চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য একাডেমীর উদ্যোগে বিশিষ্ট রাজনীতিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, ক্রীড়া সংগঠক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম ডাঃ মোঃ ফরিদুল হুদার ২৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ ১৩ জানুয়ারি সোমবার শহরের শেরপুর মাঠে এক গুটিদাড়া খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
সাহিত্য একাডেমীর সভাপতি কবি জয়দুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত খেলা উদ্বোধন করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি, ড্যাবের কেন্দ্রীয় নেতা, সোসাইটি অব নিউরোলজিস্ট অব বাংলাদেশের সদস্য সচিব মরহুম ডাঃ মোঃ ফরিদুল হুদার সুযোগ্য পুত্র ডাঃ নাজমুল হুদা বিপ্লব।
আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা, টিভি জার্নালিস্ট সভাপতি আল আমিন শাহীন, সাধারণ সস্পাদক মফিজুর রহমান লিমন।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাহিত্য একাডেমির পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা আসরারুন নবী মোবারক, সাংবাদিক শাহাদত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন, মোঃ আক্তার হোসেন, জামিলুর রহমান, মাঈন উদ্দিন জান্নাত, তৌফিক, ইফাজ, মোজাম্মেল, শাহালম প্রমুখ।
দিবস উপলক্ষে কামাউড়া গ্রামবাসীর উদ্যোগে এক প্রীতি ক্রিকেট খেলা অনুষ্ঠিত হয়। তালশহর ইউনিয়নের মেম্বার আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাঃ নাজমুল হুদা বিপ্লব। উপস্থিত ছিলেন সাবেক মেম্বার সৈয়দ আলী, আফজাল হোসেন ভূইয়া প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের আয়োজনে আজ ১৫ ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সকাল ১১ টায় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সহ-সভাপতি নিয়াজ মুহাম্মদ খাঁন বিটুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি খ.আ.ম রশিদুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, সাহিত্য একাডেমীর সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধের গবেষক কবি জয়দুল হোসেন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আহবায়ক অ্যাডভোকেট আবদুন নূর, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী, সাবেক-সহ-সভাপতি সৈয়দ আকরাম হোসেন, সাবেক-সহ-সভাপতি মফিজুর রহমান লিমন, প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিহাব উদ্দিন বিপু, সাবেক কোষাধ্যক্ষ মোঃ আশিকুল ইসলাম, জিটিভির জেলা প্রতিনিধি জহির রায়হান, যমুনা টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম, এশিয়ান টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার হাবিবুর রহমান পারভেজ। স্বাগত বক্তব্য প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, পাকিস্তানী শাসকরা যুদ্ধে তাদের নিশ্চিত পরাজয় আঁচ করতে পেরে বিজয়ের মাত্র দুইদিন আগে বাংলাদেশকে মেধাশুন্য করার জন্য দেশের সূর্যসন্তান বুদ্ধিজীবীদেরকে হত্যা করেছে। কিন্তু আমাদের দূর্ভাগ্য স্বাধীনতার ৫২ বছর পরে আমাদের দেশে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা করা হয়নি। এখনো হয়নি রাজাকারদের তালিকা। বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ বলেন, মহান স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও এখন নতুন করে মুক্তিযোদ্ধা বানানো হচ্ছে।
বক্তারা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে সাংবাদিক ও সংস্কৃতিকর্মীদের ভূমিকা ছিলো অপরিসীম। সাংবাদিকরা পাকিস্তানী শাসকদের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠন করেছিলেন।
বক্তারা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে মুক্তিযোদ্ধারা দীর্ঘ ৯ মাস পাকিস্তানী সেনাদের সাথে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে এই দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। কিন্তু যে স্বপ্ন ও আকাক্সক্ষা নিয়ে এই দেশকে স্বাধীন করা হয়েছিলো, সেই স্বপ্ন এখনো পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। স্বাধীন দেশে এখনো বৈষম্য রয়ে গেছে। দেশে দিন দিন কোটিপতির সংখ্যা বাড়ছে। বক্তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি অসাম্প্রদায়িক ও বৈষম্যহীন দেশ গঠনে সবাইকে দেশেপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে একসাথে কাজ করার আহবান জানান।
বক্তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে বধ্যভূমি চিহ্নিত করা, শহিদ বুদ্ধিজীবীদের পূর্নাঙ্গ তালিকা, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকারদের তালিকা তৈরীর করার আহবান জানান।
আলোচনার সভার আগে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সকল মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন বেলাল, সংস্কৃতি ও তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোজাম্মেল চৌধুরী, একাত্তর টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি জালাল উদ্দিন রুমি, খোলা কাগজের জেলা প্রতিনিধি রতন, জাগো নিউজের জেলা প্রতিনিধি আবুল হাসনাত রাফি, দেশ িেটিভর জেলা প্রতিনিধি মেহেদি নূর পরশ, দৈনিক বাংলার জেলা প্রতিনিধি মাজহারুল করিম অভি, প্রতিদিনের বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি ইফতেয়ার রিফাত, আমার সময়ের জেলা প্রতিনিধি আল-মামুন, বাংলাদেশের আলোর জেলা প্রতিনিধি মাঈনুদ্দিন রুবেল, চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের জেলা প্রতিনিধি প্রকাশ দাস প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শহরের ঐতিহ্যবাহী নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সম্প্রসারিত ভবনের উদ্বোধন, অভিভাবক সমাবেশ ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২০ ফেব্রুয়ারি সোমবার বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ভবনের উদ্বোধন ও আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ও মাউশির সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ফাহিমা খাতুন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, শুধু ভাল ফলাফল অর্জন করলেই চলবেনা, তোমাদেরকে একবিংশ শতাব্দির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিশ^ নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। পাশাপাশি অভিভাবক ও শিক্ষকমন্ডলীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষা প্রসারে অত্যন্ত গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তাই আপনাদেরকে আরো নিবিড় পরিচর্চার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদেরকে গড়ে তুলতে হবে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ হামজা মাহমুদ, সাবেক অধ্যক্ষ বিভূতি ভূষন দেবনাথ, সাবেক অধ্যক্ষ অমৃত লাল সাহা, নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি এস,আর,এম ওসমান গণি, অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজমিন।
স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সম্মানিত সভাপতি এস. আর. এম ওসমান গণি।
এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ, ম্যানেজিং কমিটির সদস্যবৃন্দ ও অভিভাবক মন্ডলী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক সৈয়দ মোহাম্মদ তফছির ও শেখর চন্দ্র চৌধুরী। পরে মেধাবী শিক্ষার্থীদের ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫০ জন প্রতিবন্ধীর হাতে আম ও কাঁঠাল তুলে দেওয়া হয়েছে। ১ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রতিবন্ধীদের সংগঠন ড্রিম ফর ডিজঅ্যাবিলিটি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আ. কুদদূস। শোকের মাস আগস্ট এর প্রথম দিন উপলক্ষে এই আয়োজন করা হয়।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা হেদায়েতুল আজিজ মুন্নার সঞ্চালনায় ফল বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের উপদেষ্টা সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল বাবু। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কাউছার আহমেদ, হিসাব কর্মকর্তা গোলাম কাউছার, সহকারী প্রকৌশলী সবুজ কাজী, নগর পরিকল্পনাবিদ জান্নাতুল ফেরদৌস, সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী সুমন দত্ত, উপ-সহকারী প্রকৌশলী সোহেল রানা, সাংবাদিক আ ফ ম কাউছার এমরান, আজিজুর রহমান পায়েল।
অনুষ্ঠানে মোট ৫০ জন প্রতিবন্ধীর হাতে আম ও কাঁঠাল তুলে দেওয়া হয়। এছাড়া শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে ক্রীড়া সংগঠক আব্দুল জলিল নামে এক প্রতিবন্ধীর চিকিৎসার জন্য ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। বিডি অ্যানিমেল হেলথ, স্বপ্নতরী ও মৌসুমী প্রেস নামে তিনটি প্রতিষ্ঠানে এই আয়োজনে সহযোগিতা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রজন্মকে উজ্জীবিত করতে ‘১৯৫২ ভাষা আন্দোলন থেকে ১৯৭৫ এ জাতির পিতার নির্মম হত্যাকান্ড পর্যন্ত প্রকৃত ইতিহাস প্রজন্মকে শিক্ষার সুযোগ দিতে হবে। তিনি আজ ১ জুন বৃহস্পতিবার খ্রীষ্ট্রিয়ান মিশন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জেলাপরিষদের অর্থায়নে নির্মিত ভাষা শহীদের স্মরণে শহীদ মিনার উদ্বোধনকালে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে এই অভিমত ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ব্যাপটিষ্ট মিশন ইনচার্জ ফাদার টাইটাস দাস গুপ্ত জয়, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নিরুপমা কর্মকার ও টমাস তুহীন দাস প্রমুখ মিশনের গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ও শিক্ষকমন্ডলী উপস্থিত ছিলেন।