অনলাইন ডেস্ক :
প্রযুক্তি জগতের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক, জেফ বেজোস এবং মার্ক জাকারবার্গ আগামী ২০ জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। এনবিসি নিউজ গতকাল মঙ্গলবার এ খবর প্রকাশ করেছে। নতুন প্রেসিডেন্টের সােথ এই তিন প্রযুক্তি উদ্যোক্তার সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠের প্রচেষ্টা হচ্ছে এটা তার নজির।
এনবিসি জানায়, ২০ জানুয়ারির অনুষ্ঠানের পরিকল্পনায় জড়িত একজন কর্মকর্তার সূত্রে জানা গেছে, এই তিনজনকে অতিথিদের জন্য নির্ধারিত মঞ্চে ট্রাম্পের মন্ত্রিসভার মনোনীত সদস্যদের সাথে বসানো হবে।
আরও পড়ুন
ছাগলকাণ্ডের আলোচিত সেই মতিউর ও তার স্ত্রী গ্রেফতার
স্পেসএক্স এবং টেসলার সিইও ইলন মাস্ক বর্তমানে এক্স-এর প্রধান মালিক। তিনি ট্রাম্পের অন্যতম ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত। তার উপস্থিতি তাই অপ্রত্যাশিত নয়। মাস্ক ট্রাম্পের ডানপন্থী রাজনীতির সমর্থক এবং তার প্রচারণায় মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছেন।
ট্রাম্প ইতিমধ্যে মাস্ককে একটি পরামর্শ কমিশনের সহ-নেতৃত্বে নিয়োগ করেছেন। এই কমিশনের লক্ষ্য হলো যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি খরচ কমানো এবং আমলাতন্ত্র হ্রাস করা। যদিও এটি ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্ণমেন্ট এফিশিয়েন্সি’ বা সংক্ষেপে ‘DOGE’ নামে পরিচিত, এটি কোনো সরকারি সংস্থা নয়।
আরও পড়ুন
৫২৪ জনকে নিয়োগ দেবে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ, ৩১ জানুয়ারির মধ্য আবেদন
মেটার সিইও মার্ক জাকারবার্গ এবং অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের সাথে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্পর্ক ততটা ঘনিষ্ঠ নয়। তবে নির্বাচনের পর এই দুই উদ্যোক্তা ট্রাম্পের সাথে সম্পর্ক উন্নত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন।
জাকারবার্গ সম্প্রতি মেটার নতুন নীতিমালায় পরিবর্তন এনে যুক্তরাষ্ট্রে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে ফ্যাক্ট-চেকিং প্রক্রিয়া বাতিলের ঘোষণা দেন। তিনি এটিকে সরকারের এবং ঐতিহ্যবাহী গণমাধ্যমের ‘নির্যাতনমূলক সেন্সরশিপ’ হিসেবে অভিহিত করেন।
অন্যদিকে, বেজোস এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরে টানাপোড়েনের মধ্যে ছিল। বেজোসের মালিকানাধীন ‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’ ট্রাম্পের কঠোর সমালোচনা করেছে। তবে সাম্প্রতিক নির্বাচনের আগে পত্রিকাটি কোনো প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে সমর্থন করেনি, যা মার্কিন গণমাধ্যমকে অবাক করেছে।
আরও পড়ুন
টিউলিপের স্থলাভিষিক্ত হলো এমা রেনল্ডস
জাকারবার্গের ডানপন্থী অবস্থান ইতিমধ্যে মেটা পর্যবেক্ষকদের মধ্যে বিস্ময় সৃষ্টি করেছে। নির্বাচনের পরে তিনি ট্রাম্পের অভিষেকোত্তর একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সহ-আয়োজক হবেন বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে, বেজোসের প্রতিষ্ঠান দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট-এর কিছু প্রতিবেদনের দাবি অনুযায়ী, পত্রিকাটির বোর্ড ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিসের পক্ষে একটি সম্পাদকীয় প্রকাশের চেষ্টা করেছিল। তবে বেজোস নিজেই তা আটকে দেন বলে অভিযোগ উঠেছে, যদিও পত্রিকার নেতৃত্ব এই দাবি অস্বীকার করেছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে এ তিন প্রযুক্তি উদ্যোক্তার অংশগ্রহণ তাদের রাজনৈতিক কৌশল এবং সম্পর্ক উন্নয়নের প্রচেষ্টার স্পষ্ট ইঙ্গিত করে।
অনলাইন ডেস্ক :
মহাকাশ স্টেশনকে আগামী বছর তিন থেকে ছয়টি মডিউলে প্রসারিত করার পরিকল্পনা করছে চীন। নাসার নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের (আইএসএস) মেয়াদও প্রায় শেষের দিকে। ২০৩০ সালের পরে আইএসএস বিলুপ্ত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তিয়াংগং বা সেলেস্টিয়াল প্যালেস নামে পরিচিত চীনের স্ব-নির্মিত মহাকাশ স্টেশনকে আইএসএস’র বিকল্প হিসাবে গড়ে তুলতে চাইছে দেশটি। এ বিষয়ে চীনের প্রধান মহাকাশ ঠিকাদারের একটি দল চায়না একাডেমি অব স্পেস টেকনোলজি (সিএএসটি) জানিয়েছে, চীনা মহাকাশ স্টেশনের কর্মক্ষম জীবনকাল হবে ১৫ বছরেরও বেশি। বুধবার আজারবাইজানের বাকুতে ৭৪তম আন্তর্জাতিক মহাকাশচারী কংগ্রেসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তিয়াংগং ২০২২ সালের শেষের দিক থেকে সম্পূর্ণরূপে চালু হয়েছে। ৪৫০ কিলোমিটার (২৮০ মাইল) পর্যন্ত কক্ষপথের উচ্চতায় সর্বাধিক তিনজন মহাকাশচারীকে ধারণ করতে পারে। ছয়টি মডিউলে সম্প্রসারণের পর এর ভর হবে পরে ১৮০ টন। যদিও তিয়াংগং এখনো নাসার ভরের মাত্র ৪০ শতাংশ।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ৬ জানুয়ারি সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় জিরাভর্তি একটি ভারতীয় ট্রাক আখাউড়া স্থলবন্দরে এসে পৌঁছায়। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আমদানি পণ্যের এটিই প্রথম চালান। এর মধ্য দিয়ে বন্দরের আমদানি বাণিজ্য স্বাভাবিক হলো। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ৫ টন জিরা আমদানি করা হয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত বন্দর দিয়ে ভারত থেকে কোনো পণ্য আমদানি হয়নি। সোমবার মেসার্স পড়শী ইমপেক্স নামে একটি প্রতিষ্ঠান ভারত থেকে ৫ টন জিরা আমদানি করেছে।
ভারতীয় প্রতিষ্ঠান এম. টি. ই. এক্সিম প্রাইভেট লিমিটেড প্রতি কেজি ৩ দশমিক ৪৯ ডলার মূল্যে এসব জিরা রফতানি করেছে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মো. মাহমুদুল হাসান জানান, দীর্ঘদিন ধরে বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি অনিয়মিত ছিল। তবে চলতি অর্থবছরে প্রথমবারের মতো জিরা আমদানি হয়েছে। এর মাধ্যমে আমদানি বাণিজ্য আবারও সচল হলো।
অনলাইন ডেস্ক :
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ২১ ফেব্রুয়ারি শনিবার সন্ধ্যায় দেশটির ফেডারেল কর্মচারীদের একটি ই-মেইল পাঠিয়েছে। যেখানে তাদের আগের সপ্তাহের কাজের সাফল্য বিস্তারিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে। স্থানীয় সময় আজ ২৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাতের মধ্যে এই তথ্য না দিলে তাদের চাকরি হারানোর ঝুঁকি রয়েছে বলে জানানো হয়েছে ই-মেইলে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এই ই-মেইল পাঠানোর কিছুক্ষণ আগেই, ট্রাম্প প্রশাসনের ডিপার্টমেন্ট অব গভর্ণমেন্ট এফিশিয়েন্সি বা সরকারি কর্মদক্ষতা বিভাগের (ডিওজিই) প্রধান বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্ক তাঁর নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম শেয়ার করা এক টুইটে বলেন, এই ইমেইলের উত্তর না দিলে তা পদত্যাগ হিসেবে গণ্য করা হবে।
ইলন মাস্ক এক্সে লিখেছেন, ‘সব ফেডারেল কর্মচারী শীঘ্রই একটি ই-মেইল পাবেন, যেখানে জানতে চাওয়া হবে তারা গত সপ্তাহে কী কাজ করেছেন। উত্তর দিতে ব্যর্থ হলে, তা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ বলে বিবেচিত হবে।’
মাস্কের এই পোস্টের কয়েক ঘণ্টা আগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে শেয়ার করা এক পোস্ট বলেন, ডিওজিইকে আরো আক্রমণাত্মক হতে হবে এবং ২৩ লাখ ফেডারেল কর্মীর সংখ্যা কমিয়ে সরকারকে ঢেলে সাজাতে হবে।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
নিউইয়র্কে গত চার বছরে অপরিশোধিত টোলের কারণে এমটিএ ৫.১ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে- এমন খবর প্রকাশিত হওয়ার পর নিউইয়র্কবাসীদের মধ্যে প্রবল ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সৎ চালকেরা তাদের কষ্টের টাকা দিলেও অনেকে অন্যায় করেও পাড় পেয়ে যাওয়ায় ক্ষোভ হওয়াটাই স্বাভাবিক।
এনওয়াইসি লেবার কাউন্সিল এবং স্যানিটেশন ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের তিন লাখ সদস্যের চেয়ারম্যান হ্যারি নেসপোলি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তারা এমনকি তাদের অপরিশোধিত টোল পর্যন্ত আদায় করতে পারছে না। ফলে তারা আমাদের ওপর কনজেশন প্রাইসিং চাপিয়ে দিচ্ছে। তাদের উচিত টোল লঙ্ঘনকারীদের কাছ থেকে টোল সংগ্রহ করা। তিনি কনজেশন প্রাইসিং বাতিল করার জন্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে আবেদন জানান। বর্তমানে আইন মান্যকারী শ্রমজীবী লোকজন অন্যায়কারীদের ঘাটতি পূরণ করছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০২৪ সালেই টোল লঙ্ঘনকারীদের মোট অসংগৃহীত অর্থের পরিমাণ ছিল ১.৪ বিলিয়ন ডলার। আর ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের সময়কালে তা ৩.৭ বিলিয়ন ডলার।
কর্তৃপক্ষ মনে করছে, বার্ষিক অপরিশোধিত টোলের পরিমাণ ২ বিলিয়ন ছাড়িয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে ৯ বিলিয়ন ডলারের কনজেশনাল টোলের সামগ্রিক হিসাব টানা হলে। ওই ফি ২০২৮ সালে ১২ বিলিয়ন ডলার এবং ২০৩১ সালে ১৫ বিলিয়ন ডলার হবে।
অন্যায়কারীদের প্রশ্রয় পাওয়ায় ম্যানহাটনের লি বলেন, অনেক কষ্টের পয়সা টোল হিসেবে দিয়ে থাকেন তিনি। অথচ অনেক লোক অবৈধভাবে কিংবা ভুতুরে প্লেট লাগিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সনাতন হিন্দু ধর্মালম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজা, লক্ষ্মীপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটিসহ টানা সাতদিন বন্ধ থাকবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর। এ সময় বন্দরে আমদানি-রফতানিসহ সবধরনের বাণিজ্য কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে বন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট দিয়ে দুই দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রীদের পারাপার থাকবে স্বাভাবিক।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আখাউড়া স্থলবন্দরের মাছ রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক মিয়া।
তিনি জানান, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পরে চিঠির মাধ্যমে ছুটির বিষয়টি বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের তারা জানিয়েছেন।
তিনি আরো জানান, দুর্গাপূজা উপলক্ষে আগামী ১০ অক্টোবর থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত বন্দরে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এরপর লক্ষ্মীপূজা উপলক্ষে ১৬ ও ১৭ অক্টোবর আরো দুদিন বন্দরে বাণিজ্য কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। পরের দিন ১৮ অক্টোবর শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি। ফলে ১৯ অক্টোবর শনিবার থেকে বন্দরে পুনরায় বাণিজ্য কার্যক্রম শুরু হবে।
আখাউড়া চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন ইনচার্জ মো. খায়রুল আলম বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা ও লক্ষ্মীপূজা উপলক্ষে বন্দরে বাণিজ্য কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও পাসপোর্টধারী বৈধ যাত্রীদের পারাপার থাকবে স্বাভাবিক।