চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলা সদ্য ঘোষিত বিএনপির কমিটি বাতিলের দাবিতে পদবঞ্চিত অর্ধশতাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদধারী সাবেক নেতারা ক্ষোভে রাজপথে নেমে ঝাড়ু মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছে।
আজ ১৫ জানুয়ারি বুধবার দুপুর ১২টার দিকে সরাইল উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মাস্টারের নেতৃত্বে একটি ঝাড়ু মিছিল বের হয়ে উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তব্য রাখেন সরাইল উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি জহির উদ্দিন আহমেদ, বিএনপি নেতা ও ছাত্রদলের সাবেক ভিপি মো. উসমান মিয়া, বিএনপি নেতা মো. হোসেন মিয়া, যুবদলের সাবেক সভাপতি ও সদ্য প্রকাশিত কমিটির যুগ্ম সম্পাদক-২ নাজমুল আলম খন্দকার মুন্না, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে উপজেলা বিএনপি’র যে পকেট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে তা আমরা মানিনা, মানাবো না। বিএনপি’র এ কমিটিকে পারিবারিক, অরাজনৈতিক, চুর, ডাকাতে ভরা। আপনারা যারা দীর্ঘদিন রাজপথে ছিলেন, দীর্ঘদিন কারা বরণ করে এ জাতীয়বাদী দল বিএনপি কে বাঁচানোর জন্য আমরা আবার ঐক্যবদ্ধ হব। আমরা যেভাবে শেখ হাসিনাকে এই বাংলা থেকে বিতরিত করেছি। সেই ভাবে আনিছ ঠাকুর ও তপুর অবৈধ কমিটিকে সরাইল থেকে বিতরিত করব।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর সরাইল উপজেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে আনিসুল হক ঠাকুর ও অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান লস্কর তপুকে সাধারণ সম্পাদক করে ১০১ সদস্য নতুন কমিটি গঠন করা হয়। এই অনুমোদিত কমিটি চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি প্রকাশ করে বর্তমান উপজেলা কমিটি। এরপর থেকে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ঘোষিত কমিটির সভাপতি আনিসুল হক ঠাকুরের মোবাইল ফোনে কয়েকবার কল দেওয়া হলেও বন্ধ পাওয়া যায়।
প্রসঙ্গত, এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একই দাবিতে উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মাস্টারের সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে ১৪ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে সাদিয়া আক্তার (১৭) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রী। নিখোঁজ সাদিয়া উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের নন্দীপাড়া গ্রামের মো. ফারুক মিয়ার মেয়ে। গত ১৬ মার্চ ভোরে সে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় মেয়ের সন্ধান চেয়ে সরাইল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন তার বাবা ফারুক মিয়া।
সাধারণ ডায়েরির তথ্য থেকে জানা যায়, কালিকচ্ছ কলেজ পাড়া মহিলা মাদ্রাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাদিয়া আক্তার রুবি। সম্প্রতি অজ্ঞাত এক ছেলে সাদিয়ার মোবাইলে ফোন করে কথা বলত। পরিবার বিষয়টি উদঘাটনের চেষ্টা করলেও মেয়ের কাছ থেকে ওই ছেলের নাম ও মোবাইল নাম্বার সম্পর্কে কোনো তথ্য পায়নি। গত ১৬ মার্চ ভোরে পরিবারের লোকজন ঘুম থেকে উঠে দেখেন সাদিয়া ঘরে নেই। এরপর বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। এখন পর্যন্ত তার সাথে পরিবারের কোনো যোগযোগ নেই।
সাদিয়ার বাবা মো. ফারুক মিয়া বলেন, ‘আমার মেয়ে কোথায় আছে, কেমন আছে তা নিয়ে আমরা আতঙ্কে আছি। ঘটনার পর ওইদিনই থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি। ১৪ দিন পার হলেও এখন পর্যন্ত আমার মেয়ের কোনো খোঁজ মিলছে না। আমরা দ্রুত আমার মেয়ের সন্ধান চাই।’
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন বলেন, ‘মেয়েটিকে উদ্ধারের জন্য আমাদের সব ধরনের প্রচেষ্ট অব্যাহত আছে। তার সন্ধান পেতে আমরা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছি।’
অনলাইন ডেস্ক :
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন কেন্দ্রিক রাজধানীর পৃথক থানার মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাড. কামরুল ইসলাম, সাবেক এমপি সোলাইমান সেলিমের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ ২৭ নভেম্বর বুধবার তাদেরকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা তাদের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল হোসেনের আদালত তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
এর মধ্যে যাত্রাবাড়ী থানার হত্যা মামলায় আনিসুল হককে ৩ দিন, লালবাগ থানার মামলায় কামরুল ইসলামকে ৩ দিন, চকবাজার ও লালবাগ থানার দুই মামলায় সোলাইমান সেলিমকে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। এছাড়া যাত্রাবাড়ী থানার মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
বিভিন্ন থানার মামলায়, সাবেক মন্ত্রী দীপু মনি, আনিসুল হক, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বাণিজ্য উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমান, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, আমির হোসেন আমু, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, সোলাইমান সেলিম, সাদেক খান, এবিএম ফজলে করিম, মনিরুল ইসলাম, আ স ম ফিরোজ, মশিউর রহমান এবং শাহরিয়ার কবিরকে নতুন করে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে ইটবোঝাই ট্রাক্টর ও ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সার সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। আজ ৮ এপ্রিল শনিবার দুপুরে উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের যাদবপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- অটোরিক্সা চালক আল আমিন (১৪) ও যাত্রী আপন চন্দ্র দাস (১৪)।
আল আমিন উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামের আলমগীর মিয়ার ছেলে ও আপন চন্দ্র দাস ধীতপুর গ্রামের ওমেলেশ চন্দ্র দাসের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে একটি ইটবোঝাই ট্রাক্টর ও ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সার মধ্যে সংঘর্ষ হলে সড়কে ছিটকে পড়ে চাকায় পিষ্ট হয়ে আল আমিন ঘটনাস্থলেই মারা যান। আপন চন্দ্র দাসকে আহত অবস্থায় সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সরাইল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ পর্যন্ত দুইজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী প্রজন্মকে সক্ষম করি, দুর্যোগ সহনশীল ভবিষ্যৎ গড়ি’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত হয়েছে।
আজ ১৩ অক্টোবর রবিবার সকাল ১০ টায় উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গন থেকে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা দুর্যােগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগিতায় বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়।
র্যালিটি উপজেলা প্রধান সড়ক ঘুরে আবারো উপজেলা পরিষদে সামনে এসে শেষ হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মেজবাহ উল আলম ভূইয়ার সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, সরাইল উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকতা মোঃ রিয়াজ উদ্দিন, সরাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ আলী মাস্টার, উপজেলা প্রকৌশলী আনিছুর রহমান ভূইয়া, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মাকসুদুর রহমান, সরাইল মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ বদর উদ্দিন, সরাইল সদর ইউপি চেয়ারমান আব্দুল জব্বার প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলের বিখ্যাত বংশীবাদক মো. রুবেল (৩২) চলে গেলেন না ফেরার দেশে। আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে তিনি মারা যান। উদীয়মান এই নক্ষত্রের আকস্মিক মৃত্যুতে সরাইলের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তির মৃত্যুতে এতিম ৩ সন্তান নিয়ে দিশেহারা এখন স্ত্রী রুপা বেগম (৩২)।
পারিবারিক সূত্র জানায়, উপজেলার শাহবাজপুর প্রথম গেইট এলাকার প্রয়াত হাসনাত মিয়ার ছেলে রুবেল। রুবেল ২ ছেলে সন্তানের জনক। ছাত্র জীবন থেকেই সাংস্কৃতিক চর্চার প্রতি গভীর আগ্রহ ছিল তার। সেই থেকেই বাঁশি বাজানো অনুশীলন করতে থাকেন। এক সময় রুবেল ভাল বংশীবাদক হয়ে ওঠেন। বড় বড় অনুষ্ঠানে রুবেলের ডাক আসতে থাকে। ইউনিয়ন ছাড়িয়ে উপজেলা, জেলায় ও সমগ্র দেশে রুবেলের পরিচিতি বিস্তৃতি লাভ করে। আর এভাবেই রুবেলের বংশীবাদকের ক্যারিশমা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। হাজার হাজার ভক্তের কাছে রুবেল হয়ে ওঠেন প্রিয় বংশীবাদক। তাঁর আচার আচরণ ও সদালাপের সুনাম খ্যাতিও মানুষের মন কাড়ে। অগণিত দর্শক শ্রোতার প্রিয় রুবেল প্রথমে ডায়বেটিস ও পরে লিভারের জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকালে হঠাৎ করে রুবেলের শাররীক অবস্থার অবনতি ঘটে। পরিবারের লোকজন তাকে দ্রুত নিয়ে যান জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। সকাল ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন রুবেল।