মুরাদ মৃধা, নাসিরনগর :
নাসিরনগরে মাতৃস্বাস্থ উন্নয়নে স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি ও সামাজিক উন্নয়ন কাজে সম্পৃক্ত প্রতিনিধিদের ভুমিকা বিষয়ক এ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিরার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কার্যালয়ে ও ইন্সটিটিউট ফর হেলত কেয়ার ইমপ্রুভমেন্ট (IHI) আয়োজনে আজ ১৫ জানুয়ারি বুধবার নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর সভাকক্ষে এ্যাডভোকেসী সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর আবাসিক মেডিকেল অফিস ডাঃ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ্যাডভোকেসী সভায় বক্তব্য রাখেন, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডাঃ এএফএম রফিকুল ইসলাম, ডাঃ মোঃ সামছুল ইসলাম, গোকর্ণ ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ শাহীন, কুন্ডা ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাড. নাসির উদ্দীন ভুইয়া, ভলাকুট ইউপি চেয়ারম্যান রুবেল মিয়া, চাতলপাড় ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, নাসিরনগর প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ আছমত আলী, সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক সবুজ, মিজানুর রহমান, মোহাম্মদ আলী, কুন্ডা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম, ইউপি সচিব রাজিব ঘোষ প্রমুখ।
এ্যাডভোকেসী সভায় বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, জন প্রতিনিধি, সাংবাদিক, শিক্ষক, ইউনিয়ন পরিষদের সচিব উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের গুরুত্ব, ডেঙ্গু, মানব পাচার, অপপ্রচার, গুজব, মাদক, সন্ত্রাস, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ, নৈতিকতা ও মূল্যবোধ, জম্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (এপিএ) কর্মসূচির আওতায় নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রবিবার সকালে জেলা তথ্য অফিস ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্যোগে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে ওই নারী সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
জেলা তথ্য কর্মকর্তা মো: ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইমরানুল হক ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: আমির আলী ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ দাস। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, হ্যাপী চৌধুরী, আফরোজা আক্তার, খাদিজা বেগম প্রমুখ।
সমাবেশে প্রায় শতাধিক নারী উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইমরানুল হক ভূঁইয়া বলেন, আজকে দেশের প্রতিটি সেক্টরে নারী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তিনি নারীদের গুজব থেকে বিরত থাকতে নানা বাস্তবমূখী উদাহরণ দেন। পাশাপাশি নানা সামাজিক কুপ্রথা প্রতিরোধ ও যৌতুক-বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসনের সহায়তা নেয়ার জন্য উপস্থিতিকে আহবান জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি ঠেকাতে বাজার মনিটরিং করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইমরানুল হক ভূঁইয়া।
আজ ১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা সদর বাজারের সার্বিক পরিস্থিতি দেখতে বাজারে যান উপজেলা তিনি।
এসময় তিনি মুদির দোকান, সবজির দোকান, ফলের দোকান, মুরগির দোকানে অভিযান চালান। অভিযানে মূল্য তালিকা না রাখায় চার ব্যবসায়ীকে ১১ হাজার টাকার জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি ব্যবসায়ীদেরকে সর্তক করা হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইমরানুল হক ভূইয়া অভিযানের কথা স্বীকার করে জানান, রমজান মাস উপলক্ষে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে নিয়মিত বাজার তদারকির অংশ হিসেবে এই অভিযান চালানো হয়।
নাসিরনগর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। কোন অসাধু ব্যবসায়ী যদি বাজার অস্থিতিশীল করতে চায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে মে মাসে সর্বাধিক দিন লাইব্রেরিতে উপস্থিত থেকে বই পড়ায় ১৫ শিক্ষার্থীকে পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।
১৩ জুন বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর ইউএনও মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া শিক্ষার্থীদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন। পুরস্কার পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন বালিকা বিভাগে ২৭ দিন উপস্থিত থেকে প্রথম হয়েছেন সাদিয়া বুশরা, হাফছা বেগম, নুসরাত সাকুরা ও সুমাইয়া আফরিন। ২৬ দিন উপস্থিত থেকে দ্বিতীয় হয়েছে ইসরাত জাহান, সৃষ্টি রায়, সানিয়া আক্তার ও মহিমা রায়। ২১ দিন উপস্থিত থেকে তৃতীয় হয়েছে লামিয়া আক্তার।
বালক বিভাগে ২৭ দিন উপস্থিত থেকে প্রথম হয়েছেন পৃথিবী দাস সূর্য্য, গগনদীপ কুন্ডু, সৌমিক রায় ও স্নেহাল গোপ পান্না। ২৬ দিন উপস্থিত থেকে দ্বিতীয় হয়েছেন তন্ময় সরকার। ২৫ দিন উপস্থিত থেকে তৃতীয় হয়েছেন শয়ন গোপ।
ইউএনও মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া বলেন, ভালো কিছু করার জন্যই এই উদ্যোগ। স্কুল পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা বই পড়ুক, সেই উৎসাহ দানের জন্যই এই পুরস্কার। নাসিরনগরবাসীর সৌভাগ্য যে উপজেলায় একটি পাবলিক লাইব্রেরি রয়েছে। আমি নাসিরনগর উপজেলায় যোগদানের পর উপজেলা প্রশাসন পরিচালিত পাবলিক লাইব্রেরি ভিজিট করতে গিয়ে দেখি প্রতিদিন দুই থেকে তিনজন পাঠক লাইব্রেরিতে আসেন।
তিনি আরো বলেন, পরে সেখান থেকে চিন্তা করি লাইব্রেরিতে কেমন করে পাঠক বাড়ানো যায়। তখনি ঘোষণা দেই লাইব্রেরিতে বেশি দিন উপস্থিত থেকে যে বই পড়বে তাদেন পুরস্কার দেওয়া হবে। এখন প্রতিদিন লাইব্রেরিতে ৩০ থেকে ৩৫ জন পাঠক আসে।
তিনি আরো বলেন, গত ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিল মাসে সর্বাধিক দিন উপস্থিত থেকে সর্বোচ্চ বই পড়েছিলেন তাদের পুরস্কৃত করা হয়েছিলো। মে মাসে সর্বাধিক দিন উপস্থিত থেকে সর্বোচ্চ বই পড়ার জন্য আজ ১২ জন শিক্ষার্থীকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
তিনি আরো জানান, পাবলিক লাইব্রেরিতে অনেক কিছু সংস্কার করা হয়েছে। আরো কিছু সংস্কার করা হবে। ছাত্র-ছাত্রীরা অনেক গুলো বইয়ের নাম বলেছেন, যেগুলো তারা পড়তে চাই। আমি সেই বই গুলো তাদের পড়ার ব্যবস্থা করে দেব।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি’র) মনোনয়ন প্রত্যাশী এডভোকেট এ কে এম কামরুজ্জামান মামুন স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছেন।
আজ ১৪ জুলাই শুক্রবার বিকালে নাসিরনগর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
মতবিনিময় সভায় আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, আমি সামাজিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে দলের জন্য কাজ করছি। ১৯৯১ইং সালে প্রথমে বিএনপি’র মনোনয়ন প্রাপ্ত হই। পরবর্তীতে উপজেলা বিএনপির একক আহ্বায়কের দায়িত্বে থাকা কালীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে নাসিরনগরের তৎকালীন জাতীয় পার্টির সম্মানিত এমপি সৈয়দ মোর্শেদ কামাল সাহেব হাজার হাজার নেতাকর্মী সহ বিএনপিতে যোগদান করেছিলেন। আমি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক থাকা অবস্থায় বিগত ১৫ ডিসেম্বর ২০০৪ইং সালে জনাব এসএকে একরামুজ্জামান বিএনপিতে যোগদান করেন। আমি উভয় নেতার দলে যোগদানকে সমর্থন করায় দল আজ বৃহৎ সংগঠনে পরিণত হয়েছে। আমি সবসময় দলকে কুক্ষিগত না করে বড় করার চেষ্ঠা করেছি। আসন্ন সংসদ নির্বাচনে দল-মত এবং ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আপনাদের সর্বাত্বক সহযোগিতা কামনা করি । আশা করি আগামী নির্বাচনে দল আমার কাজের মুল্যয়ন করবেন। এমপি হতে পারলে সবাইকে নিয়ে অবহেলিত জনপদটি উন্নয়নের মডেল হিসেবে গড়ে তুলবো।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মীর মোস্তফা জালাল, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এম এ মঈন, উপজেলা যুবদল আহ্বায়ক সদস্য জুয়েল রানা, মোঃ হাফিজ, জেলা কৃষকদলের সদস্য মিন্টু মিয়া, উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব শাহ আলম পাঠান, উপজেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নাঈম মিয়া, সানাউল হক, সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া, ছাত্রদল নেতা ইশতিয়াক আহমেদ তপু প্রমুখ।
নাসিরনগর প্রতিনিধি :
নাসিরনগরে বাস ও সিএনজি চালিত অটোরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সিএনজি চালকসহ নয়জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।আজ ৩১ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকাল নয়টার দিকে উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের আশুরাইল গ্রামের বটতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে সড়কের পাশে ছিটকে পড়ে।
দুর্ঘটনার তথ্য নিশ্চিত করেছেন নাসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল্লাহ সরকার। তিনি জানান, আহত সবাইকে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহতরা হলেন- বায়জিদ মিয়া, মো. শাহআলম মিয়া, খাদিজা আক্তার, লাল চান বাদশা, আলম মিয়া, খুকু মনি, নাজমা বেগম, অহিদ মিয়া ও ফুরকান মিয়া। এর মধ্যে লাল চান বাদশা, আলম মিয়া, খুকু মনি, নাজমা বেগম,অহিদ মিয়া ও ফুরকান মিয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, হবিগঞ্জ থেকে পালকি পরিবহনের একটি ঢাকাগামী বাস ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ছেড়ে আসা লাখাইগামী সিএনজি অটোরিকশা আশুরাইল এলাকায় আসার পর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় সিএনজি অটোরিক্সায় থাকা সকল যাত্রী মারাত্মক আহত হয়। দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা মুমূর্ষু অবস্থায় নারী-শিশুসহ নয়জনকে উদ্ধার করে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সবাইকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেফার করেন।
ওসি হাবিবুল্লা সরকার জানান, দুর্ঘটনার পর বাসচালক পালিয়েছে। বাসটি জব্দ করা হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।