চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা সীমান্তে প্রায় ৪৬ লাখ টাকার বিপুল পরিমান মাদক ও চোরাই পণ্য উদ্ধার করেছে ৬০ বিজিবি সদস্যরা।
আজ ১৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার পর্যন্ত ৫দিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা ও আখাউড়া, কুমিল্লা জেলার বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বিভিন্ন সীমান্তে মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে এসব চোরাই পণ্য উদ্ধার করা হয়। বিজিবি জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার পর্যন্ত ৫দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সুলতানপুর ৬০ বিজিবির সদস্যরা তাদের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা আখাউড়া, কসবা, বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বিভিন্ন সীমান্তে মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে।
এসময় বিজিবি সদস্যরা ৭৭১ পিস কসমেটিক্স সামগ্রী, ২১ কেজি কিসমিস, ৯ টি গরু, ৬৩২৮ পিস চকলেট, ৪,৭৫৭ কেজি চিনি, ৪৪৯ বোতল চুলের তেল, ৩৯৮ পিস ডব্লিউপি পাপা কিটনাশক, ৯০৬ পিস তালা, ৮৬ কেজি ফুচকা, ১৮ বোতল বড়ি ওয়েল, ৬৩,০০০ পিস বাঁজি, ১১৭ কেজি বাংলাদেশী রসুন, ২১৩ কেজি বাসমতি চাউল, ১টি মোটরসাইকেল, ৫১৬ প্যাকেট সেমাই, ১৯২ বোতল হুইস্কি, ১১ বোতল বিয়ার, ৫ কেজি গাঁজা এবং ৫৫ বোতল ইস্কফ সিরাপ উদ্ধার করে। এই সব অবৈধ পণ্য উদ্ধারের সময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাচালানীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। উদ্ধারকৃত অবৈধ পণ্যের মূল্য ধরা হয়েছে ৪৫ লাখ ৮৯ হাজার ৬০ টাকা।
সুলতানপুর ৬০ বিজিবি অধিনায়ক লে: কর্ণেল এ এম জাবের বিন জব্বার জানান, উদ্ধারকৃত ভারতীয় চোরাচালানী মালামাল আখাউড়া ও কুমিল্লা কাস্টমসে জমা দেয়া হয়েছে।
সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে ৬০ বিজিবির আভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড জনবীমা ব্রাহ্মণবাড়িয়া এরিয়া-১৯ এর আয়োজনে ফেব্রুয়ারি ক্লোজিং মাস উপলক্ষে ম্যানেজার কনফারেন্স ও উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া টি.এ রোডস্থ ফারুক টাওয়ারে এরিয়া কার্যালয়ে ম্যানেজার কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।
কোম্পানীর সহকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১৯ এর এরিয়া ইনচার্জ মো: রফিকুল ইসলাম সভাপতিত্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রধান ইনর্চাজ মো: জহিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট (উন্নয়ন) হেলাল আহমেদ জনবীমা পূবাঞ্চল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিমা কর্মীদের সঠিক সুন্দর দিক নির্দেশনা ও পরামর্শ প্রদান করেন বলেন, স্বচ্ছতা,বিশ্বস্ততা আর উন্নত গ্রাহক সেবার কারণে ন্যাশনাল লাইফ পৌঁছে গেছে মানুষের আস্থার শীর্ষে। গোটা বীমা খাত যখন বীমার ইমেজ পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে ব্যস্ত তখন ন্যাশনাল লাইফ কর্মীরা মানুষের ঘরে ঘরে বীমার ইতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কোম্পানীর সহকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট ও গাজীপুর এরিয়া ইনচার্জ মো: মনিরুল ইসলাম,সহকারী এরিয়া ইনচার্জ মো: কামাল হোসেন,সহকারী এরিয়া ইনচার্জ মো: জামাল উদ্দিন।
উন্নয়ন সভায় বক্তব্য রাখেন, সহকারী জোন ইনচার্জ, এজিএম ,ব্রাঞ্চ ম্যানেজারগন। এ সময় ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড জনবীমার ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নাসিরনগর ও নবীনগর বিকেন্দ্রীক জেলায় কর্মরত সহকারী জোন ইনচার্জ, এজিএম, ব্রাঞ্চ ম্যানেজারগণ অংশগ্রহণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোটা বিরোধী আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসী কার্যক্রম, দাঙ্গা ও নাশকতার চার মামলায় আজ ২৫ জুলাই বহস্পতিবার পর্যন্ত ৪১ জনক গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গত সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার ভোর রাত পর্যন্ত তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে জেলা যুব দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুমেল আহমদ ও জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোজ্জাম্মল হকও রয়েছেন।
গ্রেফতারকৃতদের অধিকাংশই বিএনপি-জামায়াতের সমর্থক বলে পুলিশ জানিয়েছেন। পুলিশ জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোটা বিরোধী আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসী কার্যক্রম, দাঙ্গা ও নাশকতার চারটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ১টি, আশুগঞ্জ থানায় ২টি ও সরাইল থানায় একটি মামলা হয়। এসব মামলায় পুলিশ গত সোমবার ২৫ জন, গত মঙ্গলবার ৭ জন, গত বুধবার ৪ জন ও বৃহস্পতিবার ৭ জনক গ্রেফতার করে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, গত ৪ দিনে ৪১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে গরু আনতে গিয়ে খালের স্রোতে ভেসে গিয়ে আপন দুই বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। গত শুক্রবার (৩০ মে) বিকেলে উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়নের আকাশিয়া মাঠে এ দুর্ঘটনা ঘটে। রাতভর খোঁজাখুঁজির পর ৩১ মে শনিবার সকালে তিতাস নদী থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত দুই শিশু হলো, গোকর্ণ গ্রামের মিনার আলীর মেয়ে মারিয়া (১১) ও সামিয়া (৮)। তাদের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতদের পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার বিকেলে মারিয়া ও সামিয়া আকাশিয়া মাঠে গরু আনতে যায়। ফেরার পথে খালের পাশ দিয়ে হেঁটে আসার সময় হঠাৎ তীব্র স্রোতে তারা ভেসে যায়। বিষয়টি জানতে পেরে আত্মীয়স্বজন ও স্থানীয়রা নৌকা নিয়ে রাতভর খোঁজাখুঁজি চালান। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসও উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নেয়। গতকাল শনিবার সকাল ৬টার দিকে গোকর্ণ বেড়িবাঁধ এলাকায় তিতাস নদীতে মারিয়ার মরদেহ ভেসে ওঠে। কিছুক্ষণ পর সামিয়ার মরদেহ একটি মাছ ধরার জালে আটকে থাকতে দেখা যায়।
গোকর্ণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ শাহীন বলেন, ‘এটি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক ঘটনা। বর্ষাকালে নদী বা খালের আশপাশে চলাচলে সবাইকে আরও সতর্ক হতে হবে। পরিবারটিকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে।’ নাসিরনগর থানার ওসি খাইরুল আলম জানান, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহীনা নাছরিন বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি এসিল্যান্ডসহ রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে যাই। অনেক চেষ্টা করেও তখন তাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে এলাকায় মাইকিং করে নিখোঁজ সংবাদ জানানো হয়। সকালে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এটি অত্যন্ত মর্মান্তিক। আমরা পরিবারটির পাশে থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’
অনলাইন ডেস্ক :
চুয়াডাঙ্গার ৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওতাধীন সীমান্ত এলাকা থেকে আটক ৪ কোটি ৭ লাখ ৭ হাজার ৭২৩ টাকা মূল্যের বিভিন্ন মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়েছে। গত এক বছরে ভারত থেকে পাচার করা এসব মাদকদ্রব্য বিভিন্ন সীমাস্ত এলাকা থেকে আটক করে বিজিবি। আজ ২৯ জানুয়ারি বুধবার সকালে ৬ বিজিবির সদর দপ্তরে এসব ধ্বংস করা হয়। ধ্বংস করা মাদকদ্রব্যের মধ্যে ছিলো ৯ হাজার ২৭৯ বোতল ফেনসিডিল, ৩ হাজার ১৬৩ বোতল বিদেশী মদ, ২০ বোতল বিয়ার, ১৭২ কেজি গাঁজা, সাড়ে ৯ কেজি হেরোইন, আড়াই কেজি কোকেন, ২০৯ পিচ ইয়াবা, ১১ হাজার ৬০ পিচ নেশাজাতীয় ট্যাবলেট ও ১ হাজার ৬৯৬ পিচ নেশাজাতীয় ইনজেকশন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কুষ্টিয়া সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মো. মারুফুল আবেদীন উপস্থিত অতিথিদের নিয়ে উদ্ধার করা মদের বোতল ভেঙে মাদকদ্রব্য ধ্বংস কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। পরে বুলডোজারের চাকায় পিষ্ট করা হয় উদ্ধার করা মদ ও ফেনসিডিলের বোতল। এসময় উদ্ধার করা গাঁজা, নেশাজাতীয় ট্যাবলেট ও ইনজেকশনসহ অন্যান্য মাদক আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
মাদকদ্রব্য ধ্বংসকালে উপস্থিত ছিলেন বিজিবির কুষ্টিয়া সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. মারুফুল আবেদীন, ৬ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমানসহ বিজিবি, ৫৮ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. রফিকুল আলম, ৬ বিজিবি পরিচালক লে. কর্নেল নাজমুল হাসান, মেহেরপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুয়েল রানা, চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাস, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার মো. আব্দুর রহমান, চুয়াডাঙ্গার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শিরীন আক্তার প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে একটি বসতবাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি তিনটি দোকানও পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ইউনিট এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনতে সক্ষম হয় বলে জানা গেছে। আজ ২৭ জানুয়ারি সোমবার নাসিক সিদ্ধিরগঞ্জের ৭ নম্বর ওয়ার্ডস্থ কদমতলী নয়াপাড়া (ভান্ডারিপুল) এলাকায় মনিরের ভাড়াটিয়া বাড়িতে ভোর সাড়ে ৫টায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদমজী ইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. মিরন মিয়া।
জানা গেছে, ভোর সাড়ে ৫টার সময়ে ভান্ডারিপুল এলাকার বাসিন্দা মনিরের ভাড়াটিয়া বাড়িতে হঠাৎ আগুন ধরে ৫টি ঘর পুড়ে যায়। এরপর সেই আগুন মুহূর্তেই ছড়িয়ে গিয়ে বাড়ির সামনের অংশের থাকা আরো ৩টি দোকানেও আগুন লাগে। এতে ভাড়াটিয়াদের ঘরের আসবাবপত্র ও দোকানের মালামাল পুড়ে যায়।
আদমজী ইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. মিরন মিয়া বলেন, আমরা আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আমাদের দুইটি ইউনিটের প্রায় ঘণ্টা খানিকের চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রাথমিকভাবে আগুনের সূত্রপাত জানা যায়নি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় আড়াই লাখ টাকা হবে বলে ধারণা করছি।