প্রাকৃতিক ভাবে ঘন করুন ভ্রু

লাইফস্টাইল, 13 January 2025, 704 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, পুষ্টির অভাব এবং অতিরিক্ত পরিমাণে চিকন করে ভ্রু প্লাক করার কারণে অনেকেরই ভ্রু পাতলা হতে পারে। এজন্য সময় নিয়ে যত্ন নিতে পারলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। ঘরে বসেই প্রাকৃতিক ভাবে পাতলা ভ্রু ঘন করবেন, জেনে নিন সেসব উপায়।

banner

* পেঁয়াজের রস নতুন চুল গজাতে ভালো কাজ করে। ভ্রু ঘন করতেও এই রসের জুড়ি নেই। পেঁয়াজের রস বের করে তুলোর বলের সাহায্যে ভ্রুতে লাগান। শুকিয়ে গেলে আরও কয়েক প্রলেপ লাগাতে পারেন। নিয়মিত পেঁয়াজের রস ব্যবহার করলে ভ্রু ঘন হবে।

* পাতলা ভ্রুতে ঘৃতকুমারীর রস লাগাতে পারেন। কেননা নতুন চুল ও ভ্রু গজাতে এ রসে থাকা বিভিন্ন উপাদান সাহায্য করে।

* অলিভ অয়েল, ভিটামিন ই অয়েল ও ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে তুলোয় করে ভ্রুতে লাগান। এতেও ভ্রু ঘন হবে খুব তাড়াতাড়ি।

* ক্যাস্টর অয়েল ভ্রু ঘন করতে সাহায্য করে। আঙুলে ক্যাস্টর অয়েল মাখিয়ে ভ্রুতে মাসাজ করুন। এরপর ৩০ মিনিট রেখে দিন। পরে কুসুম গরম পানি ও ক্লিনজারের সাহায্যে ধুয়ে নিন।

* ল্যাভেন্ডার তেলও খুব উপকারী। নিয়মিত ব্যবহার করলে ভ্রুর লোম পড়া বন্ধ হবে। ভ্রু ঘনও হবে। এছাড়া ডায়েটে রাখুন পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন, ভিটামিন এ, ই এবং কে, আয়রন, জিঙ্ক, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম। সবুজ শাকসবজি, ফল খেতে হবে বেশি করে। বেশি চিনি দেয়া খাবার খাওয়া চলবে না। অতিরিক্ত ভাজাভুজি খাওয়াও ছাড়তে হবে।

Leave a Reply

গাজীপুরে মামা হত্যার আসামি ভাগিনা গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : গাজীপুরে আনিসুর রহমান হত্যার মামলার আসামি ভাগিনা Read more

সদর মডেল থানায় যোগদান করেই কঠোর…

সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য : আজহারুল ইসলাম সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

চলারপথে রিপোর্ট : ফ্ল্যাট বাসা থেকে শরীর মীর (৪০) নামের Read more

নাসিরনগরে বাবাকে হত্যার ঘটনায় ছেলে আটক

চলারপথে রিপোর্ট : নাসিরনগরে আলম মিয়া (৬০) নামের এক ব্যবসায়ী Read more

আখাউড়ায় খেলাফত মজলিসের প্রার্থীর মতবিনিময়

মোঃ ইসমাইল: ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের খেলাফত মজলিস মনোনীত প্রার্থী Read more

৫০ কেজি গাঁজাসহ একজন গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : ৫০ কেজি গাঁজা ও ১টি সিএনজি উদ্ধারসহ Read more

কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপদসীমায়, জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের…

অনলাইন ডেস্ক : বর্ষার শেষপ্রহরে নেমে আসা অবিরাম বৃষ্টি ও Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার নতুন ওসি আজহারুল…

চলারপথে রিপোর্ট : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে Read more

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে…

অনলাইন ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ঐতিহাসিক Read more

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : কুমিল্লার দাউদকান্দি বারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) Read more

মেক্সিকোতে যাত্রীবাহী বাসে ট্রেনের ধাক্কায় ১০জন…

অনলাইন ডেস্ক : মেক্সিকোর আটলাকোমুলকো শহরে একটি পণ্যবাহী ট্রেন ও Read more

কানাডায় বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

মুমিনুল হক : কানাডার টরেন্টোতে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। Read more

আজ ‘বিশ্ব গোলাপ’ দিবস

লাইফস্টাইল, 7 February 2025, 609 Views,

হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
মানুষের মনকে জয় করার শুভেচ্ছা বার্তা মানেই ফুল। হোক প্রেমিক-প্রেমিকা বা প্রিয়জন। আর সেই ফুলের নামই হচ্ছে গোলাপ। আজ ৭ ফেব্রুয়ারি সেই ফুলের ‌‘বিশ্ব গোলাপ’ দিবস। এই ফুলের রয়েছে কয়েকটি রং। তবে সম্পর্কের ভেদেই দিতে হবে এই ফুল। তাই জেনে নেয়া যাক কোন গোলাপ কাকে দিবেন।

banner

১. সাদা গোলাপ– ক্ষমা চাওয়ার প্রতীক।
২. কমলা গোলাপ– পছন্দ জানানোর প্রতীক।
৩. হলুদ গোলাপ– বন্ধুত্বের প্রতীক।
৪. গোলাপি গোলাপ– সেরা বন্ধুত্বের প্রতীক।
৫. লাল গোলাপ– ভালোবাসার প্রতীক।

উল্লেখ্য, ৭ ফেব্রুয়ারি ছাড়াও প্রতিবছর ২২ সেপ্টেম্বর বিশ্ব গোলাপ দিবস পালন করা হয়। সারা বিশ্ব জুড়ে ক্যানসার রোগীদের জন্য উৎসর্গ করা হয় দিনটি। এর সূত্রপাত ১৯৯৪ সালে কানাডায়।

যে ৪ জিনিস ঘুমানোর সময় দূরে রাখবেন

লাইফস্টাইল, 23 January 2025, 583 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
কিছু জিনিস আছে, যেগুলো রাতে ঘুমানোর সময় আশপাশে বা বালিশের কাছে রাখলে অনেক ক্ষতি করতে পারে। এগুলো শুধু ঘুমের ওপরই নয়, আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

banner

সারা দিনের ক্লান্তির পর যে জিনিসটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, তা হলো প্রশান্ত ও গভীর ঘুম। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা প্রায়শই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো ঘুম পাওয়ার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।

এটি লক্ষণীয় যে এতে শুধু ঘুমের ঘণ্টাই গুরুত্বপূর্ণ নয়, ঘুমানোর উপায়টিও সমান গুরুত্বপূর্ণ।

আপনার কাছে একটু অবাক লাগতে পারে যে বিছানায় ঘুমাচ্ছেন, কিন্তু তার চারপাশের জিনিসগুলো আপনার ঘুম ও স্বাস্থ্যকে কীভাবে প্রভাবিত করে। কিন্তু, হ্যাঁ। আপনি প্রতিদিন ঘুমানোর সময় এমন কিছু জিনিস আপনার আশেপাশে রাখেন, যেগুলো আপনার ক্ষতি করতে পারে।

কী সেই জিনিস, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
ইলেকট্রনিক ডিভাইস না রাখা
আজকাল স্মার্টফোন, ল্যাপটপ ও ট্যাবলেটের মতো ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলো আমাদের জীবনের এমন গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে যে অনেকেই এগুলো থেকে কয়েক মিনিটের দূরত্বও সহ্য করতে পারেন না। এ ক্ষেত্রে ঘুমানোর সময় এই ডিভাইসগুলো আপনার বিছানা থেকে দূরে রাখুন। এই ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলো নীল আলো ও ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ নির্গত করে, যা শুধু আপনার ঘুমকে প্রভাবিত করে না, সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর।
কাজের জিনিস না রাখা

সারাদিন কাজ করার পর ক্লান্ত বোধ করে যখন বিছানায় আসেন, তখন সাধারণত কাজ ভুলে যেতে চান এবং একটি ভালো ঘুম পেতে চান। এমন অবস্থায় ঘুমানোর আগে নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনার বিছানার আশেপাশে অফিস বা অন্য কোনো কাজ সংক্রান্ত কোনো জিনিসপত্র রাখা নেই।

আসলে এর পিছনে একটি বিশুদ্ধ মনস্তাত্ত্বিক কারণ রয়েছে। যখন কাজের সঙ্গে সম্পর্কিত জিনিসগুলো আপনার চারপাশে উপস্থিত থাকে, তখন মনোযোগ কাজের দিকে চলে যায়। এটি মানসিক চাপ ও খারাপ ঘুমের কারণও হয়।
অকেজো জিনিস না রাখা
ভালো ও গভীর ঘুমের জন্য আশপাশের পরিবেশও একই রকম হওয়া উচিত। এমন পরিস্থিতিতে ঘুমানোর আগে ঠিকমতো বিছানা প্রস্তুত করতে মাত্র পাঁচ মিনিট ব্যয় করুন। এ জন্য বিছানায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জিনিসগুলো ঠিক করুন। বিছানা থেকে অপ্রয়োজনীয় জিনিস সরিয়ে ফেলুন এবং দূরে রাখুন। আশেপাশে নোংরা বাসন, ময়লা কাপড়, ওষুধ, কাগজপত্র বা খাবারের জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলে সেগুলো ভালোভাবে ঘুচিয়ে তবেই ঘুমাতে যান। এতে ঘুমের সময় ভালো লাগবে এবং ঘুমও ভালো হবে।

নরম খেলনা নিয়ে ঘুমাবেন না
শুধু শিশুরা নয়, বর্তমানে প্রাপ্তবয়স্করাও কখনো কখনো ঘুমানোর সময় তাদের সঙ্গে একটি বড় টেডি বিয়ার বা কিছু নরম খেলনা রাখেন। এই অভ্যাস স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, নরম খেলনাগুলোতে প্রচুর ধুলাবালি ও আর্দ্রতার কারণে, ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণু জমে থাকে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। তবে প্রিয় সফট টয় ছাড়া ঘুমাতে না পারলে নিয়মিত পরিষ্কার করুন। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

অ্যাভাসকুলার নেক্রোসিস বা হাড় নষ্ট হয়ে যাওয়া রোগ

লাইফস্টাইল, 8 January 2025, 859 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
১. অ্যাভাসকুলার নেক্রোসিস এমন একটি রোগ যা হাড়ের স্থায়ী বা অস্থায়ীভাবে রক্ত সরবরাহ বন্ধের ফলে হয়। রক্ত সরবরাহ বন্ধ হলে হাড়ের টিস্যু মারা যায় এবং হাড় ভেঙে যায়। যখন কোন জয়েন্ট যেমন হিপ জয়েন্ট এর কাছাকাছি হয় তখন জয়েন্টের পৃষ্ঠটি ভেঙে যেতে পারে। এই অবস্থা যেকো হাড়ে হতে পারে এটি সাধারণত লম্বা হাড়ের শেষ মাথায় হয়। সাধারণত ১টি হাড়, একই সময়ে অনেক হাড় অথবা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন হাড়কে ক্ষয়গ্রস্থ করে।

banner

২. কোথায় কোথায় নেক্রোসিস হতে পারেঃ
গোড়ালি
চোয়ালে
হাটুতে
হাতের হিউমেরাস ও কাধের জয়েন্টে
পায়ের ফিমার ও হিপ জয়েন্টে

৩. অ্যাভাসকুলার নেক্রোসিসের কারণঃ
কোন কারণে জয়েন্টে আঘাত পেলে
জয়েন্ট ভেঙে গেলে
কোনো কারনে রক্তনালী ক্ষতিগ্রস্থ হলে
দীর্ঘদিন ধরে কর্টিকোস্টেরয়েড ঔষুধ সেবন করলে
দীর্ঘদিন ধরে এবং অতিরিক্ত মদ্য পান করলে
দীর্ঘদিন ধরে কোন রোগে আক্রান্ত হলে যেমনঃ ডায়াবেটিস
রক্তে কোন রোগ থাকলে। সিকেল সেল অ্যানিমিয়া লিউকেমিয়া
রেডিয়েশনের বা কেমোথেরাপি কারণে
এইচআইভি / এইডস রোগের জন্য ।
অটো ইমিউন রোগের জন্য
হাইপার লিপিডেমিয়ার কারণে
হাইপার কোয়াগুলেবেল অবস্থায় থাকলে
প্যানক্রিয়াটাইটিস, গাউচার রোগ, সিস্টেমেটিক লুপাস ইরাইথিম্যাটাস রোগ থাকলে
কোন অঙ্গ প্রতঙ্গ প্রতিস্থাপন করলে
জয়েন্ট ডিসলোকেশন

৪. রোগের লক্ষণঃ
হাঁটাচলা করার সময় ব্যাথা লাগা
পায়ে টান লাগা
সিঁড়ি বেয়ে ওঠার সময় ব্যথা অনুভব করা
দাঁড়ানোর সময় ব্যথা অনুভব করা
হাটু ভেঙে বসতে না পারা
আক্রান্ত অঙ্গ ছোট হয়ে যাওয়া
কুচকিতে উরুতে, নিতম্বে ব্যথা হওয়া
বিশ্রাম নেওয়ার সময় ব্যথা অনুভব হওয়া
ক্রস পায়ে বসতে না পারা

৫.রোগ নির্ণয়ঃ
এক্স-রে
এমআরআই
সিটি স্ক্যান
হাড়ের স্ক্যান
বাইওপসি
হাড়ের কার্যকারিতা পরীক্ষা

৬. চিকিৎসাঃ
এ রোগের চিকিৎসা কিছু বিষয়ের উপর নির্ভর করে, যেমনঃ বয়স,রোগের পর্যায়, হাড়ের ক্ষতির পরিমান।

নন সার্জিক্যাল চিকিৎসাঃ
আক্রান্ত স্থানে ঠান্ডা বা গরম সেঁক, কিছু ননস্টেরয়েডাল এন্টি ইনফ্লামেটরি ঔষধ, ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা এবং পুনর্বাসন এবং বিশ্রাম কার্যকর।

সার্জিক্যাল চিকিৎসাঃ
কোর ডি কম্প্রেশন ( Core Decompression)
হাড় গ্রাফটিং (Bone Grafting)
অস্টিওটমি (Osteotomy)
সম্পূর্ণ হিপ জয়েন্ট প্রতিস্থাপন (Total Hip Joint Replacement)

৭. জটিলতাঃ
চিকিৎসা করা না হলে, এই রোগ ধীরে ধীরে খারাপ রূপ ধারণ করে, অ্যাভাসকুলার নেক্রোসিসের ফলে হাড়ের মসৃণ আকৃতি নষ্ট হয় ফলে আর্থ্রাইটিস হতে পারে। ব্যথা বা অন্য কোন লক্ষণ প্রকাশ পেলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের শরনাপন্ন হতে হবে।

লেখক: ডা. মো. সফিউল্যাহ প্রধান, ফিজিওথেরাপি, ডিজএবিলিটিস ও রিহেবিলিটেশন স্পেশালিস্ট, সহযোগী অধ্যাপক (আইআইএইচএস) ও কনসালটেন্ট ডিপিআরসি, শ্যামলী, ঢাকা।

সকালে লেবু-পানি খেলে মিলবে যেসব উপকার

লাইফস্টাইল, 5 February 2025, 519 Views,

অনলাই ডেস্ক :
দিনটা আপনি কখন এবং কিভাবে শুরু করছেন তার ওপর নির্ভর করে অনেক কিছু। সকালে আপনি নাশতা কী খেয়ে শুরু করছেন তা ঠিক করে দেয় সারাদিন আপনি কতটা এনার্জি পাবেন। সে কারণে ভোরে উঠেই আপনি কী খেয়ে দিন শুরু করছেন, বিশেষজ্ঞরা তার ওপর জোর দেন।

banner

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপনার ভোর যদি হয় খালি পেটে পানি খেয়ে, তাহলেই তা দুরন্ত শুরু। কিন্তু এর সঙ্গে যদি যোগ করেন কুসুম গরম লেবু–পানি, তবে তা আরও ভালো। বলা হয়, খালি পেটে গরম পানি হজমশক্তি বাড়ায়, জোগায় তাৎক্ষণিক শক্তি। সঙ্গে নানা স্বাস্থ্যসুবিধা তো আছেই। এর সঙ্গে মাত্র এক চা–চামচ লেবুর রস যোগ করলে এই পানীয় অঙ্ক গুণাবলীতে ভরপুর হয়ে ওঠে। কুসুম গরম লেবু–পানি স্বাস্থ্যের কী কী উপকার করে, চলুন জেনে নেওয়া যাক: হজম স্বাস্থ্যের উন্নতি: বলা হয়, একদিকে কুসুম গরম পানি আমাদের হজমপ্রক্রিয়া উদ্দীপিত করে, অন্যদিকে লেবুর রস পিত্তরসের উৎপাদন বাড়ায়। ফলে কুসুম গরম লেবু–পানি শরীরকে খাদ্য ভাঙতে সাহায্য করে হজম সহজ করে।

ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য: বিশেষজ্ঞদের মতে, লেবুর রসে প্রচুর সাইট্রিক অ্যাসিড থাকে। এটি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে যকৃৎকে আরও কার্যকর করে তোলে। অন্যদিকে গরম পানিও শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিয়ে ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে। শরীরে জলযোগ করে: সারা রাত অনাহারে থাকার পর সকালে আমাদের শরীর পানিশূন্যতায় ভোগে। এ সময় কুসুম গরম লেবু–পানি শরীরে পানিযোগ করে আমাদের সতেজ ও প্রাণবন্ত করে তোলে, যা সারা দিনের রসদ জোগায়।

ওজন কমাতে সাহায্য করে: এটা প্রমাণিত যে লেবুর রসে পেকটিন নামের একধরনের আঁশজাতীয় উপাদান থাকে, যা আমাদের ক্ষুধা কমায়। যখন এর সঙ্গে গরম পানি যুক্ত হয়, তখন তা শরীরকে আরও পরিপূর্ণ থাকার অনুভূতি দেয়। এভাবে কুসুম গরম লেবু–পানি ওজন কমাতে ভূমিকা রাখে। ত্বককে করে উজ্জ্বল দীপ্তিময়: লেবু ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে পূর্ণ। এসব শরীরের কোষ ধ্বংসকারী ফ্রি র?্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করে, ত্বকের দাগ দূর করে এবং ত্বককে করে স্বাস্থ্যকর উজ্জ্বল ও দীপ্তিময়। প্রচুর পানি খেলেও শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের হয়, ত্বকে আসে উজ্জ্বল আভা। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়: লেবুর ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়।

শরীরকে ঠান্ডা-সর্দিসহ বিভিন্ন রোগের হাত থেকে রক্ষা করে। দেহকে ক্ষারীয় করে: লেবুর স্বাদ অম্লীয় হলেও এর ক্ষারীয় ধর্ম আছে। এটি শরীরকে ক্ষারীয় করে বিপাকক্রিয়ায় ভূমিকা রাখে। এই পানি পিএইচের মাত্রা ঠিক রেখে অম্লের সমস্যা দূর করে। বাসায় যেভাবে কুসুম গরম লেবু–পানি বানাবেন: প্রথমে একটি পাত্রে কিছু পানি কুসুম গরম করুন। তা গ্লাসে ঢেলে এর মধ্যে ১ টেবিল চামচ লেবুর রস যোগ করুন। ভালোভাবে নাড়ুন। ব্যস, এবার খেয়ে ফেলুন!

কিছু নিয়ম মেনে চলে নিজেকে রাখুন চিরতরুণ

লাইফস্টাইল, 27 July 2024, 918 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
আজকাল যৌবন ধরে রাখতে, সুন্দর দেখাতে নারী-পুরুষ সবাই দারুণ আগ্রহী। কাজেই পোশাক, চুল, ত্বক ও দাড়ির স্টাইল সময়ের সঙ্গে মিলিয়ে চলতে এবং নিজেকে তরুণ দেখাতে অনেক কিছুই করতে হয়। তবে কি এসবই শেষ সমাধান? মোটেও এমনটা নয়। রূপ বোদ্ধাদের মতে, ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে এবং নিজেকে চিরতরুণ রাখার জন্য ছোট ছোট কিছু নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন। স্কিন কেয়ার রুটিন ও স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইলই উজ্জ্বল-তারুণ্যদীপ্ত ত্বকের ইচ্ছা পূরণ করবে।

banner

প্রাথমিক স্কিন কেয়ার : ভিটেন-হ্যার্ডেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্বক বিশেষজ্ঞ উলরিকে হাইনরিশ বলেন, ‘বয়স বাড়া মানেই কোনো কিছু পরিত্যাগ করা নয়। বয়সের সঙ্গে সৌন্দর্য হারাতে হবে- এমন কোনো কথা নেই। বয়সের সঙ্গে ত্বক পাতলা এবং শুষ্ক হয়। তাই এমন ক্রিম বা কসমেটিক ব্যবহার করতে হবে যাতে ভিটামিন এ, সি এবং ই-থাকে। আর হ্যাঁ, ত্বক ভালো রাখতে প্রাথমিক স্কিন কেয়ার রুটিন মেনে চলা প্রয়োজন। না হলে ত্বকের সমস্যা বাড়তে পারে। এমনকি বয়সের ছাপ পড়ে ত্বকে।

প্রাত্যহিক ত্বকের পরিচর্যা
প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে শুতে যাওয়ার আগে প্রথমে মুখ ভালোভাবে ক্লিনজিং করুন। তারপর প্রাকৃতিক টোনার ও ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।

সানস্ক্রিন কখনো ভুলবেন না। রোদের ক্ষতিকারক রশ্মি ত্বকের ক্ষতি করে। ফটোএজিং ঘটায়। ফলে সময়ের আগেই ত্বক বুড়িয়ে যায়। তাই মেঘলা দিনেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত।

বয়স ৩০ পেরোলেই অ্যান্টি-এজিং স্কিন কেয়ার রুটিন ফলো করা উচিত। রেটিনল, AHA সমৃদ্ধ প্রোডাক্ট ত্বকে ব্যবহার করতে হবে। সৌন্দর্যচর্চায় আগের ট্রেন্ড ফিরে এসেছে। অর্থাৎ গাছগাছালির পাতা, রস, শেকড় ইত্যাদির তৈরি ভেষজ ক্রিম, পাউডার, তেল ব্যবহার করতে পারেন।

অসময়ে ত্বকে বলিরেখা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। শারীরিক সমস্যা বা পুষ্টির অভাবেও এমন হতে পারে। সঠিকভাবে ত্বকের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি আপনাকে জীবনশৈলীর দিকেও নজর দিতে হবে। বিশেষ করে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে।

পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করাও জরুরি। রাতে অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম দরকার। নিয়মিত ব্যায়াম করতে ভুলবেন না। এই ছোট ছোট নিয়মগুলো মেনে চললেই আপনিও পাবেন চিরতরুণ ত্বক।

লেখা : উম্মে হানি