ্য হয়েই পুরাতন টিনসেডের কক্ষে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কাজ চালিয়ে নিতে হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক জানান, বেশ কয়েক বছর ধরেই জরাজীর্ণ টিনসেডের বিল্ডিং শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাচ্ছেন তারা। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানির কারণে শিক্ষার্থীদের ক্লাস করানো অনেকটা কষ্টকর ব্যাপার।
অভিভাবকরা জানান, শ্রেণিকক্ষে পানি পড়ায় তাদের সন্তানরা স্কুলে যেতে রাজি হচ্ছে না। স্কুলটির অধিকাংশ ক্লাসরুমের অবস্থায় খুবই জরাজীর্ণ। একটু বৃষ্টি হলেই চালের পানি গড়িয়ে ভেতরে পড়ে। বৃষ্টি একটু বেশি হলেই শিক্ষার্থীদের ছাতা কিংবা পলিথিন মাথায় দিয়ে বসতে হয়।
পরশুরাম সরকারি পাইলট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান চৌধুরী আসিফ বলেন, ঝুকিপূর্ণ বোঝার পর শিক্ষার্থীদের এ ভবনে ক্লাস করাতে হচ্ছে। বিষয়টি ইতিপূর্বে স্থানীয় সংসদ সদস্যকে একাধিকবার অবহিত করা হয়েছে। পুরাতন টিনসেডটি সংস্কারের জন্যও কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া পাইনি। তাই এই বৃষ্টির মধ্যে বাধ্য হয়েই পুরাতন টিনসেডে ক্লাস নিতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. সফিউল আলম তালুকদার বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত। বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষ সংকট থাকায় বাধ্য হয়ে জরাজীর্ণ ভবনে ক্লাস চলছে। নতুন ভবন নির্মান করা হলে এই সমস্যার সমাধান হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সৈয়দা শসসাদ বেগম বলেন, ঘটনাটি আমি আজই প্রথম জেনেছি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। সরেজমিন দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সর্বজনীন পেনশন স্কিম আমরা দিয়েছি, এটা সকলের জন্য। এটা আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল, ২০০৮ এর নির্বাচনী ইশতেহারে। যেটা আমরা করতে পেরেছি।’
আজ ৭ জুলাই রবিবার যুব মহিলা লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গণভবনে সংগঠনটির নেতাকর্মীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু সরকারি চাকরিজীবী তারাই পেনশন পায় আর বাকিরা বঞ্চিত থাকে। কাজেই কেউ যাতে বঞ্চিত না থাকে সেজন্য এই পেনশন স্কিমে বিভিন্ন স্তর দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি মনে করি, আমাদের যুব মহিলা লীগের প্রত্যেকেই এই সর্বজনীন পেনশন স্কিমে যুক্ত হতে পারো। যুক্ত হতে পারো নিজেদের একটা ভবিষ্যতের জন্য।’
তিনি বলেন, ‘যখন মানুষের বয়স হয়ে যাবে বা তারা কর্মক্ষম থাকবে না এর মাধ্যমে তাদের জীবন-জীবকা নির্বাহের জন্য একটি নিশ্চিত অর্থ প্রাপ্তির সুযোগ রয়েছে। এটা কিন্তু আজীবন পাবে। আমি মনে করি যারা আমাদের রাজনীতির সাথে যুক্ত তাদের এ ধরনের পেনশন স্কিমে ঢোকা দরকার।’
আর যারা একেবারে প্রান্তিক বা নিম্ন আয়ের মানুষ রয়েছে তাদের জন্য এতে বিশেষ প্রণোদণা দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এর আগে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে নেতৃবৃন্দ ফুল দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানান। অনুষ্ঠানে যুব মহিলা লীগের ওয়েবসাইটও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০০২ সালের ৬ জুলাই আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের এক ঝাঁক সাবেক নেত্রীকে নিয়ে যুব মহিলা লীগ গঠন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
খুবই নিস্তব্ধ ও সুনসান নীরব দুলালপুর গ্রামটি। লালমাটির ওপর তৈরি পাঁকা সড়ক দিয়ে ভেতরে ঢুকলেই দুই পাশে দেখা যায় হরেক রকমের বাগান। আর সেখানেই স্থানীয় আলমগীর ভূঞা গড়ে তুলেছেন চায়না থ্রি জাতের কমলার বাগান। বাগানজুড়ে ধরে আছে অনেক রঙিন কমলা। গত বছরও এ বাগানে প্রচুর কমলা ধরেছিল। দ্বিতীয়বারের মতো বাগানে কমলার বাম্পার ফলন হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণপুর ইউনিয়নের একটি গ্রাম দুলালপুর। ২০১৯ সালে বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণপুর ইউনিয়নে চায়না জাতের কমলা বাগানের যাত্রা শুরু হয়। প্রবাসফেরত আলমগীর ভূঞা এই এলাকায় সর্বপ্রথম চায়না থ্রি জাতের কমলার বাগান চাষের উদ্যোগ নেন। পরীক্ষামূলক চাষেই তিনি লাভবান হয়েছেন। ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে দুলালপুরের এই কমলা বাগান। বিভিন্ন হণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, গত মৌসুমে আলমগীর ভূঞা ১৩ লাখ ৬৫ হাজার টাকার কমলা বিক্রি করেছিলেন। কমলা বাগানে কর্মরত মো. রাসেল গণমাধ্যমকে বলেন, এ বছর আলমগীর ভূঞা দুই বিঘা জমিতে চায়না থ্রি জাতের কমলার চাষ করছেন। বিশাল এই বাগানে রয়েছে ১৭৫টি গাছ। তবে বাগানে পরিচর্যা ও যত্নে দিতে হয় অক্লান্ত শ্রম ও অর্থ। দুই বিঘা জমির কমলা চাষে খরচ পড়েছে সাড়ে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা। গত বছরের তুলনায় যত্ন ভালো হওয়ায় ও স্থানীয় কৃষি অফিসারের সঠিক পরামর্শে ১৬ খেকে ১৭ লাখ টাকার কমলা বিক্রি হবে বলে আশা রাসেলের। জানা যায়, আলমগীর মিয়ার চাষ দেখে অনেকেই এখন কমলা চাষে উদ্বুদ্ধ হয়েছে। বাণিজ্যিকভাবে বিষ্ণপুর গ্রামে এখন পাঁচজন কমলাচাষ করছেন। তারা হলেন—ছতুরপুর গ্রামের খোকন মিয়া, মহেশপুর গ্রামের নুরুজ্জামান, কালু মিয়া, ইগরতলির তৈয়বুর রহমান।
কথা হয় আরেক কমলা চাষি মহেশপুর গ্রামের নুরুজ্জামানের সঙ্গে। তিনি জানান, প্রবাস থেকে ফিরেছেন চার বছর আগে। এলাকায় ফিরেই চাষাবাদ শুরু করেন। গত মৌসুমে আলমগীর মিয়াকে দেখেই নতুন উদ্যোক্তা হয়ে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা খরচ করে তিন বিঘা জমিতে চায়না থ্রি জাতের রঙিন কমলা চাষ করেন। নতুন উদ্যোক্তা হিসেবে ভালো মুনাফা হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন নুরুজ্জামান।
বাগানে প্রবেশ করলেই বাশের বেড়া দিয়ে বানানো হয়েছে একটি ছোট ঘর। তার পাশেই টেবিল চেয়ার ও মাপ নির্ধারণের জন্য ডিজিটাল মেশিন নিয়ে বসে রয়েছেন বাগানের কর্মরত লোকজন। পাশেই একটি বিশাল ঝুড়িতে রাখা আছে কমলা। বাগানে ঘুরতে আসা দর্শনার্থী অথবা কমলা নিতে আসা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করতেই ঝুড়িতে কমলাগুলো বাছাই করে রাখা হয়েছে। ব্যবসায়ী অথবা দর্শনার্থী সবার কাছ থেকে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় রঙিন কমলা। তবে অনেকেই আবার ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে। সেই কমলাগুলো পাকাপোক্ত হওয়ার আগেই এমন দরে বিক্রি করছে। বাগানের ভেতর ঢুকতেই দেখা মিলে মনোমুগ্ধকর অপূর্ব দৃশ্য। বাগানজুড়ে ধরে আছে অনেক কমলা। প্রতিটি গাছের থোকায় থোকায় সবুজ পাতার ফাঁকে যেন রঙিন কমলাগুলো উঁকি দিচ্ছে।
বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণপুর ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল উদুদ জানান, বিজয়নগর কৃষিতে সম্ভাবনাময় একটি উপজেলা। এ উপজেলায় নানা সবজি ও ফলমূল আবাদ হচ্ছে। ইতোমধ্যে এ অঞ্চলের লিচুর খ্যাতি পুরো দেশজুড়ে। কাঁঠাল, পেয়ারা, ড্রাগন, আম, আনারস, বড়ই, গ্রিন মাল্টা চাষ হচ্ছে। এরই মধ্যে চায়না কমলা চাষ শুরু হয়। বাণিজ্যিকভাবে নতুন করে কমলা চাষে অনেকেই আগ্রহী হচ্ছেন। এখন পর্যন্ত ৯ বিঘা জমিতে চায়না কমলা আবাদ করেছেন পাঁচজন কৃষক। এ বছর বিষ্ণপুর ইউনিয়নের এই পাঁচ বাগানে ২৫ লাখ টাকার কমলা বিক্রি লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। তবে আশা করি সেটি ছাড়িয়ে যাবে এবং সামনে কমলার বাগান আরও বাড়বে বলে কৃষি বিভাগ মনে করেন।
এদিকে কমলা বাগানগুলো এখন ভ্রমণের স্থান হিসেবে রূপ নিয়েছে। রঙিন কমলার স্বাদ নিতে ভ্রমণপিপাসুরা আসছেন প্রতিনিয়ত। বাগান পরিদর্শন শেষে টাটকা কমলা ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে বাড়ি। কমলা বাগানের এমন দৃশ্য দেখতে প্রতিনিয়ত ভিড় জমান দর্শনার্থীরা।
বাগানে ঘুরতে আসা এক দম্পতি জানান, ফেসবুকের ছবি দেখে বাগানে এসেছেন নিজের চার বছরের ছেলেকে নিয়ে। কমলা বাগান দেখে অনেকটাই মুগ্ধ হয়েছেন। এই বাগানের কমলা খেতে নাকি বেশ সুস্বাদু বলে জানান তিনি।