অনলাইন ডেস্ক :
কানাডার অন্টারিওতে বসবাসরত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইঞ্জিনিয়ারদের সংগঠন এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশি ইঞ্জিনিয়ার্স অব অন্টারিও (এবিইও) এর নতুন পরিচালনা পরিষদের অভিষেক অনুষ্ঠান ডেনফোর্থ রোডের বিডি ফিউশন রেস্তোরাঁয় অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংগঠনের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রেজাউর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে অভিষেক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার মির্জা শহিদুর রহমান।
আরও পড়ুন
পর্তুগালে বাংলাদেশি দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৭জন আহত
ইউসুফ তালুকদারকে প্রেসিডেন্ট করে নতুন পরিচালনা পরিষদে রয়েছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট এ কে এম ফজলুল করীম, পরিচালক যথাক্রমে মো. বজলুর ভূইয়া মারুফ, অপূর্ব ভৌমিক, ইফাত আরা, মো. আতিকুল ইসলাম, ড. আবুল বাশার, ফারহাত নাইম খান, কাজী বদিউল আলম লিটন, বিপ্লব কর্মকার, শেখ মোহাম্মদ ইসমাইল, শফিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ সোলাইমান দেওয়ান।
ইফাত আরা এবং মো. বজলুর ভূইয়া মারুফ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে নবনির্বাচিত কর্মকর্তাদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় এবং ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। কেক কেটে অভিষেক উদযাপন করা হয়।
আরও পড়ুন
কিশোরি হেনস্থার মামলায় নিউইয়র্কে গ্রেফতার বাংলাদেশি
উল্লেখ্য, তিন সদস্যের নির্বাচন এ বিইওর নতুন পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচিত করে। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজ এলামনাইর প্রতিনিধিবর্গ উক্ত অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করে এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।
নতুন প্রেসিডেন্ট ইউসুফ তালুকদার বলেন, কানাডায় বসবাসরত বাংলাদেশি প্রকৌশলীদের পেশাগত উন্নয়নে এই সংগঠনকে গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফরমে পরিণত করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রেজাউর রহমান কানাডায় বাংলাদেশি প্রকৌশলীদের পেশাদারিত্বের প্রশংসা করে মূলধরায় অধিকতর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
অনলাইন ডেস্ক :
চিকিৎসা শেষে দুই পুত্রবধূ জোবাইদা রহমান এবং সৈয়দা শামিলা রহমানকে সাথে নিয়ে বীরের বেশে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করার সংবাদে উৎফুল্ল যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বিএনপির নেতা-কর্মীরাও। এ উপলক্ষে গতকাল ৫ মে সোমবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে ডাইভার্সিটি প্লাজায় এক আনন্দ-সমাবেশ করেছেন নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির নেতা-কর্মী এবং সমর্থকরা। সমাবেশের প্রধান অতিথি বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য গিয়াস আহমেদ বলেন, সারা বিশ্বের প্রবাসীদের অকুন্ঠ ভালবাসা আর শ্রদ্ধার আসনে অধিষ্ঠিত বেগম খালেদা জিয়াকে বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে দূরে ঠেলে দেয়ার চক্রান্তের অংশ হিসেবে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকার তার বিরুদ্ধে সাজানো মামলায় সাজা ঘোষণা করেছিল। কিন্তু দেশবাসী তা কখনোই মেনে নেননি।
গিয়াস আহমেদ উল্লেখ করেন, সময়ের পরিক্রমায় দিবালোকের মত উদ্ভাসিত হলো যে, বেগম খালেদা জিয়া হলেন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং দেশপ্রেমিক রাজনীতিকের অনন্য উদাহরণ। কারণ, স্বৈরাচার এরশাদ, মইন-ফখরুদ্দিনের আমল থেকেই বেগম জিয়া গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপসহীন রয়েছেন। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার জঘন্য ষড়যন্ত্রের কাছেও মাথানত করেননি। তারই পুরস্কার হিসেবে এখোন তিনি সুচিকিৎসা শেষে বাংলাদেশে ফিরছেন বীরের বেশে। সাথে যাচ্ছেন ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন শেষে পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান এবং সৈয়দা শামিলা রহমান। অপরদিকে, শেখ হাসিনা দুর্নীতি-স্বজনপ্রীতি-গুম-খুন-লুটতরাজের দায় নিয়ে দেশ থেকে পালিয়েছেন অর্থাৎ নিজেই রাজনীতি থেকে বিতাড়িত হয়েছেন।
বিশেষ সম্মানীত অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির অন্যতম সদস্য গোলাম ফারুক শাহীন বলেন, আমরা এখোন অধীর আগ্রহে রয়েছি বাংলাদেশের অবিসম্বাদিত নেতা তারেক রহমানকে স্বদেশে স্বাগত জানানোর জন্যে। এবং এটা হচ্ছে সময়ের দাবি। দীর্ঘদিন থেকেই আমরা ‘তারেক রহমানের বীরের বেশে প্রত্যাবর্তন’কে উদযাপনের জন্যে। এতে আরো বক্তব্য দেন স্টেট বিএনপির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জসীমউদ্দিন ভিপি।
নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সভাপতি মাওলানা অলিউল্লাহ মোহাম্মদ আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে এ আনন্দ-সমাবেশ পরিচালনা করেন সেক্রেটারি সাঈদুর রহমান সাঈদ। নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরো ছিলেন বদরুল হক আযাদ, মনিরুল ইসলাম, কাওসার আহমেদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধেও মামলার পর বিভিন্ন মেয়াদেও সাজা ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই মামলাকেও বিএনপির পক্ষ থেকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ন বলে অভিহিত করা হয়েছে।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে
‘প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে ভালবাসুন, নিজেকে ভালবাসুন এবং একে অন্যকে ভালবাসুন-তাহলেই প্রবাসের স্বপ্ন পূরণের পথ সুগম হবে, বহুজাতিক এ সমাজে নিজেরা উদ্ভাসিত হতে সক্ষম হবো’ প্রবাসী শেরপুর জেলা সমিতির নয়া কমিটির অভিষেক উৎসবে এমন আকুতি ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম। এক মিনিটের এই বক্তব্যে উপস্থিত সকলেই অভিভূত এবং সকলের প্রত্যাশার পরিপূরক আহবানই এই আমব্রেলা সংগঠনের নেতার কন্ঠে ধ্বনিত হয় বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে। ২০২৫-২০২৬ মেয়াদের জন্যে নির্বাচিত প্রবাসী শেরপুর জেলা সমিতির এই অনুষ্ঠান হয় ২২ ফেব্রুয়ারি শনিবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্ক সিটির জ্যামাইকায় হিলসাইডের আল- আকসা (তাজমহল রেস্টুরেন্ট) পার্টি মিলনায়তনে ।
সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সাংবাদিক আবুল কাশেমের তত্ত্বাবধানে কমিউনিটির সর্বস্তরে প্রতিনিধিত্বকারি ব্যক্তিবর্গের বিপুল উপস্থিতির এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদায়ী সভাপতি নাহিদ রায়হান লিখন। প্রধান অতিথি ছিলেন হোমকেয়ার ব্যবসায়ী এইচ এম জামিল। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সোসাইটির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মহিউদ্দিন দেওয়ান, সাংগঠনিক সম্পাদক ডিউক খান, সাবেক সহ-সভাপতি ফারুক হোসেন মজুমদার, শেরপুর সমিতির সাবেক সভাপতি মামুন রাশেদ ,আক্তারুজ্জামান ও জান্নাতআরা রহমান এবং অভিষেক-উৎসবের জন্যে গঠিত সাব কমিটির আহবায়ক রাকিবুল ইসলাম রাসেল, সদস্য-সচিব নাইস চৌধুরী ।
মহান ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নিরবতা পালনের পর পবিত্র কোরআন ও গীতা থেকে পাঠ করা হয়।
নূতন কমিটর শপথ বাক্য পাঠ করান সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা সাংবাদিক আবুল কাশেম। অতিথিগণকে মঞ্চে নিয়ে অভিষিক্তরা হলেন : সভাপতি-ইঞ্জিনিয়ার প্রদোষ চক্রবর্তী, সাধারন সম্পাদক-ছামেদুল হক ঝন্টু, সিনিয়র সহ সভাপতি আক্তারুজ্জামান এবং সাবেরা জামান চৌধুরী, সহ সভাপতি আল আমিন এবং এস এম আসাদুজ্জামান সেলিম, কোষাধ্যক্ষ রাকিবুল ইসলাম রাসেল, সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মেহেদী হাসান, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সাবিনা ইয়াসমিন, প্রচার ও দপ্তর সম্পাদক সিহাব আহমেদ কিবরিয়া। কার্যকরী সদস্যরা হলেন নাহিদ রায়হান লিখন,মাসুদ পারভেজ মুক্তা,সিরাজুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম. গৌতম চক্রবর্তী মিন্টু,মোসতারীন আক্তার লিমু,মোস্তফা সাদী, শহিদুল আলম শাহীন বদিউজ্জান মিয়া শিমুল এবং রেখা জামান চৌধুরী।
আধ্যাতিক মরমি সাধক গাজী বংশের শেষ জমিদার শের আলী গাজী’র পদধন্য শেরপুরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য কমিউনিটিতে তুলে ধরার নিরলস প্রয়াস অব্যাহত রাখার জন্য সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ও সাংবাদিক আবুল কাশেম ও বিদায়ী সভাপতি নাহিদ রায়হান লিখন ও বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামকে বিশেষ সম্মাননা অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয় ।
অনুষ্ঠানে দেশের গান পরিবেশন করেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী শাহ মাহবুব ও রুখসানা মির্জা ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটির কোষাধ্যক্ষ মফিজুল ইসলাম ভূঁইয়া রুমী, জামালপুর সমিতির সাবেক সভাপতি জিল্লুর রহমান, বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার, সাপ্তাহিক প্রবাস পত্রিকার সম্পাদক মোহাম্মদ সাঈদ, সাপ্তাহিক ঠিকানার বার্তা সম্পাদক এম. শহীদুল ইসলাম, সাপ্তাহিক দেশ পত্রিকার সম্পাদক মিজানুর রহমান, প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক মনজুরুল ইসলাম, অনলাইন নিউজ পোর্টাল বিডি ইয়র্কের সম্পাদক শাহ ফারুক, বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিশেষ প্রতিনিধি আনিসুর রহমান, ভিপি জসীমউদ্দীন, বাংলাদেশ মিশনের প্রসাশনিক কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম ও রানা রায়হান প্রমুখ ।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তফা সাদী ।
অনুষ্ঠানে সবাইকে নৈশভোজে আপ্যায়ন করা হয় ।
হাকিকুল ইসলাম খোকন:
বিশ্বখ্যাত স্থপতি এফ আর খান, সেতার বাদক আলী আকবর খান, লেখক রুমানা আলম, কবি শহীদ কাদরি, সাহিত্যিক-লেখক ঝুম্পা লাহিড়ি, বাংলাদেশের মুুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা এনায়েতুর রহিম, বিজ্ঞানী দেবব্রত বসু, মূলধারার লেখক, অমিতাভ ঘোষ, বিজ্ঞানী ইকবাল কাদির, ইউটিউবের কো-প্রতিষ্ঠাতা জাওয়াদ করিম, সারাবিশ্বের তরুণ-তরুণীকে বিনা ফি-তে অংক শেখানোর সবচেয়ে জনপ্রিয় ‘খান একাডেমি’র প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক সালমান খান, ইন্টেলের চেয়ারপার্সন বিজ্ঞানী ওমর ইশরাকের মত বাঙালিরা বহুজাতিক আমেরিকায় বাংলা ও বাঙালিদের পরিচিতিকে মহিমান্বিত করেছেন। নিউইয়র্কে বসবাসরত বাঙালিরা বিশ্বের রাজধানী খ্যাত উক্ত সিটি তথা স্টেটে বাঙালি সংস্কৃতির ফল্গুধারা বিকাশের নিরন্তর প্রয়াস চালাচ্ছেন।
বাঙালিরা নতুন বছরের প্রথম দিন ‘পয়লা বৈশাখ’ ঘটা করে টাইমস স্কোয়ারসহ নিউইয়র্কের বিভিন্ন স্থানে উদযাপন করছেন। বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিন তথা ‘পহেলা বৈশাখ; বরণে এখোন হাজারো নারী-পুরুষের সাথে নতুন প্রজন্মের বাঙালিরাও উচ্ছ্বাসে মেতে উঠে। বাংলাদেশ, ভারত এবং আমেরিকার শতাধিক সংগঠনের শিল্পী-কলা-কুশলিরা হাজার বছরের ঐতিহ্যমণ্ডিত বাঙালি সংস্কৃতির জয়গান করেন। পাশাপাশি মেধা আর শ্রমের বিনিয়োগ ঘটিয়ে নিউইয়র্ক স্টেট তথা আমেরিকার উন্নয়নেও বাঙালিরা অবদান রেখে চলছেন। তেমন অবয়বকে আরো গৌরব আর অহংকারের সাথে উদ্ভাসিত করতে নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটে ‘১৪ এপ্রিলকে নিউইয়র্কে বাংলা নববর্ষ’র স্বীকৃতি প্রদানের জন্যে সিনেটর লুইস সেপুলভেদা ১৫ জানুয়ারি সিনেটে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
২৩৪ নম্বরের এই রেজ্যুলেশন (Memorializing Governor Kathy Hochul to proclaim April 14, 2025, as Bangla New Year Day in the State of New York) ২২ জানুয়ারি সর্বসম্মতভাবে পাশে হয়েছে। অর্থাৎ আসছে ১৪ এপ্রিল ঘটা করে পালিত হবে ‘বাংলা নববর্ষ’ এবং তা স্টেট, সিটি, কুইন্স, ব্রুকলীন, ব্রঙ্কস বরো-সহ সকল পর্যায়ে এ উপলক্ষে কর্মসূচি গ্রহণে আর কোন বাধা থাকবে না। এ ধরনের একটি ঘোষণাপত্র শীঘ্রই স্টেট গভর্ণর ক্যাথি হোকুল বিতরণ করবেন। স্টেট সিনেট সূত্রে এ সংবাদদাতা আরো জানতে পেরেছে যে, নিউইয়র্কস্থ মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও বিশ্বজিৎ সাহা এমন একটি রেজ্যুলেশনের জন্যে স্টেট সিনেটর লুইস সেপুলভেদার সাথে যোগাযোগ করেছিলেন এবং তা উল্লেখ রয়েছে পাশ হওয়া রেজ্যুলেশনে।
বাঙলা নতুন বছরকে ঘটা করে বরণের অভিপ্রায়ে নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটের এই রেজ্যুলেশনে উল্লাস প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন সংগঠনের নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মী-সমর্থক আর শিল্পী-কলাকুশলীরা।
কারণ, সর্বশেষ গত বছরও নিউইয়র্ক সিটির টাইমস স্কয়ারে প্রথমবারের মতো শতকণ্ঠে পয়লা বৈশাখ উদযাপনের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে কলকাতা, ঢাকা ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার প্রথিতযশা শিল্পীরা অংশ নিয়েছেন। এর পরদিন জ্যাকসন হাইটসের ডাইভার্সিটি প্লাজায় বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা ও বৈশাখী মেলার উদ্বোধন করেন নিউইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামস। এরও দুই দশক আগে থেকে মুক্তধারাসহ বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে এই স্টেটের বিভিন্ন স্থানে ‘পয়লা বৈশাখ’ বরণের বর্ণাঢ্য আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এসব অনুষ্ঠানে পান্তা-ইলিশের আয়োজন ছাড়াও বাঙালি পোশাকে জড়ো হওয়া নর-নারী-শিশু-কিশোরের মধ্যে ঐতিহ্যের পরিপূরক খাবার পরিবেশিত হয়।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
ডেমক্র্যাটিক পার্টির জাতীয় কমিটির (ডিএনসি) ভাইস চেয়ারম্যান (Civic Engagement and Voter Participation ) পদে প্রথম মুসলমান প্রার্থী বাংলাদেশী-আমেরিকান ষ্টেট সিনেটর (জর্জিয়া) শেখ রহমান চন্দন ২৪ জানুয়ারি সাউথ ক্যারলিনায় অনুষ্ঠিত পার্টির সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরামে বলেছেন, এখনও সময় হচ্ছে নেতৃত্বে আমার মত লোকের আসার। ট্রাম্পের মত লোকেরা বারবার আসছেন এবং চলেও যাচ্ছেন। কিন্তু আমার মত বাদামি রংয়ের মানুষেরা, মুসলমানেরা কখনোই এদেশ-সমাজ থেকে চলে যাবো না। বিভিন্ন অঞ্চল ও স্টেটের নেতৃবৃন্দের তুমুল করতালির মধ্যে সিনেটর শেখ রহমান চন্দন আরো বলেন, গত নির্বাচনে ডেমক্র্যাটিক পার্টির বিপর্যয়ের মূল কারণগুলো খতিয়ে দেখতে হবে। শুধু হোয়াইট হাউজ আর ক্যাপিটল হীলেই নয়, স্টেট, সিটি ও কাউন্টি প্রশাসনেও ডেমক্র্যাটিক পার্টির বিজয়ের পথ সুগম করতে আমাদের কাজ করতে হবে। আমি পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হলে আগামী ৯০দিনের মধ্যে বিজয় নির্দ্ধারণী ৭টি স্টেটে গিয়ে আপামর মানুষের সাথে মতবিনিময় করবো। সামনের দু’বছরের মধ্যে সকল টেরিটরিসহ ৫০টি স্টেট ভ্রমণ করবো এবং ডেমক্র্যাটিক পার্টির প্রতি আমেরিকানদের আস্থার ভিত পুনপ্রতিষ্ঠায় কাজ করবো। এটাই সময়ের দাবি। শেখ রহমান চন্দন আরো উল্লেখ করেছেন, ভোটারের নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথ সুগম করতেও সুদূর প্রসারি পরিকল্পনা জনসমক্ষে উপস্থাপন করতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, ধর্ম-বর্ণ-জাতিগোষ্ঠির প্রতিনিধিত্বকারিরা নীতি-নির্দ্ধারণে অংশগ্রহণের অবাধ সুযোগ পেতে হবে। বিশেষ কোন বর্ণ আর জাতি-গোষ্ঠির আধিক্য পরিহার করতে পারলেই নাজুক অবস্থা থেকে ডেমক্র্যাটিক পার্টিকে উদ্ধার করা সহজ হবে। কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার সরারচরের সম্ভ্রান্ত এক পরিবারের সন্তান শেখ রহমান চন্দন ২০১৮ সাল থেকে ডিস্ট্রিক্ট-৫ আসনে জর্জিয়া লোকাল সরকারের স্টেট সিনেটর হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আসছেন। এটা হচ্ছে তার চতুর্থ টার্মের দায়িত্ব। ১৯৮১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর আমেরিকান স্বপ্ন পূরণের অভিপ্রায়ে উচ্চ শিক্ষায় মনোনিবেশ করেন এবং সেন্ট্রাল পাইডমন্ট কম্যুনিটি কলেজে ভর্তি হন। ১৯৯৫ সালে তিনি জর্জিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যবসা প্রশাসনে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তারপর কর্মজীবনে পেশাগত দক্ষতা প্রদর্শনের পাশাপাশি বসবাসকারি এলাকার বিভিন্ন ভাষা ও বর্ণের মানুষের সাথে সম্পর্ক নিবিড় করতে সক্ষম হন। সেই পথ বেয়েই আফ্রিকান-আমেরিকান ও শ্বেতাঙ্গ আমেরিকান অধ্যুষিত এলাকা থেকে বারবার বিজয়ী হচ্ছেন। স্পষ্টভাষী শেখ রহমান চন্দনের স্ত্রী আফরোজা এবং এক পুত্র আঞ্জার ও এক কন্যা রাওদাকে নিয়ে নির্বাচনী এলাকাতেই স্থায়ীভাবে বাস করছেন। ডিএনসি নির্বাচনে বিজয়ের ব্যাপারে তিনি অত্যন্ত আশাবাদি।
উল্লেখ্য, গত নির্বাচনে ট্রাম্পের কাছে কমলা হ্যারিসের পরাজয়ের পাশাপাশি সিনেট এবং হাউজেরও সংখ্যাগরিষ্ঠতা খুইয়েছে ডেমক্র্যাটরা। অনেক স্টেটের আসনও হারিয়েছে। এহেন অবস্থায় ডেমক্র্যাটিক পার্টির নেতৃত্বে উদ্যমী-কর্মঠ-মেধাবি এবং ধর্ম-বর্ণ-অঞ্চল নির্বিশেষে সকল আমেরিকানের আস্থা রয়েছে-এমন ব্যক্তিগণের প্রয়োজনীয়তা অনুভ’ত হচ্ছে। সে তাগিদ সম্ভাব্য সকল প্রার্থীর মধ্য থেকেই উচ্চারিত হচ্ছে। উল্লেখ্য, ৩০ জানুয়ারি থেকে ৩দিনের এই জাতীয় সম্মেলন হবে ম্যারিল্যান্ড স্টেটে ন্যাশনাল হার্বারে। পার্টির চেয়ারম্যান, ট্রেজারার, ভাইস চেয়ারসহ বিভিন্ন পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১ ফেব্রুয়ারি। আরো উল্লেখ্য, প্রথম বাংলাদেশী এবং প্রথম মুসলমান প্রার্থী হলেও ষ্টেট সিনেটর শেখ রহমান চন্দনকে ইতিমধ্যেই ৬ টেরিটরি-সহ অধিকাংশ স্টেটের ডেলিগেটরা সাপোর্ট দিয়েছেন। এরফলে তার নির্বাচনের পথ অনেকটা সুগম হয়েছে বলে আশা করা হচ্ছে। ভাইস চেয়ার পদে তার প্রতিদ্বন্দ্বিরা হলেন কংগ্রেসওম্যান (ওহাইয়ো ) জয়েস বীটি, কংগ্রেসওম্যান নিকেমা উইলিয়ামস (জর্জিয়া), বর্তমান কমিটির ভাইস চেয়ার সাবেক স্টেট অ্যাসেম্বলীম্যান (নিউইয়র্ক) মাইকেল ব্ল্যাক প।
সময়ের প্রয়োজনে চার বছর মেয়াদি (২০২৫-২০২৯) ডেমক্র্যাটিক পার্টির জাতীয় কমিটির আসন্ন নির্বাচন নিয়ে সরগরম শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমগুলোও। সচেতন ভোটারেরও অধীর আগ্রহে নয়া নেতৃত্ব প্রত্যাশা করছেন। তেমন একটি আকাঙ্খার পরিপূরক কমিটির চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ৮ জন। এর অন্যতম হচ্ছেন ম্যারিল্যান্ড স্টেটের সাবেক গভর্ণর এবং সোস্যাল সিকিউরিটি এডমিনিস্ট্রেশনের কমিশনার মার্টিন ও’ম্যালি, উইসকনসিন স্টেট ডেমক্র্যাটিক পার্টির চেয়ারম্যান বেন উইকলার, বিদায়ী কমিটির ভাইস চেয়ার কেন মার্টিন, ইউএস সিনেট প্রার্থী (ম্যারিল্যান্ড) রবার্ট হোটন, এটর্নী ও রাজনৈতিক বিশ্লেক (ম্যাসেচুসেট্স)জ্যাসন পোল, বাইডেন ও ওবামা প্রশাসনে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রণালয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনকারী ন্যাট স্নাইডার, ডেমক্র্যাটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচার টিমে দায়িত্বপালনকারি সংগঠক ও লেখক ম্যারিয়েন উইলিয়ামসন এবং টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটির এডজাঙ্কট প্রফেসর কুইনটেসা হ্যাথাওয়ে। ট্রেজারার পদে লড়ছেন অলাভজনক একটি সংস্থার সিইও এবং নর্থ ক্যারলিনা ডেমক্র্যাটিক পার্টির ওরেঞ্জ কাউন্টি শাখার সাবেক চেয়ারপার্সন ম্যাট হাজেজ এবং বিদায়ী কমিটির ট্রেজার ভার্জিনিয়া ম্যাকগ্রেগর। সেক্রেটারি পদেও সরাসরি লড়াই হচ্ছে দু’প্রার্থীর। এরা হলেন নিউজার্সি শ্রম দফতরের সাবেক ডেপুটি কমিশনার ম্যারিলিন ডেভিস এবং বিদায়ী কমিটির সেক্রেটারি জ্যাসন র্যা। ন্যাশনাল ফাইন্যান্স চেয়ার পদে পুনরায় লড়ছেন বিদায়ী কমিটির চেয়ার ক্রিস কর্গ এবং ডেপুটি চেয়ার ক্রিস্টফার লওই।
অনলাইন ডেস্ক :
পর্তুগালের লিসবনের আলমাদা শহরে বন্দুকধারী সন্ত্রাসীর গুলিতে মাহবুবুল আলম নামে এক বাংলাদেশি ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। ১৩ জুন শুক্রবার তার স্ত্রী এবং ১০ ও ১৪ বছর বয়সী নাবালিকা কন্যার সামনেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। নিহত মাহবুবুল সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মানিককোনা গ্রামের যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী নান্না মিয়ার ছেলে। তিনি বেশ কয়েক বছর ধরে পর্তুগালে সপরিবারে বসবাস করছিলেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী তার দোকানে প্রবেশ করে এবং দোকানের অর্থ লুটপাটের চেষ্টা চালায়। এতে মাহবুবুল বাধা দিলে হামলাকারীরা তার বুকে পর পর ৩ রাউন্ড গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে স্থানীয় পুলিশ এবং জরুরি সেবা সংস্থা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
জানা গেছে বন্দুকধারীরা ছিল ১৬ থেকে ১৭ বছর বয়সী দুই যুবক। তারা কালো পোশাক পরে এবং হুড পরে ছিল এবং আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে তিনটি গুলি চালায়।
ভুক্তভোগী প্রায় তিন বছর আগে তার পরিবারের সাথে ইংল্যান্ড থেকে পর্তুগালে এসেছিলেন। পর্তুগালের বিচার বিভাগীয় পুলিশ ঘটনার তদন্তভার গ্রহণ করেছে এবং হামলাকারীদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে।