অনলাইন ডেস্ক :
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে আগামী ২০ জানুয়ারি শপথ গ্রহণ করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগেই একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া। আজ ১৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, উত্তর কোরিয়া দেশের পূর্ব উপকূল থেকে সমুদ্রের দিকে একাধিক স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ (জেসিএস) বলেছে, স্থানীয় সময় আজ আনুমানিক সকাল সাড়ে ৯টায় ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ শনাক্ত করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, উত্তর কোরিয়ার জাগ্যাং প্রদেশ থেকে এসব ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে।
দেশটির সামরিক বাহিনী বলেছে, এসব ক্ষেপণাস্ত্র ২৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত উড়েছে। উত্তর কোরিয়া আরও ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। উত্তর কোরিয়ার এসব কার্যক্রম শক্তভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে সকল তথ্য যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানের সঙ্গে শেয়ার করা হচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চই সাং-মোক বলেন, উত্তর কোরিয়ার সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার জবাব দেওয়া হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
ইংরেজি নতুন বছর ২০২৪ সালকে সবার আগে বরণ করে নিল নিউজিল্যান্ড। দেশটির অকল্যান্ডের আইকনিক স্কাই টাওয়ার থেকে স্থানীয় সময় মধ্যরাতে ঘড়ির কাটা ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় তাদের উদযাপন।
খবর ডয়েচে ভেল ও বিবিসি। বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায় সেখানে বর্ষবরণের উৎসব শুরু হয়। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে ঘড়ির কাঁটা সবার আগে রাত ১২টা ছুঁয়েছে নিউজিল্যান্ডে।
সময়ের তারতম্যের কারণে নতুন বছরকে আগে বরণ করার সুযোগ পায় এমন দেশগুলোর একটি নিউজিল্যান্ড। নতুন বছরকে আমন্ত্রণ জানানোর উৎসবে মেতে ওঠার ক্ষেত্রে বড় শহরগুলোর মধ্যে অকল্যান্ডের সুযোগ আসে সবার আগে।
নতুন বছরকে বরণ করতে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলের ১ হাজার ফুটেরও বেশি উচ্চতার স্কাই টাওয়ারে ঝুলন্ত একটি বিশাল ঘড়ির সময় দেখে রাত ১২টা বাজার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে সেখানে জড়ো হওয়া মানুষ। শুরু হয় কাউন্টডাউন। আর ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে আকাশে দেখা যায় আতশবাজির বর্ণিল ছটা।
নিউজিল্যান্ডের পাশাপাশি দেশ হওয়ায় একই সময়ে অস্ট্রেলিয়ায় খ্রিস্টীয় নতুন বছরকে স্বাগত জানানো হয়। দেশটির তথা ওশেনিয়া মহাদেশের বৃহত্তম ও জনবহুল শহর সিডনির বাসিন্দারা সাদরে বরণ করে নেয় ইংরেজি নববর্ষকে।
তবে এবার বিশ্বে প্রথম দেশ হিসেবে নববর্ষ শুরু হয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ কিরিবাতিতে।
বিশ্বে সবার আগে ইংরেজি ২০২৪ সালকে স্বাগত জানিয়েছে কিরিবাতি। ইএসএ আর্থ অবজারভেশন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেশটিতে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর ঘোষণা দিয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া সীমান্তের ওপারে ভারতের ত্রিপুরার রাজ্যের আগরতলায় সে দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের সাথে ১ অক্টোবর মঙ্গলবার হওয়া বৈঠকে সীমান্ত হত্যার জোরালো প্রতিবাদ জানিয়েছে বিজিবি। একইসঙ্গে ওই বৈঠকে ভারত থেকে মাদক আসা বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিএসএফের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে বেলা সোয়া তিনটা নাগাদ আগরতলা আইসিপির ল্যান্ড কাস্টমস কনফারেন্স হলে বিজিবি-বিএসএফ কমান্ডার পর্যায়ের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বিজিবি সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল এ এম জাবের বিন জব্বারের নেতৃত্বে ২৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল বৈঠকে অংশ নেয়।
এতে ২৫ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্ণেল ফারাহ মো. ইমতিয়াজসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বিএসএফের পক্ষে ৪২ ব্যাটালিয়ন, ১৫০ ব্যাটালিয়ন, ১০৪ ব্যাটালিয়ন ও ৮১ ব্যাটালিয়নের কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেন।
বিজিবির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে সীমান্তে গুলিবর্ষণ, হত্যা বন্ধ করা, অনুপ্রবেশ রোধ, মাদক ও মানব পাচার প্রতিরোধ এবং চোরাচালানসহ বিভিন্ন আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমন বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা করা হয়। সীমান্ত হত্যার বিষয়ে জোরালো প্রতিবাদ জানায় বিজিবি
সীমান্তবর্তী জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও সীমান্তে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বিজিবি-বিএসএফ একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। সূত্র : কালেরকণ্ঠ
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৫ মেঃ টন আদা আমদানি করা হয়েছে।
আজ ১০ জুলাই সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা স্থলবন্দর হয়ে আদা নিয়ে একটি পিক-আপ আখাউড়া স্থলবন্দর এসে পৌঁছে। আদাগুলো আমদানি করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মেসার্স মদিনা এন্টারপ্রাইজ।
সিএন্ডএফ এজেন্ট সোয়েব ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকার মো: রাজিব উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, মোট ১০ মেঃ টন আদা এলসি করা হয়েছে।
প্রতি টন আদার মূল্য ৪৫০ মার্কিন ডলার করে মোট ৪ হাজার ৫শত মার্কিন ডলার আমদানি করা হচ্ছে। আজ ৫ মেঃ টন আদা বন্দরে এসে পৌঁছেছে।
অনলাইন ডেস্ক :
ভারতে দেশটির উত্তরপ্রদেশের বালিয়া জেলার সারাংপুর গ্রামে মোবাইল থেকে চার্জার খুলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যু হয়েছে এক তরুণীর। তার নাম নিতু (২২)। ১ নভেম্বর রবিবার সকালে এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সকালে বাড়িতে নিজের মোবাইল ফোনটি চার্জের জন্য বসিয়েছিলেন নিতু নামের ওই তরুণী। চার্জ হয়ে যাওয়ার পরে ফোন থেকে চার্জার খুলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তখনই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। তার চিৎকার শুনে আশপাশ থেকে পরিবারের বাকিরা ছুটে আসেন। দেখা যায়, ফোন হাতে কাঁপছেন নিতু। দ্রুত লাঠি জোগাড় করে মোবাইল ফোন থেকে তাকে আলাদা করা হয়।
এরপর মেঝেতেই পড়ে যান তরুণী। তাকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
তবে কীভাবে চার্জার থেকে ওই তরুণী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলেন, তা স্পষ্ট নয়। ওই চার্জারের কোনও তার বেরিয়ে ছিল কি না, কোনও অংশ ছেঁড়া ছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মোবাইল খুলতে যাওয়ার সময়ে তরুণীর হাত ভেজা ছিল কি না তাও রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
স্থানীয় এসএইচও সঞ্জয় সিংহ জানান, হাসপাতালে মৃত অবস্থাতেই নিয়ে আসা হয়েছিল ওই তরুণীকে। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে, মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি থানায়। সূত্র: এনডিটিভি, হিন্দুস্তান টাইমস
অনলাইন ডেস্ক :
জাপানের নাগানো প্রিফেকচারে গুলি ও ছুরিকাঘাতের ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও একজন আহত হয়েছেন। আজ ২৫ মে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর আলজাজিরার।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, নাগানোর প্রত্যন্ত এক অঞ্চলে গুলি ও ছুরি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে তিনজন নিহত হয়েছেন। হামলাকারী ব্যক্তি একটি ভবনের ভেতরে লুকিয়েছেন।
হামলাকারী একটি ক্যাপ, সানগ্লাস এবং একটি মাস্ক পরা অবস্থায় ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
নাকানো সিটি পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সিএনএনকে জানায়, ঘটনার দিন বিকালে তাদের কাছে খবর আসে নাগানোর একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে এক নারী গুরুতর আহত হয়েছেন। এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। ঘটনাস্থলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই দুর্বৃত্ত পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে দুই পুলিশ সদস্য নিহত হন এবং একজন গুরুতর আহত হন।
স্থানীয় পুলিশ ওই এলাকার লোকজনকে আপাতত বাড়ির ভেতরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন অত্যন্ত কঠিন হওয়ায় জাপানে বন্দুক হামলার মতো ঘটনা বিরল। দেশটিতে কেউ অস্ত্র কিনতে চাইলে কঠোর প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে লাইসেন্স পেতে হয়।