অনলাইন ডেস্ক :
পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে বাংলাদেশি দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৭ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় সাওজছে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আহতরা।
ব্যক্তিগত সমস্যার জের ধরে ১২ জানুয়ারি রবিবার স্থানীয় সময় বিকেলে এই হামলার ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন তারেক আহমেদ, সুমন (মিলফোন্তেজ), সামসুজ্জামান, গ্লিলমান, জামিল, জুবেল।
হামলার ব্যাপারে লিসবন প্রবাসী আব্দুস সালাম বলেন, আমি যতদূর জানি পর্তুগালের বেজা শহর বিএনপির সিনিয়র সভাপতি কামিল আহমেদ জন্মদিনের দাওয়াত দেওয়াকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে এবং লিসবনে এই নিয়ে দুই পক্ষের কথা কাটাকাটির এক সময়ে সংঘর্ষ হয়।
এ বিষয়ে পর্তুগাল বিএনপির সদস্য সচিব ছায়েফ আহমেদ সুইটের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, বিএনপিতে কোনো সন্ত্রাসীর ছাড় নেই। যারা এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাতে জড়িত কেউই পর্তুগাল বিএনপির কোন পদধারী নেতৃবৃন্দ না। তবে এই ঘটনায় পর্তুগাল বিএনপির কেউ এই রকম সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জরিত হলে সাংগঠনিক ভাবে যথাযত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, দুই পক্ষের এই হামলার ঘটনায় পর্তুগালের বাংলাদেশ কমিউনিটিতে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পাশাপাশি বাংলাদেশি এলাকায় রুয়াদো বেনফর্মোসোতে সারা দিন পর্তুগীজ টিভি চ্যানেল ও পুলিশের উপস্থিতি চোখে পরার মতো।
অনলাইন ডেস্ক :
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিকের একটি ভিডিও। যেখানে দেখা যায় ইংরেজি ভাষাভাষি এক ব্যক্তির সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়েছেন ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক। তুমুল বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে তাকে বলতে শোনা যায় ‘আমি বাংলাদেশি নই, আমি একজন ব্রিটিশ এমপি।’ এখানে স্পষ্টভাবেই বোঝা যায় বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া কিছু বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করায় তিনি এমনটি বলেছেন।
শুধু এতটুকুই নয় ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি দেখে ধারণা করা যায়, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি এবং তার খালা সাবেক প্রধানমন্ত্রী হাসিনার কথা জিজ্ঞেস করায় মেজাজ হারান টিউলিপ।
এসময় সেই ব্যক্তিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, সতর্ক হোন, ওসব ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। আমি বাংলাদেশি নই, আমি একজন ব্রিটিশ এমপি।
এদিকে ঢাকায় পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের মামলায় সম্প্রতি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে বাংলাদেশের আদালত।
মূলত ফ্যাসিস্ট হাসিনা ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের সময় গণহত্যা চালিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে প্রকাশ পেতে থাকে তার পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতির চিত্র।
এদিকে, লন্ডনে নিজের বাড়ির বাইরে বাংলাদেশে জারি হওয়া গ্রেফতারি পরোয়ানার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে টিউলিপ বলেন, তিনি “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচারের শিকার।”
অন্যদিকে, শুধু এই এক অভিযোগই নয় দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকে আরো বেশ কিছু দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে এই ফ্যাসিস্ট হাসিনার এই ভাগ্নির বিরুদ্ধে।
অনলাইন ডেস্ক :
দক্ষিণ আফ্রিকার সোয়াজিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের ইসোয়াতিনি শহরে বাসিন্দা গিয়াস উদ্দিন মিয়া (৫২) নামে এক ব্যবসায়ী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের মৃগী গ্রামের মৃত হাজী শফিউল্লাহ মিয়ার পঞ্চম সন্তান গিয়াস উদ্দিন।
আজ ১১ এপ্রিল শুক্রবার বিকেলে নিহত প্রবাসীর মেজো ভাই দাউদ মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বাংলাদেশ সময় ১০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ইসোয়াতিনিতে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি।
এ ঘটনায় নিহতের দুই ছেলে সিয়াম মিয়া (১২) ও রায়হান মিয়া (১০) আহত হয়েছেন। এর আগে ২০১৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় আততায়ীদের হাতে গিয়াস উদ্দিনের ছোট ভাই ইউসুফ মিয়াও মারা যান।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সাল থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার সোয়াজিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের ইসোয়াতিনি শহরে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন গিয়াস উদ্দিন মিয়া (৫২)। তিনি সেখানে একটি শপিং সেন্টারের ব্যবসা করতেন।
১০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দুই ছেলেকে নিয়ে জার্মানী ঘুরতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন গিয়াস। সেজন্য ওই শহরের ভিসা সেন্টার থেকে ভিসার আবেদন শেষে ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার নিজে চালিয়ে বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় একটি মালবাহী লরির সাথে ধাক্কা লেগে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। এ সময় গাড়িতে থাকা তার দুই ছেলে আহত হয়। তারা সুস্থ্য আছে বলে জানা গেছে।
নিহতের মেজো ভাই দাউদ মিয়া জানান, কয়েকবছর আগে তার স্ত্রীর সাথে ডিভোর্স হয়ে যায়। এরপর গিয়াস আর বিয়ে করেননি। বর্তমানে দুই ছেলেকে নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকতেন।
তিনি আরো জানান, আমরা ৭ ভাইয়ের মধ্যে দুই ভাই দক্ষিণ আফ্রিকায় মারা গেল।
২০১৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর সবার ছোট ভাই ইউসুফ মিয়া আততায়ীদের হাতে নিহত হয়। তিনিও ব্যবসা করতেন। এখন আরেক ভাইও মারা গেল, তার লাশ আনার ব্যবস্থা চলছে।
হাসান :
মাহে রমজান উপলক্ষে পর্তুগালের প্রবাসী ব্যবসায়িক, সামাজিক, রাজনৈতিক, আঞ্চলিক, সাংবাদিক নেতৃবৃন্দসহ দেশী বিদেশি অতিথিদের সম্মানে আলোচনা সভা, দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে পর্তুগালে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের নিয়ে গঠিত সংগঠন মোরারিয়া বিজনেস ফোরাম।
গতকাল ১৬ মার্চ রবিবার লিসবনের রোমাস্থ লিটন টার্কিশের হল রুমে প্রায় তিনশ’ অতিথিদের নিয়ে আয়োজিত ইফতার পূর্বক সংক্ষিপ্ত আলোচনায় সংগঠনের আহ্বায়ক আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মাসুম আহমদ এবং সদস্য ইকবাল আহমদ কাঞ্চনের যৌথ সঞ্চালনায় পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত এবং রমজানের তাৎপর্য নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন মাওলানা কায়েছ আহমদ আব্দুল্লাহ।
প্রধান অতিথি ছিলেন লিসবনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের দূতালয় প্রধান এস এম গোলাম সরওয়ার, পর্তুগাল বাংলাদেশ কমিউনিটির প্রবীণ ব্যক্তিত্ব পর্তুগাল ফ্রেন্ডশিপ অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট রানা তাসলিম উদ্দীন, প্রেসক্লাবে সভাপতি রনি মোহাম্মদ, তরুণ উদ্যোক্তা রনি হোসাইন, আব্দুল মুকিত চৌধুরী সেলিম, মিনহাজ, রাসেল আহম্মেদ, শাহাব উদ্দীন, এনামুল হক, শহীদ আহমেদ প্রিন্স, হাফিজ আল আসাদ।
উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমরান খান, যুগ্ম সদস্য সচিব আহমেদ লিটন, সদস্য ডাল্টন জহির, আনোয়ার হোসেন, সুমন হোসেন, লাবনী খাতুন, মোরারিয়া ব্যবসায়ী, পর্তুগাল বাংলা প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দসহ পর্তুগালের ব্যবসায়িক, সামাজিক, রাজনৈতিক, আঞ্চলিক নেতৃবৃন্দ। ইফতার পূর্বে মুসলিম উম্মার শান্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
নিউইয়র্কে বাঙালী অধ্যুষিত ব্রঙ্কসের বাংলাবাজার জামে মসজিদের প্রস্তাবিত নতুন বহুতল ভবণ নির্মানের জন্য ফান্ডরেজিং লাঞ্চ ২২ ডিসেম্বর রবিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী ঈদুল আযহার দিন প্রায় ৫ মিলিয়ন ডলার প্রাক্কলিত ব্যয়ে বেসমেন্টসহ ৬ তলা বিশিষ্ট ভবণ নির্মান কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। নিউইয়র্কের লংআইল্যান্ডে একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত এ ফান্ডরেজিং অনুষ্ঠানে উপস্থিত সুধীবৃন্দ মসজিদের নতুন ভবণ নির্মানে অর্থ প্রদানসহ সার্বিক সহযোগিতায় তাদের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
বাংলাবাজার জামে মসজিদের ফান্ডরেজিং কমিটির চেয়ারম্যান আলমাছ আলীর সভাপতিত্বে এবং মসজিদের সাধারণ সম্পাদক লালন আহমেদ ও মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক হাফিজ বদরুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাবাজার জামে মসজিদের সভাপতি ডা. আবদুস সবুর।
অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে বক্তব্য রাখেন জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের ইমাম মাওলানা মির্জা আবু জাফর বেগ ও বাংলাবাজার জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আবুল কাশেম মোহাম্মদ ইয়াহইয়া।
তারা মসজিদকে ইবাদত বন্দেগীর সর্বশ্রেষ্ট স্থান হিসেবে উল্লেখ করে কুরআন-হাদীসের আলোকে মসজিদ নির্মাণের গুরুত্ব তুলে ধরেন। ইহকাল-পরকালের কল্যাণে সহীভাবে ইসলাম পরিপালনের দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য প্রদান করেন। তারা মসজিদের আর্থিক সহযোগিতায় এগিয়ে আসার জন্য সকলের নিকট অনুরোধ জানান।
মসজিদের সভাপতি ডা. আবদুস সবুর নতুন জায়গায় বহুতল মসজিদ ভবণ করার যৌক্তিকতা তুলে ধরে বলেন, স্থান সংকুলানের অভাবে বর্তমান মসজিদে জুমার নামাজে দু’টি পৃথক জামাত অনুষ্ঠিত হয়। তার পরও স্থান সংকুলান না হওয়ায় মুসল্লীদের বাইরে জুমার নামাজ আদায় করতে হয়। এজন্য এ প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি মসজিদের আর্থিক সহযোগিতায় এগিয়ে আসার জন্য সকলের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানান।
ফান্ডরেজিং কমিটির চেয়ারম্যান আলমাছ আলী ফান্ডরেজিং অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে মসজিদ নির্মাণে সবার সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে ব্রঙ্কসের ১৩৫১ ওডেল স্ট্রিটে বাংলাবাজার জামে মসজিদের প্রস্তাবিত নতুন বহুতল ভবন নির্মান কাজের বিষয়টি তুলে ধরে বলা হয়, মসজিদের ক্রয়কৃত পার্শ্ববর্তী ৫ হাজার স্কয়ারের খালি জায়গায় নতুন বহুতল ভবন নির্মান কাজ শুরু করার পর পর্যায়ক্রমে পুরো প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। আগামী ঈদুল আজহার দিন প্রায় ৫ মিলিয়ন ডলার প্রাক্কলিত ব্যয়ে বেসমেন্টসহ ৬ তলা বিশিষ্ট ভবণ নির্মান কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে।
আলমাছ আলী ইউএসএনিউজঅনলাইন.কমকে জানান, অনুষ্ঠানে সুধী ও মুসল্লীরা বাংলাবাজার জামে মসজিদের নতুন ভবণ নির্মানের জন্য অর্থ প্রদানের প্রতিশ্রুতিসহ সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
ফান্ডরেজিং অনুষ্ঠানে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন কমিটির সহ-সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ আবু সাঈদ।
বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সোসাইটি সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম, বাংলাবাজার মসজিদের প্রধান উপদেষ্টা মো. ফখরুল ইসলাম, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ দলা মিয়া ও ডা. মোহাম্মদ শাহ আলম, মসজিদের লাইফ মেম্বার ডা. রুমানা সবুর, ডা মাসুম, ডা. কাদের, ডা. জুয়েল, ফান্ডরেজিং কমিটির সদস্য আব্দুল হাশেম হাসনু ও সামাদ মিয়া জাকারিয়া, মসজিদ কমিটির সহ সভাপতি মোহাম্মদ এ হাসান, সহ সাধারণ সম্পাদক শামিম উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ ইকবাল হোসেন, সহ কোষাধ্যক্ষ সোহেল চৌধুরী, কার্যকরী সদস্য আজিজুল হক, ওয়ালিউর রহমান, লাইফ মেম্বার আকশাদ আলী বাবুল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে মসজিদের কার্যকরী, উপদেষ্টা ও ফান্ডরেজিং কমিটি, মুসল্লীসহ সুধীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন মসজিদের কার্যকরী, উপদেষ্টা ও ফান্ডরেজিং কমিটির সদস্যরা।
শেষে বাংলাবাজার জামে মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলহাজ গিয়াস উদ্দিনের আত্মার মাগফেরাত ও বিশ্ব মানবতার শান্তি কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়। মসজিদের জন্য সাহায্য পাঠাবার ঠিকানা : বাংলাবাজার জামে মসজিদ ইনক, ১৩৫১, ওডেল স্ট্রিট, ব্রঙ্কস, নিউইয়র্ক – ১০৪৬২, ফোন : ৩৪৭-২৯৩-৫৮৫৮।
বাংলাবাজার জামে মসজিদ ইনক্, চেজ ব্যাংক এন.এ. হিসাব নং : ১৭৮ ৭৩২ ৯০৬, রাউটিং নং : ০২১০০০০২১ এবং gofundme, Zelle.
উল্লেখ্য, নিউইয়র্কের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবী মরহুম আলহাজ গিয়াস উদ্দিনের প্রচেষ্টায় ব্রঙ্কসে বাঙালীদের অন্যতম ব্যবসা কেন্দ্র স্টারলিং-বাংলাবাজার এলাকায় ২০১২ সালের ১৪ ডিসেম্বর ভাড়া বাড়িতে বাংলাবাজার জামে মসজিদের যাত্রা শুরু হয়। পরের বছরের মাঝামাঝি ৫ লাখ ১০ হাজার ডলার মূল্যে মসজিদের বর্তমান নিজস্ব ভবণটি ক্রয় করা হয়। গত ২০২৩ সালে বাংলাবাজার জামে মসজিদের জন্য ১.৫২৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে মসজিদের পার্শ্ববর্তী ৫ হাজার স্কয়ারের খালি জায়গা ১.৫২৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ক্রয় করা হয়।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
খন্দকার আব্দুল্লাহ একজন বাংলাদেশী-আমেরিকান, বিশ্বের অন্যতম সেরা পুলিশ বিভাগ হিসেবে পরিচিত এনওয়াইপিডি-তে ইন্সপেক্টর পদে পদোন্নতি পেয়েছেন সম্প্রতি ।খন্দকার আব্দুল্লাহই প্রথম বাংলাদেশী-আমেরিকান নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগে এত উচ্চপদে আসীন হলেন। এই পদোন্নতির আগে তিনি ছিলেন একমাত্র বাংলাদেশী ডেপুটি ইন্সপেক্টর। বর্তমানে ইন্সপেক্টর খন্দকার আব্দুল্লাহ নিউইয়র্ক সিটির ৮১তম প্রিসিংক্টে কমান্ডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার অব্যাহত পরিশ্রম তাকে এনওয়াইপিডি-তে প্রধানের পদে উন্নীত করবে বলে আশা করা যায়।
খন্দকার আব্দুল্লাহ একজন অভিবাসী, তিনি ১৯৯৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন। জন জে কলেজ (কিউনি) সিটি ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্ক থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী খন্দকার আব্দুল্লাহ, তার কাজের জন্য ইতিমধ্যে অনেক পুলিশ পদক লাভ করেছেন। সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার তালতলা গ্রামের গর্বিত সন্তান খন্দকার আব্দুল্লাহ, শৈশবে আমেরিকায় এলেও এখনও সাবলীল বাংলায় কথা বলেন। তিনি তার পরিবারের সাথে নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডে বসবাস করেন।
খন্দকার আব্দুল্লাহ ২০০৫ সালের গ্রীষ্মে নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগে যোগদান করেন। কলেজে পড়ার সময় তিনি একটি জব ফেয়ারে দেখেছিলেন যে এনওয়াইপিডি লোক নিয়োগ করছে। প্রথমে অনেকটা কৌতূহলের বশেই তিনি খণ্ডকালীন ইন্টার্ন হিসেবে পুলিশ বিভাগে যোগ দেন। কলেজে পড়ার সময়ই তিনি পুলিশ ক্যাডেট হিসেবে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। অভিবাসী পরিবারের সন্তান হিসেবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে নিজের ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন সেই সময়েই তাকে পেয়ে বসেছিল। খন্দকার আব্দুল্লাহ ২০০৭ সালে পুলিশ অফিসার হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।কমিউনিটি পক্ষ খন্দকার আবদুল্লাহকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ।