অনলাইন ডেস্ক :
১২ বছর বয়েসী এক কিশোরিকে লাঞ্ছিত ও হয়রানির অভিযোগে ৭২ বছর বয়েসী বদিউল জামাল নামে এক বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করেছে নিউইয়র্কের পুলিশ।
গত ৬ জানুয়ারি বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে জ্যাকসন হাইটসের সন্নিকটে ইষ্ট এলমহার্স্ট এলাকায় ৮১ স্ট্রিট এবং ৩১ এভিনিউর কাছে ওই কিশোরীকে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। গত ১১ জানুয়ারি বদিউল জামালকে ১১৫ প্রেসিঙ্কটের পুলিশ গ্রেফতার করেছে। কুইন্স ক্রিমিনাল কোর্টে তার বিরুদ্ধে কন্যা শিশুর শ্লিলতাহানীর চেষ্টা এবং হেনস্থার গুরুতর অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন
ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেকে মাস্ক, বেজোস ও জাকারবার্গ উপস্থিত থাকবেন
নিউইয়র্কের বহুল প্রচারিত ‘ডেইলি নিউজ’ পত্রিকায় বদিউল জামালের ছবিসহ সংবাদটি প্রকাশের পর কমিউনিটিতে নানা গুঞ্জন উঠেছে। পুলিশের পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়েছে যে, হাঁটতে থাকা কিশোরীর কাছে যান এই বাংলাদেশি। তিনি কিশোরির হাত ধরে ফেলেন। হতভম্ব কিশোরি নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে সক্ষম হয়।
আরও পড়ুন
ভারতে পাঁচ বছর ধরে ধর্ষণের শিকার কিশোরী, বাবার বন্ধুসহ ৬৪জন অভিযুক্ত
পুলিশের মতে এরপরও বদিউল জামাল নিরুৎসাহিত হননি এবং ভীত সন্ত্রস্ত কিশোরীকে অনুসরণ করে দ্বিতীয়বার হাত ধরেন। এরপর লোকটি ৮১ স্ট্রিটের উত্তর দিকে চলে যান। সেখানেই তিনি বাস করেন বলে জানা গেছে। বদিউল জামালের বিরুদ্ধে প্রথম ডিগ্রির হয়রানি এবং দ্বিতীয় ডিগ্রির হেনস্থা ও প্রলোভনের অভিযোগ পেশ করা হয়েছে। নিউইয়র্কের পুলিশ বদিউল জামালের ছবি প্রকাশ করেছে।
দাফন সম্পন্ন
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের লক্ষীমুড়া গ্রামের নিহত হারুন মিয়ার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় মনিপুর বন্দরবাজার বালুর মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় স্থানীয় হারুন মিয়ার আত্মীয় স্বজনসহ সহস্রাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করে। এর আগে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে হারুন মিয়া নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরদিন দুপুরে ময়নাতদন্তের পর হারুন মিয়ার মরদেহে এসে পৌঁছায় তার নিজ এলাকায়। মরদেহ পৌঁছার পর থেকেই স্থানীদের ভিড় বাড়ে তার বাড়িতে। এরপর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জানাজায় উপস্থিত ছিলেন, বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজু আহমেদ, পত্তন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা হৃদয় আহমেদ জালাল, সাবেক মেম্বার সেলিম মিয়া, হোসেন মিয়া, মাওলানা সিরাজ আকরামসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা। নিহত হারুন মিয়ার ভাতিজা সোহেল বলেন, দুধ মিয়া সরাসরি করিম মিয়ার পক্ষে নিয়েছে। যার কারণে আমার চাচা হারুন মিয়া হত্যার শিকার হয়েছে। আমার চাচার হত্যার সাথে দুধ মিয়া জড়িত। দুধ মিয়াসহ যারা আমার চাচাকে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসির দাবি জানাই।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ জানান, শান্তিপূর্ণ ভাবে হারুন মিয়ার জানাযা সম্পন্ন হয়েছে। এলাকায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অভিযুক্ত আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে তিনি জানান।
অনলাইন ডেস্ক :
সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে সামরিক অভিযান চালিয়ে ২৩ কুর্দি যোদ্ধাকে হত্যার দাবি করেছে তুরস্ক। ২ ফেব্রুয়ারি রবিবার বিবৃতিতে তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানিয়েছে।
তুর্কি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, সিরিয়ার কুর্দি ওয়াইপিজি মিলিশিয়া ও নিষিদ্ধ ঘোষিত কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) ২৩ সদস্যকে হত্যা করেছে তুর্কি বাহিনী। আঙ্কারা মনে করে, ওয়াইপিজি পিকেকের সম্প্রসারিত শাখা এবং ১৯৮৪ সাল থেকে তুরস্কের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ চালিয়ে যাচ্ছে।
তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) পিকেকেকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। আঙ্কারা দীর্ঘদিন ধরে ন্যাটো মিত্র ওয়াশিংটনসহ অন্যান্য দেশকে ওয়াইপিজির প্রতি সমর্থন প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে আসছে।
গত ডিসেম্বরের শুরুতে সিরিয়ার নেতৃত্ব পরিবর্তনের পর, তুরস্ক-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী ও স্থানীয় মিলিশিয়াদের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ে। এরপর কুর্দি যোদ্ধাদের অস্ত্র সমর্পণের আহ্বান জানান তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘কুর্দি যোদ্ধারা যদি অস্ত্র সমর্পণ না করেন, তাহলে তাদের মাটিতে পুঁতে ফেলা হবে।’
তুরস্কের সামরিক বাহিনী ও তাদের মিত্ররা দীর্ঘদিন ধরে সিরিয়ার কুর্দি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। আঙ্কারা বলছে, সিরিয়ার ভবিষ্যতে কুর্দিপন্থী ওয়াইপিজি মিলিশিয়ার কোনো স্থান নেই।
সূত্র: রয়টার্স
চলারপথে রিপোর্ট :
অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করে আড়াই বছর পর ভারতে ফিরে গেছে এক কিশোরী। আজ ৪ ডিসেম্বর বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও পুলিশের উপস্থিতিতে তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
স্থলবন্দরের একাধিক সূত্র জানায়, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে সিপাহিজলা জেলার সোনামুড়া থানার দমদমা গ্রামের আব্দুল হাসেমের মেয়ে শাহীনা আক্তার (১৫) ২০২২ সালের ২৪ জুন অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। বাংলাদেশের পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর তাকে জেলে যেতে হয়।
প্রায় আড়াই বছর গাজীপুরের পুনর্বাসন কেন্দ্রে থাকার পর বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে তাকে ভারতে পাঠানো হয়।
নথিপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, সীমান্তে ঘুরতে ঘুরতে বাংলাদেশে প্রবেশ করে শাহীনা। তাকে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ এলাকায় পাওয়া যায়। পুলিশ তাকে আটক করে আদালতে পাঠায়।
নারায়ণগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আমলি আদালত-৭ এক আদেশে ওই ভারতীয় শিশুকে গাজীপুরের শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
অনলাইন ডেস্ক :
কনে হাঁটছেন সাদা গাউন পরে। এ সময় সেই পোশাক ছুরি দিয়ে টুকরো টুকরো করে কেটে খাচ্ছেন কেউ কেউ। তারা আসলে পোশাক খাচ্ছেন না, খাচ্ছেন কেক। এমনই এক বিশাল ‘পরিধানযোগ্য কেক’ বানিয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লিখিয়েছেন সুইজারল্যান্ডের নারী নাতাশা কোলিন কিম ফাহ লি ফোকাস।
গত ১৫ জানুয়ারি রাজধানী বার্নে এক প্রদর্শনীতে কেক দিয়ে তৈরি পোশাকটি পরে দেখান তিনি। সম্প্রতি গিনেস ওয়ার্ল্ডস রেকর্ডের অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে এর একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘সবচেয়ে বড় পরিধানযোগ্য কেক ড্রেস। এর ওজন ১৩১.১৫ কেজি, বানিয়েছেন সুইটিকেকসের কর্ণধার নাতাশা কোলিন কিম ফাহ লি ফোকাস।’ খবর এনডিটিভির
গিনেস ওয়ার্ল্ডস রেকর্ড জানায়, নাতাশা ২০১৪ সাল থেকে সুইটিকেকস বেকারিটি পরিচালনা করছেন। এ পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের কেক বানিয়ে বিক্রি করেছেন। এবার ‘পরিধানযোগ্য কেক’ বানিয়ে গিনেস বুকে নাম লেখালেন তিনি। সুইস ওয়ার্ল্ড ওয়েডিং ফেয়ার নামে ফ্যাশন শোর শেষ দিনে ঐতিহ্যবাহী বিয়ের পোশাকের আদলে কেক দিয়ে তৈরি এই পোশাকটি দেখানো হয়। এটি কীভাবে পরতে হবে, তাও ভিডিওতে দেখিয়েছিন তিনি।
ইনস্টাগ্রামে প্রকাশের পর ইতোমধ্যে প্রায় ১৪ লাখ মানুষ ভিডিওটি দেখেছেন। অনেকে মন্তব্য করছেন, ‘এখানে কেক কোথায়? তিনি তো বিয়ের পোশাক পরেছেন!’ আরেকজন লিখেছেন, ‘আমি তো অবাক! কিন্তু এত ভারী পোশাক পরে তিনি হাঁটছেন কী করে!’
অনলাইন ডেস্ক :
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলকে গণহত্যা বন্ধে সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত।
আজ ২৬ জানুয়ারি শুক্রবার এই রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে, ইসরায়েলকে নিশ্চিত করতে হবে যে তার বাহিনী গাজায় আর গণহত্যা চালাবে না ও ‘কথিত’ গণহত্যার প্রমাণ সংরক্ষণ নিশ্চিত করবে।
শুক্রবার গাজা উপত্যকায় গণহত্যা নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার করা মামলার রুল জারি করেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত। এতে গাজায় গণহত্যা বন্ধে সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ইসরায়েলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্তবর্তীকালীন রায়ে আদালতের প্রেসিডেন্ট মার্কিন বিচারক জে দোঙ্গু বলেন, ‘আদালত ইসরায়েলকে নির্দেশ দিচ্ছে, গাজায় গণহত্যা সংঘটিত যেন না হয় সেজন্য সব ধরনের প্রয়োজনীয়তা ব্যবস্থা নিতে হবে।’
রায়ে আদালত ইসরায়েলকে আরো নির্দেশ দেন, ‘সেনারা যেন কোনো ধরনের গণহত্যা সংঘটিত না করেন সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং গণহত্যার নির্দিষ্ট (অভিযুক্ত) প্রমাণ সংরক্ষণ করতে হবে।’
রায়ে আরো উল্লেখ করা হয়, ‘গাজা উপত্যকায় পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা পৌঁছতে দিতে হবে এবং গাজার সাধারণ মানুষকে রক্ষা করতে হবে।’ এছাড়া ত্রাণ পৌঁছানো এবং গণহত্যা প্রতিরোধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সে ব্যাপারে এক মাসের মধ্যে আদালতের কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে দখলদার ইসরায়েলকে।
তবে যেটি ধারণা করা হয়েছিল, গাজায় ইসরায়েলকে তাৎক্ষণিকভাবে সামরিক অভিযান বন্ধের নির্দেশ আদালত দেবেন; সে ধরনের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
গাজায় আগ্রাসন ও গণহত্যার অভিযোগে ইসরায়েলকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে গত বছরের শেষের দিকে আইসিজেতে মামলা দায়ের করে দক্ষিণ আফ্রিকা। সূত্র : আল-জাজিরা।