অনলাইন ডেস্ক :
২৬তম অস্ট্রেলিয়ান জাতীয় স্কাউট জাম্বুরিতে অংশ নিয়েছেন ৬ জন প্রবাসী স্কাউট লিডার। ৬ থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে অনুষ্ঠিত জাম্বুরিতে ৩৩টি দেশের স্কাউট প্রতিনিধি দল যোগদান করছেন।
জাম্বুরিতে ১২ জানুয়ারি রবিবার বাংলাদেশ স্কাউটস ফাউন্ডেশনের সদস্য ও বাইসাইকেলে বিশ্ব ভ্রমণকারী মো. আলাউদ্দিন আলোক (উডব্যাজার) এর নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি বাংলাদেশি স্কাউটার প্রতিনিধি দল অংশ নেন। টিমের অন্য সদস্যরা হলেন মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান এএলটি, সরদার মোহাম্মদ খালেদ পিএস পিআরএস, মোঃ দেলোয়ার হোসেন উডব্যাজার ও সদস্য, বাংলাদেশ স্কাউটস ফাউন্ডেশন, সরকারী তিতুমীর কলেজের সাবেক সিনিয়র রোভার মেট আব্দুল করিম ভূঁইয়া এবং মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বাপ্পী।
মো. আলাউদ্দিন আলোক জানান, পৃথিবীর ১৭৪টি দেশকে নিয়ে গঠিত বিশ্ব স্কাউট সংস্থা। এর প্রতিটি দেশের স্কাউটরা বিশ্বভ্রাতৃত্ত্বের বন্ধনে আবদ্ধ। বিশ্ব ব্যক্তিত্বের এই বন্ধনকে সুদৃঢ় করতে এবং পারস্পরিক ভাবের আদান প্রদান করতে জাম্বুরিতে অংশগ্রহণ একটি সুবর্ণ সুযোগ। এই জাম্বুরিতে অংশগ্রহণ করে আমরা সুযোগ পেয়েছি বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার।
অনলাইন ডেস্ক :
এশিয়ার দেশ সিঙ্গাপুরে মাত্র এক কেজি গাঁজা পাচার করার চেষ্টার দায়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
ওই ব্যক্তির নাম তাঙ্গারাজু সুপিয়াহ। তার বয়স ছিল ৪৬ বছর। ২০১৮ সালে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন দেশটির আদালত। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৩ সালে মালয়েশিয়া থেকে সিঙ্গাপুরে গাঁজা আনার চক্রান্ত করেছিলেন তিনি।
তবে, এ মৃত্যুদণ্ড যেন কার্যকর করা নয় সেজন্য তার পরিবার, মানবাধিকার কর্মী এমনকি জাতিসংঘের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছিল।
তাঙ্গারাজুর পরিবার জানিয়েছে আজ ২৬ এপ্রিল বুধবার ভোরে চাঙ্গি কারাগারে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
মানবাধিকার কর্মীদের দাবি, গাঁজা পাচারের সঙ্গে তাঙ্গারাজুর সম্পৃক্ততা খুবই কম ছিল এবং তিনি যথাযথ আইনি অধিকার পাননি। তবে সিঙ্গাপুরের সরকার এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, সব আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেই তাঙ্গারাজুর দণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
তাঙ্গারাজুর পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছিলেন, তিনি কখনো ওই মাদক স্পর্শ করেননি এবং তার কাছ থেকে কোনো মাদক পাওয়াও যায়নি। তবে আদালতের বিচারক জানান, তদন্তে পাওয়া গেছে তাঙ্গারাজু এরসঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং ফোন কলের ইতিহাস ঘেটে এর প্রমাণও পাওয়া গেছে।
মাদক নিয়ে বিশ্বের যে কয়েকটি দেশে কঠোর আইন রয়েছে সেগুলোর মধ্যে সিঙ্গাপুর অন্যতম। দেশটির দাবি, মাদককে ঠেকাতে এমন আইনের প্রয়োজনীয়তা আছে।
গত বছর মাদক বিষয়ক অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে সিঙ্গাপুরে ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। যার মধ্যে একজন মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিও ছিলেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তিনি হেরোইন পাচার করেছেন।
সিঙ্গাপুরে মাত্র এক কেজি গাঁজা পাচারের দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলেও, দেশটির প্রতিবেশী থাইল্যান্ডে উল্টো গাঁজার ব্যাপারে উৎসাহিত করা হয়। সিঙ্গাপুরের আরেক প্রতিবেশী মালয়েশিয়া মাত্র এক সপ্তাহ আগে মৃত্যুদণ্ডের বিধানই বাতিল করে দেয়।
অনলাইন ডেস্ক :
রাশিয়ার বিখ্যাত সামাজিক ইনফ্লুয়েন্সার তাতায়ানা ওজোলিনা তুরস্কে একটি ট্রাকের সাথে সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। ৩৪ বছর বয়সী এই মোটরবাইকার ‘রাশিয়ার সবচেয়ে সুন্দরী বাইকার’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন এবং সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয় ছিলেন।
তাতায়ানা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘মোটোতানয়া’ নামেও পরিচিত। ইউটিউবে তার চ্যানেলের ২০ লক্ষেরও বেশি সাবস্ক্রাইবার এবং ইনস্টাগ্রামে ১০ লক্ষের বেশি ফলোয়ার ছিল। বাইক নিয়ে বিশ্বভ্রমণ করে তিনি বিভিন্ন ভিডিও তৈরি করতেন, যা থেকে তিনি বিপুল পরিমাণ আয় করতেন।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যম ‘তুর্কিয়ে টুডে’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, তাতায়ানা তুরস্কের মুগলা থেকে বোদ্রাম যাওয়ার পথে মিলাসের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ট্রাকে ধাক্কা মারেন। স্থানীয় লোকজন দুর্ঘটনাস্থলে ছুটে এসে অ্যাম্বুল্যান্স ডাকেন। তবে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা-আগরতলা-ঢাকা পথে চলাচলকারী শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস ৩০ নভেম্বর শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এটি যে পরিকল্পিত কোনো হামলা নয় সেটি স্পষ্ট করেছেন বাসের চালক মো. আসাদুল হক।
আজ ১ ডিসেম্বর রবিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন। ঘটনার সময় যাত্রীদের সাথে কারো কোনো ধরনের বিবাদ তো দূরে কথা, কথাও হয়নি বলে তিনি জানান।
তবে, এর আগে ঘটনাটি পরিকল্পিত বলে দাবি করেন ত্রিপুরার পরিবহনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। একইসঙ্গে ভারতীয় একাধিক পত্রিকায় এ নিয়ে প্রকাশিত খবরে ঘটনাটিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করা হয়।
একাধিক সূত্র জানায়, বাসটি শনিবার সকাল ১১টার দিকে আগরতলা থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এরপর দুপুর ১২টার দিকে বাসটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর এলাকায় আসার পর একটি ট্রাক উল্টোদিক থেকে অতিক্রম করতে গেলে বাসটি ইমার্জেন্সি ব্রেক কষে থামানোর চেষ্টা করে ও সড়কের একপাশে সরে যায়।
এ সময় পেছনে থাকা পণ্যবাহী ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বাসে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশাটি বাসে আটকে যায়। সামান্য ব্যথা পান অটোরিকশার চালক। পরে একটি রেকার এসে বাস থেকে অটোরিকশাটিকে সরিয়ে দেয়। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর বাসটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। বাসটিতে ভারতীয়সহ ২৬ জন যাত্রী ছিল। এর মধ্যে ছিল ১৬ জন ভারতীয় নাগরিক।
শ্যামলী পরিবহনের ওই বাসের চালক মো. আসাদুল হক তাৎক্ষণিকভাবে বলেন, ‘একটি ট্রাক উল্টা দিক থেকে অতিক্রম করতে গেলে আমি ইমার্জেন্সি ব্রেক কষে দাঁড়িয়ে যাই। এ সময় পেছনে থাকা একটি অটোরিকশা বাসটিতে ধাক্কা খায়।
তিনি আরো বলেন, ‘তাৎক্ষণিকভাবে নেমে একটি রেকার আনার ব্যবস্থা করে অটোরিকশাটি সরিয়ে নেই। বিষয়টি হাইওয়ে থানা পুলিশকেও অবহিত করা হয়। পুলিশ আমার ড্রাইভিং লাইসেন্স ও গাড়ির কাগজপত্র দেখে চলে যেতে বলে। দুর্ঘটনায় বাসের কোনো ক্ষতি হয়নি কিংবা যাত্রীরা আঘাতপ্রাপ্ত হননি।’
সংবাদ সম্মেলনে চালক বলেন, ‘চলার পথে এমন অনেক দুর্ঘটনা ঘটে। এমনই একটি দুর্ঘটনা এটি। দুর্ঘটনাও একেবারে সাধারণ। এটি মোটেও পরিকল্পিত নয়। পরিকল্পিত হামলার কথা শুনে রীতিমতো হাসি পায়।’
সংবাদ সম্মেলনে খাটিহাতা হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট বায়জিদ মাহমুদ জানান, ঘটনার খবর পেয়ে তারা ছুটে যান। দুর্ঘটনায় অটোরিকশাচালক মো. ইব্রাহিম সামান্য আহত হন। বাসের চালক ও অটোরিকশাচালকের মধ্যে সমঝোতা করে যে যার মতো চলে গেছেন।
এদিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মো. ইকবাল হোসেন উল্লেখ করেন, ত্রিপুরা রাজধানী আগরতলা থেকে আন্তঃদেশীর শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস চলাচল করে। দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর এলাকায় এই বাসটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন রং দেওয়া হচ্ছে, যা সত্য নয়। এটা নিছক একটা দুর্ঘটনা। এখানে সাম্প্রদায়িক গন্ধ খোঁজার কোনো সুযোগ নেই।
তিনি আরো জানান, এই সড়কটি ভারতীয় একটি কোম্পানি নির্মাণ কাজ করছে। এই সড়কের এক লেনে যান চলাচল করে। এ ধরনের দুর্ঘটনা প্রায় সময় ঘটে থাকে। দুর্ঘটনার পর তৎক্ষণাৎ শ্যামলী পরিবহন কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি ও ডেলিভারি ম্যান কর্তৃপক্ষের লোকজন কথা বলে নিষ্পত্তি করেন। বিদেশের বিভিন্ন মিডিয়া এ দুর্ঘটনা নিয়ে রং ছড়াচ্ছেন। এটা স্রেফ দুর্ঘটনা, কোন হামলা নয়।
এদিকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের খাদ্য, নাগরিক সরবরাহ, ভোক্তাবিষয়ক, পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী ঘটনাটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করেন। শনিবার বিকেলে তার ফেসবুক আইডি থেকে দেওয়া এক পোস্টে ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ভারতীয় যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান। তবে বাসটি যে বাংলাদেশের বিআরটিসি পরিবহনের, সেটি তিনি লেখায় উল্লেখ করেননি।
এ ব্যাপারে আজ ১ ডিসেম্বর রবিবারের সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান বলেন, ‘একটি সাধারণ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিথ্যাচার করছে ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে। বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করতেই চালকসহ সংশ্লিষ্টদেরকে এখানে আনা হয়েছে সত্যটা জানার জন্য।’
অনলাইন ডেস্ক :
বিয়ে মানে যে কারও জন্যই বিশেষ দিন। এমন একটি স্মরণীয় দিন নির্ঝঞ্ঝাট কাটুক, সেটাই সবাই চায়। কিন্তু সেই গুরুত্বপূর্ণ দিনেই লিফটের ভেতর আটকা থাকতে হলো পানভ ঝা এবং ভিক্টোরিয়া ঝা নামে এক যুগলকে। তাদের উদ্ধারে ডাকতে হয় দমকল বাহিনীকেও।
সম্প্রতি এ ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনার শার্লট শহরে। সেখানে গ্রান্ড বোহেমিয়ান হোটেলের লিফটে আটকা পড়েছিলেন বর, কনে এবং তাদের পরিবারের আরও চার সদস্য।
জানা যায়, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ছিল পানভ-ভিক্টোরিয়ার বিয়ের দিন। সেদিন বিয়ের পর্ব শেষ হওয়ার পরে বাকি আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নেওয়ার উদ্দেশ্যে হোটেলের ১৬তলায় উঠছিলেন বর-কনেসহ ছয় আরোহী।
পানভ সিএনএন’কে জানান, মাত্র পাঁচ ফুট ওপরে উঠতেই হঠাৎ আটকে যায় লিফট। সেটি প্রথম ও দ্বিতীয়তলার মাঝামাঝি ঝুলতে থাকে এবং এর ভেতর আটকা পড়েন তারা ছয়জন।
পানভ বলেন, এরপর দরজাগুলো খুলতে শুরু করে। ফলে আমার সামনে ও পেছনে কংক্রিটের দেওয়াল দেখতে পাচ্ছিলাম। আমার মনে হচ্ছিল, এটি স্বাভাবিক নয়!
এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে শেষপর্যন্ত শার্লট দমকল বিভাগকে ডাকা হয়। দমকলকর্মীরা জানিয়েছেন, তারা লিফটে আটকেপড়া নিয়ে বহু ফোনকল পান। তবে এবারের পরিস্থিতি বেশ কঠিন ছিল।
ডেভিড বাড নামে এক দমকলকর্মী বলেন, লিফটে আটকাপড়া কলের ক্ষেত্রে সাধারণত যেসব বিষয় চেষ্টা করা হয়, আমরা তার সবই করেছিলাম। কিন্তু কোনো কিছুই কাজ করছিল না।
পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দড়ি দিয়ে টেনে বর-কনেসহ ছয় আরোহীকে বের করে আনে দমকল বাহিনী। তবে ততক্ষণে পেরিয়ে গেছে প্রায় আড়াই ঘণ্টা।
উদ্ধারকাজ শেষে বর-কনের সঙ্গে হাসিমুখে ছবি তোলেন দমকলকর্মীরা। ঘটনার বর্ণনাসহ সেই ছবি শেয়ার করা হয়েছে শার্লট দমকল বিভাগের ফেসবুক পেজেও।
ছবিতে দেখা যায়, কনে একটি ঝলমলে লেহেঙ্গা এবং বর একই রঙের শেরওয়ানি পরে দমকলকর্মীদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। নতুন জীবনের জন্য তাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছে দমকল বিভাগ।
লিফটে আটকে পড়ার কারণে বিয়ে পরবর্তী ওই অনুষ্ঠানে আর অংশ নেওয়া হয়নি বর-কনের। তবে এ নিয়ে খুব বেশি আফসোস নেই কনের। লিফটে একা আটকে না পড়াতেই খুশি ভিক্টোরিয়া। তার কথায়, অন্ততপক্ষে সময়টা আমরা একসঙ্গে কাটিয়েছি।
আর পানভ স্বীকার করেছেন, ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত হলেও ভবিষ্যতে সন্তানদের বলার জন্য দারুণ গল্প হবে। তিনি বলেন, আমি বাচ্চাদের বলবো, তোমাদের মা এতো সুন্দরী ছিলেন, যে দমকল বাহিনীকে আসতে হয়েছিল।
অনলাইন ডেস্ক :
বিশ্বরেকর্ড গড়তে কতরকম অদ্ভুত ঘটনাই না ঘটান লোকজন। টানা সাত দিন কেঁদে সাময়িক দৃষ্টি হারিয়ে এমনই এক অদ্ভুত কাজ করেছেন টেম্বু এবেরে নামের এক নাইজেরিয়ান যুবক।
বিবিসির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এবেরে গিনেস রেকর্ডে নাম উঠাতে জোর করে এক সপ্তাহ কান্না করেন। পরে তার মাথাব্যথা শুরু হয় ও চোখ-মুখ ফুলে যায়। এ ঘটনার পর ৪৫ মিনিট দৃষ্টিহীন ছিলেন এবেরে।
তবে রেকর্ড গড়তে ঝুঁকি নিয়ে নাইজেরিয়ানদের এমন কাজ না করার পরামর্শ দিয়েছে জিডব্লিউআর।
টেম্বু বিবিসিকে জানান, যেহেতু গিসেস বুকে নাম লেখানোর জন্যে তিনি আবেদন করেননি, তাই তার এই রেকর্ড গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ আমলে নিচ্ছে না।