অনলাইন ডেস্ক :
ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেই ছকভাঙা অভিনয়। নার্গিস ফাখরিকে মানুষ আবিষ্কার করেন ‘রকস্টার’ সিনেমার ‘হির’ চরিত্রে। যে চরিত্রে অনেক বলিউড অভিনেত্রীই নাকি বাতিল হয়েছিলেন। তার পর একে একে ‘মাদ্রাজ ক্যাফে’, ‘ম্যায় তেরা হিরো’, ‘হাউসফুল’-এর মতো সিনেমায় দর্শকের মন কেড়েছেন এই অভিনেত্রী। হঠাৎ করেই ঘটে ছন্দপতন। বলিউড থেকে অভিনেত্রী নিজেকে গুটিয়ে নেন।
যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম ও বেড়ে ওঠা নার্গিসের। তবে ঘটনাচক্রে নার্গিস ফাখরি পরিচিতি পান বলিউডে অভিনয় করে। অথচ মুম্বাই ইন্ডাস্ট্রির জার্নিটা ঠিকঠাক ধরে রাখলেন না তিনি। মায়ানগরী থেকে অনেকটা গুটিয়ে নিয়েছেন নিজেকে। কিন্তু কেন?
সম্প্রতি বলিউড এবং তার ক্যারিয়ারের প্রসঙ্গে মনের কথা প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী। বলিউড হাঙ্গামার এক সাক্ষাৎকারে নার্গিস জানান, বলিউডের কিছু গত্বাঁধা বিষয়ে বিরক্ত হয়ে তিনি সরে গেছেন। অনেকের সাথে কাজ করে দারুণ উপভোগও করেছেন বলে জানালেন নার্গিস।
আরও পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানলে ঘরবাড়ি হারিয়েছেন যেসব হলিউড তারকারা
তিনি বলেন, ‘একটা অপ্রত্যাশিত ঘটনায় আমি বলিউড ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিই। ওটা নিয়ে কথাও বলতে চাই না। পুরুষদের ইগো দুনিয়াজুড়েই, সুতরাং এটার কথা আলাদা করে না বলি। তা ছাড়া ইগোর ব্যাপারটা সবার ক্ষেত্রে সঠিকও নয়। অনেক অসাধারণ মানুষের সাথেও কাজ করেছি আমি।’
নার্গিসের মতে, তিনি বলিউডের গত্বাঁধা নাচের সাথে মানিয়ে নিতে পারেননি। ‘আইটেম গান’ বিষয়টিও তাঁর কাছে একেবারে নতুন ছিল। বলেন, ‘কোনো মেয়ে আইটেম গান করছে, সেটা মানুষ খুব একটা ভালোভাবে দেখে না। হিন্দি ভাষার মতো বলিউডের নাচও আমার কাছে অনেকটা এলিয়েনের মতো! আমি শুধু শেখার চেষ্টা করেছি।’
‘ম্যায় তেরা হিরো’ অভিনেত্রীর মতে, যাঁরা বাইরে থেকে বলিউডে কাজ করতে আসেন, তাঁদের নিয়ে ‘অতিরিক্ত’ আকর্ষণ দেখানো হয়। আলিয়া ভাট, সারা আলী খান কিংবা জাহ্নবী কাপুরের মতো যেসব শিল্পী চলচ্চিত্র পরিবার থেকে এসেছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে তেমনটা ঘটে না। কিন্তু যখন কেউ সাধারণ পরিবার থেকে আসে, বিশেষ করে পশ্চিমা দেশ থেকে, তখন তাদের বিবেচনা করা হয় ‘আবেদনময়ী’ হিসেবে এবং যখন-তখন চাইলেই পাওয়া যাবে।
নার্গিস অবশ্য বলিউড একেবারেই ছেড়ে দেননি; বরং কাজ কম করছেন। বর্তমানে অক্ষয় কুমারের ‘হাউসফুল ৫’ রয়েছে তাঁর হাতে।
স্পোর্টস ডেস্ক :
পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয় পেয়েছে পাকিস্তান। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে সেঞ্চুরি করলেন ড্যারিল মিচেল। এবার ১২৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছেন তিনি। তবে মাত্র ২ রানে জন্য তিন অঙ্কের স্কোর ছুঁতে পারেননি টম ল্যাথাম। মিচেলের সেঞ্চুরি আর ল্যাথামের ৯৮ রানের ঝোড়ো ইনিংসে ৩৩৬ রানের বড় স্কোর গড়ে নিউজিল্যান্ড।
রাওয়ালপিন্ডিতে ৩৩৭ রানের বড় টার্গেট তাড়া করতে নেমে সিরিজে টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করেছেন ফখর জামানও। তাঁর অপরাজিত ১৮০ রানের সঙ্গে বাবর আজমের হাফসেঞ্চুরিতে কিউইদের ৭ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে ২-০-তে এগিয়ে গেছে পাকিস্তান। ১০ বল বাকি থাকতে ৩৩৭ রানের লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে স্বাগতিকরা। ১৪৪ বলে ১৭টি চার ও ৬টি ছক্কার সাহায্যে ১৮০ রান করেন ফখর। বাবর আজম খেলেন ৬৬ বলে ৬৫ রানের ইনিংস। মোহাম্মদ রিজওয়ান অপরাজিত থাকেন ৪১ বলে ৫৪ রানে।
ওপেনার ইমাম-উল-হকের ব্যাট থেকে ২৪ ও আব্দুল্লাহ শফিকের ব্যাট থেকে ৭ রান আসে। বুধবার সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডে করাচিতে অনুষ্ঠিত হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
কোটিপতি লিগ হিসেবে বিশ্ব ক্রিকেটে জনপ্রিয় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। ফ্র্যাঞ্চাইজি এ টুর্নামেন্টে বিশ্বের তারকা ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য নতুন পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে আইপিএল কর্তৃপক্ষ।
ক্রিকেট খেলুড়ে দলগুলো তাদের তারকা ক্রিকেটারদের সঙ্গে বার্ষিক চুক্তি সই করে থাকে। সেই চুক্তির মতোই এবার বিশ্বের তারকা ক্রিকেটারদের সঙ্গে বার্ষিক চুক্তিসই করতে যাচ্ছে আইপিলের ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকরা। এ চুক্তি কার্যকর হলে ক্রিকেটাররা বিভিন্ন দেশের লিগেও খেলার সুযোগ পাবেন।
আইপিএলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ থাকলে ক্রিকেটাররা নিজ দেশের জাতীয় দলে খেলতে গেলেও ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের অনুমতি নিতে হবে।
কারণ সেরা ক্রিকেটারদের ধরে রাখতে বার্ষিক চুক্তির দিকে এগোচ্ছেন আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকরা।
ইংল্যান্ডের একটি সংবাদমাধ্যমের দাবি, জোফরা আর্চার হতে পারেন এ ধরনের প্রথম ক্রিকেটার। যিনি দেশের আগে পাকাপাকিভাবে বেছে নিতে পারেন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটকে। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স তাকে ধরে রাখার জন্য বার্ষিক চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে। আর্চার প্রস্তাব মেনে নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে তাকে ইংল্যান্ড দলে রাখতে হলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আগাম অনুমতি নিতে হবে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডকে।
চোটের জন্য গত বছর আইপিএল খেলতে পারেননি আর্চার। এবারো কনুইয়ের চোটের জন্য প্রতিযোগিতার মাঝপথে দেশে ফিরে গেছেন। গত বছর নিলামে আর্চারকে ৮ কোটি টাকা দিয়ে কিনেও সেই অর্থে লাভ হয়নি মুম্বাইয়ের।
আগামী দিনে যাতে এমন সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করতেই আর্চারের সঙ্গে বার্ষিক চুক্তির ভাবনা মুম্বাই কর্তৃপক্ষের। তাহলে আর্চার বছরে কতগুলো ম্যাচ দেশের হয়ে খেলবেন, কোন কোন সিরিজে খেলবেন- এসব কিছুই নির্ধারণ করবে মুম্বাই। ফ্র্যাঞ্চাইজির অনুমতি না নিয়ে তাকে খেলাতে পারবে না ইংল্যান্ড।
আর্চার মুম্বাইয়ের সঙ্গে বার্ষিক চুক্তিতে থাকলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের টি-টোয়েন্টি লিগে খেলতে পারবেন।
ইংল্যান্ডের সংবাদমাধ্যমটির দাবি, শুধু আর্চার নন ইংল্যান্ডের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার রয়েছেন ফ্র্যাঞ্চাইজির নজরে। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন অ্যালেক্স হেলস। ২০২২ সালের নিলামে কলকাতা নাইট রাইডার্স তাকে কিনলেও আইপিএল থেকে তিনি নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। তার সঙ্গেও বার্ষিক চুক্তি করতে যাচ্ছে আইপিএলের একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
স্পোর্টস ডেস্ক :
এই বিশ্বকাপের শুরু থেকেই দুর্দান্ত ব্যাটিং করলো ভারত। ব্যাটিংয়ে খারাপ দিনটা কি ফাইনালের জন্যই জমা ছিল? অস্ট্রেলিয়া যে ভারতীয় ব্যাটারদের সেভাবে দাঁড়াতেই দিলো না আজ।
ম্যাচে বিরাট কোহলি আর লোকেশ রাহুল লড়াকু ফিফটি করলেন। না হয়, আরও বড় বিপদে পড়তে হতো ভারতকে। শেষ পর্যন্ত পুরো ৫০ ওভার খেললেও ২৪০ রানে গুটিয়ে গেছে ভারতের ইনিংস। ২০২৩ বিশ্বকাপে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামা মানেই ভারতের ঝোড়ো সূচনা। ব্যত্যয় ঘটেনি ফাইনালেও। শুরুতে ওপেনার শুভমান গিলের (৭ বলে ৪) উইকেট হারিয়ে ফেললেও ঝোড়ো গতিতে রান তুলেছে ভারত।
রোহিত মারকুটে ভঙ্গিমায় এগিয়ে যাচ্ছিলেন। ছিলেন হাফসেঞ্চুরির দোরগোড়ায়। তবে ৩১ বলে ৪৭ করার পর গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের বলে ট্রাভিস হেডের দুর্দান্ত এক ক্যাচ হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় ভারতীয় অধিনায়ককে। এরপরই ভারতকে চেপে ধরে অস্ট্রেলিয়া।
১০ ওভারে ২ উইকেটে ৮০ রান ছিল। এরপর টানা ১৬ ওভার কোনো বাউন্ডারি পায়নি ভারত। অবশেষে ২৭তম ওভারে এসে সেই বাউন্ডারিখরা কাটান লোকেশ রাহুল।
এর আগে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে টস জিতে বোলিং বেছে নেন অসি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। পেস বোলিংয়ে কাজ না হওয়ায় তিনি দ্রুতই বোলিংয়ে নিয়ে আসেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে। তিনি এসেই সাফল্য উপহার দেন অস্ট্রেলিয়াকে। নিজের দ্বিতীয় এবং দলের ১০ম ওভারেই দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন ম্যাক্সওয়েল। সাজঘরে ফিরিয়েছেন রোহিত শর্মাকে।
ওভারের চতুর্থ বলে ম্যাক্সওয়েলকে ভালোভাবে খেলতে পারেননি রোহিত। শট খেলতে গেলেন তিনি। কিন্তু বল ব্যাটের কানায় লেগে উঠে যায় অফসাইডে। ট্রাভিস হেড কভার অঞ্চল থেকে পেছনে গিয়ে অসাধারণ একটি ক্যাচ ধরলেন। আউট হয়ে গেলেন রোহিত শর্মা। ৩১ বলে ৪৭ রান করলেন তিনি। দলীয় ৭৬ রানের মাথায় পড়লো দ্বিতীয় উইকেট।
এরপর ব্যাট করতে নামেন শ্রেয়াস আয়ার। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। কিন্তু একটি বাউন্ডারি মেরে তিনিও ফিরে গেলেন। প্যাট কামিন্সের বলে ব্যাটের কানায় লাগিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন আয়ার। ৮১ রানের মাথায় পড়ে তৃতীয় উইকেট।
৮১ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর বিরাট কোহলি আর লোকেশ রাহুল খোলসে ঢুকে পড়েন। দলকে এগিয়ে নিতে দাঁতে দাঁত চেপে ক্রিজে পড়ে থাকার চেষ্টা করেন তারা। চতুর্থ উইকেটে ১০৯ বল খেলে তারা ধীরগতিতে যোগ করেন ৬৭ রান।
অবশেষে এই জুটিটি ভেঙে দেন প্যাট কামিন্স। ভারতীয় দলের ব্যাটিং ভরসা বিরাট কোহলি তার দুর্দান্ত ডেলিভারিতে ইনসাইডেজ হয়ে বোল্ড হয়েছেন। ৬৩ বলে ৪ বাউন্ডারিতে কোহলির দায়িত্বশীল ইনিংসটি ছিল ৫৪ রানের।
রবীন্দ্র জাদেজা সুবিধা করতে পারেননি। ২২ বলে ৯ রান করে হ্যাজেলউডের বলে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দেন তিনি। ১৭৮ রানে ৫ উইকেট হারায় ভারত।
সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেছেন লোকেশ রাহুল। বেশ ধীরগতিতে ব্যাটিং করেছেন তিনি। অবশেষে ধীরগতির রাহুলকে সাজঘরের পথ দেখান মিচেল স্টার্ক।
৬৬ রান করে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রাহুল। ১০৭ বলের ইনিংসে মাত্র একটি বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। এরপর মোহাম্মদ শামিকেও (৬) সাজঘরে ফেরান স্টার্ক। ২১১ রানে ৭ উইকেট হারায় ভারত।
অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী প্রয়াত অঞ্জনা রহমানের প্রথম নামাজে জানাযা সম্পন্ন হয়েছে। আজ ৪ জানুয়ারি শনিবার দুপুরে অভিনেত্রীর প্রথম জানাযা সম্পন্ন হয়েছে বিএফডিসিতে। যেখানে তাকে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিনোদন অঙ্গনের ব্যক্তিত্বরা। এর আগে বেলা সোয়া ১১টায় অভিনেত্রীর মরদেহবাহী গাড়িটি প্রবেশ করে চলচ্চিত্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন-বিএফডিসির ভেতরে। সেখানে অঞ্জনাকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন পরিচালক ছটকু আহমেদ, নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী, শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য ও অভিনেতা সনি রহমানসহ চলচ্চিত্র ও অভিনয় জগতের অনেকে।
এ সময় অঞ্জনার ছেলে নিশাত রহমান মনি জানান, বাদ জোহর এফডিসিতে জানাযা শেষে অভিনেত্রীর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে তেজগাঁওয়ে চ্যানেল আই প্রাঙ্গনে। সেখানে আরেকবার জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে শেষ শয্যায় শায়িত হবেন অঞ্জনা।
এর আগে গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর।
পারিবারিক সূত্র জানায়, গত ২৪ ডিসেম্বর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে অঞ্জনাকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি জ্বরে ভুগছিলেন। ইনফেকশন তার সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার পর ১ জানুয়ারি বুধবার বিএসএমএমইউ’র আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয় অভিনেত্রীকে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি হাসপাতালটির ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
চলচ্চিত্র জগতে আসার আগে ছোটবেলা থেকে অঞ্জনা রহমান একজন নামি নৃত্যশিল্পী ছিলেন। নৃত্যের প্রতি আগ্রহের কারণে তার বাবা মা তাকে নৃত্য শিখতে ভারতে পাঠান। সেখানে তিনি ওস্তাদ বাবুরাজ হীরালালের অধীনে নাচের তালিম নেন এবং কত্থক নৃত্য শিখেন। নৃত্যে তিনি তিনবার জাতীয় পুরস্কারও লাভ করেন।
১৯৭৬ সালে বাবুল চৌধুরীর ‘সেতু’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে অভিনয় জীবনে পথচলা শুরু করেন অঞ্জনা। তবে তার মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র শামসুদ্দিন টগর পরিচালিত ‘দস্যু বনহুর’। রহস্য ভিত্তিক এই ছবিতে তার বিপরীতে ছিলেন সোহেল রানা।
১৯৭৮ সালে তিনি আজিজুর রহমান পরিচালিত ‘অশিক্ষিত’ চলচ্চিত্রে নায়ক রাজ রাজ্জাকের বিপরীতে অভিনয় করে নিজের ক্যারিয়ারকে সফলতার পথে এগিয়ে নেন।
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিনি রাজ্জাক, আলমগীর, জসিম, বুলবুল আহমেদ, জাফর ইকবাল, ওয়াসিম, উজ্জ্বল, ফারুক, ইলিয়াস জাভেদ, মিঠুন চক্রবর্তী (ভারত), ইলিয়াস কাঞ্চন, ফয়সাল (পাকিস্তান), নাদিম (পাকিস্তান), জাভেদ শেখ (পাকিস্তান), ইসমাইল শাহ (পাকিস্তান), শীবশ্রেষ্ঠ (নেপাল), ভুবন কেসিসহ (নেপাল) জনপ্রিয় অভিনেতাদের সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন।
প্রায় তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন গুণী এই অভিনেত্রী। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো হলো- সুখের সংসার, যাদু নগর, নেপালী মেয়ে, রাখে আল্লাহ মারে কে, একই রাস্তা, অঙ্কুর, মাধবীলতা, জবরদস্ত, জিদ্দী, আশীর্বাদ, শাহী কানুন, রূপসী বাংলা, বাপের বেটা, মরুর বুকে, প্রমাণ, বিক্রম, আকাশপরি, রাজার রাজা, বিধিলিপি, দিদার, আনারকলি, অগ্নিপুরুষ, টার্গেট, আন, মহারাজ, মানা, আশার প্রদীপ, প্রতিরোধ (বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনা), বেদনা, সোনার পালঙ্ক, চোখের মনি, প্রেমের সমাধি, ঈমানদার, অংশীদার, সুখ, দোযখ ইত্যাদি।
বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, নেপাল, থাইল্যান্ড ও শ্রীলংকাসহ বহু দেশে ব্যবসা সফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করে আন্তর্জাতিক ভাবে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন তিনি।
অভিনয়ে অনবদ্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৮১ সালে ‘গাংচিল’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য এবং ১৯৮৬ সালে ‘পরিণীতা’ চলচ্চিত্রের জন্য অঞ্জনা রহমান দুইবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া মোহনা, পরিণীতা ও রাম রহিম জন চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিভাগে তিনবার বাচসাস পুরস্কার লাভ করেন তিনি।
স্পোর্টস ডেস্ক :
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে প্রথম সেশনে ৪ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিম ও শাহদাত দিপুর ব্যাটে কিছুটা বিপর্যয় এড়ালেও দ্বিতীয় সেশনে আরও ৪ উইকেট হারিয়ে নড়বড়ে অবস্থায় থেকে চা পান বিরতিতে গেছে বাংলাদেশ। বিরতি থেকে ফিরে দ্রুতই জোড়া উইকেট হারিয়ে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৭২ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ।
আগে ব্যাট করতে নেমে সাবধানী শুরু করেন দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও জাকির হাসান। তবে দলীয় ২৯ রানের মাথায় মিচেল স্যান্টনারের বলে তুলে মারতে গিয়ে উইলিয়ামসনের হাতে ধরা পড়েন জাকির। এতে ভাঙে ওপেনিং এই জুটি। ২৪ বলে ৮ রান আসে এই বাঁহাতির ব্যাট থেকে। এরপরের ওভারেই এজাজ প্যাটেলের বলে লাথামের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জয়। ৪০ বলে ১৪ রান করেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
এরপর উইকেটে থিতু হতে পারেনি মমিনুলও। নিজের নামের পাশে ৫ রান যোগ করতেই এজাজের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। কিছুক্ষণের মধ্যেই ফেরেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন ন শান্ত। রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে এলবিডবিøউ হন তিনি।
১৪ বলে ৯ রান করে বিদায় নেন তিনি। ফলে দ্রæত চার উইকেট হারিয়ে বিপদে পরা টাইগারদের পঞ্চম উইকেটে চাপ কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম এবং শাহাদাত হোসেন দিপুর ব্যাটে।৪ উইকেট হারিয়ে ৮০ রান সংগ্রহ করে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
এ দুজন মিলে গড়েন ৫৭ রানের এক জুটি। তবে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে হাত দিয়ে বল আটকিয়ে মিস্টার ডিপেন্ডেবল সাজঘরে ফিরলে ভাঙে এ জুটি। ৪১তম ওভারের চতুর্থ বলটি ডিফেন্ড করেন মুশফিক। বল মাটিতে লাফিয়েছিল। অফস্টাম্পের ধারেকাছেও ছিল না বল। কিন্তু কী মনে করে যেন ডান হাত দিয়ে বল ঠেকালেন বাংলাদেশি ব্যাটার। এতে নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটাররা ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’ আউটের আবেদন করেন।
মুশফিকুর রহিম ও শাহদাত দিপুর ব্যাটে কিছুটা বিপর্যয় এড়ায় টাইগাররা। ৪ উইকেট হারিয়ে ৮০ রান সংগ্রহ করে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। বিরতি থেকে ফিরে দলীয় ১০৪ রানে ৮৩ বলে ৩৫ রান করে ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’ আউট হন মুশফিক। এতে পঞ্চম উইকেটে ৫৭ রানের জুটি ভাঙে টাইগারদের। এরপর দিপুও ফেরেন ব্যক্তিগত ৩১ রানেই। পরে নুরুল হাসান সোহান এবং মেহেদী মিরাজরাও দলের হাল ধরতে পারেননি আজ। ফলে চা বিরতিতে যাওয়ার আগে আরও চার উইকেট হারায় টাইগাররা।
১৪৯ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে চা বিরতি থেকে ফেরার পর শেষ সেশনের ব্যাটিংয়ে নেমে নাইম হোসেন কিছুটা আশার আলো দেখালেও অপরপ্রান্তে সঙ্গীর অভাবে ইনিংস এগিয়ে নিতে পারেননি। ফলে প্রথম দিনেই ১৭২ রানে থামে টাইগারদের ইনিংস। কিউইদের হয়ে আজ সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন মিচেল স্যান্টনার এবং ফিলিপস।